মেলান্দহ (জামালপুর) প্রতিনিধি
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জেনারেটর দীর্ঘদিন ধরে অকেজো। চলমান বিদ্যুৎবিভ্রাটের মধ্যে জেনারেটর না থাকায় বিপাকে পড়েছেন রোগী ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকেরা। রাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে চিকিৎসক ও নার্সদের টর্চ, মোবাইল ফোনের আলো কিংবা মোমবাতি জ্বালিয়ে সেবা দিতে হচ্ছে।
তবে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করা হলেও ব্যাটারির ক্ষমতা কম থাকায় বেশিক্ষণ আলো জ্বলে না। এ পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর উদ্যোগের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী রোগী ও স্বজনেরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, সরকারিভাবে জ্বালানি তেলের বরাদ্দ না থাকায় জেনারেটর চালানো যাচ্ছে না। এমনকি জেনারেটর চালানোর লোকবলও নেই। দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকায় জেনারেটরটির যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে গেছে। তবে সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকলেও ব্যাটারি পাওয়ার কমে যাওয়ায় এখন আর তেমন কাজে লাগে না।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যুৎ চলে গেলে রোগীদের দুর্ভোগের চিত্র। বেশির ভাগ শয্যার পাশে মোবাইল ফোনের লাইট ও মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখা হয়েছে। নারী ওয়ার্ডে সৌরবিদ্যুতের একটি এলইডি লাইটের আলো, তা-ও নিভু নিভু। পুরুষ ওয়ার্ডে একটি এলইডি এসি ডিসি বাল্ব থাকলেও কিছুক্ষণ পরপর আলো জ্বলছে আর নিভছে। এ কারণে অন্ধকারেই রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা বসে আছেন। আবার অনেকে মোমবাতি বা মোবাইল ফোনের লাইট জ্বালিয়ে খাবার খাচ্ছেন।
জরুরি বিভাগের কক্ষেও প্রায় একই অবস্থা। সৌরবিদ্যুতের ব্যাটারির পাওয়ার কমে এসেছে। ১ ঘণ্টা লোডশেডিং হলে জরুরি বিভাগের রুমেও আলো বন্ধ হয়ে। নার্স-স্টাফদের ওয়ার্ডেও একই অবস্থা। সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকলেও বেশিক্ষণ আলো জ্বলে না।
হাসপাতালে আসা দুদু মিয়া নামের এক রোগী বলেন, ‘ডায়রিয়া ওয়ার্ডে একটুও আলো জ্বলে না। বিদ্যুৎ গেলে রাতে অন্ধকারেই ওষুধ খেতে হয়। এই গরমের মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকলে রোগীরা আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। হাসপাতালের অবস্থা খুবই খারাপ। পরিবেশ একটুও ভালো না।’
নারী ওয়ার্ডের নাসিমা নামে রোগীর এক স্বজন বলেন, ‘দুদিন আগে হাসপাতালে রোগীকে ভর্তি করিয়েছি। প্রতিদিনই রাত করে বিদ্যুৎ চলে যায়। এই সময়ের মধ্যে ছোট একটা মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে রাখতে হয়। মোবাইলের লাইট ধরে রোগীকে খাবার খাওয়াইছি কাল।’
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক জামাল উদ্দিন বলেন, ‘বিদ্যুৎ চলে গেলে চিকিৎসাসেবা দিতে একটু কঠিন হয়ে পড়ে। সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকলেও ব্যাটারির পাওয়ার কমে যাওয়ায় আলো কম হয়।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে একটি জেনারেটর রয়েছে তবে তা বন্ধ। সৌরবিদ্যুৎ আছে, যা ব্যাটারি সমস্যার কারণে অনেক সময় জ্বলে না। আবার ব্যাটারির পাওয়ার কম থাকায় অল্প সময় জ্বলার পর বন্ধ হয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, এসি ডিসি বাল্ব বেশ কয়েকবার লাগানো হয়েছিল। সেগুলো থাকে না, চুরি হয়ে যায়। আর জেনারেটর চালাতে গেলে তো তেলের প্রয়োজন। জেনারেটর চালানোর লোকবলও নেই।
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জেনারেটর দীর্ঘদিন ধরে অকেজো। চলমান বিদ্যুৎবিভ্রাটের মধ্যে জেনারেটর না থাকায় বিপাকে পড়েছেন রোগী ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকেরা। রাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে চিকিৎসক ও নার্সদের টর্চ, মোবাইল ফোনের আলো কিংবা মোমবাতি জ্বালিয়ে সেবা দিতে হচ্ছে।
তবে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করা হলেও ব্যাটারির ক্ষমতা কম থাকায় বেশিক্ষণ আলো জ্বলে না। এ পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর উদ্যোগের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী রোগী ও স্বজনেরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, সরকারিভাবে জ্বালানি তেলের বরাদ্দ না থাকায় জেনারেটর চালানো যাচ্ছে না। এমনকি জেনারেটর চালানোর লোকবলও নেই। দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকায় জেনারেটরটির যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে গেছে। তবে সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকলেও ব্যাটারি পাওয়ার কমে যাওয়ায় এখন আর তেমন কাজে লাগে না।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যুৎ চলে গেলে রোগীদের দুর্ভোগের চিত্র। বেশির ভাগ শয্যার পাশে মোবাইল ফোনের লাইট ও মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখা হয়েছে। নারী ওয়ার্ডে সৌরবিদ্যুতের একটি এলইডি লাইটের আলো, তা-ও নিভু নিভু। পুরুষ ওয়ার্ডে একটি এলইডি এসি ডিসি বাল্ব থাকলেও কিছুক্ষণ পরপর আলো জ্বলছে আর নিভছে। এ কারণে অন্ধকারেই রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা বসে আছেন। আবার অনেকে মোমবাতি বা মোবাইল ফোনের লাইট জ্বালিয়ে খাবার খাচ্ছেন।
জরুরি বিভাগের কক্ষেও প্রায় একই অবস্থা। সৌরবিদ্যুতের ব্যাটারির পাওয়ার কমে এসেছে। ১ ঘণ্টা লোডশেডিং হলে জরুরি বিভাগের রুমেও আলো বন্ধ হয়ে। নার্স-স্টাফদের ওয়ার্ডেও একই অবস্থা। সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকলেও বেশিক্ষণ আলো জ্বলে না।
হাসপাতালে আসা দুদু মিয়া নামের এক রোগী বলেন, ‘ডায়রিয়া ওয়ার্ডে একটুও আলো জ্বলে না। বিদ্যুৎ গেলে রাতে অন্ধকারেই ওষুধ খেতে হয়। এই গরমের মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকলে রোগীরা আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। হাসপাতালের অবস্থা খুবই খারাপ। পরিবেশ একটুও ভালো না।’
নারী ওয়ার্ডের নাসিমা নামে রোগীর এক স্বজন বলেন, ‘দুদিন আগে হাসপাতালে রোগীকে ভর্তি করিয়েছি। প্রতিদিনই রাত করে বিদ্যুৎ চলে যায়। এই সময়ের মধ্যে ছোট একটা মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে রাখতে হয়। মোবাইলের লাইট ধরে রোগীকে খাবার খাওয়াইছি কাল।’
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক জামাল উদ্দিন বলেন, ‘বিদ্যুৎ চলে গেলে চিকিৎসাসেবা দিতে একটু কঠিন হয়ে পড়ে। সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকলেও ব্যাটারির পাওয়ার কমে যাওয়ায় আলো কম হয়।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে একটি জেনারেটর রয়েছে তবে তা বন্ধ। সৌরবিদ্যুৎ আছে, যা ব্যাটারি সমস্যার কারণে অনেক সময় জ্বলে না। আবার ব্যাটারির পাওয়ার কম থাকায় অল্প সময় জ্বলার পর বন্ধ হয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, এসি ডিসি বাল্ব বেশ কয়েকবার লাগানো হয়েছিল। সেগুলো থাকে না, চুরি হয়ে যায়। আর জেনারেটর চালাতে গেলে তো তেলের প্রয়োজন। জেনারেটর চালানোর লোকবলও নেই।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে