আব্দুর রাজ্জাক, ঘিওর (মানিকগঞ্জ)
‘হলুদ গাঁদার ফুল, রাঙা পলাশ ফুল, এনে দে এনে দে নইলে বাঁধব না, বাঁধব না চুল।’ গাঁদা ফুলে মুগ্ধ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের গানে এভাবেই উঠে এসেছে এই ফুলের জন্য আকুতি। সেই গাঁদায় সেজেছে মানিকগঞ্জের ঘিওর। উপজেলার আনাচ-কানাচ ভরে উঠেছে লাল-হলুদ গাঁদা ফুলে।
একসময় বাড়ির উঠান কিংবা ছাদে টবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল ফুল ফোটানো। তবে এখন দিন পাল্টেছে, বেড়েছে ফুলের চাহিদা। ফলে শৌখিন বাগানের গণ্ডি পেরিয়ে ফুল হয়ে উঠেছে চাষের পণ্য, বাণিজ্যিক পণ্য। সব ফুলের মধ্যে গাঁদার চাহিদা আগে থেকেই একটু বেশি। বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবসসহ বিভিন্ন দিবসের আয়োজনে কিংবা বিয়ে, জন্মদিন, পূজার মতো উৎসব-অনুষ্ঠানে এই ফুলের ব্যাপক ব্যবহার হয়। দিনে দিনে চাহিদা বাড়ায় মানিকগঞ্জেও বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে গাঁদার চাষ।
গাঁদা মূলত শীতকালীন ফুল। তবে অগ্রহায়ণ থেকেই ফুটতে শুরু করে। পৌষ আসতে এখনো দিন সাতেক বাকি। তবে এবার শীত একটু আগেভাগেই চলে এসেছে। আর শীতের প্রভাবে ফুটতে শুরু করেছে হলুদ-লাল গাঁদা, রঙিন হয়ে উঠতে শুরু করেছে মানিকগঞ্জের ঘিওর। শুধু ঘিওরই নয়, মানিকগঞ্জ সদর, সিঙ্গাইর, হরিরামপুর, সাটুরিয়া, দৌলতপুর, শিবালয়ের বিভিন্ন এলাকায়ও এই ফুলের চাষ হয়।
গাঁদা ফুল বিভিন্ন জাত রয়েছে, যেমন ইনকা, গিনি গোল্ড, ইয়েলো সুপ্রিম, গোল্ডস্মিথ, ম্যান ইন দ্য মুন, মেরিয়েটা, হারমনি, লিজন অব অনার ইত্যাদি। আমাদের দেশে চায়নিজ গাঁদা, রাজ গাঁদা, আফ্রিকান ও ফরাসি জাতের গাঁদার চাষ বেশি হয়। গাঁদার নাম শুনলে চোখে হলুদ রঙের এই ফুলের ছবি ভাসলেও লাল, কমলা, গাঢ় খয়েরি, লাল-হলুদের মিশ্রণের গাঁদাও পাওয়া যায়।
ঘিওরের ফুলচাষি সাখাওয়াত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, দোআঁশ মাটি গাঁদা চাষের উপযোগী। বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদের ক্ষেত্রে প্রতি শতক জমিতে ৪০ কেজি পচা গোবর, দুই কেজি ইউরিয়া, তিন কেজি টিএসপি ও দুই কেজি এমওপি সার দিতে হবে। ঘিওরের বানিয়াজুরী এলাকার সিফাত নার্সারির মালিক আব্দুর রশিদ জানান, গাঁদা ফুলের চারা রোপণ করার সময় হলো নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ সময় চারা রোপণ করলে ফুল চাষে বেশি লাভবান হওয়া যায়।
শুধুই কি সৌন্দর্যবর্ধক? গাঁদা ফুল ও পাতার রস ঔষধি হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে সুপ্রাচীনকাল থেকে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক উত্তম পালিত বলেন, গাঁদা ফুলের নির্যাস টিউমারের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ ও ক্যানসারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া কানপাকা রোগ নিরাময়েও এই নির্যাস উপকারী। শরীরের কোথাও কেটে গেলে এই ফুলের নির্যাস বেশ কাজে দেয়। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের তেল ও সুগন্ধি তৈরিতেও গাঁদা ফুল ব্যবহার হচ্ছে।
ঘিওর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ বিপুল হোসেন বলেন, বাংলাদেশে গাঁদা একটি জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত ফুল। এটি শীতকালীন ফুল হলেও গ্রীষ্ম ও বর্ষাতেও এর চাষাবাদ হয়। বাণিজ্যিক চাহিদা থাকায় এই ফুলের চাষে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হচ্ছে।
‘হলুদ গাঁদার ফুল, রাঙা পলাশ ফুল, এনে দে এনে দে নইলে বাঁধব না, বাঁধব না চুল।’ গাঁদা ফুলে মুগ্ধ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের গানে এভাবেই উঠে এসেছে এই ফুলের জন্য আকুতি। সেই গাঁদায় সেজেছে মানিকগঞ্জের ঘিওর। উপজেলার আনাচ-কানাচ ভরে উঠেছে লাল-হলুদ গাঁদা ফুলে।
একসময় বাড়ির উঠান কিংবা ছাদে টবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল ফুল ফোটানো। তবে এখন দিন পাল্টেছে, বেড়েছে ফুলের চাহিদা। ফলে শৌখিন বাগানের গণ্ডি পেরিয়ে ফুল হয়ে উঠেছে চাষের পণ্য, বাণিজ্যিক পণ্য। সব ফুলের মধ্যে গাঁদার চাহিদা আগে থেকেই একটু বেশি। বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবসসহ বিভিন্ন দিবসের আয়োজনে কিংবা বিয়ে, জন্মদিন, পূজার মতো উৎসব-অনুষ্ঠানে এই ফুলের ব্যাপক ব্যবহার হয়। দিনে দিনে চাহিদা বাড়ায় মানিকগঞ্জেও বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে গাঁদার চাষ।
গাঁদা মূলত শীতকালীন ফুল। তবে অগ্রহায়ণ থেকেই ফুটতে শুরু করে। পৌষ আসতে এখনো দিন সাতেক বাকি। তবে এবার শীত একটু আগেভাগেই চলে এসেছে। আর শীতের প্রভাবে ফুটতে শুরু করেছে হলুদ-লাল গাঁদা, রঙিন হয়ে উঠতে শুরু করেছে মানিকগঞ্জের ঘিওর। শুধু ঘিওরই নয়, মানিকগঞ্জ সদর, সিঙ্গাইর, হরিরামপুর, সাটুরিয়া, দৌলতপুর, শিবালয়ের বিভিন্ন এলাকায়ও এই ফুলের চাষ হয়।
গাঁদা ফুল বিভিন্ন জাত রয়েছে, যেমন ইনকা, গিনি গোল্ড, ইয়েলো সুপ্রিম, গোল্ডস্মিথ, ম্যান ইন দ্য মুন, মেরিয়েটা, হারমনি, লিজন অব অনার ইত্যাদি। আমাদের দেশে চায়নিজ গাঁদা, রাজ গাঁদা, আফ্রিকান ও ফরাসি জাতের গাঁদার চাষ বেশি হয়। গাঁদার নাম শুনলে চোখে হলুদ রঙের এই ফুলের ছবি ভাসলেও লাল, কমলা, গাঢ় খয়েরি, লাল-হলুদের মিশ্রণের গাঁদাও পাওয়া যায়।
ঘিওরের ফুলচাষি সাখাওয়াত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, দোআঁশ মাটি গাঁদা চাষের উপযোগী। বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদের ক্ষেত্রে প্রতি শতক জমিতে ৪০ কেজি পচা গোবর, দুই কেজি ইউরিয়া, তিন কেজি টিএসপি ও দুই কেজি এমওপি সার দিতে হবে। ঘিওরের বানিয়াজুরী এলাকার সিফাত নার্সারির মালিক আব্দুর রশিদ জানান, গাঁদা ফুলের চারা রোপণ করার সময় হলো নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ সময় চারা রোপণ করলে ফুল চাষে বেশি লাভবান হওয়া যায়।
শুধুই কি সৌন্দর্যবর্ধক? গাঁদা ফুল ও পাতার রস ঔষধি হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে সুপ্রাচীনকাল থেকে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক উত্তম পালিত বলেন, গাঁদা ফুলের নির্যাস টিউমারের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ ও ক্যানসারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া কানপাকা রোগ নিরাময়েও এই নির্যাস উপকারী। শরীরের কোথাও কেটে গেলে এই ফুলের নির্যাস বেশ কাজে দেয়। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের তেল ও সুগন্ধি তৈরিতেও গাঁদা ফুল ব্যবহার হচ্ছে।
ঘিওর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ বিপুল হোসেন বলেন, বাংলাদেশে গাঁদা একটি জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত ফুল। এটি শীতকালীন ফুল হলেও গ্রীষ্ম ও বর্ষাতেও এর চাষাবাদ হয়। বাণিজ্যিক চাহিদা থাকায় এই ফুলের চাষে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হচ্ছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে