কামরুল হাসান, ধোবাউড়া
ধোবাউড়ায় দুস্থ ও হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিডি তালিকায় অসংখ্য ভুয়া কার্ড থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি মৃত ব্যক্তির নামেও হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিডির চাল উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের সাবেক এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে। কয়েকজনের ভুয়া কার্ড দিয়ে ১৪ মাস ধরে চাল উত্তোলন করেছেন বলে অভিযোগে জানা গেছে।
ভিজিডির চাল বিতরণকালে গত বৃহস্পতিবার বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল হক এমন ১২৫টি কার্ড জব্দ করেন। এ ছাড়া অর্ধশতাধিক কার্ডের নাম ঠিকানা ও ছবির সঙ্গে লোকের কোনো মিল নেই। দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র এসব কার্ড দিয়ে চাল উত্তোলন করে আসছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। কার্ড জব্দ করার পর চাল পরিষদে জমা রেখেছেন চেয়ারম্যান।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছরের শুরুতে মহিলাবিষয়ক কার্যালয়ের মাধ্যমে পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নে দুস্থ ও হতদরিদ্রদের জন্য দুই বছর মেয়াদি ৫০০ ভিজিডি কার্ড সরকারিভাবে বরাদ্দ করা হয়। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ইউপি সচিবের স্বাক্ষরে সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রণয়ন করে মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়। পরে উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটি সে তালিকা চূড়ান্ত করে।
স্থানীয় রমজান আলী বলেন, ‘কার্ড করার সময় ইউপি সচিব ও সদস্য টাকা নিয়ে মৃত ও ঢাকায় বসবাসরতদের নামে অবৈধভাবে দিয়েছে। যারা গরিব, টাকা দিতে পারেনি- তাঁদের কার্ড দেয়নি।’
এ বিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য আ. হাকিম বলেন, ‘হামিদা খাতুন নামে একজন ঢাকায় থাকেন। তাই তাঁর কার্ড নিজের কাছে রেখেছি। তিনি ঢাকা থেকে আসলে কার্ড দিয়ে দেওয়া হবে।’
পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের সচিব আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে শুনেছি কার্ড জব্দ করা হয়েছে। কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছে তা আমি সঠিক জানি না। আমি দুই ইউনিয়নে দায়িত্বে আছি। সেখানে যাওয়ার পর বিস্তারিত বলতে পারব।’
দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, ‘ইউপি সচিব সঠিক বলে কার্ডে স্বাক্ষর করলেই চাল বিতরণ করা হয়।’
ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল হক মঞ্জু বলেন, ‘এ ঘটনার পর এখনো অর্ধশতাধিক ভিজিডি কার্ড আমার কাছে রয়েছে। এসব ছবির সঙ্গে নাম ঠিকানার কোনো মিল পাওয়া যাচ্ছে না। এ জন্য চাল পরিষদে আটক রয়েছে। যারা এভাবে অবৈধ কার্ড করেছে, তাঁদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা পূর্ণিমা কবিরাজ বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যান এবং সচিবের স্বাক্ষরে তালিকা করা হয়। ভুয়া কার্ড থাকলে তা বাতিল করা হবে। বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ করতে চেয়ারম্যানকে বলেছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফৌজিয়া নাজনীন বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তাকে বিষয়টি লিখিত আকারে পাঠানোর জন্য বলেছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ধোবাউড়ায় দুস্থ ও হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিডি তালিকায় অসংখ্য ভুয়া কার্ড থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি মৃত ব্যক্তির নামেও হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিডির চাল উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের সাবেক এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে। কয়েকজনের ভুয়া কার্ড দিয়ে ১৪ মাস ধরে চাল উত্তোলন করেছেন বলে অভিযোগে জানা গেছে।
ভিজিডির চাল বিতরণকালে গত বৃহস্পতিবার বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল হক এমন ১২৫টি কার্ড জব্দ করেন। এ ছাড়া অর্ধশতাধিক কার্ডের নাম ঠিকানা ও ছবির সঙ্গে লোকের কোনো মিল নেই। দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র এসব কার্ড দিয়ে চাল উত্তোলন করে আসছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। কার্ড জব্দ করার পর চাল পরিষদে জমা রেখেছেন চেয়ারম্যান।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছরের শুরুতে মহিলাবিষয়ক কার্যালয়ের মাধ্যমে পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নে দুস্থ ও হতদরিদ্রদের জন্য দুই বছর মেয়াদি ৫০০ ভিজিডি কার্ড সরকারিভাবে বরাদ্দ করা হয়। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ইউপি সচিবের স্বাক্ষরে সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রণয়ন করে মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়। পরে উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটি সে তালিকা চূড়ান্ত করে।
স্থানীয় রমজান আলী বলেন, ‘কার্ড করার সময় ইউপি সচিব ও সদস্য টাকা নিয়ে মৃত ও ঢাকায় বসবাসরতদের নামে অবৈধভাবে দিয়েছে। যারা গরিব, টাকা দিতে পারেনি- তাঁদের কার্ড দেয়নি।’
এ বিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য আ. হাকিম বলেন, ‘হামিদা খাতুন নামে একজন ঢাকায় থাকেন। তাই তাঁর কার্ড নিজের কাছে রেখেছি। তিনি ঢাকা থেকে আসলে কার্ড দিয়ে দেওয়া হবে।’
পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের সচিব আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে শুনেছি কার্ড জব্দ করা হয়েছে। কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছে তা আমি সঠিক জানি না। আমি দুই ইউনিয়নে দায়িত্বে আছি। সেখানে যাওয়ার পর বিস্তারিত বলতে পারব।’
দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, ‘ইউপি সচিব সঠিক বলে কার্ডে স্বাক্ষর করলেই চাল বিতরণ করা হয়।’
ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল হক মঞ্জু বলেন, ‘এ ঘটনার পর এখনো অর্ধশতাধিক ভিজিডি কার্ড আমার কাছে রয়েছে। এসব ছবির সঙ্গে নাম ঠিকানার কোনো মিল পাওয়া যাচ্ছে না। এ জন্য চাল পরিষদে আটক রয়েছে। যারা এভাবে অবৈধ কার্ড করেছে, তাঁদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা পূর্ণিমা কবিরাজ বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যান এবং সচিবের স্বাক্ষরে তালিকা করা হয়। ভুয়া কার্ড থাকলে তা বাতিল করা হবে। বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ করতে চেয়ারম্যানকে বলেছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফৌজিয়া নাজনীন বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তাকে বিষয়টি লিখিত আকারে পাঠানোর জন্য বলেছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে