কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্রনাথ রায়ের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে বাণিজ্য ও বিদ্যালয়ে মনগড়া ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনসহ শিক্ষার পরিবেশ নষ্টের অভিযোগ উঠেছে। এসব নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম খান।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯১ সাল থেকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন শ্রী জিতেন্দ্রনাথ রায়। দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করায় তিনি নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছেন। শুধু শিক্ষক নিয়োগে বাণিজ্য করে বিদ্যালয়ের উন্নয়নের অজুহাতে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। নিয়োগ-বাণিজ্য ও স্কুল ফান্ডের অর্থ আত্মসাতের জন্য প্রতিবারই মনগড়া ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করেছেন। ২০১৫ সালে চারজন শিক্ষককে গোপনে নিয়োগ দেন তিনি। ‘বিধিসম্মত’ না হওয়ায় নিয়োগ করা শিক্ষকেরা এখনো তাঁদের মাসিক বেতন-ভাতার অনুমোদন পাননি। বেতনবিহীন ওই শিক্ষকেরা বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

পাঁচগাছী উচ্চ বিদ্যালয়ের বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত ব্যবসায় শিক্ষাবিষয়ক সহকারী শিক্ষক এরশাদুল হক বলেন, ‘২০১৫ সালে চাকরিতে যোগদান করলেও এখন পর্যন্ত বেতন পাচ্ছি না। ঊর্ধ্বতন কার্যালয় থেকে বারবার কাগজপত্র ফিরিয়ে দিচ্ছে। কী জটিলতা বুঝতে পারছি না।’

ওই বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে বিদ্যালয়টির শিক্ষাকার্যক্রম ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। আমি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত আশা করছি।’

অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক শ্রী জিতেন্দ্রনাথ বলেন, ‘আমি ৩২ বছর ধরে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছি। বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য শিক্ষক নিয়োগে টাকা নিয়েছি। ব্যক্তিগত কাজের জন্য টাকা নিইনি।’

ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের অনিয়মের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘৩০ বছর ধরে আমি বিধি অনুসরণ করে কমিটি গঠন করে আসছি। এ বছর সহকারী প্রধান শিক্ষক সভাপতির জন্য জুনিয়র এক ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করেছেন। আমি তাঁকে সভাপতি না করে বিদ্যালয়ের উন্নয়নের স্বার্থে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে সভাপতি করেছি। এটিই আমার অপরাধ। এজন্য সহকারী প্রধান শিক্ষক অসন্তুষ্ট হয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন।’

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জহুরুল হক বলেন, ‘বিদ্যালয়টির ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি।