কমিউনিস্ট পার্টির প্রথম সম্মেলন হয়েছিল তৎকালীন বোম্বাইতে, ১৯৪৩ সালে। সে সময়ই সারা ভারত প্রগতি লেখক সংঘের তৃতীয় সম্মেলন হয়। প্রগতি লেখক সংঘ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হয় ভারতীয় গণনাট্য সংঘ।
হেমাঙ্গ বিশ্বাস পার্টি-লাইন পছন্দ করতেন। কিন্তু পার্টির ব্যাপারে তাঁর সংশয়গুলোও নানা সময় প্রকাশিত হয়েছে। প্রগতি লেখক সংঘ থেকে ভারতীয় গণনাট্য সংঘ প্রতিষ্ঠার কিছু কারণ ছিল। লেখকেরা যা লেখেন, তা পড়তে পারে শিক্ষিতরা, কিন্তু যাঁরা মাঠেঘাটে গান করেন, কবিতা আবৃত্তি করেন, নৃত্য করেন, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ কৃষকের, শ্রমিকের। তাই আলাদা সংগঠনের দরকার ছিল। স্বভাবতই হেমাঙ্গ বিশ্বাস যোগ দিলেন ভারতীয় গণনাট্য সংঘে।
হেমাঙ্গ বিশ্বাসের গান কৃষকদের মধ্যে ছড়াতে পেরেছিল লোকসংস্কৃতির সঙ্গে তাঁর পরিচয়ের কারণে। ঐতিহ্যের সঙ্গে যোগাযোগ থাকায় হেমাঙ্গ বিশ্বাসের গান তন্ময় হয়ে শুনতেন খেটে খাওয়া মানুষ। লুলা নদীর এক মাঝির গলায় সারিগান শুনে হেমাঙ্গ লিখেছিলেন ‘কাস্তেটারে দিয়ো জোরে শাণ কিষান ভাইরে’ গানটি। সিলেটের লাউতা বাহাদুরপুরের সোনাউল্লা নামের এক জাহাজির তীব্র ব্যাঙ্গাত্মক বক্তৃতায় অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি গ্রামগীতির ছায়ায় লিখেছিলেন ‘মাউন্টব্যাটেন মঙ্গলকাব্য’।
সেই হেমাঙ্গ বিশ্বাসই হঠাৎ পার্টি-লাইনের ব্যাপারে সংশয়ী হয়ে উঠলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। তিনি সে সময়টি সম্পর্কে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদ-বিরোধী যুদ্ধ-প্রয়াসে সহায়তা করার বদলে আমরা ব্রিটিশের যুদ্ধপ্রয়াসেরই লেজুড় হয়ে উঠলাম।’ দেশে তখন ব্রিটিশবিরোধী, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আবহ, ‘ভারত ছাড়ো’ হয়ে উঠেছে ভারতীয়দের সবচেয়ে দামি স্লোগান। আর তখন কিনা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রামকে কমিউনিস্টরা পঞ্চম বাহিনীর কাজ বলে আখ্যা দিল। দুর্ভিক্ষ নিয়ে গান, কবিতা লিখলে তাতে মজুতদারদের গাল পাড়া হলো, উৎপাদন বাড়ানোর কথা বলা হলো, কিন্তু মূল দায়িত্ব যে ব্রিটিশ সরকারের, সেটাই এড়িয়ে যাওয়া হলো। ব্রিটিশরা দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি করল, কিন্তু পার্টি তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াল না।
পার্টির এই দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপারে হেমাঙ্গ বিশ্বাস একেবারেই স্বস্তি বোধ করেননি।
সূত্র: অশ্রুকুমার সিকদার, কিল মারার গোঁসাই, পৃষ্ঠা ১৮৪-১৮৬
কমিউনিস্ট পার্টির প্রথম সম্মেলন হয়েছিল তৎকালীন বোম্বাইতে, ১৯৪৩ সালে। সে সময়ই সারা ভারত প্রগতি লেখক সংঘের তৃতীয় সম্মেলন হয়। প্রগতি লেখক সংঘ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হয় ভারতীয় গণনাট্য সংঘ।
হেমাঙ্গ বিশ্বাস পার্টি-লাইন পছন্দ করতেন। কিন্তু পার্টির ব্যাপারে তাঁর সংশয়গুলোও নানা সময় প্রকাশিত হয়েছে। প্রগতি লেখক সংঘ থেকে ভারতীয় গণনাট্য সংঘ প্রতিষ্ঠার কিছু কারণ ছিল। লেখকেরা যা লেখেন, তা পড়তে পারে শিক্ষিতরা, কিন্তু যাঁরা মাঠেঘাটে গান করেন, কবিতা আবৃত্তি করেন, নৃত্য করেন, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ কৃষকের, শ্রমিকের। তাই আলাদা সংগঠনের দরকার ছিল। স্বভাবতই হেমাঙ্গ বিশ্বাস যোগ দিলেন ভারতীয় গণনাট্য সংঘে।
হেমাঙ্গ বিশ্বাসের গান কৃষকদের মধ্যে ছড়াতে পেরেছিল লোকসংস্কৃতির সঙ্গে তাঁর পরিচয়ের কারণে। ঐতিহ্যের সঙ্গে যোগাযোগ থাকায় হেমাঙ্গ বিশ্বাসের গান তন্ময় হয়ে শুনতেন খেটে খাওয়া মানুষ। লুলা নদীর এক মাঝির গলায় সারিগান শুনে হেমাঙ্গ লিখেছিলেন ‘কাস্তেটারে দিয়ো জোরে শাণ কিষান ভাইরে’ গানটি। সিলেটের লাউতা বাহাদুরপুরের সোনাউল্লা নামের এক জাহাজির তীব্র ব্যাঙ্গাত্মক বক্তৃতায় অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি গ্রামগীতির ছায়ায় লিখেছিলেন ‘মাউন্টব্যাটেন মঙ্গলকাব্য’।
সেই হেমাঙ্গ বিশ্বাসই হঠাৎ পার্টি-লাইনের ব্যাপারে সংশয়ী হয়ে উঠলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। তিনি সে সময়টি সম্পর্কে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদ-বিরোধী যুদ্ধ-প্রয়াসে সহায়তা করার বদলে আমরা ব্রিটিশের যুদ্ধপ্রয়াসেরই লেজুড় হয়ে উঠলাম।’ দেশে তখন ব্রিটিশবিরোধী, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আবহ, ‘ভারত ছাড়ো’ হয়ে উঠেছে ভারতীয়দের সবচেয়ে দামি স্লোগান। আর তখন কিনা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রামকে কমিউনিস্টরা পঞ্চম বাহিনীর কাজ বলে আখ্যা দিল। দুর্ভিক্ষ নিয়ে গান, কবিতা লিখলে তাতে মজুতদারদের গাল পাড়া হলো, উৎপাদন বাড়ানোর কথা বলা হলো, কিন্তু মূল দায়িত্ব যে ব্রিটিশ সরকারের, সেটাই এড়িয়ে যাওয়া হলো। ব্রিটিশরা দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি করল, কিন্তু পার্টি তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াল না।
পার্টির এই দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপারে হেমাঙ্গ বিশ্বাস একেবারেই স্বস্তি বোধ করেননি।
সূত্র: অশ্রুকুমার সিকদার, কিল মারার গোঁসাই, পৃষ্ঠা ১৮৪-১৮৬
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৮ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে