মীর মো. মহিব্বুল্লাহ, পটুয়াখালী ও কৃষ্ণ কান্ত কর্মকার, বাউফল
সাতবার এমপি হয়েও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নির্ভার থাকতে পারছেন না আওয়ামী লীগের আ স ম ফিরোজ। পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোতালেব হাওলাদারের দাবি, পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে নৌকার নতুন প্রার্থী দিতে হবে। এ দ্বন্দ্বের কারণে এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষ হয়েছে এ তিনজনের সমর্থকদের মধ্যে। প্রাণ গেছে চারজনের, আহত হয়েছেন অসংখ্য নেতা-কর্মী। কোন্দলে জর্জরিত বিএনপিও। সুযোগ কাজে লাগাতে চাইছে জামায়াতে ইসলামী।
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নের দৌড়ে এগিয়ে বর্তমান এমপি জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ। এ ছাড়া আলোচনায় আছেন পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাউফলের পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল, বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোতালেব হাওলাদার, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হাসিবুল আলম তালুকদার ও জোবায়দুল হক রাসেল।
বিএনপির সাবেক এমপি শহীদুল আলম তালুকদার এবং কেন্দ্রীয় বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেন মনোনয়ন চাইবেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের জোট হলে মনোনয়ন ভাগিয়ে নিতে পারেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি ও কেন্দ্রীয় শুরা কমিটির (স্থায়ী কমিটি) সদস্য ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী আ স ম ফিরোজ বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে ৪০ বছর নেতৃত্ব দিয়ে এসেছেন। এ সময়ে সৃষ্টি হয়েছে কোন্দল ও বিরোধ। এই আসনে আওয়ামী লীগের মধ্যেই তিনটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে গেছে।
আ স ম ফিরোজ বলেন, ‘যখন প্রথম নির্বাচন করি, তখন থেকেই দলের কিছু লোক আমার বিপক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। আর প্রতিবার নির্বাচন এলেই আমার বিপক্ষে কাজ শুরু করে। তবু এই উপজেলার মানুষ আমাকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে।’
তবে মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীরা জুয়েলের অনুকূলে ভিড়তে শুরু করেছেন। বর্তমানে উপজেলা ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠন তাঁর হয়ে কাজ করছে। আব্দুল মোতালেব হাওলাদার ফিরোজের ব্যানারে দীর্ঘদিন রাজনীতি করলেও বর্তমানে জুয়েল-মোতালেব একই ব্যানারে কাজ করছেন। জিয়াউল হক জুয়েল বলেন, ‘আশা করছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে মনোনয়ন দেবেন।’ মোতালেব হাওলাদার বলেন, ‘বেশি কিছু বলব না, দল থেকে মনোনয়ন দিলে অবশ্যই নির্বাচন করব।’
বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জসিম ফরাজী বলেন, ‘এই আসনে একজন জনপ্রিয় প্রার্থী দরকার, বর্তমান নেতার কোনো জনপ্রিয়তা নেই।’ তবে বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা মোকাম্মেল শরীফ বলেন, ‘আ স ম ফিরোজের নেতৃত্বে বাউফল উপজেলা একটি সাজানো সংসার। নির্বাচন এলেই কিছু কুচক্রী মহল সংসারটি ভাঙার জন্য মেতে থাকে এবং নির্বাচন শেষ হলে তাদের আর পাওয়া যায় না।’
শক্ত আওয়ামী লীগের বিপরীতে বিএনপি কর্মীদের ভরসা শহীদুল আলম তালুকদারের ওপরই। আওয়ামী লীগকে হারাতে হলে তালুকদারের জনপ্রিয়তা, দলীয় ইমেজ এবং আঞ্চলিকতার বিকল্প নেই। যদিও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়া চেষ্টা করছেন তাঁর ছেলে মুহাম্মদ মুনির হোসেনকে মনোনয়ন পাইয়ে দিতে। তিনি ছেলের পক্ষে উপজেলা কমিটি গঠন করছেন। সেখানে সাবেক এমপি শহীদুল আলম তালুকদারকে দলের কোনো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রাখেননি। ছেলের জন্য কমিটি করতে গিয়ে বারবার বিতর্কিত হয়েছেন চুন্নু।
শহীদুল আলম তালুকদার বলেন, ‘নির্বাচন পরের বিষয়। ওটি নিয়ে ভাবনা নাই।’ আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়া বলেন, ‘প্রার্থী হওয়ার জন্য আমার ছেলে বাউফলে কাজ করছে।’ মুনির হোসেন বলেন, ‘যদি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়, তাহলে বিএনপি নির্বাচনে আসবে। আর নির্বাচনে এলে আমি দলীয় মনোনয়ন চাইব।’
এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন জামায়াতের ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। জোট তৈরি না হলে দলের সিদ্ধান্তে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন।
সাতবার এমপি হয়েও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নির্ভার থাকতে পারছেন না আওয়ামী লীগের আ স ম ফিরোজ। পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোতালেব হাওলাদারের দাবি, পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে নৌকার নতুন প্রার্থী দিতে হবে। এ দ্বন্দ্বের কারণে এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষ হয়েছে এ তিনজনের সমর্থকদের মধ্যে। প্রাণ গেছে চারজনের, আহত হয়েছেন অসংখ্য নেতা-কর্মী। কোন্দলে জর্জরিত বিএনপিও। সুযোগ কাজে লাগাতে চাইছে জামায়াতে ইসলামী।
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নের দৌড়ে এগিয়ে বর্তমান এমপি জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ। এ ছাড়া আলোচনায় আছেন পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাউফলের পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল, বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোতালেব হাওলাদার, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হাসিবুল আলম তালুকদার ও জোবায়দুল হক রাসেল।
বিএনপির সাবেক এমপি শহীদুল আলম তালুকদার এবং কেন্দ্রীয় বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেন মনোনয়ন চাইবেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের জোট হলে মনোনয়ন ভাগিয়ে নিতে পারেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি ও কেন্দ্রীয় শুরা কমিটির (স্থায়ী কমিটি) সদস্য ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী আ স ম ফিরোজ বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে ৪০ বছর নেতৃত্ব দিয়ে এসেছেন। এ সময়ে সৃষ্টি হয়েছে কোন্দল ও বিরোধ। এই আসনে আওয়ামী লীগের মধ্যেই তিনটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে গেছে।
আ স ম ফিরোজ বলেন, ‘যখন প্রথম নির্বাচন করি, তখন থেকেই দলের কিছু লোক আমার বিপক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। আর প্রতিবার নির্বাচন এলেই আমার বিপক্ষে কাজ শুরু করে। তবু এই উপজেলার মানুষ আমাকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে।’
তবে মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীরা জুয়েলের অনুকূলে ভিড়তে শুরু করেছেন। বর্তমানে উপজেলা ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠন তাঁর হয়ে কাজ করছে। আব্দুল মোতালেব হাওলাদার ফিরোজের ব্যানারে দীর্ঘদিন রাজনীতি করলেও বর্তমানে জুয়েল-মোতালেব একই ব্যানারে কাজ করছেন। জিয়াউল হক জুয়েল বলেন, ‘আশা করছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে মনোনয়ন দেবেন।’ মোতালেব হাওলাদার বলেন, ‘বেশি কিছু বলব না, দল থেকে মনোনয়ন দিলে অবশ্যই নির্বাচন করব।’
বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জসিম ফরাজী বলেন, ‘এই আসনে একজন জনপ্রিয় প্রার্থী দরকার, বর্তমান নেতার কোনো জনপ্রিয়তা নেই।’ তবে বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা মোকাম্মেল শরীফ বলেন, ‘আ স ম ফিরোজের নেতৃত্বে বাউফল উপজেলা একটি সাজানো সংসার। নির্বাচন এলেই কিছু কুচক্রী মহল সংসারটি ভাঙার জন্য মেতে থাকে এবং নির্বাচন শেষ হলে তাদের আর পাওয়া যায় না।’
শক্ত আওয়ামী লীগের বিপরীতে বিএনপি কর্মীদের ভরসা শহীদুল আলম তালুকদারের ওপরই। আওয়ামী লীগকে হারাতে হলে তালুকদারের জনপ্রিয়তা, দলীয় ইমেজ এবং আঞ্চলিকতার বিকল্প নেই। যদিও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়া চেষ্টা করছেন তাঁর ছেলে মুহাম্মদ মুনির হোসেনকে মনোনয়ন পাইয়ে দিতে। তিনি ছেলের পক্ষে উপজেলা কমিটি গঠন করছেন। সেখানে সাবেক এমপি শহীদুল আলম তালুকদারকে দলের কোনো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রাখেননি। ছেলের জন্য কমিটি করতে গিয়ে বারবার বিতর্কিত হয়েছেন চুন্নু।
শহীদুল আলম তালুকদার বলেন, ‘নির্বাচন পরের বিষয়। ওটি নিয়ে ভাবনা নাই।’ আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়া বলেন, ‘প্রার্থী হওয়ার জন্য আমার ছেলে বাউফলে কাজ করছে।’ মুনির হোসেন বলেন, ‘যদি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়, তাহলে বিএনপি নির্বাচনে আসবে। আর নির্বাচনে এলে আমি দলীয় মনোনয়ন চাইব।’
এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন জামায়াতের ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। জোট তৈরি না হলে দলের সিদ্ধান্তে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে