দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুরে বোরো ধান কাটা শুরু হলেও ভালো দাম পাওয়া নিয়ে রয়েছে কৃষকের শঙ্কা। এ ছাড়া বৈরী আবহাওয়ায় ফলন কম ও ধান কাটতে চাহিদা অনুযায়ী শ্রমিক না পাওয়ায় চাষির কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।
চাষিরা জানান, চলতি মৌসুমে বোরোর আবাদে পোকার আক্রমণ কম হলেও ধানের আশানুরূপ ফলন হয়নি। অসময়ে বৃষ্টি আর বাতাসের কারণে গাছ হেলে যাওয়ায় ধানের ওজন কম হয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। অন্যদিকে জেলায় ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। বাজারেও দাম কম। বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে অনেক জমির পাকা ধানগাছ জমিতে শুয়ে পড়েছে। সময়মতো কাটতে না পারলে ধান জমিতে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে দিনাজপুরে ১ লাখ ৭২ হাজার ৮৪০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৫৭ হাজার ৫০ মেট্রিক টন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) খালেদুর রহমান বলেন, বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। ২০ শতাংশ জমির ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। যেটুকু কাটা হয়েছে, তাতে গড়ে হেক্টরপ্রতি ৬ মেট্রিক টন পাওয়া যাচ্ছে। এখন বোরো-২৮ ও সামান্য মিনিকেট কাটা হয়েছে। পরে ২৯, হাইব্রিডসহ অন্য ধান কাটা হবে, ফলন আরও বাড়বে।
জানা গেছে, বোরো ধানের চাষ মূলত সেচভিত্তিক আবাদ হলেও এ বছর বৈচিত্র্যময় আবহাওয়ার কারণে কৃষকদের জমিতে তুলনামূলক কম সেচ দিতে হয়েছে। তবে বৈশাখী ঝড় আর শিলাবৃষ্টির কবলে জেলার অনেক এলাকার ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চিরিরবন্দর উপজেলার আব্দুলপুর গ্রামের কৃষক মো. ইমরান সরকার বলেন, ‘এবার বোরো মৌসুমে ১১ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করেছি। শ্রমিক-সংকটের কারণে ধান কাটা সম্ভব হচ্ছে না। খুব কষ্ট করে শ্রমিক সংগ্রহ করলেও বিঘাপ্রতি ৬ হাজার টাকার কমে ধান কাটেন না শ্রমিকেরা। বাধ্য হয়ে শ্রমিক লাগিয়ে দিয়েছি; না হলে পাকা ধান ঝরে পড়ছে।’
আউলিয়া পুকুর গ্রামের আরেক কৃষক শাহ মোহাম্মদ গাজি বলেন, ‘সবকিছুর দাম বেশি কিন্তু ধানের দাম কম। ফলন ভালো হয়নি। এবার মিনিকেট ধান এক বিঘাতে ৩০ থেকে ৩২ মণ হয়েছে। এখন বর্তমান বাজারে মিনিকেট ধান ৮০০ টাকা মণ। বোরো এক বিঘা জমিতে বর্গা নিয়ে আবাদ করে খরচ প্রায় ২৪ থেকে ২৫ হাজার টাকা। তাহলে বলেন লাভ তো দূরের কথা, লোকসান বিঘাপ্রতি দুই-তিন হাজার টাকা।’
এদিকে বাজারে উঠতে শুরু করেছে নতুন বোরো ধান। বর্তমানে নতুন বোরো-২৮ ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬৫০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা বস্তা; যা ৮৬০ থেকে ৮৮০ টাকা প্রতি মণ। আর মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৯৭০ থেকে ৯৯০ টাকা মণ।
জেলা খাদ্য বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা হুমায়ন কবীর বলেন, বর্তমানে বাজারে নতুন বোরো-২৮ ধান বিক্রি হচ্ছে ৮৮০ থেকে ৮৯০ টাকা প্রতি মণ। আর মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৯৩৫ থেকে ৯৪০ টাকা প্রতি মণ। এই ধান মাঠ থেকে কেটে তাৎক্ষণিক বিক্রি করা হচ্ছে। ধান শুকানোর পর বিক্রি করলে আরও ভালো দাম পাওয়া যাবে বলেও জানান তিনি।
দিনাজপুরে বোরো ধান কাটা শুরু হলেও ভালো দাম পাওয়া নিয়ে রয়েছে কৃষকের শঙ্কা। এ ছাড়া বৈরী আবহাওয়ায় ফলন কম ও ধান কাটতে চাহিদা অনুযায়ী শ্রমিক না পাওয়ায় চাষির কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।
চাষিরা জানান, চলতি মৌসুমে বোরোর আবাদে পোকার আক্রমণ কম হলেও ধানের আশানুরূপ ফলন হয়নি। অসময়ে বৃষ্টি আর বাতাসের কারণে গাছ হেলে যাওয়ায় ধানের ওজন কম হয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। অন্যদিকে জেলায় ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। বাজারেও দাম কম। বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে অনেক জমির পাকা ধানগাছ জমিতে শুয়ে পড়েছে। সময়মতো কাটতে না পারলে ধান জমিতে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে দিনাজপুরে ১ লাখ ৭২ হাজার ৮৪০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৫৭ হাজার ৫০ মেট্রিক টন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) খালেদুর রহমান বলেন, বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। ২০ শতাংশ জমির ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। যেটুকু কাটা হয়েছে, তাতে গড়ে হেক্টরপ্রতি ৬ মেট্রিক টন পাওয়া যাচ্ছে। এখন বোরো-২৮ ও সামান্য মিনিকেট কাটা হয়েছে। পরে ২৯, হাইব্রিডসহ অন্য ধান কাটা হবে, ফলন আরও বাড়বে।
জানা গেছে, বোরো ধানের চাষ মূলত সেচভিত্তিক আবাদ হলেও এ বছর বৈচিত্র্যময় আবহাওয়ার কারণে কৃষকদের জমিতে তুলনামূলক কম সেচ দিতে হয়েছে। তবে বৈশাখী ঝড় আর শিলাবৃষ্টির কবলে জেলার অনেক এলাকার ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চিরিরবন্দর উপজেলার আব্দুলপুর গ্রামের কৃষক মো. ইমরান সরকার বলেন, ‘এবার বোরো মৌসুমে ১১ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করেছি। শ্রমিক-সংকটের কারণে ধান কাটা সম্ভব হচ্ছে না। খুব কষ্ট করে শ্রমিক সংগ্রহ করলেও বিঘাপ্রতি ৬ হাজার টাকার কমে ধান কাটেন না শ্রমিকেরা। বাধ্য হয়ে শ্রমিক লাগিয়ে দিয়েছি; না হলে পাকা ধান ঝরে পড়ছে।’
আউলিয়া পুকুর গ্রামের আরেক কৃষক শাহ মোহাম্মদ গাজি বলেন, ‘সবকিছুর দাম বেশি কিন্তু ধানের দাম কম। ফলন ভালো হয়নি। এবার মিনিকেট ধান এক বিঘাতে ৩০ থেকে ৩২ মণ হয়েছে। এখন বর্তমান বাজারে মিনিকেট ধান ৮০০ টাকা মণ। বোরো এক বিঘা জমিতে বর্গা নিয়ে আবাদ করে খরচ প্রায় ২৪ থেকে ২৫ হাজার টাকা। তাহলে বলেন লাভ তো দূরের কথা, লোকসান বিঘাপ্রতি দুই-তিন হাজার টাকা।’
এদিকে বাজারে উঠতে শুরু করেছে নতুন বোরো ধান। বর্তমানে নতুন বোরো-২৮ ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬৫০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা বস্তা; যা ৮৬০ থেকে ৮৮০ টাকা প্রতি মণ। আর মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৯৭০ থেকে ৯৯০ টাকা মণ।
জেলা খাদ্য বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা হুমায়ন কবীর বলেন, বর্তমানে বাজারে নতুন বোরো-২৮ ধান বিক্রি হচ্ছে ৮৮০ থেকে ৮৯০ টাকা প্রতি মণ। আর মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৯৩৫ থেকে ৯৪০ টাকা প্রতি মণ। এই ধান মাঠ থেকে কেটে তাৎক্ষণিক বিক্রি করা হচ্ছে। ধান শুকানোর পর বিক্রি করলে আরও ভালো দাম পাওয়া যাবে বলেও জানান তিনি।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে