গফরগাঁও প্রতিনিধি
গফরগাঁও উপজেলা পরিষদের পুকুর পাড়ের পুরোনো শিশুপার্কটি এক বছর আগে পুনর্নির্মাণ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় থেকে ৫০ গজ দূরে অবস্থিত শিশুপার্কটিই ছিল এখানকার শিশুদের একমাত্র বিনোদনকেন্দ্র। তবে পুনর্নির্মাণের পর বছর না যেতেই বেহাল শিশুপার্কটি।
জানা গেছে, উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদ ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘উপজেলা পরিষদ শিশু পার্ক’ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। উপজেলা পরিষদ পুকুরপাড় ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সরকারি বাসভবনের মাঝখানে চারদিকে সীমানা প্রাচীর দিয়ে, প্রবেশ তোরণসহ পার্কটি নির্মাণ করা হয়। পার্কটি নতুন আদলে নির্মাণের পর ভেতরে শিশুদের জন্য দোলনা, স্লিপার, পশু-পাখির ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়। শিশুদের বিনোদনের জন্য বনের রাজা সিংহ, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রা হরিণ, বিশালাকায় ইগল পাখির ভাস্কর্যসহ, বিশ্রামের জন্য এসএস দিয়ে বেঞ্চ ও সিমেন্টের বেশ কয়েকটি প্রমাণআকার ছাতা তৈরি করা হয়।
স্থানীয় সাংসদ ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল পার্কটির পুনর্নির্মাণ শেষে উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর থেকেই এলাকার ও আশপাশের শিশুরা অভিভাবকদের সঙ্গে পার্কে এসে খেলা করত। প্রতিদিন শত শত শিশু-কিশোরের কলরবে মুখরিত থাকত পার্কটি। সেই সঙ্গে অভিভাবকেরা পাশের শানবাঁধানো পুকরঘাটে বসে গল্প করতেন। অনেকে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর পুকুরের পাড়ে হাঁটতে বের হতেন।
উপজেলা প্রশাসন আনসার সদস্যদের দিয়ে কিছুদিন পার্কের নিরাপত্তার ব্যবস্থার দেখাশোনা করান। পরে আর দায়িত্বের বিষয়টি ধারাবাহিকভাবে পালন করা হয়নি। এই সুযোগে রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তরা শিশুপার্কের ভেতরের দোলনা, স্লিপার খুলে নিয়ে যায়। ভেঙে ফেলে ভেতরের পশু পাখির ভাস্কর্য। এত করে অল্পদিনেই পার্কটি তার আবেদন হারিয়ে পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে।
উপজেলা পরিষদ এলাকার বাসিন্দা আলিম রেজা বলেন, বিকেলে বাচ্চাদের নিয়ে শিশুপার্কে ছেড়ে দিতাম। তারা আপন মনে খেলা করত। পার্কের পশুপাখি আর খেলনাগুলো তাদের আনন্দের খোরাক ছিল। এখন এগুলো না থাকায় শিশুরা আর ওখানে খেলতে যায় না।
গৃহিণী দেলোয়ারা পারভীন বলেন, শিশুরা পার্কে দল বেঁধে আনন্দ, হই হুল্লোড় করত। এতে তাঁদের মানসিক বিকাশ ঘটত। আগের মতো খেলার মাঠ না থাকায় শিশুদের বিনোদনের উৎস কমে যাচ্ছে।’
এলাকাবাসীর অভিযোগ এত টাকা ব্যয়ের একটি সুন্দর প্রকল্প দেখাশোনার অভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। এর দায় কিছুতেই এড়াতে পারেন প্রশাসন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন বলেন, প্রকল্প পরবর্তী দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের অভাবে পার্কটি নষ্ট হয়েছে। চোখের সামনে নিরাপত্তার অভাবে পার্কটি শেষ হলো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবিদুর রহমান বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ শিশুপার্ক প্রকল্পটি আমার এখানে যোগদানের আগের। জানতে পেরেছি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এবং জনবল সংকটে পার্কটি বেহাল হয়ে পড়েছে। এটি পুনরায় সংস্কার এবং ইজারার মাধ্যমে পরিচালন করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।’
গফরগাঁও উপজেলা পরিষদের পুকুর পাড়ের পুরোনো শিশুপার্কটি এক বছর আগে পুনর্নির্মাণ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় থেকে ৫০ গজ দূরে অবস্থিত শিশুপার্কটিই ছিল এখানকার শিশুদের একমাত্র বিনোদনকেন্দ্র। তবে পুনর্নির্মাণের পর বছর না যেতেই বেহাল শিশুপার্কটি।
জানা গেছে, উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদ ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘উপজেলা পরিষদ শিশু পার্ক’ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। উপজেলা পরিষদ পুকুরপাড় ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সরকারি বাসভবনের মাঝখানে চারদিকে সীমানা প্রাচীর দিয়ে, প্রবেশ তোরণসহ পার্কটি নির্মাণ করা হয়। পার্কটি নতুন আদলে নির্মাণের পর ভেতরে শিশুদের জন্য দোলনা, স্লিপার, পশু-পাখির ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়। শিশুদের বিনোদনের জন্য বনের রাজা সিংহ, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রা হরিণ, বিশালাকায় ইগল পাখির ভাস্কর্যসহ, বিশ্রামের জন্য এসএস দিয়ে বেঞ্চ ও সিমেন্টের বেশ কয়েকটি প্রমাণআকার ছাতা তৈরি করা হয়।
স্থানীয় সাংসদ ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল পার্কটির পুনর্নির্মাণ শেষে উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর থেকেই এলাকার ও আশপাশের শিশুরা অভিভাবকদের সঙ্গে পার্কে এসে খেলা করত। প্রতিদিন শত শত শিশু-কিশোরের কলরবে মুখরিত থাকত পার্কটি। সেই সঙ্গে অভিভাবকেরা পাশের শানবাঁধানো পুকরঘাটে বসে গল্প করতেন। অনেকে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর পুকুরের পাড়ে হাঁটতে বের হতেন।
উপজেলা প্রশাসন আনসার সদস্যদের দিয়ে কিছুদিন পার্কের নিরাপত্তার ব্যবস্থার দেখাশোনা করান। পরে আর দায়িত্বের বিষয়টি ধারাবাহিকভাবে পালন করা হয়নি। এই সুযোগে রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তরা শিশুপার্কের ভেতরের দোলনা, স্লিপার খুলে নিয়ে যায়। ভেঙে ফেলে ভেতরের পশু পাখির ভাস্কর্য। এত করে অল্পদিনেই পার্কটি তার আবেদন হারিয়ে পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে।
উপজেলা পরিষদ এলাকার বাসিন্দা আলিম রেজা বলেন, বিকেলে বাচ্চাদের নিয়ে শিশুপার্কে ছেড়ে দিতাম। তারা আপন মনে খেলা করত। পার্কের পশুপাখি আর খেলনাগুলো তাদের আনন্দের খোরাক ছিল। এখন এগুলো না থাকায় শিশুরা আর ওখানে খেলতে যায় না।
গৃহিণী দেলোয়ারা পারভীন বলেন, শিশুরা পার্কে দল বেঁধে আনন্দ, হই হুল্লোড় করত। এতে তাঁদের মানসিক বিকাশ ঘটত। আগের মতো খেলার মাঠ না থাকায় শিশুদের বিনোদনের উৎস কমে যাচ্ছে।’
এলাকাবাসীর অভিযোগ এত টাকা ব্যয়ের একটি সুন্দর প্রকল্প দেখাশোনার অভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। এর দায় কিছুতেই এড়াতে পারেন প্রশাসন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন বলেন, প্রকল্প পরবর্তী দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের অভাবে পার্কটি নষ্ট হয়েছে। চোখের সামনে নিরাপত্তার অভাবে পার্কটি শেষ হলো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবিদুর রহমান বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ শিশুপার্ক প্রকল্পটি আমার এখানে যোগদানের আগের। জানতে পেরেছি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এবং জনবল সংকটে পার্কটি বেহাল হয়ে পড়েছে। এটি পুনরায় সংস্কার এবং ইজারার মাধ্যমে পরিচালন করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে