জাকির হোসেন, সুনামগঞ্জ
‘এ বছর ধান নষ্ট হইছে, এর মাঝে ধানের দামও পাইলাম না। যেইভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে ওইভাবে ধানের দাম না বাড়ায় আমরা হতাশ ওই গেছি।’ কথাগুলো বলছিলেন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার লক্ষ্মনশ্রী ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের ডেকার হাওরের কৃষক আনোয়ার হোসেন।
আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘গত বছর যেই দাম দিছিল সরকারে এইবারও এই টানাটানির মাঝে একই দাম ধইরা দিছে। এতে আমরা বাছতাম কিলা।’
চলতি বছর প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে জেলার প্রায় সাড়ে ৩ লাখ কৃষক ধান কেটে গোলায় তোলেন।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বছর জেলার ২ লাখ ২৩ হাজার হেক্টর ফসল আবাদ করা হয়। তবে পাহাড়ি ঢলের কারণে ৫ হাজার ৭৭৫ হেক্টর ধান পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। এ বছর নষ্ট ধান বাদ দিয়ে ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন এবং চালের হিসাবে তা ৯ লাখ ১ হাজার মেট্রিক টন। কৃষি বিভাগের সূত্রমতে, জেলায় হাওরের তলদেশে শতভাগ ধান কাটা হয়েছে এবং হাওরের ওপরের অংশে ৮৮ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে গত রোববার পর্যন্ত। এ বছর সুনামগঞ্জ থেকে সরকার ২৭ টাকা কেজি দরে ২৮ হাজার ৬৬৬ মেট্রিক টন ধান কিনবে।
চলতি বছর আগাম বন্যা ও শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হলেও ধানের দাম নিয়ে হতাশ সুনামগঞ্জের প্রান্তিক কৃষকেরা। ৭০০-৮০০ টাকা দরে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকেরা। তাতে চাষাবাদ খরচ আসবে কি না, এ নিয়ে সন্ধিহান কৃষক।
সদর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের কৃষক অলিউর রহমান বলেন, ‘প্রায় এক হাজার মণ ধান পেয়েছি এইবার। আমরা আশাবাদী আছলাম গত বছরের তুলনায় এবার একটু বেশি দাম পাইমু। কিন্তু সরকার আগের বছরের মতোই দাম নির্ধারণ করায় আমরা হতাশ হইছি।’তিনি বলেন, ‘নিত্যপণ্যের দাম বাড়ে সব সময়। কিন্তু আমরার কষ্টার্জিত একটি মাত্র ফসল ধানের মূল্য বাড়ে না।’
শান্তিগঞ্জ উপজেলার ধানের ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ বলেন, ‘আমরা ধান কিনতাছি ঠিকই কিন্তু এইবার ফলন ভালো না। ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা মণ যে ধান কিনতাছি, এই ধানের অবস্থা বেশি ভালো না। ধান কিন্না লাভবান হইতাম পারমু কি না, চিন্তাত আছি।’
গোবিন্দপুর গ্রামের কিষানি মনিমালা বেগম বলেন, ‘পেঁয়াজ, তেলের যে দাম বাড়ছে, এক মণ ধান বেইচ্চা এক দিনের বাজার-সদাই করা যায়। ধানের দাম যদি সরকার থাকি বাড়াইয়া দিত তো আমরা কিছুটা রক্ষা পাইতাম। কিন্তু ওখন যে অবস্থা ধান পাইয়াও লাভ ওইতো না।’
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান বলেন, ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা আরও বাড়ানো দরকার। সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলে যে পরিমাণ ধান উৎপাদন হয়ে থাকে সেই তুলনায় সরকারিভাবে ধান কেনা একেবারে অপ্রতুল।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, ‘কৃষকদের সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দেওয়ার জন্য উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু কৃষকেরা এ বিষয়ে তেমন আমলে নিচ্ছেন না। তাঁরা মাঠেই ধান বিক্রি করে দিচ্ছেন।’ আর কয়েক দিন পরে ধান বিক্রি করলে কৃষক ভালো দাম পাবেন বলে জানান এ কর্মকর্তা।
জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন কৃষকদের উদ্দেশে বলেন, ‘সরকার এবার ধান কেনা শুরু করেছে অনেক আগে থেকেই। আপনারা সরকারিভাবে ধান বিক্রি করেন। মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে ধান বিক্রি না করে সরকারি গুদামে ধান দিলে দাম বেশি পাবেন।’
‘এ বছর ধান নষ্ট হইছে, এর মাঝে ধানের দামও পাইলাম না। যেইভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে ওইভাবে ধানের দাম না বাড়ায় আমরা হতাশ ওই গেছি।’ কথাগুলো বলছিলেন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার লক্ষ্মনশ্রী ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের ডেকার হাওরের কৃষক আনোয়ার হোসেন।
আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘গত বছর যেই দাম দিছিল সরকারে এইবারও এই টানাটানির মাঝে একই দাম ধইরা দিছে। এতে আমরা বাছতাম কিলা।’
চলতি বছর প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে জেলার প্রায় সাড়ে ৩ লাখ কৃষক ধান কেটে গোলায় তোলেন।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বছর জেলার ২ লাখ ২৩ হাজার হেক্টর ফসল আবাদ করা হয়। তবে পাহাড়ি ঢলের কারণে ৫ হাজার ৭৭৫ হেক্টর ধান পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। এ বছর নষ্ট ধান বাদ দিয়ে ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন এবং চালের হিসাবে তা ৯ লাখ ১ হাজার মেট্রিক টন। কৃষি বিভাগের সূত্রমতে, জেলায় হাওরের তলদেশে শতভাগ ধান কাটা হয়েছে এবং হাওরের ওপরের অংশে ৮৮ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে গত রোববার পর্যন্ত। এ বছর সুনামগঞ্জ থেকে সরকার ২৭ টাকা কেজি দরে ২৮ হাজার ৬৬৬ মেট্রিক টন ধান কিনবে।
চলতি বছর আগাম বন্যা ও শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হলেও ধানের দাম নিয়ে হতাশ সুনামগঞ্জের প্রান্তিক কৃষকেরা। ৭০০-৮০০ টাকা দরে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকেরা। তাতে চাষাবাদ খরচ আসবে কি না, এ নিয়ে সন্ধিহান কৃষক।
সদর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের কৃষক অলিউর রহমান বলেন, ‘প্রায় এক হাজার মণ ধান পেয়েছি এইবার। আমরা আশাবাদী আছলাম গত বছরের তুলনায় এবার একটু বেশি দাম পাইমু। কিন্তু সরকার আগের বছরের মতোই দাম নির্ধারণ করায় আমরা হতাশ হইছি।’তিনি বলেন, ‘নিত্যপণ্যের দাম বাড়ে সব সময়। কিন্তু আমরার কষ্টার্জিত একটি মাত্র ফসল ধানের মূল্য বাড়ে না।’
শান্তিগঞ্জ উপজেলার ধানের ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ বলেন, ‘আমরা ধান কিনতাছি ঠিকই কিন্তু এইবার ফলন ভালো না। ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা মণ যে ধান কিনতাছি, এই ধানের অবস্থা বেশি ভালো না। ধান কিন্না লাভবান হইতাম পারমু কি না, চিন্তাত আছি।’
গোবিন্দপুর গ্রামের কিষানি মনিমালা বেগম বলেন, ‘পেঁয়াজ, তেলের যে দাম বাড়ছে, এক মণ ধান বেইচ্চা এক দিনের বাজার-সদাই করা যায়। ধানের দাম যদি সরকার থাকি বাড়াইয়া দিত তো আমরা কিছুটা রক্ষা পাইতাম। কিন্তু ওখন যে অবস্থা ধান পাইয়াও লাভ ওইতো না।’
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান বলেন, ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা আরও বাড়ানো দরকার। সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলে যে পরিমাণ ধান উৎপাদন হয়ে থাকে সেই তুলনায় সরকারিভাবে ধান কেনা একেবারে অপ্রতুল।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, ‘কৃষকদের সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দেওয়ার জন্য উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু কৃষকেরা এ বিষয়ে তেমন আমলে নিচ্ছেন না। তাঁরা মাঠেই ধান বিক্রি করে দিচ্ছেন।’ আর কয়েক দিন পরে ধান বিক্রি করলে কৃষক ভালো দাম পাবেন বলে জানান এ কর্মকর্তা।
জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন কৃষকদের উদ্দেশে বলেন, ‘সরকার এবার ধান কেনা শুরু করেছে অনেক আগে থেকেই। আপনারা সরকারিভাবে ধান বিক্রি করেন। মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে ধান বিক্রি না করে সরকারি গুদামে ধান দিলে দাম বেশি পাবেন।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে