আব্দুর রহিম পায়েল, গঙ্গাচড়া
গঙ্গাচড়ায় তিস্তার পাড় ও চরে ফসল চাষ করে তা ঘরে তুলতে পারবেন কি না তা নিয়ে কৃষকদের দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। নদীতে আগাম বন্যা বা আকস্মিক ঢলে প্রায়ই খেত তলিয়ে যায়। এ জন্য কম সময়ে ফসল পেতে কৃষি বিভাগের পরামর্শে এখন বাদাম চাষ করছেন কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গঙ্গাচড়ায় তিস্তার চরে এ বছর ১১০ হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাদামগাছের সবুজ রঙে চরের বুক ছেয়ে আছে। যে দিকে চোখ যায় শুধু বাদামখেত। কৃষকেরা গাছের পরিচর্যায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পড়ে থাকছেন চরে। খেত পরিচর্যায় নারীশ্রমিকদের কদর বেশি। চাষিরা মনে করছেন, বৈরী আবহাওয়া ও অসময়ে বন্যা না হলে ভালো ফল হবে।
চরে কথা হয় বাদামচাষি আজিজুলের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘তিন একর জমিতে বাদাম লাগিয়েছি। যদি আবহাওয়া ভালো থাকে তাহলে আশা করছি ভালো ফলন পাব।’
ছালাপাক গ্রামের শরিফুল ইসলাম চরের পৌনে তিন একর জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছিলেন। কিন্তু খেতে ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ভালো ফলন না পাওয়ায় গাছগুলো ভেঙে দিয়ে বাদামের বীজ বপন করেন। এতে ব্যয় হয়েছে ১২ হাজার টাকা। এখন পরিচর্যায় শ্রমিকের জন্য ১০ এবং সার প্রয়োগ ও ফসল সংগ্রহে ১২ হাজার টাকার মতো লাগবে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ব্যয় হবে ৩৪ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। ভালো ফলন হলে বাদাম পাওয়া যাবে ৭০ মণ। যার বাজার দর ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
তিস্তার পানিতে ফসল হারানো নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে পশ্চিম ইচলি গ্রামের চাষি আলমগীর হোসেন বলেন, ‘কষ্ট করি আবাদ করি, ফসল ঘরে ওঠার আগে নদীর পানি ভাসি নিয়া যায়। গত বছর বাদাম তোলার সময় হঠাৎ নদীত পানি আসি সব ফসল ভাসি গেইছে। কষ্ট করি আবাদ করি লাভটা কী হয়! সরকার যদি হামাক তিস্তা নদী খনন করি বান্দি দেয়, তাহইলে এত কষ্ট করা নাগিল না হয়। বউয়ের গালার জিনিস, বাড়ির গরু বিক্রি করি ফসল আবাদ করি, সে ফসল না উঠতে নদী ভাসি নিয়া যায়। দুই বছর থাকি খালি লস হরার নাংছে। এভাবে কী চলা যায়! সরকার একটু আমারগুলার ওপর দয়া করলে কষ্ট লাগব হইল হয়।’
এ বিষয়ে উপজেলা সিনিয়র কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু এ উপজেলা নদীমাতৃক, তাই কৃষকেরা যাতে কম সময়ের মধ্যে ফসল ঘরে তুলতে পারেন সে জন্য আমরা চিনা বাদাম-৪-এর বীজ লাগাতে বলি। এ বাদাম ১০০ থেকে ১১০ দিনের মধ্যে ঘরে তোলা সম্ভব। আমরা কৃষকদের এ জাতের বাদাম লাগাতে উদ্বুদ্ধ করছি।’
গঙ্গাচড়ায় তিস্তার পাড় ও চরে ফসল চাষ করে তা ঘরে তুলতে পারবেন কি না তা নিয়ে কৃষকদের দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। নদীতে আগাম বন্যা বা আকস্মিক ঢলে প্রায়ই খেত তলিয়ে যায়। এ জন্য কম সময়ে ফসল পেতে কৃষি বিভাগের পরামর্শে এখন বাদাম চাষ করছেন কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গঙ্গাচড়ায় তিস্তার চরে এ বছর ১১০ হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাদামগাছের সবুজ রঙে চরের বুক ছেয়ে আছে। যে দিকে চোখ যায় শুধু বাদামখেত। কৃষকেরা গাছের পরিচর্যায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পড়ে থাকছেন চরে। খেত পরিচর্যায় নারীশ্রমিকদের কদর বেশি। চাষিরা মনে করছেন, বৈরী আবহাওয়া ও অসময়ে বন্যা না হলে ভালো ফল হবে।
চরে কথা হয় বাদামচাষি আজিজুলের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘তিন একর জমিতে বাদাম লাগিয়েছি। যদি আবহাওয়া ভালো থাকে তাহলে আশা করছি ভালো ফলন পাব।’
ছালাপাক গ্রামের শরিফুল ইসলাম চরের পৌনে তিন একর জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছিলেন। কিন্তু খেতে ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ভালো ফলন না পাওয়ায় গাছগুলো ভেঙে দিয়ে বাদামের বীজ বপন করেন। এতে ব্যয় হয়েছে ১২ হাজার টাকা। এখন পরিচর্যায় শ্রমিকের জন্য ১০ এবং সার প্রয়োগ ও ফসল সংগ্রহে ১২ হাজার টাকার মতো লাগবে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ব্যয় হবে ৩৪ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। ভালো ফলন হলে বাদাম পাওয়া যাবে ৭০ মণ। যার বাজার দর ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
তিস্তার পানিতে ফসল হারানো নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে পশ্চিম ইচলি গ্রামের চাষি আলমগীর হোসেন বলেন, ‘কষ্ট করি আবাদ করি, ফসল ঘরে ওঠার আগে নদীর পানি ভাসি নিয়া যায়। গত বছর বাদাম তোলার সময় হঠাৎ নদীত পানি আসি সব ফসল ভাসি গেইছে। কষ্ট করি আবাদ করি লাভটা কী হয়! সরকার যদি হামাক তিস্তা নদী খনন করি বান্দি দেয়, তাহইলে এত কষ্ট করা নাগিল না হয়। বউয়ের গালার জিনিস, বাড়ির গরু বিক্রি করি ফসল আবাদ করি, সে ফসল না উঠতে নদী ভাসি নিয়া যায়। দুই বছর থাকি খালি লস হরার নাংছে। এভাবে কী চলা যায়! সরকার একটু আমারগুলার ওপর দয়া করলে কষ্ট লাগব হইল হয়।’
এ বিষয়ে উপজেলা সিনিয়র কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু এ উপজেলা নদীমাতৃক, তাই কৃষকেরা যাতে কম সময়ের মধ্যে ফসল ঘরে তুলতে পারেন সে জন্য আমরা চিনা বাদাম-৪-এর বীজ লাগাতে বলি। এ বাদাম ১০০ থেকে ১১০ দিনের মধ্যে ঘরে তোলা সম্ভব। আমরা কৃষকদের এ জাতের বাদাম লাগাতে উদ্বুদ্ধ করছি।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে