সাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ
গোখাদ্য ও জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিসহ করোনার কারণে কিশোরগঞ্জের দুগ্ধ খামারিরা লোকসান গুনলেও দুধের দাম বাড়ছে না। এতে তাঁদের গুনতে হচ্ছে প্রায় ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি।
খামারিরা জানান, এ লোকসান পূরণ করতে কমপক্ষে ১২ বছর সময় লাগবে। অন্যদিকে জেলার দুগ্ধ, পোলট্রিসহ প্রায় ১২ হাজার খামারিকে করোনার সময় ১৫ কোটি টাকা প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলায় ১০টার বেশি গাভি পালন করে দুগ্ধ খামারি রয়েছে তিন শতাধিক। দানাদার খাদ্যের বদলে কাটা ঘাস খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। প্রতিটি উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মাধ্যমে খামারিদের উন্নত জাতের ঘাসের কাটিং বিতরণ করা হচ্ছে। দানাদার খাদ্য সহজলভ্য হওয়ায় খামারিরা গাভিদের দানাদার খাদ্য খাওয়ায়। তারা চিন্তা করে দুধের পরিমাণ কীসে বাড়বে। গাভির স্বাস্থ্য নিয়ে তাদের ভাবনা নেই।
দুধ পচনশীল খাবার। এটা সংরক্ষণ করার জন্য দেশে কোনো ব্যবস্থা নেই। যদি কোনো ধরনের ব্যবস্থা থাকত তাহলে খামারিরা দুধ নিয়ে বিপদে পড়তেন না। এমনকি খামারিরা যে গরু বাজারজাত করবেন, তারও যথাযথ কোনো পলিসি নেই।
অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে দানাদার খাদ্যের দাম। সঙ্গে দ্বিগুণ বেড়েছে খড়ের দাম। গমের ভুসি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬৫০ থেকে দুই হাজার টাকা বস্তা, ভুট্টার গুঁড়া ১ হাজার ৭০০ টাকা বস্তা, ধানের কুঁড়া ৭৫০ টাকা বস্তা, খৈল সাড়ে চার টাকা থেকে পাঁচ হাজার টাকা বস্তা, খেসারির ভুসি ১ হাজার ৬০০ টাকা (৩০ কেজি) বস্তা এবং ঘাস প্রতি আঁটি ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাউফিড প্রতি বস্তা দেড় হাজার টাকা। অ্যাঙ্কর ডালের ভুসি ১ হাজার ২০০ টাকা বস্তা দরে কিনতে হচ্ছে। ধানের খড় কিনতে হচ্ছে প্রতি আঁটি পাঁচ-ছয় টাকা দরে। এমন পরিস্থিতিতে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে গোখাদ্যের দাম আরও বৃদ্ধি হবে। এ ছাড়া ডিলারের কাছে বিশাল অঙ্কের টাকা বাকি পড়ে থাকায় গরু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন অনেক খামারি।
ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আজমল খান জানান, খামারিদের নিয়ে কেউ চিন্তিত হয় না। গরুর খাবার জোগাড় করতে গিয়েই খামারিরা হিমশিম খাচ্ছেন। খরচ জোগাড় করতে গিয়েই অনেক খামারি পথে বসেছেন। এ ছাড়া উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করার জন্য কৃষক ও খামারি বান্ধব নিরাপদ কোনো স্থাপনা নেই।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘খামারিরা লোকসান গুনছেন, এ বিষয়টি আমরা উপলব্ধি করতে পারছি। তবে এ ক্ষেত্রে আমাদের করার কিছুই নেই। খামারিদের দুধ উৎপাদন খরচ বেড়ে গেলে তাঁরা দাম বাড়াবেন। আমরা নিয়মিত প্রতিটি উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মাধ্যমে খামারিদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।’
গোখাদ্য ও জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিসহ করোনার কারণে কিশোরগঞ্জের দুগ্ধ খামারিরা লোকসান গুনলেও দুধের দাম বাড়ছে না। এতে তাঁদের গুনতে হচ্ছে প্রায় ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি।
খামারিরা জানান, এ লোকসান পূরণ করতে কমপক্ষে ১২ বছর সময় লাগবে। অন্যদিকে জেলার দুগ্ধ, পোলট্রিসহ প্রায় ১২ হাজার খামারিকে করোনার সময় ১৫ কোটি টাকা প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলায় ১০টার বেশি গাভি পালন করে দুগ্ধ খামারি রয়েছে তিন শতাধিক। দানাদার খাদ্যের বদলে কাটা ঘাস খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। প্রতিটি উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মাধ্যমে খামারিদের উন্নত জাতের ঘাসের কাটিং বিতরণ করা হচ্ছে। দানাদার খাদ্য সহজলভ্য হওয়ায় খামারিরা গাভিদের দানাদার খাদ্য খাওয়ায়। তারা চিন্তা করে দুধের পরিমাণ কীসে বাড়বে। গাভির স্বাস্থ্য নিয়ে তাদের ভাবনা নেই।
দুধ পচনশীল খাবার। এটা সংরক্ষণ করার জন্য দেশে কোনো ব্যবস্থা নেই। যদি কোনো ধরনের ব্যবস্থা থাকত তাহলে খামারিরা দুধ নিয়ে বিপদে পড়তেন না। এমনকি খামারিরা যে গরু বাজারজাত করবেন, তারও যথাযথ কোনো পলিসি নেই।
অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে দানাদার খাদ্যের দাম। সঙ্গে দ্বিগুণ বেড়েছে খড়ের দাম। গমের ভুসি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬৫০ থেকে দুই হাজার টাকা বস্তা, ভুট্টার গুঁড়া ১ হাজার ৭০০ টাকা বস্তা, ধানের কুঁড়া ৭৫০ টাকা বস্তা, খৈল সাড়ে চার টাকা থেকে পাঁচ হাজার টাকা বস্তা, খেসারির ভুসি ১ হাজার ৬০০ টাকা (৩০ কেজি) বস্তা এবং ঘাস প্রতি আঁটি ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাউফিড প্রতি বস্তা দেড় হাজার টাকা। অ্যাঙ্কর ডালের ভুসি ১ হাজার ২০০ টাকা বস্তা দরে কিনতে হচ্ছে। ধানের খড় কিনতে হচ্ছে প্রতি আঁটি পাঁচ-ছয় টাকা দরে। এমন পরিস্থিতিতে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে গোখাদ্যের দাম আরও বৃদ্ধি হবে। এ ছাড়া ডিলারের কাছে বিশাল অঙ্কের টাকা বাকি পড়ে থাকায় গরু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন অনেক খামারি।
ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আজমল খান জানান, খামারিদের নিয়ে কেউ চিন্তিত হয় না। গরুর খাবার জোগাড় করতে গিয়েই খামারিরা হিমশিম খাচ্ছেন। খরচ জোগাড় করতে গিয়েই অনেক খামারি পথে বসেছেন। এ ছাড়া উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করার জন্য কৃষক ও খামারি বান্ধব নিরাপদ কোনো স্থাপনা নেই।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘খামারিরা লোকসান গুনছেন, এ বিষয়টি আমরা উপলব্ধি করতে পারছি। তবে এ ক্ষেত্রে আমাদের করার কিছুই নেই। খামারিদের দুধ উৎপাদন খরচ বেড়ে গেলে তাঁরা দাম বাড়াবেন। আমরা নিয়মিত প্রতিটি উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মাধ্যমে খামারিদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে