হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম বন্দর নগরী ও তৎসংলগ্ন আবাসিক এলাকার বিষাক্ত বর্জ্য দূষণের মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলেছে দক্ষিণ এশিয়ায় কার্পজাতীয় মাছের অন্যতম প্রজননকেন্দ্র চট্টগ্রামের হালদা নদীকে। হাটহাজারী উপজেলার কাটাখালী ও খন্দকিয়াসহ আরও কয়েকটি খালের বিষাক্ত বর্জ্য প্রতিদিন এসে পড়ছে এই নদীতে।
জানা গেছে, হাটহাজারী উপজেলার মদুনাঘাট ওয়াপদা কলোনি এলাকায় কাটাখালী হয়ে বন্দর নগরী ও তৎসংলগ্ন আবাসিক এলাকার বিষাক্ত বর্জ্য হালদায় পড়ছে। এ বর্জ্য মা মাছ ও জলজ প্রাণীর বেঁচে থাকা হুমকি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ক্ষোভ প্রকাশ করে সংবাদকর্মী ও হালদা রক্ষা কমিটির সদস্য আমিন মুন্না জানান, এই খাল (কাটাখালী খাল) দিয়ে হালদা নদী দূষণ আগেও হয়েছে। কিন্তু এমন দৃশ্য অতীতে কখনো দেখেনি এই জনপদের মানুষ। যে খাল ছিল এই জনপদের মানুষের মাছ আর চাষের পানির প্রধান উৎস; তা আজ এমন কুৎসিত—ভাবাই যায় না। শুধু হালদা নয়, এই এলাকার জীববৈচিত্র্য ও মানবগোষ্ঠী বাঁচাতে এগিয়ে আসতে হবে সবাইকে।
হালদা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিষাক্ত বর্জ্য মা মাছসহ জলজ প্রাণী বেঁচে থাকার জন্য প্রতিকূল। দূষণের ফলে নদীতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায়; বাড়ে কার্বন ডাই-অক্সাইড। এ পরিস্থিতিতে মা মাছসহ জলজ প্রাণীর বেঁচে থাকা দুষ্কর। পাশাপাশি দূষণে হালদায় মাছের যে প্রাকৃতিক পরিবেশ, তা-ও নষ্ট হচ্ছে।
হালদা রিসার্চ ল্যাবরেটরির সমন্বয়ক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এবং হালদা বিশেষজ্ঞ মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, মা মাছের পেটে থাকা ডিম অনেক আগেই পরিপূর্ণ বা পরিপক্বতা লাভ করেছে। চলতি মাসের শেষদিকে অমাবস্যার জো’তে ডিম ছাড়তে পারে। তাই নদীকে অবশ্যই বন্দর নগরী ও তৎসংলগ্ন আবাসিক এলাকার বিষাক্ত বর্জ্যের ঝুঁকি থেকে বাঁচাতে হবে। অন্যথায় হুমকির মুখে পড়বে হালদার মা মাছ ও জীববৈচিত্র্য।
তা ছাড়া প্রতিনিয়তই দূষণের মাত্রা বাড়ছে। এখনই ব্যবস্থা নেওয়া না গেলে হালদার পরিণতি হবে ভয়াবহ। হালদার সঙ্গে যুক্ত বিশেষ করে কাটাখালী ও খন্দকিয়াসহ আরও কয়েকটি খালের বিষাক্ত বর্জ্য এসে পড়ছে নদীতে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ‘অনন্যা’ আবাসিক ও তৎসংলগ্ন আবাসিক এলাকার বর্জ্য প্রকল্পের মূল নালা হয়ে কুয়াইশ, কৃষ্ণ ও খন্দকিয়া খাল হয়ে হালদায় পড়ছে বলে ওই বিশেষজ্ঞ মনে করেন।
এ ব্যাপারে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহিদুল আলম বলেন, ‘বর্জ্য হালদাকে দূষিত করছে বিষয়টি আমলে নেওয়া হয়েছে। কীভাবে বর্জ্যগুলো আসছে এবং কী করলে তা নির্মূল করা যায়—এ নিয়ে একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে কিছুদিনের মধ্যে আমরা কর্তৃপক্ষকে জানাব।’
প্রসঙ্গত, হাটহাজারী-রাউজান-ফটিকছড়ি উপজেলা সীমানাঘেঁষে বয়ে যাওয়া হালদা নদীতে প্রতিবছর বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠে কার্পজাতীয় মা মাছ ডিম ছাড়ে। এরপর হালদাপাড়ের ডিম সংগ্রহকারীরা তা সংগ্রহ করেন। হ্যাচারির চেয়ে হালদার পোনা দ্রুত বর্ধনশীল বলে এর কদর সারা দেশে। সংগ্রহকারীরা ডিম থেকে রেণু ফুটিয়ে বিক্রি করেন। রেণুর আয় দিয়ে পুরো বছর জীবিকা নির্বাহ করেন তাঁরা।
চট্টগ্রাম বন্দর নগরী ও তৎসংলগ্ন আবাসিক এলাকার বিষাক্ত বর্জ্য দূষণের মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলেছে দক্ষিণ এশিয়ায় কার্পজাতীয় মাছের অন্যতম প্রজননকেন্দ্র চট্টগ্রামের হালদা নদীকে। হাটহাজারী উপজেলার কাটাখালী ও খন্দকিয়াসহ আরও কয়েকটি খালের বিষাক্ত বর্জ্য প্রতিদিন এসে পড়ছে এই নদীতে।
জানা গেছে, হাটহাজারী উপজেলার মদুনাঘাট ওয়াপদা কলোনি এলাকায় কাটাখালী হয়ে বন্দর নগরী ও তৎসংলগ্ন আবাসিক এলাকার বিষাক্ত বর্জ্য হালদায় পড়ছে। এ বর্জ্য মা মাছ ও জলজ প্রাণীর বেঁচে থাকা হুমকি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ক্ষোভ প্রকাশ করে সংবাদকর্মী ও হালদা রক্ষা কমিটির সদস্য আমিন মুন্না জানান, এই খাল (কাটাখালী খাল) দিয়ে হালদা নদী দূষণ আগেও হয়েছে। কিন্তু এমন দৃশ্য অতীতে কখনো দেখেনি এই জনপদের মানুষ। যে খাল ছিল এই জনপদের মানুষের মাছ আর চাষের পানির প্রধান উৎস; তা আজ এমন কুৎসিত—ভাবাই যায় না। শুধু হালদা নয়, এই এলাকার জীববৈচিত্র্য ও মানবগোষ্ঠী বাঁচাতে এগিয়ে আসতে হবে সবাইকে।
হালদা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিষাক্ত বর্জ্য মা মাছসহ জলজ প্রাণী বেঁচে থাকার জন্য প্রতিকূল। দূষণের ফলে নদীতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায়; বাড়ে কার্বন ডাই-অক্সাইড। এ পরিস্থিতিতে মা মাছসহ জলজ প্রাণীর বেঁচে থাকা দুষ্কর। পাশাপাশি দূষণে হালদায় মাছের যে প্রাকৃতিক পরিবেশ, তা-ও নষ্ট হচ্ছে।
হালদা রিসার্চ ল্যাবরেটরির সমন্বয়ক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এবং হালদা বিশেষজ্ঞ মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, মা মাছের পেটে থাকা ডিম অনেক আগেই পরিপূর্ণ বা পরিপক্বতা লাভ করেছে। চলতি মাসের শেষদিকে অমাবস্যার জো’তে ডিম ছাড়তে পারে। তাই নদীকে অবশ্যই বন্দর নগরী ও তৎসংলগ্ন আবাসিক এলাকার বিষাক্ত বর্জ্যের ঝুঁকি থেকে বাঁচাতে হবে। অন্যথায় হুমকির মুখে পড়বে হালদার মা মাছ ও জীববৈচিত্র্য।
তা ছাড়া প্রতিনিয়তই দূষণের মাত্রা বাড়ছে। এখনই ব্যবস্থা নেওয়া না গেলে হালদার পরিণতি হবে ভয়াবহ। হালদার সঙ্গে যুক্ত বিশেষ করে কাটাখালী ও খন্দকিয়াসহ আরও কয়েকটি খালের বিষাক্ত বর্জ্য এসে পড়ছে নদীতে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ‘অনন্যা’ আবাসিক ও তৎসংলগ্ন আবাসিক এলাকার বর্জ্য প্রকল্পের মূল নালা হয়ে কুয়াইশ, কৃষ্ণ ও খন্দকিয়া খাল হয়ে হালদায় পড়ছে বলে ওই বিশেষজ্ঞ মনে করেন।
এ ব্যাপারে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহিদুল আলম বলেন, ‘বর্জ্য হালদাকে দূষিত করছে বিষয়টি আমলে নেওয়া হয়েছে। কীভাবে বর্জ্যগুলো আসছে এবং কী করলে তা নির্মূল করা যায়—এ নিয়ে একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে কিছুদিনের মধ্যে আমরা কর্তৃপক্ষকে জানাব।’
প্রসঙ্গত, হাটহাজারী-রাউজান-ফটিকছড়ি উপজেলা সীমানাঘেঁষে বয়ে যাওয়া হালদা নদীতে প্রতিবছর বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠে কার্পজাতীয় মা মাছ ডিম ছাড়ে। এরপর হালদাপাড়ের ডিম সংগ্রহকারীরা তা সংগ্রহ করেন। হ্যাচারির চেয়ে হালদার পোনা দ্রুত বর্ধনশীল বলে এর কদর সারা দেশে। সংগ্রহকারীরা ডিম থেকে রেণু ফুটিয়ে বিক্রি করেন। রেণুর আয় দিয়ে পুরো বছর জীবিকা নির্বাহ করেন তাঁরা।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে