আয়নাল হোসেন, ঢাকা
বাজারে স্বস্তি নেই সাধারণ মানুষের। প্রতিদিনই কোনো না কোনো পণ্যের দাম বাড়ছে। চাল, ডাল, তেল, চিনি থেকে শুরু করে মৌসুমি সবজির দামও চড়া। বেড়েছে গ্যাস সিলিন্ডারের দাম। এরই মধ্যে হঠাৎ করে পেঁয়াজের বাজার গরম হয়ে উঠেছে। তাই রমজান নিয়ে চিন্তা আরও বাড়ছে।
পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী ও কৃষকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, বাজারে বর্তমানে মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ রয়েছে। তবে এর মজুত প্রায় শেষ হওয়ার পথে। এ কারণে বাজারে সরবরাহ কমে গেছে। নতুন হালি পেঁয়াজ না ওঠা পর্যন্ত বাজারে দাম কিছুটা বাড়তির দিকে থাকবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
পুরান ঢাকার শ্যামবাজারের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী গোলাম হোসেন বলেন, এক সপ্তাহ আগেও তাঁদের বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ২২-২৬ টাকায়। গতকাল বুধবার তা বিক্রি হয়েছে ৩৬-৩৮ টাকায়। অর্থাৎ কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ১২-১৪ টাকা।
পাবনার সুজানগর এলাকার মথুয়াপুর গ্রামের কৃষক মামুনুর রহমান জানান, এক সপ্তাহ আগে তাঁদের এলাকায় প্রতিমণ (৪০ কেজি) পেঁয়াজের দাম ছিল ৯৫০ থেকে ৯৮০ টাকা পর্যন্ত। এ হিসেবে প্রতি কেজির দাম পড়ে ২৩ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে ২৪ টাকা ৫০ পয়সা। গতকাল তা বিক্রি হয়েছে এক হাজার ৫০০ থেকে এক হাজার ৬০০ টাকা। এ হিসেবে প্রতি কেজির দাম পড়ে ৩৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৪০ টাকায়। কৃষক পর্যায়ে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ১৩ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে ১৫ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব অনুযায়ী, এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল ২৫-৩৫ টাকা। গতকাল তা বিক্রি হয়েছে ৪০-৪৫ টাকায়। এক বছর আগে একই দিনে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ২৫-৩৫ টাকা। আর এক সপ্তাহ আগে মানভেদে প্রতি কেজি আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৪০-৫০ টাকা। গতকাল তা বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫০ টাকায়। যা এক বছর আগে একই সময়ে বিক্রি হয়েছিল ২০-২৫ টাকা।
পেঁয়াজচাষিরা জানান, পেঁয়াজ আবাদের প্রায় প্রতিটি পণ্যের দামই বেশি। কীটনাশক থেকে শুরু করে দিনমজুরের দামও অনেক চড়া। বর্তমানে ৭০০-৭৫০ টাকার নিচে একজন মজুর পাওয়া যাচ্ছে না। পেঁয়াজ আবাদে যে খরচ হচ্ছে, তাতে কৃষক দাম ভালো না পেলে তাঁদের মন খারাপ থাকে। পাঁচ-ছয় দিন ধরে বাজারে দাম বাড়লেও অনেকের কাছেই এখন পেঁয়াজের বেশি মজুত নেই।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে পেঁয়াজের মোট চাহিদা ২৫ লাখ মেট্রিক টন। দেশে উৎপাদন হয় ২৯ লাখ ৫৫ হাজার মেট্রিক টন। সংরক্ষণের কারণে প্রসেস লস হয় ২৫ শতাংশ। আর আমদানি করা পেঁয়াজে প্রসেস লস হয় ৮-১০ শতাংশ। দেশে বছরে পেঁয়াজ আমদানি হয় ৬-৭ লাখ মেট্রিক টন। বাজার যাতে অস্বাভাবিক না বাড়ে সেজন্য সরকার টিসিবির মাধ্যমে ভর্তুকি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করে। বর্তমানে দেশের পাবনা, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী, নওগাঁ, রাজশাহী ও নাটোরে পেঁয়াজ আবাদ হয়।
বাজারে স্বস্তি নেই সাধারণ মানুষের। প্রতিদিনই কোনো না কোনো পণ্যের দাম বাড়ছে। চাল, ডাল, তেল, চিনি থেকে শুরু করে মৌসুমি সবজির দামও চড়া। বেড়েছে গ্যাস সিলিন্ডারের দাম। এরই মধ্যে হঠাৎ করে পেঁয়াজের বাজার গরম হয়ে উঠেছে। তাই রমজান নিয়ে চিন্তা আরও বাড়ছে।
পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী ও কৃষকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, বাজারে বর্তমানে মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ রয়েছে। তবে এর মজুত প্রায় শেষ হওয়ার পথে। এ কারণে বাজারে সরবরাহ কমে গেছে। নতুন হালি পেঁয়াজ না ওঠা পর্যন্ত বাজারে দাম কিছুটা বাড়তির দিকে থাকবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
পুরান ঢাকার শ্যামবাজারের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী গোলাম হোসেন বলেন, এক সপ্তাহ আগেও তাঁদের বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ২২-২৬ টাকায়। গতকাল বুধবার তা বিক্রি হয়েছে ৩৬-৩৮ টাকায়। অর্থাৎ কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ১২-১৪ টাকা।
পাবনার সুজানগর এলাকার মথুয়াপুর গ্রামের কৃষক মামুনুর রহমান জানান, এক সপ্তাহ আগে তাঁদের এলাকায় প্রতিমণ (৪০ কেজি) পেঁয়াজের দাম ছিল ৯৫০ থেকে ৯৮০ টাকা পর্যন্ত। এ হিসেবে প্রতি কেজির দাম পড়ে ২৩ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে ২৪ টাকা ৫০ পয়সা। গতকাল তা বিক্রি হয়েছে এক হাজার ৫০০ থেকে এক হাজার ৬০০ টাকা। এ হিসেবে প্রতি কেজির দাম পড়ে ৩৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৪০ টাকায়। কৃষক পর্যায়ে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ১৩ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে ১৫ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব অনুযায়ী, এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল ২৫-৩৫ টাকা। গতকাল তা বিক্রি হয়েছে ৪০-৪৫ টাকায়। এক বছর আগে একই দিনে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ২৫-৩৫ টাকা। আর এক সপ্তাহ আগে মানভেদে প্রতি কেজি আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৪০-৫০ টাকা। গতকাল তা বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫০ টাকায়। যা এক বছর আগে একই সময়ে বিক্রি হয়েছিল ২০-২৫ টাকা।
পেঁয়াজচাষিরা জানান, পেঁয়াজ আবাদের প্রায় প্রতিটি পণ্যের দামই বেশি। কীটনাশক থেকে শুরু করে দিনমজুরের দামও অনেক চড়া। বর্তমানে ৭০০-৭৫০ টাকার নিচে একজন মজুর পাওয়া যাচ্ছে না। পেঁয়াজ আবাদে যে খরচ হচ্ছে, তাতে কৃষক দাম ভালো না পেলে তাঁদের মন খারাপ থাকে। পাঁচ-ছয় দিন ধরে বাজারে দাম বাড়লেও অনেকের কাছেই এখন পেঁয়াজের বেশি মজুত নেই।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে পেঁয়াজের মোট চাহিদা ২৫ লাখ মেট্রিক টন। দেশে উৎপাদন হয় ২৯ লাখ ৫৫ হাজার মেট্রিক টন। সংরক্ষণের কারণে প্রসেস লস হয় ২৫ শতাংশ। আর আমদানি করা পেঁয়াজে প্রসেস লস হয় ৮-১০ শতাংশ। দেশে বছরে পেঁয়াজ আমদানি হয় ৬-৭ লাখ মেট্রিক টন। বাজার যাতে অস্বাভাবিক না বাড়ে সেজন্য সরকার টিসিবির মাধ্যমে ভর্তুকি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করে। বর্তমানে দেশের পাবনা, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী, নওগাঁ, রাজশাহী ও নাটোরে পেঁয়াজ আবাদ হয়।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে