মেহেদী হাসান, ফুলবাড়ী ও মাসুদ পারভেজ রুবেল, ডিমলা
অন্যান্য ফসলের তুলনায় কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় আগাম ভুট্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। তাঁরা বর্তমানে জমি প্রস্তুতসহ বীজ বপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সাধারণত ডিসেম্বরে এই শস্যের বীজ বপন করা হলেও আগাম জাত নিয়ে কিষান-কিষানিরা অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকেই মাঠে নেমে গেছেন।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে এ বছর ৩ হাজার ২৬৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, দিন ছোট হওয়ায় কৃষকেরা কাকডাকা ভোরেই জমিতে হাজির হচ্ছেন।
শিবনগর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, দুই জন কৃষকে খেতে ছোট লাঙল টানছেন আর পাঁচ থেকে ছয়জনে বীজ বপন করছেন। এক একর জমিতে ভুট্টার বীজ বপন করতে ছয় থেকে সাতজনই যথেষ্ট।
দক্ষিণ বাসুদেবপুরের কৃষক মামুনুর রশীদ জানান, তিনি এবার সাড়ে চার একর জমিতে আগাম ভুট্টা লাগিয়েছেন। এই ফসলে রোগবালাই কম হয়। চাহিদা বেশি থাকায় দামও ভালো পাওয়া যায়। আবহাওয়া ঠিক থাকলে অন্যান্য ভুট্টার চেয়ে দুই মাস আগে এই ভুট্টা ঘরে উঠবে।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রবি মৌসুমের ফসল ভুট্টা দুবার চাষ করা যায়। আগাম পর্যায়ে অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে নভেম্বরের শেষ দিক থেকে ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত আবাদ চলে।
দাদপুর মালিপাড়া গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আগাম জাতের ধান কাটার পর মাটি প্রস্তুত করে সেই জমিতে আগাম ভুট্টা চাষ করছি। এখনো আমন ধান কাটা তেমন শুরু হয়নি বলে কিছুটা সস্তায় শ্রমিকও পাওয়া যাচ্ছে।’
একই এলাকার বিদ্যুৎ হোসেন জানান, বহির্বিশ্ব অস্থিতিশীল থাকায় বিদেশ থেকে গম ও ভুট্টা আসছে না। অন্যদিকে সামনের বছর দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই সবদিক বিবেচনা করে সচেতন কৃষকেরা আগাম ভুট্টা চাষে ঝুঁকে পড়েছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার জানান, কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় উপজেলায় ভুট্টার চাষ ব্যাপক হারে বেড়েছে। তাঁরা আশা করছেন এবার চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
এদিকে নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদীর চরাঞ্চলে এখন ভুট্টা চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। গতবার এ ফসল চাষে কাঙ্ক্ষিত লাভের মুখ দেখায় এবার তাঁরা ব্যাপকভাবে আবাদ শুরু করেছেন।
কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এবার ডিমলায় ১৩ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন চর ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে আগাম জাতের আমন ধান লাগানো হয়েছিল। সেই ধান কাটা ও মাড়াই শেষ পর্যায়ে। এখন চলছে আগাম ভুট্টা লাগানোর কাজ। জমি প্রস্তুত ও বীজভুট্টা বপনে চরাঞ্চলে দেখা দিয়েছে প্রাণচাঞ্চল্য।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চরের প্রতি শতক জমিতে প্রায় দুই মণ করে ভুট্টা উৎপাদিত হয়। এতে উৎপাদন খরচের চেয়ে দ্বিগুণ লাভ হয়। শস্য ছাড়াও ভুট্টাগাছের কাণ্ড জ্বালানি ও গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবে পাতা ব্যবহার করা হয়।
কৃষক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘চলতি মৌসুমে পাঁচ একর জমি ভুট্টা চাষের জন্য প্রস্তুত করেছি। এটি চাষ করতে খুব একটা খরচ হয় না। শুধু বীজ, শ্রমিক ও মাঝেমধ্যে নদী থেকে পানি দেওয়ার জন্য অর্থ ব্যয় হয়।’
কৃষিবিদ আবু সায়েম জানান, এই উপজেলায় প্রতিবছর হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসল বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। কৃষক হয়ে পড়েন দিশেহারা। সর্বস্ব খুইয়ে এক সময়ের জোতদার হয়ে পড়েন দিনমজুর। তবে এখন ভুট্টার ব্যাপক চাষে পাল্টে যাচ্ছে এ অঞ্চলের কৃষকের জীবন-জীবিকা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেকেন্দার আলী বলেন, চরাঞ্চলে কৃষি বিপ্লব ঘটাতে ও কৃষকের অর্থনৈতিক চাহিদা মেটাতে অর্থকরী ফসলের তালিকায় রয়েছে ভুট্টা। এবার আগাম উচ্চফলনশীল ভুট্টার চাষ বেশ সম্প্রসারণ হয়েছে। এতে কৃষকেরা এক জমিতেই তিন ফসল ফলাতে পারবেন। কৃষকদের বিভিন্ন ফসল চাষে প্রশিক্ষণ ও সরকারি প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে।
অন্যান্য ফসলের তুলনায় কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় আগাম ভুট্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। তাঁরা বর্তমানে জমি প্রস্তুতসহ বীজ বপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সাধারণত ডিসেম্বরে এই শস্যের বীজ বপন করা হলেও আগাম জাত নিয়ে কিষান-কিষানিরা অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকেই মাঠে নেমে গেছেন।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে এ বছর ৩ হাজার ২৬৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, দিন ছোট হওয়ায় কৃষকেরা কাকডাকা ভোরেই জমিতে হাজির হচ্ছেন।
শিবনগর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, দুই জন কৃষকে খেতে ছোট লাঙল টানছেন আর পাঁচ থেকে ছয়জনে বীজ বপন করছেন। এক একর জমিতে ভুট্টার বীজ বপন করতে ছয় থেকে সাতজনই যথেষ্ট।
দক্ষিণ বাসুদেবপুরের কৃষক মামুনুর রশীদ জানান, তিনি এবার সাড়ে চার একর জমিতে আগাম ভুট্টা লাগিয়েছেন। এই ফসলে রোগবালাই কম হয়। চাহিদা বেশি থাকায় দামও ভালো পাওয়া যায়। আবহাওয়া ঠিক থাকলে অন্যান্য ভুট্টার চেয়ে দুই মাস আগে এই ভুট্টা ঘরে উঠবে।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রবি মৌসুমের ফসল ভুট্টা দুবার চাষ করা যায়। আগাম পর্যায়ে অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে নভেম্বরের শেষ দিক থেকে ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত আবাদ চলে।
দাদপুর মালিপাড়া গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আগাম জাতের ধান কাটার পর মাটি প্রস্তুত করে সেই জমিতে আগাম ভুট্টা চাষ করছি। এখনো আমন ধান কাটা তেমন শুরু হয়নি বলে কিছুটা সস্তায় শ্রমিকও পাওয়া যাচ্ছে।’
একই এলাকার বিদ্যুৎ হোসেন জানান, বহির্বিশ্ব অস্থিতিশীল থাকায় বিদেশ থেকে গম ও ভুট্টা আসছে না। অন্যদিকে সামনের বছর দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই সবদিক বিবেচনা করে সচেতন কৃষকেরা আগাম ভুট্টা চাষে ঝুঁকে পড়েছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার জানান, কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় উপজেলায় ভুট্টার চাষ ব্যাপক হারে বেড়েছে। তাঁরা আশা করছেন এবার চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
এদিকে নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদীর চরাঞ্চলে এখন ভুট্টা চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। গতবার এ ফসল চাষে কাঙ্ক্ষিত লাভের মুখ দেখায় এবার তাঁরা ব্যাপকভাবে আবাদ শুরু করেছেন।
কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এবার ডিমলায় ১৩ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন চর ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে আগাম জাতের আমন ধান লাগানো হয়েছিল। সেই ধান কাটা ও মাড়াই শেষ পর্যায়ে। এখন চলছে আগাম ভুট্টা লাগানোর কাজ। জমি প্রস্তুত ও বীজভুট্টা বপনে চরাঞ্চলে দেখা দিয়েছে প্রাণচাঞ্চল্য।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চরের প্রতি শতক জমিতে প্রায় দুই মণ করে ভুট্টা উৎপাদিত হয়। এতে উৎপাদন খরচের চেয়ে দ্বিগুণ লাভ হয়। শস্য ছাড়াও ভুট্টাগাছের কাণ্ড জ্বালানি ও গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবে পাতা ব্যবহার করা হয়।
কৃষক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘চলতি মৌসুমে পাঁচ একর জমি ভুট্টা চাষের জন্য প্রস্তুত করেছি। এটি চাষ করতে খুব একটা খরচ হয় না। শুধু বীজ, শ্রমিক ও মাঝেমধ্যে নদী থেকে পানি দেওয়ার জন্য অর্থ ব্যয় হয়।’
কৃষিবিদ আবু সায়েম জানান, এই উপজেলায় প্রতিবছর হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসল বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। কৃষক হয়ে পড়েন দিশেহারা। সর্বস্ব খুইয়ে এক সময়ের জোতদার হয়ে পড়েন দিনমজুর। তবে এখন ভুট্টার ব্যাপক চাষে পাল্টে যাচ্ছে এ অঞ্চলের কৃষকের জীবন-জীবিকা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেকেন্দার আলী বলেন, চরাঞ্চলে কৃষি বিপ্লব ঘটাতে ও কৃষকের অর্থনৈতিক চাহিদা মেটাতে অর্থকরী ফসলের তালিকায় রয়েছে ভুট্টা। এবার আগাম উচ্চফলনশীল ভুট্টার চাষ বেশ সম্প্রসারণ হয়েছে। এতে কৃষকেরা এক জমিতেই তিন ফসল ফলাতে পারবেন। কৃষকদের বিভিন্ন ফসল চাষে প্রশিক্ষণ ও সরকারি প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২১ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে