মো. মাহবুবুল আলম মিন্টু, রায়পুর (লক্ষ্মীপুর)
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় বাতাসের বেগ একটু বাড়লেই চলে যায় বিদ্যুৎ। চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা লেগে যায় আবার ফিরে আসতে। এ ছাড়া ঝোড়ো হাওয়া হলেতো কথাই নেই। কখনো কখনো সেটি এক থেকে দুই দিনেও স্বাভাবিক হতে পারে না।
এখানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে প্রধান বাধা সুপারি গাছ। এসব গাছ এখন বিদ্যুৎ কর্মীদের কাছে আতঙ্কের নাম। কখন, কোথায় সুপারি গাছ উপড়ে পড়ে লাইন বিচ্ছিন্ন হয়-এ নিয়েই তাঁদের দিনভর ব্যস্ত থাকতে হয়। এ ছাড়া নারিকেল, কড়ইসহ অন্যান্য গাছের ডালা ও পাতা পড়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
পল্লি বিদ্যুৎ সমিতিতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির রায়পুর জোনাল অফিসের মাধ্যমে উপজেলাটিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা চালু রয়েছে। দশটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা মিলিয়ে এখানে মোট গ্রাহক ৯৫ হাজার ৮৫৬ জন। এর মধ্যে আবাসিক গ্রাহকের সংখ্যা ৭৯ হাজার ৯২২ ও বাণিজ্যিক গ্রাহক ৭ হাজার ৬৩৯ জন।
কর্মকর্তা ও কর্মচারী ৯৫ জন। রায়পুর, রাখালিয়া, হায়দরগঞ্জ ও আখনবাজারে স্থাপিত ৪টি অভিযোগ কেন্দ্রের মাধ্যমে গ্রাহকসেবা চলছে। ১২টি ফিডের মাধ্যমে চালানো হচ্ছে সঞ্চালন লাইনগুলো। ৩০ জন লাইনম্যান প্রতিদিন গ্রাহকদের বিভিন্ন অভিযোগের সুরাহা করতে মাঠে কাজ করেন।
চর আবাবিল ইউনিয়নের দিঘলদী গ্রামের গ্রাহক ইমাম হোসেন (৫৫) বলেন, ‘কিছুদিন আগে কয়েকটি স্থানে গাছ পড়লে আমাদের গ্রামে দুই দিন পর্যন্ত বিদ্যুৎ লাইন সচল হয়নি। তাই আমরা চাই-হয় লাইনের পাশ থেকে নিয়ম অনুযায়ী গাছ কাটা হোক, নয়তো গাছের কাছ থেকে সঞ্চালন লাইন ধীরে ধীরে সরিয়ে ফেলা হোক। আমরা স্বাভাবিক বিদ্যুৎ সেবা পেতে চাই।’
পৌরসভার কাঞ্চনপুর গ্রামের গ্রাহক আকলিমা বেগম (৪৫) বলেন, ‘আগে বাতাস বাড়লে ঘর-দরজা ভেঙে পড়া নিয়ে আতঙ্কে থাকতাম। কিন্তু এখন সঙ্গে যোগ হয়েছে বিদ্যুৎ চলে যাওয়া। লাইনের ওপর একবার গাছ পড়লে ৮-১০ ঘণ্টায়ও বিদ্যুৎ ফিরে আসার সম্ভাবনা থাকে না। কখনো কখনো এটা এক-দুই দিনেও গড়ায়। এত বেশি পরিমাণ গাছ পড়ে যে বিদ্যুতের লোকজন দিন-রাত চেষ্টা করেও লাইন চালু করতে সক্ষম হয় না।
বামনী গ্রামের বাসিন্দা বিদ্যুৎ গ্রাহক ও সুপারি বাগানের মালিক শামছুল ইসলাম বলেন, আমাদের এ অঞ্চলের লোকদের আয়ের অন্যতম অংশ আসে নারিকেল-সুপারির বাগান থেকেই। তাই এগুলো যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি জীবনযাত্রার জন্য বিদ্যুৎও অপরিহার্য। এ জন্য যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালনা লাইনগুলোকে আধুনিকায়ন বা ভূগর্ভস্থ লাইনে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি এখনই ভাবা উচিত।’
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে রায়পুর উপজেলায় ১৯ হাজার ২৭৫ হেক্টর জমিতে সুপারি বাগান রয়েছে। বছরে প্রায় ১০০ কোটি টাকার বেচাকেনা হয়। এমন কোনো বাড়ি পাওয়া যাবে না যেখানে ছোট-বড় সুপারি বাগান নেই। অন্যদিকে পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যুতের লাইনের দুই পাশে ১০ ফুট করে মোট ২০ ফুটের মধ্যে কোনো গাছ থাকতে পারবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পল্লি বিদ্যুতের একজন লাইনম্যান বলেন, বাতাস বাড়তে দেখলেই আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। এখন গড়ে প্রতিদিন ১০-১২টি অভিযোগ সমাধান করলেও তখন তা বেড়ে ৭০-৮০ টির মতো দাঁড়ায়। কখনো কখনো দিন-রাত কাজ করে লাইন চালু করতে হয়। জোনাল অফিসে আরও ১০-১২ জন লাইনম্যান পদায়ন করলে এ দুর্ভোগ কিছুটা হলেও কমে যেতো।
লক্ষ্মীপুর পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির রায়পুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) সাহাদাত হোসেন বলেন, ‘৩টি উপকেন্দ্রের মাধ্যমে এ উপজেলায় আমাদের এক হাজার ৩১৮ কিলোমিটার লাইন পরিচালনা করতে হয়। প্রতিদিন এখানে ২৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। জাতীয় চাহিদা সমন্বয় করতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই আমাদের ২-৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কম দেওয়ায় লোডশেডিং করতে হয়। তারপরও আমরা বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে কাজ করে যাচ্ছি।’
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় বাতাসের বেগ একটু বাড়লেই চলে যায় বিদ্যুৎ। চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা লেগে যায় আবার ফিরে আসতে। এ ছাড়া ঝোড়ো হাওয়া হলেতো কথাই নেই। কখনো কখনো সেটি এক থেকে দুই দিনেও স্বাভাবিক হতে পারে না।
এখানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে প্রধান বাধা সুপারি গাছ। এসব গাছ এখন বিদ্যুৎ কর্মীদের কাছে আতঙ্কের নাম। কখন, কোথায় সুপারি গাছ উপড়ে পড়ে লাইন বিচ্ছিন্ন হয়-এ নিয়েই তাঁদের দিনভর ব্যস্ত থাকতে হয়। এ ছাড়া নারিকেল, কড়ইসহ অন্যান্য গাছের ডালা ও পাতা পড়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
পল্লি বিদ্যুৎ সমিতিতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির রায়পুর জোনাল অফিসের মাধ্যমে উপজেলাটিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা চালু রয়েছে। দশটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা মিলিয়ে এখানে মোট গ্রাহক ৯৫ হাজার ৮৫৬ জন। এর মধ্যে আবাসিক গ্রাহকের সংখ্যা ৭৯ হাজার ৯২২ ও বাণিজ্যিক গ্রাহক ৭ হাজার ৬৩৯ জন।
কর্মকর্তা ও কর্মচারী ৯৫ জন। রায়পুর, রাখালিয়া, হায়দরগঞ্জ ও আখনবাজারে স্থাপিত ৪টি অভিযোগ কেন্দ্রের মাধ্যমে গ্রাহকসেবা চলছে। ১২টি ফিডের মাধ্যমে চালানো হচ্ছে সঞ্চালন লাইনগুলো। ৩০ জন লাইনম্যান প্রতিদিন গ্রাহকদের বিভিন্ন অভিযোগের সুরাহা করতে মাঠে কাজ করেন।
চর আবাবিল ইউনিয়নের দিঘলদী গ্রামের গ্রাহক ইমাম হোসেন (৫৫) বলেন, ‘কিছুদিন আগে কয়েকটি স্থানে গাছ পড়লে আমাদের গ্রামে দুই দিন পর্যন্ত বিদ্যুৎ লাইন সচল হয়নি। তাই আমরা চাই-হয় লাইনের পাশ থেকে নিয়ম অনুযায়ী গাছ কাটা হোক, নয়তো গাছের কাছ থেকে সঞ্চালন লাইন ধীরে ধীরে সরিয়ে ফেলা হোক। আমরা স্বাভাবিক বিদ্যুৎ সেবা পেতে চাই।’
পৌরসভার কাঞ্চনপুর গ্রামের গ্রাহক আকলিমা বেগম (৪৫) বলেন, ‘আগে বাতাস বাড়লে ঘর-দরজা ভেঙে পড়া নিয়ে আতঙ্কে থাকতাম। কিন্তু এখন সঙ্গে যোগ হয়েছে বিদ্যুৎ চলে যাওয়া। লাইনের ওপর একবার গাছ পড়লে ৮-১০ ঘণ্টায়ও বিদ্যুৎ ফিরে আসার সম্ভাবনা থাকে না। কখনো কখনো এটা এক-দুই দিনেও গড়ায়। এত বেশি পরিমাণ গাছ পড়ে যে বিদ্যুতের লোকজন দিন-রাত চেষ্টা করেও লাইন চালু করতে সক্ষম হয় না।
বামনী গ্রামের বাসিন্দা বিদ্যুৎ গ্রাহক ও সুপারি বাগানের মালিক শামছুল ইসলাম বলেন, আমাদের এ অঞ্চলের লোকদের আয়ের অন্যতম অংশ আসে নারিকেল-সুপারির বাগান থেকেই। তাই এগুলো যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি জীবনযাত্রার জন্য বিদ্যুৎও অপরিহার্য। এ জন্য যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালনা লাইনগুলোকে আধুনিকায়ন বা ভূগর্ভস্থ লাইনে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি এখনই ভাবা উচিত।’
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে রায়পুর উপজেলায় ১৯ হাজার ২৭৫ হেক্টর জমিতে সুপারি বাগান রয়েছে। বছরে প্রায় ১০০ কোটি টাকার বেচাকেনা হয়। এমন কোনো বাড়ি পাওয়া যাবে না যেখানে ছোট-বড় সুপারি বাগান নেই। অন্যদিকে পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যুতের লাইনের দুই পাশে ১০ ফুট করে মোট ২০ ফুটের মধ্যে কোনো গাছ থাকতে পারবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পল্লি বিদ্যুতের একজন লাইনম্যান বলেন, বাতাস বাড়তে দেখলেই আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। এখন গড়ে প্রতিদিন ১০-১২টি অভিযোগ সমাধান করলেও তখন তা বেড়ে ৭০-৮০ টির মতো দাঁড়ায়। কখনো কখনো দিন-রাত কাজ করে লাইন চালু করতে হয়। জোনাল অফিসে আরও ১০-১২ জন লাইনম্যান পদায়ন করলে এ দুর্ভোগ কিছুটা হলেও কমে যেতো।
লক্ষ্মীপুর পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির রায়পুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) সাহাদাত হোসেন বলেন, ‘৩টি উপকেন্দ্রের মাধ্যমে এ উপজেলায় আমাদের এক হাজার ৩১৮ কিলোমিটার লাইন পরিচালনা করতে হয়। প্রতিদিন এখানে ২৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। জাতীয় চাহিদা সমন্বয় করতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই আমাদের ২-৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কম দেওয়ায় লোডশেডিং করতে হয়। তারপরও আমরা বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে কাজ করে যাচ্ছি।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে