জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের দুই কিলোমিটার দূরে ট্রেন। লেভেল ক্রসিংয়ে জ্বলে ওঠে লালবাতি। ট্রেনটি কোন দিক থেকে আসছে, নির্দেশ করছে সেটিও। পাশাপাশি বাজছে সাইরেন। দুই পাশে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পড়ে গেল প্রতিবন্ধক (বার)। রেললাইন পারাপার না হওয়ার জন্য স্ক্রিনে ভেসে ওঠে ‘স্টপ’। ট্রেন চলে যাওয়ার পর সবুজ বাতি জ্বলে। পারাপার হয় মানুষ, যানবাহন। সম্প্রতি চট্টগ্রামের ভাটিয়ারি ফৌজদারহাট রেলস্টেশনের মাঝামাঝি একটি লেভেল ক্রসিংয়ে দেখা যায় এ চিত্র।
গত বছরের ১ এপ্রিল ডিজিটাল এই সিস্টেম পরীক্ষামূলক চালু করা হয়। ‘আনম্যানড লেভেল ক্রসিং গেট অটোমেশন’ শীর্ষক পাইলট প্রকল্পের আওতায় চলছে এটি। সিস্টেমটির মূল উদ্ভাবক রেল পরিদর্শক (জিআইবিআর) অসীম কুমার তালুকদার। তিনি এ প্রকল্পের কারণে সম্প্রতি শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবকের পুরস্কার পেয়েছেন। রেলপথ মন্ত্রণালয় চলতি বছরের ১০ জুন পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলে সিস্টেমটি চালু করার জন্য আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে। এই সিস্টেমে লেভেল ক্রসিংগুলোতে কোনো গেটম্যানের দরকার হবে না। রেলওয়েতে এক হাজারের বেশি অননুমোদিত লেভেল ক্রসিং আছে। এর মধ্যে পূর্বাঞ্চলে ৮৫০টি এবং পশ্চিমাঞ্চলে রয়েছে ১৮৬টি। এসব ক্রসিংয়ে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা, প্রাণহানি। এই সিস্টেম ব্যবহার করলে দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে অসীম কুমার তালুকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, রেলওয়েতে গেটম্যান সংকট। প্রতিটি অনুমোদিত লেভেল ক্রসিংয়ে কমপক্ষে তিনজন গেটম্যান দরকার। জনবল সংকটের কারণে সব লেভেল ক্রসিংয়ে গেটম্যান দেওয়া কষ্টকর। তাই এ পদ্ধতি চালু হলে দুর্ঘটনা অনেকাংশ কমে যাবে। তিনি আরও বলেন, এই সিস্টেমে মোট ৮০টি ইনপুট দেওয়া যাবে। কিন্তু তাঁরা ব্যবহার করেছেন মাত্র ১০টি। সিস্টেমে ট্রেন চলাচলের বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষণ করে ভবিষ্যতে যেকোনো গবেষণায় কাজে লাগানো যাবে। পরীক্ষামূলক এই সিস্টেমে তিনি গেটে ব্যারিয়ার (প্রতিবন্ধক বা বার) রাখেননি। এ কারণে লেভেল ক্রসিংটি শতভাগ নিরাপদ করতে হলে পথচারী ও গাড়ির চালকদের অবশ্যই সংকেত মানতে হবে।
ট্রেনকে সিগন্যাল দেওয়া, ট্রেন রুটে কোথাও কোনো সমস্যা হয়েছে কি না, এক লাইন থেকে আরেক লাইনে ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা করে দেওয়াসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন স্টেশন মাস্টাররা। তাঁরা এসব কাজ করেন নিজেরা উপস্থিত থেকে। এবার তাঁদের এসব কাজ ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় নিচ্ছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থেকে পূর্বাঞ্চলের ৮৫টি স্টেশনের কাজ কম্পিউটারের মাধ্যমে পরিচালনা করতে পারবেন মাত্র দুজন কর্মকর্তা। গত বছরের সেপ্টেম্বরের দিকে পাহাড়তলীতে সেন্ট্রালাইজড ট্রাফিক কন্ট্রোলটি (সিটিসি) স্থাপন করা হয়। এখান থেকে রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগের পরীক্ষামূলক ট্রেন পরিচালনা করা হয়। এটি পরীক্ষামূলকভাবে সফলও হয়। সিটিসি এমনভাবে গড়ে তোলা হয়েছে, যেখান থেকে ট্রেনের অবস্থান, স্টেশন ইয়ার্ডের অবস্থা এবং লেভেল ক্রসিংগুলোর অবস্থা প্যানেলে দেখা যাবে। দূরনিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে ভিডিও ক্যামেরার (সিসিটিভি) মাধ্যমে সিটিসি সেন্টার থেকে লেভেল ক্রসিংগুলোর বাস্তব পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। প্রয়োজনে স্থানীয়ভাবে স্টেশন মাস্টার বা কেবিন স্টেশন মাস্টার কর্তৃক স্টেশন সিগন্যালিং ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার সুবিধা থাকবে। শুধু তা-ই নয়, সিটিসি সেন্টারের সঙ্গে সব স্টেশনের মধ্যে ডিজিটাল বা আইপি টেলিফোনের সাহায্যে যোগাযোগের ব্যবস্থা রয়েছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, এই ডিজিটাল সিস্টেম উন্নত দেশে রয়েছে। সিস্টেমটি দেশে চালু হলে স্টেশন মাস্টারসহ ট্রেন পরিচালনায় যুক্ত কোনো কর্মচারীর প্রয়োজন হবে না। দুজন সিটিসি কর্মকর্তার মাধ্যমে সবকিছু পরিচালনা করা যাবে।
চট্টগ্রামের দুই কিলোমিটার দূরে ট্রেন। লেভেল ক্রসিংয়ে জ্বলে ওঠে লালবাতি। ট্রেনটি কোন দিক থেকে আসছে, নির্দেশ করছে সেটিও। পাশাপাশি বাজছে সাইরেন। দুই পাশে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পড়ে গেল প্রতিবন্ধক (বার)। রেললাইন পারাপার না হওয়ার জন্য স্ক্রিনে ভেসে ওঠে ‘স্টপ’। ট্রেন চলে যাওয়ার পর সবুজ বাতি জ্বলে। পারাপার হয় মানুষ, যানবাহন। সম্প্রতি চট্টগ্রামের ভাটিয়ারি ফৌজদারহাট রেলস্টেশনের মাঝামাঝি একটি লেভেল ক্রসিংয়ে দেখা যায় এ চিত্র।
গত বছরের ১ এপ্রিল ডিজিটাল এই সিস্টেম পরীক্ষামূলক চালু করা হয়। ‘আনম্যানড লেভেল ক্রসিং গেট অটোমেশন’ শীর্ষক পাইলট প্রকল্পের আওতায় চলছে এটি। সিস্টেমটির মূল উদ্ভাবক রেল পরিদর্শক (জিআইবিআর) অসীম কুমার তালুকদার। তিনি এ প্রকল্পের কারণে সম্প্রতি শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবকের পুরস্কার পেয়েছেন। রেলপথ মন্ত্রণালয় চলতি বছরের ১০ জুন পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলে সিস্টেমটি চালু করার জন্য আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে। এই সিস্টেমে লেভেল ক্রসিংগুলোতে কোনো গেটম্যানের দরকার হবে না। রেলওয়েতে এক হাজারের বেশি অননুমোদিত লেভেল ক্রসিং আছে। এর মধ্যে পূর্বাঞ্চলে ৮৫০টি এবং পশ্চিমাঞ্চলে রয়েছে ১৮৬টি। এসব ক্রসিংয়ে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা, প্রাণহানি। এই সিস্টেম ব্যবহার করলে দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে অসীম কুমার তালুকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, রেলওয়েতে গেটম্যান সংকট। প্রতিটি অনুমোদিত লেভেল ক্রসিংয়ে কমপক্ষে তিনজন গেটম্যান দরকার। জনবল সংকটের কারণে সব লেভেল ক্রসিংয়ে গেটম্যান দেওয়া কষ্টকর। তাই এ পদ্ধতি চালু হলে দুর্ঘটনা অনেকাংশ কমে যাবে। তিনি আরও বলেন, এই সিস্টেমে মোট ৮০টি ইনপুট দেওয়া যাবে। কিন্তু তাঁরা ব্যবহার করেছেন মাত্র ১০টি। সিস্টেমে ট্রেন চলাচলের বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষণ করে ভবিষ্যতে যেকোনো গবেষণায় কাজে লাগানো যাবে। পরীক্ষামূলক এই সিস্টেমে তিনি গেটে ব্যারিয়ার (প্রতিবন্ধক বা বার) রাখেননি। এ কারণে লেভেল ক্রসিংটি শতভাগ নিরাপদ করতে হলে পথচারী ও গাড়ির চালকদের অবশ্যই সংকেত মানতে হবে।
ট্রেনকে সিগন্যাল দেওয়া, ট্রেন রুটে কোথাও কোনো সমস্যা হয়েছে কি না, এক লাইন থেকে আরেক লাইনে ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা করে দেওয়াসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন স্টেশন মাস্টাররা। তাঁরা এসব কাজ করেন নিজেরা উপস্থিত থেকে। এবার তাঁদের এসব কাজ ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় নিচ্ছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থেকে পূর্বাঞ্চলের ৮৫টি স্টেশনের কাজ কম্পিউটারের মাধ্যমে পরিচালনা করতে পারবেন মাত্র দুজন কর্মকর্তা। গত বছরের সেপ্টেম্বরের দিকে পাহাড়তলীতে সেন্ট্রালাইজড ট্রাফিক কন্ট্রোলটি (সিটিসি) স্থাপন করা হয়। এখান থেকে রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগের পরীক্ষামূলক ট্রেন পরিচালনা করা হয়। এটি পরীক্ষামূলকভাবে সফলও হয়। সিটিসি এমনভাবে গড়ে তোলা হয়েছে, যেখান থেকে ট্রেনের অবস্থান, স্টেশন ইয়ার্ডের অবস্থা এবং লেভেল ক্রসিংগুলোর অবস্থা প্যানেলে দেখা যাবে। দূরনিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে ভিডিও ক্যামেরার (সিসিটিভি) মাধ্যমে সিটিসি সেন্টার থেকে লেভেল ক্রসিংগুলোর বাস্তব পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। প্রয়োজনে স্থানীয়ভাবে স্টেশন মাস্টার বা কেবিন স্টেশন মাস্টার কর্তৃক স্টেশন সিগন্যালিং ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার সুবিধা থাকবে। শুধু তা-ই নয়, সিটিসি সেন্টারের সঙ্গে সব স্টেশনের মধ্যে ডিজিটাল বা আইপি টেলিফোনের সাহায্যে যোগাযোগের ব্যবস্থা রয়েছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, এই ডিজিটাল সিস্টেম উন্নত দেশে রয়েছে। সিস্টেমটি দেশে চালু হলে স্টেশন মাস্টারসহ ট্রেন পরিচালনায় যুক্ত কোনো কর্মচারীর প্রয়োজন হবে না। দুজন সিটিসি কর্মকর্তার মাধ্যমে সবকিছু পরিচালনা করা যাবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে