সম্পাদকীয়
এবার বড় ছুটি পাওয়ায় কক্সবাজার ও কুয়াকাটায় পর্যটকের ভিড় দেখা গেছে। দুর্গাপূজা, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ও প্রবারণার কারণে বেশ বড় ছিল ছুটি। অনেকেই ছুটির এ সুযোগ কাজে লাগাতে চেয়েছেন। সপরিবারে কিংবা বন্ধুবান্ধবসহ বেরিয়ে পড়েছেন ভ্রমণে। ভ্রমণের জন্য সমুদ্রসৈকত সব সময়ই থাকে পছন্দের শীর্ষে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। দলে দলে মানুষ ছুটেছে সমুদ্রের দিকে।
পর্যটনশিল্পের জন্য এটাকে ইতিবাচক একটি ঘটনা বলে উল্লেখ করা যেত, যদি না সামগ্রিক ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা থাকত। বিভিন্ন খবর থেকে জানা গেছে, পর্যটকদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কক্সবাজার ও কুয়াকাটা আবাসিক হোটেল-রিসোর্টের অনেকগুলোই হঠাৎ করে তাদের ঘরের মূল্যতালিকা বদলে ফেলেছে। যে হোটেলে থাকার খরচ ছিল আড়াই হাজার টাকা, সেই হোটেলেই একই কক্ষের ভাড়া চাওয়া হয়েছে চার হাজার টাকা। পর্যটকদের সঙ্গে নানা জায়গায় করা হয়েছে অসদাচরণ। শুধু হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকেই বাজে ব্যবহার পেয়েছেন পর্যটকেরা—এমন নয়; গাড়িচালক, দোকানদার, ঘোড়াওয়ালা—প্রত্যেকেই নিজেদের ফায়দা লোটার শিকারে পরিণত করেছেন পর্যটকদের।
ঢালাওভাবে পর্যটনব্যবস্থার সমালোচনা করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমরা শুধু বলতে চাইছি, পর্যটনকে মানুষের আগ্রহের জায়গায় আনতে হলে তাঁকে তো নির্ভার সময় কাটানোর সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। সেখানেই তো দেখা যাচ্ছে অনীহা। তাহলে আমাদের পর্যটন বিকশিত হবে কীভাবে?
পর্যটন একটি বিপুল সম্ভাবনাময় খাত। ব্যবস্থাপনার অভাব, নিরাপত্তাহীনতা এবং লোভ সাগরপাড়ের পর্যটনব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। এমনিতেই আমরা জানি, বিদেশি পর্যটকেরা দেদার ভারত বা নেপালে পর্যটনে গেলেও বাংলাদেশমুখী হন কমজনই। এর কারণ নিয়ে বহুবার লেখালেখি হয়েছে, কিন্তু কোনো মহল থেকেই সেই কারণগুলো উৎপাটনের সে রকম কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বিদেশি পর্যটকদের যেসব চাহিদা রয়েছে, এর মধ্যে নিরাপত্তাব্যবস্থা অন্যতম। তাঁরা ঘুরতে আসেন টাকা খরচ করতে। ফলে তাঁদের জন্য যদি আলাদা করে কিছু সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়, সেটাও আমাদের পর্যটনশিল্পের জন্য লাভজনক বিষয় হবে। এ ব্যাপারে বহুবার বলা হয়েছে, কিন্তু তা নিয়ে খুব একটা ভাবা হয়নি।
নিরাপত্তার বিষয়টি দেশি পর্যটকদের ক্ষেত্রেও একইভাবে প্রযোজ্য। পর্যটনে মানুষ যায় একঘেয়ে জীবন থেকে বাঁচতে এবং প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকার অপার সুযোগ পেতে। কিন্তু আমরা দেখেছি অনেক সময় পর্যটন এলাকা নিরাপদ থাকে না। যেকোনো ব্যবসায়ের নৈতিক দিকটি খুব জরুরি। আমাদের পর্যটন এলাকায় যে হোটেলগুলো আছে, এর মধ্যে প্রথম শ্রেণির হোটেলগুলোতে হয়তোবা কক্ষভাড়া নিয়ে লুকোচুরি হয় না। কিন্তু মাঝারি মানের হোটেলগুলোতেই বেশির ভাগ পর্যটক আসেন। মাঝারি আয়ের মানুষ অনেক কষ্ট করে টাকা জমিয়ে যখন অবসর কাটানোর জন্য একটি হোটেলের কক্ষ ভাড়া করতে যান, তখন অনৈতিকভাবে বাড়িয়ে দেওয়া ভাড়া শোধ করার ক্ষমতা তাঁদের থাকে না। থাকলেও কেন তিনি সেই ভাড়া দেবেন, সে প্রশ্নেরই-বা উত্তর দেবে কে? পর্যটনসংশ্লিষ্টদের এ নিয়ে মাথা ঘামানো উচিত।
এবার বড় ছুটি পাওয়ায় কক্সবাজার ও কুয়াকাটায় পর্যটকের ভিড় দেখা গেছে। দুর্গাপূজা, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ও প্রবারণার কারণে বেশ বড় ছিল ছুটি। অনেকেই ছুটির এ সুযোগ কাজে লাগাতে চেয়েছেন। সপরিবারে কিংবা বন্ধুবান্ধবসহ বেরিয়ে পড়েছেন ভ্রমণে। ভ্রমণের জন্য সমুদ্রসৈকত সব সময়ই থাকে পছন্দের শীর্ষে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। দলে দলে মানুষ ছুটেছে সমুদ্রের দিকে।
পর্যটনশিল্পের জন্য এটাকে ইতিবাচক একটি ঘটনা বলে উল্লেখ করা যেত, যদি না সামগ্রিক ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা থাকত। বিভিন্ন খবর থেকে জানা গেছে, পর্যটকদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কক্সবাজার ও কুয়াকাটা আবাসিক হোটেল-রিসোর্টের অনেকগুলোই হঠাৎ করে তাদের ঘরের মূল্যতালিকা বদলে ফেলেছে। যে হোটেলে থাকার খরচ ছিল আড়াই হাজার টাকা, সেই হোটেলেই একই কক্ষের ভাড়া চাওয়া হয়েছে চার হাজার টাকা। পর্যটকদের সঙ্গে নানা জায়গায় করা হয়েছে অসদাচরণ। শুধু হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকেই বাজে ব্যবহার পেয়েছেন পর্যটকেরা—এমন নয়; গাড়িচালক, দোকানদার, ঘোড়াওয়ালা—প্রত্যেকেই নিজেদের ফায়দা লোটার শিকারে পরিণত করেছেন পর্যটকদের।
ঢালাওভাবে পর্যটনব্যবস্থার সমালোচনা করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমরা শুধু বলতে চাইছি, পর্যটনকে মানুষের আগ্রহের জায়গায় আনতে হলে তাঁকে তো নির্ভার সময় কাটানোর সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। সেখানেই তো দেখা যাচ্ছে অনীহা। তাহলে আমাদের পর্যটন বিকশিত হবে কীভাবে?
পর্যটন একটি বিপুল সম্ভাবনাময় খাত। ব্যবস্থাপনার অভাব, নিরাপত্তাহীনতা এবং লোভ সাগরপাড়ের পর্যটনব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। এমনিতেই আমরা জানি, বিদেশি পর্যটকেরা দেদার ভারত বা নেপালে পর্যটনে গেলেও বাংলাদেশমুখী হন কমজনই। এর কারণ নিয়ে বহুবার লেখালেখি হয়েছে, কিন্তু কোনো মহল থেকেই সেই কারণগুলো উৎপাটনের সে রকম কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বিদেশি পর্যটকদের যেসব চাহিদা রয়েছে, এর মধ্যে নিরাপত্তাব্যবস্থা অন্যতম। তাঁরা ঘুরতে আসেন টাকা খরচ করতে। ফলে তাঁদের জন্য যদি আলাদা করে কিছু সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়, সেটাও আমাদের পর্যটনশিল্পের জন্য লাভজনক বিষয় হবে। এ ব্যাপারে বহুবার বলা হয়েছে, কিন্তু তা নিয়ে খুব একটা ভাবা হয়নি।
নিরাপত্তার বিষয়টি দেশি পর্যটকদের ক্ষেত্রেও একইভাবে প্রযোজ্য। পর্যটনে মানুষ যায় একঘেয়ে জীবন থেকে বাঁচতে এবং প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকার অপার সুযোগ পেতে। কিন্তু আমরা দেখেছি অনেক সময় পর্যটন এলাকা নিরাপদ থাকে না। যেকোনো ব্যবসায়ের নৈতিক দিকটি খুব জরুরি। আমাদের পর্যটন এলাকায় যে হোটেলগুলো আছে, এর মধ্যে প্রথম শ্রেণির হোটেলগুলোতে হয়তোবা কক্ষভাড়া নিয়ে লুকোচুরি হয় না। কিন্তু মাঝারি মানের হোটেলগুলোতেই বেশির ভাগ পর্যটক আসেন। মাঝারি আয়ের মানুষ অনেক কষ্ট করে টাকা জমিয়ে যখন অবসর কাটানোর জন্য একটি হোটেলের কক্ষ ভাড়া করতে যান, তখন অনৈতিকভাবে বাড়িয়ে দেওয়া ভাড়া শোধ করার ক্ষমতা তাঁদের থাকে না। থাকলেও কেন তিনি সেই ভাড়া দেবেন, সে প্রশ্নেরই-বা উত্তর দেবে কে? পর্যটনসংশ্লিষ্টদের এ নিয়ে মাথা ঘামানো উচিত।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে