সাইফুল ইসলাম, চরফ্যাশন (ভোলা)
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও), আড়তদার ও পাইকারদের দাদনের জালে জিম্মি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দুই লক্ষাধিক কৃষক। তাঁদের অনেকেই নিজের জমিতে ও বর্গা নিয়ে মৌসুমভিত্তিক ফসল চাষ করেন। মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর অব্যাহত ভাঙনসহ নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে আর্থিক সংকটে পড়েন চাষিরা। সংকট কাটিয়ে ফসল উৎপাদনের জন্য তাঁরা ঋণ নিতে বাধ্য হন। এই সুযোগে উপজেলায় ছোট-বড় এনজিওসহ বিভিন্ন সমিতির নামে অর্ধশতাধিক সংস্থা কৃষককে ঋণ দিচ্ছে।
কৃষকেরা জানিয়েছেন, ব্যাংকগুলোর কৃষিঋণ বিতরণে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা থাকলেও প্রকৃত কৃষকেরা ঋণ পান না। ফলে সাধারণ কৃষক এনজিও ও দাদন ব্যবসায়ীদের ঋণের ওপর নির্ভর করেন। এ জন্য তাঁদের প্রতি মাসে শতকরা ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত সুদ দিতে হয়। এতে অধিক সুদের কিস্তি চালাতে কৃষকেরা একদিকে যেমন নিঃস্ব হচ্ছেন, অন্যদিকে তেমনি ফসল উৎপাদনের উৎসাহ হারাচ্ছেন।
আমিনাবাদ এলাকার কৃষক মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘অন্যের জমি বর্গা নিয়ে মরিচের আবাদ করেছি। স্থানীয় একটা এনজিও থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছি। প্রতি সপ্তাহে ঋণের কিস্তি চালাতে হয়। এনজিওগুলোর ঋণে বন্দী হয়ে কৃষকেরা ফসল উৎপাদনে আগ্রহ হারাবে।’
চরমাদ্রাজ এলাকার কৃষক আবুল কাশেম, আবদুল হাই, মো. কবির জানান, এখানকার কৃষকদের ঋণের বোঝা দিন দিন বাড়ছে। এক ঋণ থেকে বাঁচতে অন্য ঋণের জালে জড়িয়ে পড়েছেন তাঁরা। ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে গৃহবধূর গয়না, হালের গরু, ছাগল ও হাঁস-মুরগি বিক্রি করতে হচ্ছে। তবুও ঋণের বেড়াজাল থেকে বের হতে পারছেন না তাঁরা। এ দিকে নদীর ভাঙনের ফলে অনেক ঘরবাড়ি, আবাদি জমি নদীতে বিলীন হওয়ায় শত শত পরিবার এখন নিঃস্ব, তাই জমি না থাকার কারণে তাঁরা ব্যাংক ঋণ পাচ্ছেন না। জীবন বাঁচানোর তাগিদে অধিক সুদে এনজিওর ঋণ নিতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগেও ছাড় দেয় না এনজিওগুলো। ঋণের কিস্তি সংগ্রহ করতে আসেন এনজিওর কর্মীরা।
একাধিক এনজিও সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৮০ ভাগ মানুষ কোনো না কোনোভাবে ঋণের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। প্রতিদিন সকাল হলেই ঋণের টাকার কিস্তির জন্য হাজির হন এনজিওর কর্মীরা। তাঁদের দেখলেই চমকে ওঠেন নদী ভাঙন ও বন্যাকবলিত এলাকার দরিদ্র মানুষ। বিভিন্ন এনজিওর ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে দিশেহারা তাঁরা। অনেক কৃষক পরিবার একাধিক এনজিওর ঋণে জর্জরিত। একটির কিস্তি পরিশোধ করতে না করতেই অন্যটির টাকা জোগাড় করতে হয়। ফলে ঋণগ্রহীতাদের দাদন ব্যবসায়ীর দ্বারস্থ হতে হয়। আড়তদারদের কাছ থেকে উচ্চহারে সুদ বা কম মূল্যে আগাম ফসল বিক্রি করে টাকা নিয়ে এনজিওর কিস্তি দিতে হয়।
কাঁচা সবজির আড়তদার কাইয়ুম বাণিজ্যালয়ের মালিক আবদুল কাইয়ুম মিয়াজি বলেন, ‘আমার আড়তে বাছেদ মাঝি, ফারুক মাঝি, জামাল আহন, আবদুল্লাহপুর এলাকার রফিক হাওলাদার, নূরনবী ডাক্তারসহ ২৫-৩০ জন চাষি দাদন দেন। তাঁদের সবজি চাষের জন্য প্রায় ২০ লাখ টাকা দাদন দিয়েছি। তাঁরা সবজি চাষ করে আমার আড়তে বিক্রি করেন। পর্যায়ক্রমে দাদনের টাকা পরিশোধ করেন।’
কৃষি ব্যাংক চরফ্যাশন শাখার ব্যবস্থাপক মো. মামুন বলেন, করোনাকালীন কৃষকদের কৃষি প্রণোদনার আওতায় ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সাধারণত ৮ শতাংশ হারে কৃষকদের ঋণ দেওয়া হয়। ২০২১-২২ অর্থবছরে চরফ্যাশন সদর শাখা থেকে ৪২৩ কৃষককে ঋণ দেওয়া হয়েছে। চরফ্যাশন উপজেলায় কৃষি ব্যাংকের ৬টি শাখা থেকে বিনা জামানতে কৃষকদের ঋণসহায়তা দেওয়া হয়। এ ঋণের আওতায় বর্গাচাষিরাও রয়েছেন।
ইউসিবি ব্যাংক চরফ্যাশন শাখার ব্যবস্থাপক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে ১২৯ তরমুজচাষিকে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে কৃষিঋণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
চরফ্যাশন উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ঠাকুর কৃষ্ণ বলেন, উপজেলায় ২ লাখ ৬০ হাজার কৃষক রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দেড় লাখ কৃষিজমি বর্গা নিয়ে ফসল চাষ করেন। নিজস্ব কৃষিজমি না থাকায় তাঁরা ব্যাংক ঋণ পাচ্ছেন না। তাই, অধিক সুদে ঋণ পেতে এনজিও, আড়তদার ও পাইকারদের দ্বারস্থ হতে হয়।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও), আড়তদার ও পাইকারদের দাদনের জালে জিম্মি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দুই লক্ষাধিক কৃষক। তাঁদের অনেকেই নিজের জমিতে ও বর্গা নিয়ে মৌসুমভিত্তিক ফসল চাষ করেন। মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর অব্যাহত ভাঙনসহ নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে আর্থিক সংকটে পড়েন চাষিরা। সংকট কাটিয়ে ফসল উৎপাদনের জন্য তাঁরা ঋণ নিতে বাধ্য হন। এই সুযোগে উপজেলায় ছোট-বড় এনজিওসহ বিভিন্ন সমিতির নামে অর্ধশতাধিক সংস্থা কৃষককে ঋণ দিচ্ছে।
কৃষকেরা জানিয়েছেন, ব্যাংকগুলোর কৃষিঋণ বিতরণে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা থাকলেও প্রকৃত কৃষকেরা ঋণ পান না। ফলে সাধারণ কৃষক এনজিও ও দাদন ব্যবসায়ীদের ঋণের ওপর নির্ভর করেন। এ জন্য তাঁদের প্রতি মাসে শতকরা ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত সুদ দিতে হয়। এতে অধিক সুদের কিস্তি চালাতে কৃষকেরা একদিকে যেমন নিঃস্ব হচ্ছেন, অন্যদিকে তেমনি ফসল উৎপাদনের উৎসাহ হারাচ্ছেন।
আমিনাবাদ এলাকার কৃষক মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘অন্যের জমি বর্গা নিয়ে মরিচের আবাদ করেছি। স্থানীয় একটা এনজিও থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছি। প্রতি সপ্তাহে ঋণের কিস্তি চালাতে হয়। এনজিওগুলোর ঋণে বন্দী হয়ে কৃষকেরা ফসল উৎপাদনে আগ্রহ হারাবে।’
চরমাদ্রাজ এলাকার কৃষক আবুল কাশেম, আবদুল হাই, মো. কবির জানান, এখানকার কৃষকদের ঋণের বোঝা দিন দিন বাড়ছে। এক ঋণ থেকে বাঁচতে অন্য ঋণের জালে জড়িয়ে পড়েছেন তাঁরা। ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে গৃহবধূর গয়না, হালের গরু, ছাগল ও হাঁস-মুরগি বিক্রি করতে হচ্ছে। তবুও ঋণের বেড়াজাল থেকে বের হতে পারছেন না তাঁরা। এ দিকে নদীর ভাঙনের ফলে অনেক ঘরবাড়ি, আবাদি জমি নদীতে বিলীন হওয়ায় শত শত পরিবার এখন নিঃস্ব, তাই জমি না থাকার কারণে তাঁরা ব্যাংক ঋণ পাচ্ছেন না। জীবন বাঁচানোর তাগিদে অধিক সুদে এনজিওর ঋণ নিতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগেও ছাড় দেয় না এনজিওগুলো। ঋণের কিস্তি সংগ্রহ করতে আসেন এনজিওর কর্মীরা।
একাধিক এনজিও সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৮০ ভাগ মানুষ কোনো না কোনোভাবে ঋণের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। প্রতিদিন সকাল হলেই ঋণের টাকার কিস্তির জন্য হাজির হন এনজিওর কর্মীরা। তাঁদের দেখলেই চমকে ওঠেন নদী ভাঙন ও বন্যাকবলিত এলাকার দরিদ্র মানুষ। বিভিন্ন এনজিওর ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে দিশেহারা তাঁরা। অনেক কৃষক পরিবার একাধিক এনজিওর ঋণে জর্জরিত। একটির কিস্তি পরিশোধ করতে না করতেই অন্যটির টাকা জোগাড় করতে হয়। ফলে ঋণগ্রহীতাদের দাদন ব্যবসায়ীর দ্বারস্থ হতে হয়। আড়তদারদের কাছ থেকে উচ্চহারে সুদ বা কম মূল্যে আগাম ফসল বিক্রি করে টাকা নিয়ে এনজিওর কিস্তি দিতে হয়।
কাঁচা সবজির আড়তদার কাইয়ুম বাণিজ্যালয়ের মালিক আবদুল কাইয়ুম মিয়াজি বলেন, ‘আমার আড়তে বাছেদ মাঝি, ফারুক মাঝি, জামাল আহন, আবদুল্লাহপুর এলাকার রফিক হাওলাদার, নূরনবী ডাক্তারসহ ২৫-৩০ জন চাষি দাদন দেন। তাঁদের সবজি চাষের জন্য প্রায় ২০ লাখ টাকা দাদন দিয়েছি। তাঁরা সবজি চাষ করে আমার আড়তে বিক্রি করেন। পর্যায়ক্রমে দাদনের টাকা পরিশোধ করেন।’
কৃষি ব্যাংক চরফ্যাশন শাখার ব্যবস্থাপক মো. মামুন বলেন, করোনাকালীন কৃষকদের কৃষি প্রণোদনার আওতায় ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সাধারণত ৮ শতাংশ হারে কৃষকদের ঋণ দেওয়া হয়। ২০২১-২২ অর্থবছরে চরফ্যাশন সদর শাখা থেকে ৪২৩ কৃষককে ঋণ দেওয়া হয়েছে। চরফ্যাশন উপজেলায় কৃষি ব্যাংকের ৬টি শাখা থেকে বিনা জামানতে কৃষকদের ঋণসহায়তা দেওয়া হয়। এ ঋণের আওতায় বর্গাচাষিরাও রয়েছেন।
ইউসিবি ব্যাংক চরফ্যাশন শাখার ব্যবস্থাপক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে ১২৯ তরমুজচাষিকে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে কৃষিঋণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
চরফ্যাশন উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ঠাকুর কৃষ্ণ বলেন, উপজেলায় ২ লাখ ৬০ হাজার কৃষক রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দেড় লাখ কৃষিজমি বর্গা নিয়ে ফসল চাষ করেন। নিজস্ব কৃষিজমি না থাকায় তাঁরা ব্যাংক ঋণ পাচ্ছেন না। তাই, অধিক সুদে ঋণ পেতে এনজিও, আড়তদার ও পাইকারদের দ্বারস্থ হতে হয়।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে