কাজল সরকার, হবিগঞ্জ
অতিরিক্ত তাপমাত্রায় এবং বৃষ্টির পানির অভাবে হবিগঞ্জের অনেক বোরো ধানের জমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। চৈত্রের মাঝামাঝি সময়েও ধানে শিষ আসেনি। কয়েকটি খেতে যা-ও এসেছে, তা গরমে চিটা হয়ে গেছে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা।
বৃষ্টির অভাব এবং অতিরিক্ত তাপমাত্রায় বোরো ধানের জমি কিছুটা নষ্ট হওয়ার কথা স্বীকার করলেও তেমন ক্ষতি হবে না বলে জানায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এমনকি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ব্যাহত হবে না বলে জানানো হয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ২২ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ৪৫ হাজার হেক্টর চাষ হয়েছে হাওরে। জেলায় মোট উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সাড়ে ৫ লাখ মেট্রিক টন।
চাষিরা জানান, মূলত নভেম্বর থেকে বোরো আবাদ শুরু হয়। তবে জমিতে ভালো ফলনের ক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারির শেষ ও মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় জমিতে ফুল আসতে শুরু করে। যে কারণে সঠিক তাপমাত্রার সঙ্গে পরিমাণমতো বৃষ্টি প্রয়োজন।
সেই অনুপাতে চলতি বছর বৃষ্টি হয়নি। একদিকে বৃষ্টিপাতের অভাব, অন্যদিকে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় সেচ দেওয়া যাচ্ছে না।
চাষি ও কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খরার কারণে বিভিন্ন জায়গায় ২০-৪০ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত সেচ দিতে হয়েছে। এতে বেড়েছে উৎপাদন খরচও। কিন্তু খরার প্রভাবে বাড়তি সেচ দিয়েও কৃষকেরা বোরো ধানের স্বাভাবিক উৎপাদন ধরে রাখতে পারেননি।
নবীগঞ্জ উপজেলার তারানগাঁও গ্রামের কৃষক আজিজুর রহমান বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ। তিন কের (২৮ শতকে এক কের) জমিতে ধান চাষ করছিলাম সারা বছর খাওয়ার জন্য। কিন্তু সব ধান খরার কারণে নষ্ট হয়ে গেছে। কিছু বৃষ্টি হলে আমাদের ধানগুলো হয়তো ভালো হতো। এখন এই জমি কাইট্টাই কী করমু। কাটলে যে ধান পাইমু, ইতা কামলা, মাড়ার মিশিনেই নিবগা। আমি কিতা পাইমু?’
গন্ধা গ্রামের আক্কাস মিয়া বলেন, ‘এ বছর এক ফোঁটা বৃষ্টিও হইছে না। আট কের খেতে ধান চাষ করছিলাম। বৃষ্টি না হওয়ায় সব নষ্ট হইগেছে। চার কের কাটাইতামওই পারতাম না। বাকি চার কের কিছুটা কাডানু যাইব।’
বানিয়াচং উপজেলার মাখালকান্দি গ্রামের কৃষক গৌড়চাঁদ বলেন, ‘চৈত মাসের প্রথমে বৃষ্টি হইলে ধানের খুব বালা হয়। তাড়াতাড়ি ধানের তোড় বাইর হয়। এ বছর বৃষ্টি হইছে না। যে কারণে ধানের তোড় বাই হইতেছে না। মাঝে মাঝে একটা-দুইটা বাইর হইতেছে, ইতাও রইদের লাগি ঝইলা যাইতেছে।’
বিভিন্ন হাওর ঘুরে দেখা যায়, বোরো জমিতে পানি নেই। অধিকাংশ জমির মাটি শুকিয়ে সাদা হয়ে গেছে। লাল রং ধারণ করার পাশাপাশি শুকিয়ে যাচ্ছে ধানগাছও। বিভিন্ন হাওরের ডুবাগুলোর তলদেশের পানি পর্যন্ত শুকিয়ে মাটি ফেটে গেছে। নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কোনো কোনো জমি গরু গিয়ে খাইয়ে দিচ্ছেন চাষিরা।
এদিকে বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর আশঙ্কাজনক হারে নিচে নেমে যাচ্ছে। এতে সেচ দিতে অতিরিক্ত খরচ যোগ হয়েছে। অধিকাংশ এলাকায় পর্যাপ্ত পানিও মিলছে না। হাওরের নদী-ডুবাগুলোও শুকিয়ে গেছে। যে নদী ও ডুবা থেকে অন্য বছর সেচ দেওয়া হতো, সেগুলো এবার ফেটে চৌচির হয়ে রয়েছে।
পানির সংকট, বৃষ্টির অভাব ও অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে বোরো জমি নষ্ট হওয়ার বিষয়ে হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) নয়ন মণি সূত্রধর বলেন, ‘শুধু হাওর নয়, সব জায়গার বোরো জমিতে রোদের প্রখরতা বেশি থাকে। এ কারণে সেখানে বাড়িঘর বা গাছপালা থাকে না। স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি তাপমাত্রা হলে জমির ক্ষতি হয়। এ ছাড়া যখন জমিতে ফ্লাওয়ারি শুরু হয়, তখন অতিরিক্ত তাপমাত্রা হলে স্ত্রী ফুলের যে ভেজা জায়গাটি আছে, সেটি শুকিয়ে যায়। এতে পরাগায়ন সঠিকভাবে হয় না। যে কারণে ধানে বেশি চিটা হয়।’
নয়ন মণি আরও বলেন, ‘গত রোববার সিলেট থেকে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হবিগঞ্জে এসেছিলেন। তাঁদের নিয়ে মাঠ পরিদর্শন করেছি। পানির অভাবে কিছু ক্ষতি হলেও এ বছর তেমন খরা পড়েনি। এ কারণে যে পরিমাণ ক্ষতি হওয়ার ছিল, সে পরিমাণে ক্ষতি হবে না।’
অতিরিক্ত তাপমাত্রায় এবং বৃষ্টির পানির অভাবে হবিগঞ্জের অনেক বোরো ধানের জমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। চৈত্রের মাঝামাঝি সময়েও ধানে শিষ আসেনি। কয়েকটি খেতে যা-ও এসেছে, তা গরমে চিটা হয়ে গেছে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা।
বৃষ্টির অভাব এবং অতিরিক্ত তাপমাত্রায় বোরো ধানের জমি কিছুটা নষ্ট হওয়ার কথা স্বীকার করলেও তেমন ক্ষতি হবে না বলে জানায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এমনকি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ব্যাহত হবে না বলে জানানো হয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ২২ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ৪৫ হাজার হেক্টর চাষ হয়েছে হাওরে। জেলায় মোট উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সাড়ে ৫ লাখ মেট্রিক টন।
চাষিরা জানান, মূলত নভেম্বর থেকে বোরো আবাদ শুরু হয়। তবে জমিতে ভালো ফলনের ক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারির শেষ ও মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় জমিতে ফুল আসতে শুরু করে। যে কারণে সঠিক তাপমাত্রার সঙ্গে পরিমাণমতো বৃষ্টি প্রয়োজন।
সেই অনুপাতে চলতি বছর বৃষ্টি হয়নি। একদিকে বৃষ্টিপাতের অভাব, অন্যদিকে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় সেচ দেওয়া যাচ্ছে না।
চাষি ও কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খরার কারণে বিভিন্ন জায়গায় ২০-৪০ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত সেচ দিতে হয়েছে। এতে বেড়েছে উৎপাদন খরচও। কিন্তু খরার প্রভাবে বাড়তি সেচ দিয়েও কৃষকেরা বোরো ধানের স্বাভাবিক উৎপাদন ধরে রাখতে পারেননি।
নবীগঞ্জ উপজেলার তারানগাঁও গ্রামের কৃষক আজিজুর রহমান বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ। তিন কের (২৮ শতকে এক কের) জমিতে ধান চাষ করছিলাম সারা বছর খাওয়ার জন্য। কিন্তু সব ধান খরার কারণে নষ্ট হয়ে গেছে। কিছু বৃষ্টি হলে আমাদের ধানগুলো হয়তো ভালো হতো। এখন এই জমি কাইট্টাই কী করমু। কাটলে যে ধান পাইমু, ইতা কামলা, মাড়ার মিশিনেই নিবগা। আমি কিতা পাইমু?’
গন্ধা গ্রামের আক্কাস মিয়া বলেন, ‘এ বছর এক ফোঁটা বৃষ্টিও হইছে না। আট কের খেতে ধান চাষ করছিলাম। বৃষ্টি না হওয়ায় সব নষ্ট হইগেছে। চার কের কাটাইতামওই পারতাম না। বাকি চার কের কিছুটা কাডানু যাইব।’
বানিয়াচং উপজেলার মাখালকান্দি গ্রামের কৃষক গৌড়চাঁদ বলেন, ‘চৈত মাসের প্রথমে বৃষ্টি হইলে ধানের খুব বালা হয়। তাড়াতাড়ি ধানের তোড় বাইর হয়। এ বছর বৃষ্টি হইছে না। যে কারণে ধানের তোড় বাই হইতেছে না। মাঝে মাঝে একটা-দুইটা বাইর হইতেছে, ইতাও রইদের লাগি ঝইলা যাইতেছে।’
বিভিন্ন হাওর ঘুরে দেখা যায়, বোরো জমিতে পানি নেই। অধিকাংশ জমির মাটি শুকিয়ে সাদা হয়ে গেছে। লাল রং ধারণ করার পাশাপাশি শুকিয়ে যাচ্ছে ধানগাছও। বিভিন্ন হাওরের ডুবাগুলোর তলদেশের পানি পর্যন্ত শুকিয়ে মাটি ফেটে গেছে। নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কোনো কোনো জমি গরু গিয়ে খাইয়ে দিচ্ছেন চাষিরা।
এদিকে বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর আশঙ্কাজনক হারে নিচে নেমে যাচ্ছে। এতে সেচ দিতে অতিরিক্ত খরচ যোগ হয়েছে। অধিকাংশ এলাকায় পর্যাপ্ত পানিও মিলছে না। হাওরের নদী-ডুবাগুলোও শুকিয়ে গেছে। যে নদী ও ডুবা থেকে অন্য বছর সেচ দেওয়া হতো, সেগুলো এবার ফেটে চৌচির হয়ে রয়েছে।
পানির সংকট, বৃষ্টির অভাব ও অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে বোরো জমি নষ্ট হওয়ার বিষয়ে হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) নয়ন মণি সূত্রধর বলেন, ‘শুধু হাওর নয়, সব জায়গার বোরো জমিতে রোদের প্রখরতা বেশি থাকে। এ কারণে সেখানে বাড়িঘর বা গাছপালা থাকে না। স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি তাপমাত্রা হলে জমির ক্ষতি হয়। এ ছাড়া যখন জমিতে ফ্লাওয়ারি শুরু হয়, তখন অতিরিক্ত তাপমাত্রা হলে স্ত্রী ফুলের যে ভেজা জায়গাটি আছে, সেটি শুকিয়ে যায়। এতে পরাগায়ন সঠিকভাবে হয় না। যে কারণে ধানে বেশি চিটা হয়।’
নয়ন মণি আরও বলেন, ‘গত রোববার সিলেট থেকে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হবিগঞ্জে এসেছিলেন। তাঁদের নিয়ে মাঠ পরিদর্শন করেছি। পানির অভাবে কিছু ক্ষতি হলেও এ বছর তেমন খরা পড়েনি। এ কারণে যে পরিমাণ ক্ষতি হওয়ার ছিল, সে পরিমাণে ক্ষতি হবে না।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে