মিঠাপুকুর প্রতিনিধি
দলীয় কোন্দলের কারণে মিঠাপুকুর আওয়ামী লীগে ছয় বছর ধরে সম্মেলন হচ্ছে না। মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে চলছে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড। জাতীয় সম্মেলনের আগে উপজেলায় সম্মেলন না হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন নেতা-কর্মীরা।
উপজেলায় ক্ষমতাসীন দলে দুটি পক্ষ সক্রিয় রয়েছে। একটি পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এইচ এন আশিকুর রহমান, তাঁর ছেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির সদস্য রাশেক রহমান ও উপজেলা সভাপতি মোজাম্মেল হক মিন্টু মিয়া।
অপর পক্ষের নেতৃত্বে আছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন সরকার এবং ভাইস চেয়ারম্যান নিরঞ্জন চন্দ্র মহন্ত।
আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন ঘনিয়ে আসছে। অথচ উপজেলায় এখনো সম্মেলন করার কোনো প্রস্তুতি দেখা যাচ্ছে না। দলীয় বিভক্তির কারণেই সম্মেলন হচ্ছে না বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন।
নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মিঠাপুকুরে আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়েছিল ২০১৩ সালে। ওই সম্মেলনে তিন বছরের জন্য যে কমিটি গঠন করা হয়েছিল তার মেয়াদ ২০১৬ সালে শেষ হয়েছে। পরে ছয় বছর ধরে আর সম্মেলন করা হয়নি। সম্মেলন না করায় জেলা কমিটি মিঠাপুকুর উপজেলা আওয়ামী লীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে দেয়। পরে আহ্বায়ক কমিটি গঠিত না হওয়ায় ভেঙে দেওয়া মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়েই পরিচালিত হচ্ছে দলের কার্যক্রম।
উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক অধ্যক্ষ হাসেম আলী এবং যুগ্ম সম্পাদক মোতাহার হোসেন মওলা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সম্মেলন না করার কারণ প্রসঙ্গে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন জানান, মিঠাপুকুরে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আওয়ামী লীগের দুটি করে কমিটি রয়েছে। গঠনতন্ত্র মোতাবেক পুরোনো কমিটির মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুন কমিটি গঠন করা যায় না। কিন্তু উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশ অনিয়মতান্ত্রিকভাবে নতুন কমিটি গঠন করে। কিন্তু জেলা কমিটি নবগঠিত কমিটির অনুমোদন দেয়নি।
জাকির হোসেন বলেন, সর্বশেষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পুরোনো কমিটির নেতারা চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন। এতেই প্রমাণ হয় নবগঠিত কমিটি অবৈধ। এমন পরিস্থিতিতে সম্মেলন হলে পুরোনো কমিটির নেতারাই হবেন কাউন্সিলর। এ কারণে পুরোনো কমিটির ওপর ভরসা করতে পারছে না উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশ। তাই তাঁরা নানা অজুহাত দেখিয়ে সম্মেলন করা থেকে বিরত রয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি মোজাম্মেল হক মিন্টু মিয়া জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে সম্মেলন করা সম্ভব হয়নি। তবে জাতীয় সম্মেলনের আগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হতে পারে।
ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে দুটি করে কমিটি থাকা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সভাপতি মোজাম্মেল হক বলেন, উপজেলা কমিটির সিদ্ধান্তেই ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটি গঠন করা হয়েছিল। পুরোনো কমিটির মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। এমন অবস্থায় দুই কমিটির কেউই কাউন্সিলর হতে পারবেন বলে মনে হয় না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা কমিটির একজন প্রথম সারির নেতা জানান, সম্মেলন ছাড়াই উপজেলা কমিটির দুই পক্ষই জেলা কমিটি কাছে তাদের কমিটির অনুমোদন নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু জেলা কমিটির মধ্যেও দলাদলি থাকায় কোনো পক্ষই কমিটি অনুমোদন নিতে পারেনি।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মিঠাপুকুর উপজেলা থেকে কমিটি দাখিল করা হয়েছিল। কিন্তু অনুমোদন দেওয়া হয়নি। বিভাজন করে কমিটি দেওয়া সঠিক হবে না। সংসদ সদস্য এইচ এন আশিকুর রহমানের সঙ্গে সমন্বয় করে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি কমিটি উপহার দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।’
দলীয় কোন্দলের কারণে মিঠাপুকুর আওয়ামী লীগে ছয় বছর ধরে সম্মেলন হচ্ছে না। মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে চলছে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড। জাতীয় সম্মেলনের আগে উপজেলায় সম্মেলন না হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন নেতা-কর্মীরা।
উপজেলায় ক্ষমতাসীন দলে দুটি পক্ষ সক্রিয় রয়েছে। একটি পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এইচ এন আশিকুর রহমান, তাঁর ছেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির সদস্য রাশেক রহমান ও উপজেলা সভাপতি মোজাম্মেল হক মিন্টু মিয়া।
অপর পক্ষের নেতৃত্বে আছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন সরকার এবং ভাইস চেয়ারম্যান নিরঞ্জন চন্দ্র মহন্ত।
আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন ঘনিয়ে আসছে। অথচ উপজেলায় এখনো সম্মেলন করার কোনো প্রস্তুতি দেখা যাচ্ছে না। দলীয় বিভক্তির কারণেই সম্মেলন হচ্ছে না বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন।
নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মিঠাপুকুরে আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়েছিল ২০১৩ সালে। ওই সম্মেলনে তিন বছরের জন্য যে কমিটি গঠন করা হয়েছিল তার মেয়াদ ২০১৬ সালে শেষ হয়েছে। পরে ছয় বছর ধরে আর সম্মেলন করা হয়নি। সম্মেলন না করায় জেলা কমিটি মিঠাপুকুর উপজেলা আওয়ামী লীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে দেয়। পরে আহ্বায়ক কমিটি গঠিত না হওয়ায় ভেঙে দেওয়া মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়েই পরিচালিত হচ্ছে দলের কার্যক্রম।
উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক অধ্যক্ষ হাসেম আলী এবং যুগ্ম সম্পাদক মোতাহার হোসেন মওলা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সম্মেলন না করার কারণ প্রসঙ্গে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন জানান, মিঠাপুকুরে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আওয়ামী লীগের দুটি করে কমিটি রয়েছে। গঠনতন্ত্র মোতাবেক পুরোনো কমিটির মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুন কমিটি গঠন করা যায় না। কিন্তু উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশ অনিয়মতান্ত্রিকভাবে নতুন কমিটি গঠন করে। কিন্তু জেলা কমিটি নবগঠিত কমিটির অনুমোদন দেয়নি।
জাকির হোসেন বলেন, সর্বশেষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পুরোনো কমিটির নেতারা চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন। এতেই প্রমাণ হয় নবগঠিত কমিটি অবৈধ। এমন পরিস্থিতিতে সম্মেলন হলে পুরোনো কমিটির নেতারাই হবেন কাউন্সিলর। এ কারণে পুরোনো কমিটির ওপর ভরসা করতে পারছে না উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশ। তাই তাঁরা নানা অজুহাত দেখিয়ে সম্মেলন করা থেকে বিরত রয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি মোজাম্মেল হক মিন্টু মিয়া জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে সম্মেলন করা সম্ভব হয়নি। তবে জাতীয় সম্মেলনের আগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হতে পারে।
ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে দুটি করে কমিটি থাকা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সভাপতি মোজাম্মেল হক বলেন, উপজেলা কমিটির সিদ্ধান্তেই ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটি গঠন করা হয়েছিল। পুরোনো কমিটির মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। এমন অবস্থায় দুই কমিটির কেউই কাউন্সিলর হতে পারবেন বলে মনে হয় না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা কমিটির একজন প্রথম সারির নেতা জানান, সম্মেলন ছাড়াই উপজেলা কমিটির দুই পক্ষই জেলা কমিটি কাছে তাদের কমিটির অনুমোদন নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু জেলা কমিটির মধ্যেও দলাদলি থাকায় কোনো পক্ষই কমিটি অনুমোদন নিতে পারেনি।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মিঠাপুকুর উপজেলা থেকে কমিটি দাখিল করা হয়েছিল। কিন্তু অনুমোদন দেওয়া হয়নি। বিভাজন করে কমিটি দেওয়া সঠিক হবে না। সংসদ সদস্য এইচ এন আশিকুর রহমানের সঙ্গে সমন্বয় করে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি কমিটি উপহার দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে