নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
৩১ মে ১৯৯৯ সাল। স্বামীর মৃত্যুতে তিন সন্তান নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েন নুরচান বেগম। তিনি পাওনা ২ হাজার টাকা আনতে যান আদম খানের বাড়িতে। কিন্তু শিশুসন্তান তাজউদ্দীনের সামনেই বুকে ছুরিকাঘাত করে নুরচানকে খুন করেন আদম খান। পালিয়ে যান তিনি। পলাতক অবস্থায়ই এ হত্যা মামলার রায়ে মৃত্যুদণ্ড হয় তাঁর।
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের এই হত্যা মামলার ফেরারি আসামি আদম খান ওরফে রফিককে ২২ বছর পর গত মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানী ঢাকার কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পলাতক আদম খান ওরফে রফিককে (৪৫) র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-৯ ঢাকার আশুলিয়ার বাইপাইল থেকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নুরচান বেগমকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
খন্দকার আল মঈন জানান, মাত্র ২ হাজার টাকার জন্য এই হত্যাকাণ্ড হয়েছিল। ঘটনার প্রায় বছর খানের আগে নূরচান বেগমের ছেলে শফিকের কাছ থেকে আদম খান দুই হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। ধার নেওয়ার চার-পাঁচ মাস পর নুরচান বেগমের স্বামী আব্দুর রহমান মারা যান। স্বামীর মৃত্যুর পর নুরচান আর্থিক অনটনের কারণে পাওনা টাকা চাইলে আদম খান টালবাহানা করেন এবং গালিগালাজ ও অপমান করেন। এতে তিন বছরের শিশু তাজউদ্দিনকে নিয়ে নুরচান বেগম প্রতিবেশী আছমত উল্লাহর কাছে এর বিচার চাইতে যান। আছমত উল্লাহর ঘরে গিয়েও আদম খান তাঁকে গালিগালাজ করেন। তর্ক–বিতর্কের একপর্যায়ে হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে নুরচানের বুকের বাম পাশে আঘাত করেন আদম খান। এতে নুরচান ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় নুরচান বেগমের ছেলে শফিক বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পরই গ্রাম ছেড়ে পালান আদম খান। এলাকাবাসী হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করে।
এই র্যাব কর্মকর্তা বলেন, নিহত নুরচান বেগমের ফুপা, নিকটাত্মীয় ও এলাকাবাসীর আর্থিক সহায়তায় মামলাটি পরিচালনা করা হয়। সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ২০০২ সালের ১৭ জুলাই এ মামলার রায়ে আদালত আদম খানকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।
জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে খন্দকার আল মঈন জানান, হত্যাকাণ্ডের পর গ্রাম থেকে পালিয়ে সিলেটে সপ্তাহখানেক অবস্থান করেন রফিক। তারপর গ্রেপ্তার এড়াতে ঢাকার আশুলিয়ায় চলে আসেন তিনি। ২০১২ সালের মার্চে আদম খান মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুয়া জন্ম সনদ তৈরি করেন। ভুয়া সনদের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য আবেদন করেন। চেহারা পরিবর্তনের জন্য ছদ্মবেশ নেন এবং আসল নাম আদম খানের পরিবর্তে নিজেকে রফিক নামে আশুলিয়ায় পরিচিত করেন। আশুলিয়ায় রাজমিস্ত্রির কাজ শুরু করেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ২২ বছরে একবারও তিনি গ্রামে যাননি।
গ্রেপ্তার আদম খানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে তাঁকে চুনারুঘাট থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
৩১ মে ১৯৯৯ সাল। স্বামীর মৃত্যুতে তিন সন্তান নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েন নুরচান বেগম। তিনি পাওনা ২ হাজার টাকা আনতে যান আদম খানের বাড়িতে। কিন্তু শিশুসন্তান তাজউদ্দীনের সামনেই বুকে ছুরিকাঘাত করে নুরচানকে খুন করেন আদম খান। পালিয়ে যান তিনি। পলাতক অবস্থায়ই এ হত্যা মামলার রায়ে মৃত্যুদণ্ড হয় তাঁর।
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের এই হত্যা মামলার ফেরারি আসামি আদম খান ওরফে রফিককে ২২ বছর পর গত মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানী ঢাকার কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পলাতক আদম খান ওরফে রফিককে (৪৫) র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-৯ ঢাকার আশুলিয়ার বাইপাইল থেকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নুরচান বেগমকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
খন্দকার আল মঈন জানান, মাত্র ২ হাজার টাকার জন্য এই হত্যাকাণ্ড হয়েছিল। ঘটনার প্রায় বছর খানের আগে নূরচান বেগমের ছেলে শফিকের কাছ থেকে আদম খান দুই হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। ধার নেওয়ার চার-পাঁচ মাস পর নুরচান বেগমের স্বামী আব্দুর রহমান মারা যান। স্বামীর মৃত্যুর পর নুরচান আর্থিক অনটনের কারণে পাওনা টাকা চাইলে আদম খান টালবাহানা করেন এবং গালিগালাজ ও অপমান করেন। এতে তিন বছরের শিশু তাজউদ্দিনকে নিয়ে নুরচান বেগম প্রতিবেশী আছমত উল্লাহর কাছে এর বিচার চাইতে যান। আছমত উল্লাহর ঘরে গিয়েও আদম খান তাঁকে গালিগালাজ করেন। তর্ক–বিতর্কের একপর্যায়ে হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে নুরচানের বুকের বাম পাশে আঘাত করেন আদম খান। এতে নুরচান ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় নুরচান বেগমের ছেলে শফিক বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পরই গ্রাম ছেড়ে পালান আদম খান। এলাকাবাসী হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করে।
এই র্যাব কর্মকর্তা বলেন, নিহত নুরচান বেগমের ফুপা, নিকটাত্মীয় ও এলাকাবাসীর আর্থিক সহায়তায় মামলাটি পরিচালনা করা হয়। সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ২০০২ সালের ১৭ জুলাই এ মামলার রায়ে আদালত আদম খানকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।
জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে খন্দকার আল মঈন জানান, হত্যাকাণ্ডের পর গ্রাম থেকে পালিয়ে সিলেটে সপ্তাহখানেক অবস্থান করেন রফিক। তারপর গ্রেপ্তার এড়াতে ঢাকার আশুলিয়ায় চলে আসেন তিনি। ২০১২ সালের মার্চে আদম খান মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুয়া জন্ম সনদ তৈরি করেন। ভুয়া সনদের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য আবেদন করেন। চেহারা পরিবর্তনের জন্য ছদ্মবেশ নেন এবং আসল নাম আদম খানের পরিবর্তে নিজেকে রফিক নামে আশুলিয়ায় পরিচিত করেন। আশুলিয়ায় রাজমিস্ত্রির কাজ শুরু করেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ২২ বছরে একবারও তিনি গ্রামে যাননি।
গ্রেপ্তার আদম খানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে তাঁকে চুনারুঘাট থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে