আমানুর রহমান রনি, ঢাকা
কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতায় রাজধানীতে নিহতদের মধ্যে ১০৯ জনের মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে তিনটি মেডিকেল কলেজের মর্গে। এগুলোর মধ্যে শুধু ঢাকা মেডিকেলেই সাত দিনে ৯৪টি মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। সুরতহাল থেকে ময়নাতদন্ত ও লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে দ্রুতগতিতে। বেওয়ারিশ ঘোষণার ক্ষেত্রেও পর্যাপ্ত সময় নেওয়া হয়নি।
পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, আন্দোলনকারীদের মর্গে হামলা ও লাশ ছিনিয়ে নেওয়ার কারণে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৫০ জন নিহত হয়েছেন। তবে এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবি, নিহতের সংখ্যা ২৬৬ জন। আর গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গতকাল পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ২১১ জন।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে প্রথম ১৬ জুলাই ৬ জন নিহত হন উত্তরায়। ২২ জুলাই পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নিহতের ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, সব মরদেহ হাসপাতালে যায়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীতে নিহতদের মধ্যে ১৭ থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত ১০৯ জনের মরদেহের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত হয়েছে সরকারি তিনটি মেডিকেল কলেজের মর্গে। এগুলোর মধ্যে ঢাকা মেডিকেলে ৫ জন চিকিৎসক ৯৪টি মরদেহের, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে ৩ জন চিকিৎসক ১৩টি মরদেহের এবং স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের মর্গে ১ জন চিকিৎসক ২টি মরদেহের ময়নাতদন্ত করেন। ঢাকা মেডিকেলে এক দিনে সর্বোচ্চ ৩৮টি ও ২২টি মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মরদেহের সংখ্যা বেশি হওয়ায় প্রয়োজনের চেয়ে দ্রুততম সময়ে ময়নাতদন্ত হয়েছে। এতে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় বাধাগ্রস্ত হতে পারে। জানতে চাইলে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সাবেক প্রধান ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, সাধারণত একটি মরদেহের ময়নাতদন্ত করতে এক ঘণ্টার মতো সময় লাগে। তাড়াহুড়ো করলে অনেক কিছু চোখে না-ও পড়তে পারে। সঠিক না হলে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে তার প্রতিফলন বা প্রভাব পড়বে। চলতি মাসে তাঁকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপজেলা হেলথ কেয়ারের লাইন পরিচালক পদে পদায়ন করা হয়েছে।
ময়নাতদন্তে দ্রুততার বিষয়ে জানতে গত শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. কাজী গোলাম মোখলেছুর রহমানসহ ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে তাঁদের দপ্তরে কথা বলতে চাইলে কেউ রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চিকিৎসক বলেন, নিহতের স্বজনদের চাপে ও পুলিশের অনুরোধে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ময়নাতদন্ত দ্রুত করতে বলে। কারণ, স্বজনদের অনেকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন।
সুরতহালে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা
সুরতহাল প্রতিবেদনকে ময়নাতদন্তের গাইডলাইন বলা হয়। তবে কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় নিহতদের সুরতহাল প্রতিবেদনে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেখা গেছে। এ ছাড়া ঘটনাস্থলের থানার পুলিশ সাধারণত সুরতহাল করলেও সহিংসতার কারণে নিহতদের সুরতহাল করেছে মর্গ যে থানা এলাকায়, সেই থানা। ঢাকা মেডিকেলের মর্গে বেশির ভাগ মরদেহের সুরতহাল করেছেন শাহবাগ থানার পুলিশ। এই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাজিজুর রহমান বলেন, ‘অন্যান্য থানার কর্মকর্তারা সংঘর্ষের সময় ডিউটিতে ছিলেন, তাই শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক দ্রুত আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ হস্তান্তর করেছেন। যাতে মানুষ হয়রানি না হয়, সে জন্য মরদেহ দ্রুত দেওয়া হয়েছে।’
বিভিন্ন সুরতহাল পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সুরতহাল প্রতিবেদনে লাশ প্রাপ্তির স্থান, আঘাতের চিহ্ন, গুলির ক্ষত ও দেহের বর্ণনা সংক্ষেপে উল্লেখ করা হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গের তথ্য বলছে, শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক মো. জব্বার নয়টি মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। এগুলোর মধ্যে ২২ জুলাই ৩৫ বছরের অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির সুরতহাল রয়েছে। সুরতহালে ওই ব্যক্তির পেটে গুলির চিহ্ন ও পিঠে ছেলা জখম উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু মরদেহ কোথায়, কীভাবে ছিল, তা উল্লেখ নেই।
জানতে চাইলে উপপরিদর্শক মো. জব্বার বলেন, কোনো ব্যক্তি গুলিতে নিহত হলে তার বেশি কিছু দেখতে হয় না। কারণ, দেখাই যায়, গুলি লেগেছে কোথায়। তাই এভাবে লেখা হয়েছে।
দুই মরদেহ ছিনিয়ে নেওয়া হয়
১৯ জুলাই বিকেলে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ চারজনকে নিয়ে আসেন পথচারীরা। তাঁদের দুজনকে লক্ষ্মীবাজার থেকে, যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগ থেকে একজনকে ও কদমতলী থানা এলাকা থেকে একজনকে আনা হয়। চিকিৎসকেরা চারজনকেই মৃত ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক দুজনের মরদেহ জোর করে নিয়ে যান আন্দোলনকারীরা। বাকি দুজন দনিয়া কলেজের রোহান খান (১৯) ও কবি নজরুল কলেজের ইমরান হোসেন কাওসারের (২৭) মরদেহের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত হয়েছে। তাঁদের সুরতহাল করেন কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহফুজ মুন্না। ওই মর্গের ডোম মো. মিলন বলেন, এক শ থেকে দেড় শ আন্দোলনকারী দুজনের মরদেহ নিয়ে গেছেন।
বেওয়ারিশ ঘোষণায়ও দ্রুতগতি
জানা গেছে, ময়নাতদন্তের মতো বেওয়ারিশ ঘোষণায় ছিল দ্রুতগতি। এ ক্ষেত্রে ২১ জনের মরদেহ বেওয়ারিশ ঘোষণার যথাযথ সময় দেওয়া ও প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। আলামত সংগ্রহ করে পরিচয় শনাক্তে স্বজনের অপেক্ষা না করে তিনটি হাসপাতাল থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত এসব মরদেহ দ্রুত বেওয়ারিশ ঘোষণা করে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামকে দাফনের জন্য দেওয়া হয়েছে। এসব মরদেহ মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধসংলগ্ন রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করেছে আঞ্জুমান।
আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের ট্রাস্টি এবং সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজিম বখশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত বুধবার পর্যন্ত ২১টি মরদেহ ঢাকায় দাফন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, মরদেহ শনাক্ত করার সব চেষ্টা করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। তাই তাঁদের ডিএনএ স্যাম্পল রাখা হয়েছে। কোনো স্বজন এলে ডিএনএ নমুনা নিয়ে ম্যাচ করা হবে। দ্রুত দাফনের বিষয়ে তিনি বলেন, মর্গে পর্যাপ্ত জায়গা থাকে না। হাসপাতালে আরও মরদেহ থাকে। তাই ময়নাতদন্ত শেষে অজ্ঞাতনামাদের দাফন করতে আঞ্জুমানকে দেওয়া হয়েছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতায় রাজধানীতে নিহতদের মধ্যে ১০৯ জনের মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে তিনটি মেডিকেল কলেজের মর্গে। এগুলোর মধ্যে শুধু ঢাকা মেডিকেলেই সাত দিনে ৯৪টি মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। সুরতহাল থেকে ময়নাতদন্ত ও লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে দ্রুতগতিতে। বেওয়ারিশ ঘোষণার ক্ষেত্রেও পর্যাপ্ত সময় নেওয়া হয়নি।
পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, আন্দোলনকারীদের মর্গে হামলা ও লাশ ছিনিয়ে নেওয়ার কারণে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৫০ জন নিহত হয়েছেন। তবে এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবি, নিহতের সংখ্যা ২৬৬ জন। আর গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গতকাল পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ২১১ জন।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে প্রথম ১৬ জুলাই ৬ জন নিহত হন উত্তরায়। ২২ জুলাই পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নিহতের ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, সব মরদেহ হাসপাতালে যায়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীতে নিহতদের মধ্যে ১৭ থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত ১০৯ জনের মরদেহের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত হয়েছে সরকারি তিনটি মেডিকেল কলেজের মর্গে। এগুলোর মধ্যে ঢাকা মেডিকেলে ৫ জন চিকিৎসক ৯৪টি মরদেহের, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে ৩ জন চিকিৎসক ১৩টি মরদেহের এবং স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের মর্গে ১ জন চিকিৎসক ২টি মরদেহের ময়নাতদন্ত করেন। ঢাকা মেডিকেলে এক দিনে সর্বোচ্চ ৩৮টি ও ২২টি মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মরদেহের সংখ্যা বেশি হওয়ায় প্রয়োজনের চেয়ে দ্রুততম সময়ে ময়নাতদন্ত হয়েছে। এতে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় বাধাগ্রস্ত হতে পারে। জানতে চাইলে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সাবেক প্রধান ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, সাধারণত একটি মরদেহের ময়নাতদন্ত করতে এক ঘণ্টার মতো সময় লাগে। তাড়াহুড়ো করলে অনেক কিছু চোখে না-ও পড়তে পারে। সঠিক না হলে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে তার প্রতিফলন বা প্রভাব পড়বে। চলতি মাসে তাঁকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপজেলা হেলথ কেয়ারের লাইন পরিচালক পদে পদায়ন করা হয়েছে।
ময়নাতদন্তে দ্রুততার বিষয়ে জানতে গত শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. কাজী গোলাম মোখলেছুর রহমানসহ ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে তাঁদের দপ্তরে কথা বলতে চাইলে কেউ রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চিকিৎসক বলেন, নিহতের স্বজনদের চাপে ও পুলিশের অনুরোধে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ময়নাতদন্ত দ্রুত করতে বলে। কারণ, স্বজনদের অনেকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন।
সুরতহালে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা
সুরতহাল প্রতিবেদনকে ময়নাতদন্তের গাইডলাইন বলা হয়। তবে কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় নিহতদের সুরতহাল প্রতিবেদনে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেখা গেছে। এ ছাড়া ঘটনাস্থলের থানার পুলিশ সাধারণত সুরতহাল করলেও সহিংসতার কারণে নিহতদের সুরতহাল করেছে মর্গ যে থানা এলাকায়, সেই থানা। ঢাকা মেডিকেলের মর্গে বেশির ভাগ মরদেহের সুরতহাল করেছেন শাহবাগ থানার পুলিশ। এই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাজিজুর রহমান বলেন, ‘অন্যান্য থানার কর্মকর্তারা সংঘর্ষের সময় ডিউটিতে ছিলেন, তাই শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক দ্রুত আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ হস্তান্তর করেছেন। যাতে মানুষ হয়রানি না হয়, সে জন্য মরদেহ দ্রুত দেওয়া হয়েছে।’
বিভিন্ন সুরতহাল পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সুরতহাল প্রতিবেদনে লাশ প্রাপ্তির স্থান, আঘাতের চিহ্ন, গুলির ক্ষত ও দেহের বর্ণনা সংক্ষেপে উল্লেখ করা হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গের তথ্য বলছে, শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক মো. জব্বার নয়টি মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। এগুলোর মধ্যে ২২ জুলাই ৩৫ বছরের অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির সুরতহাল রয়েছে। সুরতহালে ওই ব্যক্তির পেটে গুলির চিহ্ন ও পিঠে ছেলা জখম উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু মরদেহ কোথায়, কীভাবে ছিল, তা উল্লেখ নেই।
জানতে চাইলে উপপরিদর্শক মো. জব্বার বলেন, কোনো ব্যক্তি গুলিতে নিহত হলে তার বেশি কিছু দেখতে হয় না। কারণ, দেখাই যায়, গুলি লেগেছে কোথায়। তাই এভাবে লেখা হয়েছে।
দুই মরদেহ ছিনিয়ে নেওয়া হয়
১৯ জুলাই বিকেলে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ চারজনকে নিয়ে আসেন পথচারীরা। তাঁদের দুজনকে লক্ষ্মীবাজার থেকে, যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগ থেকে একজনকে ও কদমতলী থানা এলাকা থেকে একজনকে আনা হয়। চিকিৎসকেরা চারজনকেই মৃত ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক দুজনের মরদেহ জোর করে নিয়ে যান আন্দোলনকারীরা। বাকি দুজন দনিয়া কলেজের রোহান খান (১৯) ও কবি নজরুল কলেজের ইমরান হোসেন কাওসারের (২৭) মরদেহের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত হয়েছে। তাঁদের সুরতহাল করেন কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহফুজ মুন্না। ওই মর্গের ডোম মো. মিলন বলেন, এক শ থেকে দেড় শ আন্দোলনকারী দুজনের মরদেহ নিয়ে গেছেন।
বেওয়ারিশ ঘোষণায়ও দ্রুতগতি
জানা গেছে, ময়নাতদন্তের মতো বেওয়ারিশ ঘোষণায় ছিল দ্রুতগতি। এ ক্ষেত্রে ২১ জনের মরদেহ বেওয়ারিশ ঘোষণার যথাযথ সময় দেওয়া ও প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। আলামত সংগ্রহ করে পরিচয় শনাক্তে স্বজনের অপেক্ষা না করে তিনটি হাসপাতাল থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত এসব মরদেহ দ্রুত বেওয়ারিশ ঘোষণা করে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামকে দাফনের জন্য দেওয়া হয়েছে। এসব মরদেহ মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধসংলগ্ন রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করেছে আঞ্জুমান।
আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের ট্রাস্টি এবং সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজিম বখশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত বুধবার পর্যন্ত ২১টি মরদেহ ঢাকায় দাফন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, মরদেহ শনাক্ত করার সব চেষ্টা করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। তাই তাঁদের ডিএনএ স্যাম্পল রাখা হয়েছে। কোনো স্বজন এলে ডিএনএ নমুনা নিয়ে ম্যাচ করা হবে। দ্রুত দাফনের বিষয়ে তিনি বলেন, মর্গে পর্যাপ্ত জায়গা থাকে না। হাসপাতালে আরও মরদেহ থাকে। তাই ময়নাতদন্ত শেষে অজ্ঞাতনামাদের দাফন করতে আঞ্জুমানকে দেওয়া হয়েছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে