রামগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
খাগড়াছড়ির রামগড়ের বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য খেজুরগাছ থাকলেও গাছিসংকট দেখা দিয়েছে। ফলে অধিকাংশ গাছই প্রস্তুত করা যাচ্ছে না। প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে রস আহরণ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েক বছর আগেও রামগড়ের বিভিন্ন এলাকায় খেজুরগাছে রসের হাঁড়ি ঝুলে থাকার দৃশ্য দেখা যেত। অথচ বর্তমানে শীতের এ মৌসুমে খেজুরের রস এখন সোনার হরিণ। পাশের উপজেলাগুলো থেকে চওড়া দামে রস সংগ্রহ করছে মানুষ। মূলত গাছিসংকটের কারণেই এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে শীতের মৌসুমে ঐতিহ্যবাহী রস, গুড়ের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
গাছিদের পেশা পরিবর্তন, রস চুরি, নতুন করে কেউ এ পেশায় না আসাসহ বেশ কিছু কারণে রামগড় থেকে হারিয়ে যাচ্ছে গাছি। অতীতে প্রতি গ্রামে ৪ থেকে ৫ জন করে গাছি থাকলেও বর্তমানে কয়েকটি গ্রাম খুঁজেও গাছি পাওয়া যায় না।
সরেজমিন রামগড়ের মহামুনি, সোনাইপুল, দারোগাপাড়া, ডেবারপাড়, গর্জনতলী, কালাডেবা, বল্টুরাম, পাতাছড়া এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তার দুপাশ, খেলার মাঠ কিংবা বাড়ির আশপাশে অসংখ্য খেজুরগাছ পড়ে রয়েছে। পূর্বে শীতের আগেই রসের জন্য গাছগুলো প্রস্তুত করা হলেও বেশ কয়েক বছর অবহেলায় পড়ে আছে এসব গাছ। এখনো খেজুরগাছগুলো রস সংগ্রহের উপযোগী করা হয়নি। গাছি খুঁজে পাচ্ছেন না মালিকেরা।
দারোগাপাড়া এলাকার বাসিন্দা এমরান হোসেন জানান, তাদের ২৫ থেকে ৩০টি খেজুরগাছ আছে। আগে এসব গাছ বর্গা দেওয়া হতো। কিন্তু বছর তিনেক ধরে গাছি না থাকায় গাছগুলো রসের জন্য প্রস্তুত করা হয়নি। অবহেলায় পড়ে রয়েছে গাছগুলো।
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হারুন অর রশিদ জানান, গ্রামের মেঠো পথ বেয়ে খেজুরগাছের দীর্ঘ সারি এখন আর দেখা যায় না। শীতে গাছের নলির সঙ্গে বাঁধা রসের পাত্রে রস পড়ার দৃশ্য একেবারে বিলীন। গত বছর রস কেনার চেষ্টা করেও কোথাও পাওয়া যায়নি। এবার পাশের এলাকা থেকে কেজিপ্রতি ১২০ টাকা করে রস কিনতে হয়েছে। অথচ একসময় রামগড়েই ১০ থেকে ৩০ টাকা কেজিপ্রতি রস বিক্রি হতো।
আবদুর রাজ্জাক নামের এক গাছি জানান, গাছ কাটা খুবই কষ্টসাধ্য। অনেক পরিশ্রম করতে হয়। গাছে ওঠা, গাছ চাঁছা এবং গাছে রসের পাত্র বসানোর জন্য অনেকবার ওঠা নামা করতে হয়। কিন্তু গাছের মালিকেরা ন্যায্য পারিশ্রমিক দিতে চায় না। তা ছাড়া রস থেকে গুড় উৎপাদনে যে খরচ হয়, তা কৃষকদের উঠছে না। এসব কারণে অনেক গাছি এখন অন্য পেশায় যুক্ত হচ্ছে।
মুন্সী মাঝি নামের আরেক গাছি জানান, খুব কষ্টের কাজ এটি। তরুণেরা কেউ এ পেশায় আসতে চায় না। যার কারণে গাছিসংকট দেখা দিয়েছে। তিনি আরও জানান, বেশির ভাগ সময় রস চুরি হয়ে যায়। পুরো বিকেল কষ্ট করে গাছ চেঁচে পাত্র লাগানোর পর সকালে উঠে দেখা যায় রস চুরি করে নিয়ে খালি পাত্র নিচে ফেলে রাখে। এসব দেখে আর গাছ কাটতে ইচ্ছে হয় না।
রামগড় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী আহমেদ আজকের পত্রিকাকে জানান, প্রশিক্ষিত গাছি একেবারে নেই। তা ছাড়া লাভ কম থাকায় এ পেশায় নতুন প্রজন্মের কেউ এগিয়ে আসছে না। আগের যারা এ পেশায় জড়িত ছিল কষ্টকর হওয়ায় বয়সের কারণে তারাও এ পেশা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
খাগড়াছড়ির রামগড়ের বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য খেজুরগাছ থাকলেও গাছিসংকট দেখা দিয়েছে। ফলে অধিকাংশ গাছই প্রস্তুত করা যাচ্ছে না। প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে রস আহরণ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েক বছর আগেও রামগড়ের বিভিন্ন এলাকায় খেজুরগাছে রসের হাঁড়ি ঝুলে থাকার দৃশ্য দেখা যেত। অথচ বর্তমানে শীতের এ মৌসুমে খেজুরের রস এখন সোনার হরিণ। পাশের উপজেলাগুলো থেকে চওড়া দামে রস সংগ্রহ করছে মানুষ। মূলত গাছিসংকটের কারণেই এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে শীতের মৌসুমে ঐতিহ্যবাহী রস, গুড়ের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
গাছিদের পেশা পরিবর্তন, রস চুরি, নতুন করে কেউ এ পেশায় না আসাসহ বেশ কিছু কারণে রামগড় থেকে হারিয়ে যাচ্ছে গাছি। অতীতে প্রতি গ্রামে ৪ থেকে ৫ জন করে গাছি থাকলেও বর্তমানে কয়েকটি গ্রাম খুঁজেও গাছি পাওয়া যায় না।
সরেজমিন রামগড়ের মহামুনি, সোনাইপুল, দারোগাপাড়া, ডেবারপাড়, গর্জনতলী, কালাডেবা, বল্টুরাম, পাতাছড়া এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তার দুপাশ, খেলার মাঠ কিংবা বাড়ির আশপাশে অসংখ্য খেজুরগাছ পড়ে রয়েছে। পূর্বে শীতের আগেই রসের জন্য গাছগুলো প্রস্তুত করা হলেও বেশ কয়েক বছর অবহেলায় পড়ে আছে এসব গাছ। এখনো খেজুরগাছগুলো রস সংগ্রহের উপযোগী করা হয়নি। গাছি খুঁজে পাচ্ছেন না মালিকেরা।
দারোগাপাড়া এলাকার বাসিন্দা এমরান হোসেন জানান, তাদের ২৫ থেকে ৩০টি খেজুরগাছ আছে। আগে এসব গাছ বর্গা দেওয়া হতো। কিন্তু বছর তিনেক ধরে গাছি না থাকায় গাছগুলো রসের জন্য প্রস্তুত করা হয়নি। অবহেলায় পড়ে রয়েছে গাছগুলো।
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হারুন অর রশিদ জানান, গ্রামের মেঠো পথ বেয়ে খেজুরগাছের দীর্ঘ সারি এখন আর দেখা যায় না। শীতে গাছের নলির সঙ্গে বাঁধা রসের পাত্রে রস পড়ার দৃশ্য একেবারে বিলীন। গত বছর রস কেনার চেষ্টা করেও কোথাও পাওয়া যায়নি। এবার পাশের এলাকা থেকে কেজিপ্রতি ১২০ টাকা করে রস কিনতে হয়েছে। অথচ একসময় রামগড়েই ১০ থেকে ৩০ টাকা কেজিপ্রতি রস বিক্রি হতো।
আবদুর রাজ্জাক নামের এক গাছি জানান, গাছ কাটা খুবই কষ্টসাধ্য। অনেক পরিশ্রম করতে হয়। গাছে ওঠা, গাছ চাঁছা এবং গাছে রসের পাত্র বসানোর জন্য অনেকবার ওঠা নামা করতে হয়। কিন্তু গাছের মালিকেরা ন্যায্য পারিশ্রমিক দিতে চায় না। তা ছাড়া রস থেকে গুড় উৎপাদনে যে খরচ হয়, তা কৃষকদের উঠছে না। এসব কারণে অনেক গাছি এখন অন্য পেশায় যুক্ত হচ্ছে।
মুন্সী মাঝি নামের আরেক গাছি জানান, খুব কষ্টের কাজ এটি। তরুণেরা কেউ এ পেশায় আসতে চায় না। যার কারণে গাছিসংকট দেখা দিয়েছে। তিনি আরও জানান, বেশির ভাগ সময় রস চুরি হয়ে যায়। পুরো বিকেল কষ্ট করে গাছ চেঁচে পাত্র লাগানোর পর সকালে উঠে দেখা যায় রস চুরি করে নিয়ে খালি পাত্র নিচে ফেলে রাখে। এসব দেখে আর গাছ কাটতে ইচ্ছে হয় না।
রামগড় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী আহমেদ আজকের পত্রিকাকে জানান, প্রশিক্ষিত গাছি একেবারে নেই। তা ছাড়া লাভ কম থাকায় এ পেশায় নতুন প্রজন্মের কেউ এগিয়ে আসছে না। আগের যারা এ পেশায় জড়িত ছিল কষ্টকর হওয়ায় বয়সের কারণে তারাও এ পেশা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে