সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম
দরিদ্র পরিবারে জন্ম বলে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কষ্টটা ভালোই জানেন মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। মা-বাবার ত্যাগে শিখেছেন পড়াশোনা। পরে পাড়ি জমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। তবে ভুলে যাননি নিজের শিকড়। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির হারুয়ালছড়িতে তাঁর শিকড় পোঁতা। স্বপ্ন দেখেন, কোনো শিশুই শিক্ষার বাইরে থাকবে না। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রতিবছরই ছুটে আসেন দেশে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন সেখানে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা করছেন। মায়ের নামে ১৯৯৪ সালে গড়ে তোলেন সাজেদা-আনোয়ার ফাউন্ডেশন। সেই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে নিজের উপার্জিত টাকায় শিশুদের স্কুলে ভর্তি, উপবৃত্তি প্রদান, আর্থিক অনুদান, স্কুলের অবকাঠামো নির্মাণসহ নানা কাজ করছেন; পাশাপাশি শিশুদের উৎসাহ দিতে দেশে ফেরার সময় লাগেজ ভর্তি করে নিয়ে আসেন নানা খেলনা।
১৯৯১ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘একজন শিশুর হয়ে আমি বলব, “আমাকে শিক্ষিত করে দাও।” এই কাজ আমাকে-আপনাকে সবাইকে করতে হবে। মিলেমিশে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে।’ সব শিশুর শিক্ষা নিশ্চিত হলেই আমাদের সমাজ ও দেশ পৃথিবীর সেরা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আনোয়ার বলেন, ‘আমি যখন পড়ালেখা করতাম, তখন আমার বাবা-মা দরিদ্র ছিলেন। এরপরও তাঁরা আমাদের আলোকিত করতে, স্কুলে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার জন্য নানা ত্যাগ স্বীকার করেছেন। এখনকার বাবা-মায়েরা কিন্তু সেই অবস্থায় নেই। তাঁরা আমার মায়ের মতো দরিদ্র নন। এরপরও তাঁরা নিজ সন্তানদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন না। এখানে ভোগবিলাস, অর্থ ও অসচেতনতা কাজ করে। ছেলে-মেয়েদের স্কুলে না পড়িয়ে কাজে লাগিয়ে দেওয়া হয়।’ বর্তমানে বেশ সুবিধা থাকার পরও শিশুদের একটি বড় অংশ স্কুলে যাচ্ছে না বলে তিনি মনে করেন। শিশুদের শতভাগ স্কুলে বাধ্য করার বিষয়ে সরকারকে কঠোর হতে হবে বলে তিনি মনে করেন।
আনোয়ার বলেন, ‘সরকারকে মনে করতে হবে, শিশুটি আমার। শিশুটি রাষ্ট্রের। এই শিশু একদিন সোনার বাংলা গড়ে তুলবে। সরকার যখনই মনে করবেন শিশুটি আমার—তখনই ওই শিশুরা স্কুলে যেতে বাধ্য হবে।’ সরকারের দায়িত্বের কারণেই তাঁকে স্কুলে যেতে হবে। তিনি নিজেও তেমন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সরকারকেও এগিয়ে আসার আহবান জানান।
বর্তমানে নিউইয়র্কের বাফেলো এলাকায় থাকেন আনোয়ার। পেয়েছেন দেশটির নাগরিকত্বও। তাঁর সন্তানেরা সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়c পড়ছেন। ১৯৯৪ সালে মায়ের নামে আনোয়ার হোসেন স্থাপন করেন সাজেদা-আনোয়ার ফাউন্ডেশন। এর চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন মা সাজেদা বেগম। বর্তমানে সংগঠনটির হয়ে কাজ করেন অন্তত ৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবী। কোনো পারিশ্রমিক ছাড়াই পাড়ায় পাড়ায় ও দুর্গম এলাকায় গিয়ে শিশুদের পড়ালেখার বিষয়ে তাঁরা অভিভাবকদের উৎসাহ জুগিয়ে থাকেন। সংগঠনটি ফটিকছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শিশুদের স্কুলে ভর্তি, মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান, আর্থিক অনুদান, লাইব্রেরি, স্কুলের অবকাঠামো নির্মাণসহ নানা উন্নয়নকাজ করে যাচ্ছে।
দরিদ্র পরিবারে জন্ম বলে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কষ্টটা ভালোই জানেন মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। মা-বাবার ত্যাগে শিখেছেন পড়াশোনা। পরে পাড়ি জমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। তবে ভুলে যাননি নিজের শিকড়। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির হারুয়ালছড়িতে তাঁর শিকড় পোঁতা। স্বপ্ন দেখেন, কোনো শিশুই শিক্ষার বাইরে থাকবে না। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রতিবছরই ছুটে আসেন দেশে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন সেখানে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা করছেন। মায়ের নামে ১৯৯৪ সালে গড়ে তোলেন সাজেদা-আনোয়ার ফাউন্ডেশন। সেই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে নিজের উপার্জিত টাকায় শিশুদের স্কুলে ভর্তি, উপবৃত্তি প্রদান, আর্থিক অনুদান, স্কুলের অবকাঠামো নির্মাণসহ নানা কাজ করছেন; পাশাপাশি শিশুদের উৎসাহ দিতে দেশে ফেরার সময় লাগেজ ভর্তি করে নিয়ে আসেন নানা খেলনা।
১৯৯১ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘একজন শিশুর হয়ে আমি বলব, “আমাকে শিক্ষিত করে দাও।” এই কাজ আমাকে-আপনাকে সবাইকে করতে হবে। মিলেমিশে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে।’ সব শিশুর শিক্ষা নিশ্চিত হলেই আমাদের সমাজ ও দেশ পৃথিবীর সেরা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আনোয়ার বলেন, ‘আমি যখন পড়ালেখা করতাম, তখন আমার বাবা-মা দরিদ্র ছিলেন। এরপরও তাঁরা আমাদের আলোকিত করতে, স্কুলে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার জন্য নানা ত্যাগ স্বীকার করেছেন। এখনকার বাবা-মায়েরা কিন্তু সেই অবস্থায় নেই। তাঁরা আমার মায়ের মতো দরিদ্র নন। এরপরও তাঁরা নিজ সন্তানদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন না। এখানে ভোগবিলাস, অর্থ ও অসচেতনতা কাজ করে। ছেলে-মেয়েদের স্কুলে না পড়িয়ে কাজে লাগিয়ে দেওয়া হয়।’ বর্তমানে বেশ সুবিধা থাকার পরও শিশুদের একটি বড় অংশ স্কুলে যাচ্ছে না বলে তিনি মনে করেন। শিশুদের শতভাগ স্কুলে বাধ্য করার বিষয়ে সরকারকে কঠোর হতে হবে বলে তিনি মনে করেন।
আনোয়ার বলেন, ‘সরকারকে মনে করতে হবে, শিশুটি আমার। শিশুটি রাষ্ট্রের। এই শিশু একদিন সোনার বাংলা গড়ে তুলবে। সরকার যখনই মনে করবেন শিশুটি আমার—তখনই ওই শিশুরা স্কুলে যেতে বাধ্য হবে।’ সরকারের দায়িত্বের কারণেই তাঁকে স্কুলে যেতে হবে। তিনি নিজেও তেমন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সরকারকেও এগিয়ে আসার আহবান জানান।
বর্তমানে নিউইয়র্কের বাফেলো এলাকায় থাকেন আনোয়ার। পেয়েছেন দেশটির নাগরিকত্বও। তাঁর সন্তানেরা সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়c পড়ছেন। ১৯৯৪ সালে মায়ের নামে আনোয়ার হোসেন স্থাপন করেন সাজেদা-আনোয়ার ফাউন্ডেশন। এর চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন মা সাজেদা বেগম। বর্তমানে সংগঠনটির হয়ে কাজ করেন অন্তত ৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবী। কোনো পারিশ্রমিক ছাড়াই পাড়ায় পাড়ায় ও দুর্গম এলাকায় গিয়ে শিশুদের পড়ালেখার বিষয়ে তাঁরা অভিভাবকদের উৎসাহ জুগিয়ে থাকেন। সংগঠনটি ফটিকছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শিশুদের স্কুলে ভর্তি, মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান, আর্থিক অনুদান, লাইব্রেরি, স্কুলের অবকাঠামো নির্মাণসহ নানা উন্নয়নকাজ করে যাচ্ছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৮ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে