ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
ইদ্রিছ আলীর পেশা ছিল বড়শি দিয়ে মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করা। এভাবেই তাঁর সংসার চলত। তবে এই পেশা ছেড়ে সম্প্রতি তিনি সাপ ধরার মতো ভয়ংকর পেশা বেছে নিয়েছেন। এতে আর্থিকভাবে খুব বেশি লাভবান না হলেও খুব আনন্দ পাচ্ছেন তিনি। সেই সঙ্গে এলাকাবাসীকে সাপের ভয় থেকে মুক্তি দেওয়ার আনন্দও রয়েছে এই পেশায়। তবে শুরুটা হয়েছিল শখ থেকে। শখের বশে সাপ ধরতে গিয়ে এই অদ্ভুত পেশাকে ভালোবেসে ফেলেছেন টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার শালিয়াবহ দক্ষিণপাড়া গ্রামের ইদ্রিস আলী (৭০)।
গত মঙ্গলবার শালিয়াবহ দক্ষিণপাড়া গ্রামে গিয়ে কথা হয় ইদ্রিছ আলীর সঙ্গে। তিনি জানান, বাড়ি ভিটা ছাড়া তাঁর কোনো জমি নেই। খালে বিলে বড়শি দিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পানিতে মাছ ধরতে গিয়ে তাঁকে প্রায়ই সাপের মুখোমুখি হতে হয়। বছর তিনেক আগে নিজ গ্রামের হাবিবুর রহমান মুসার বাড়িতে সাপের উৎপাতের কথা শুনে প্রথমবারের মতো সেখানে সাপ ধরতে যান।
এ খবর রটে গেলে আশপাশের মানুষ তার কাছে সাপ ধরার জন্য আসতে থাকেন। সেখান থেকেই এক অদ্ভুত শখ তাঁর মাথায় চেপে বসে। এই শখের বসেই ইদ্রিছ আলী ধীরে ধীরে সাপ ধরার নেশায় পড়ে যান। এখন সাপ ধরেই তাঁর সংসার চলে।
ইদ্রিস বলেন, পাহাড় এবং সমতলের কাছে আমার গ্রাম। ফলে এখানে সাপের উৎপাত খুব বেশি। সাপ ধরার কোনো তন্ত্রমন্ত্র নেই। সাহস ও কৌশল করেই সাপ ধরি। সাপ ধরে বিচিত্র মজা পাই।
মোবাইলে ফোনে সাপের খবর দিলেই সাপ ধরতে বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হন ইদ্রিছ। নিজ উপজেলা ও জেলার বাইরেও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকেও সাপ ধরার ডাক আসে তাঁর। তবে নিজ জেলার বাইরে কম যান। গত ১৫ দিনে বিভিন্ন স্থান থেকে তিনি ১০০ টির বেশি সাপ ধরেছেন বলে জানান তিনি।
ইদ্রিছ আলীর ছেলে মাসুদ জানান, সাপ ধরতে গিয়ে তার বাবা বিভিন্ন সময় দংশনের শিকার হয়েছেন। এ কাজ ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিলেও তিনি শোনেন না।
স্ত্রী, দুই ছেলে ও একজন মেয়ে ইদ্রিছের। দুই ছেলে মাসুদ ও মাহফিজ গাড়ি চালান। তাঁরা দুজনেই বিবাহিত। একমাত্র মেয়ে তাসলিমাকেও বিয়ে দিয়েছেন।
সাপ ধরার জন্য ইদ্রিসের নির্দিষ্ট কোনো ফি নেই। খুশি হয়ে যে যা দেয় তাই তিনি নেন। এখন পর্যন্ত ২০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বকশিশ পেয়েছেন। এ নিয়ে তিনি কোনো দরদাম করেন না।
ইদ্রিস দুঃখ করে বলেন, ‘সাপতো আমাদের শত্রু না। আমি সাপ ধরে দিলে বাড়ির মালিকেরা সেগুলো মেরে ফেলে। তখন আমার খুব খারাপ লাগে। আমি গরিব মানুষ। সুযোগ থাকলে এসব সাপ আমি সংরক্ষণ করতাম।’
প্রতিবেশী আব্দুল আজিজ বলেন, ‘আমরা ইদ্রিসের এই পেশাকে ভয় পাই। তারপরেও তাঁর কারণে এলাকাবাসীর অনেক উপকার হচ্ছে।’
সরকারি জিবিজি কলেজের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক যুলফিকার ই হায়দার বলেন, ‘সাপ ধরাকে পেশা হিসেবে নেওয়া সত্যি অদ্ভুত ব্যাপার। তবে সাপ পরিবেশের বন্ধু। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সাপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অধিকাংশ সাপই নির্বিষ। তাই সাপকে মেরে ফেলা উচিত না।’
ইদ্রিছ আলীর পেশা ছিল বড়শি দিয়ে মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করা। এভাবেই তাঁর সংসার চলত। তবে এই পেশা ছেড়ে সম্প্রতি তিনি সাপ ধরার মতো ভয়ংকর পেশা বেছে নিয়েছেন। এতে আর্থিকভাবে খুব বেশি লাভবান না হলেও খুব আনন্দ পাচ্ছেন তিনি। সেই সঙ্গে এলাকাবাসীকে সাপের ভয় থেকে মুক্তি দেওয়ার আনন্দও রয়েছে এই পেশায়। তবে শুরুটা হয়েছিল শখ থেকে। শখের বশে সাপ ধরতে গিয়ে এই অদ্ভুত পেশাকে ভালোবেসে ফেলেছেন টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার শালিয়াবহ দক্ষিণপাড়া গ্রামের ইদ্রিস আলী (৭০)।
গত মঙ্গলবার শালিয়াবহ দক্ষিণপাড়া গ্রামে গিয়ে কথা হয় ইদ্রিছ আলীর সঙ্গে। তিনি জানান, বাড়ি ভিটা ছাড়া তাঁর কোনো জমি নেই। খালে বিলে বড়শি দিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পানিতে মাছ ধরতে গিয়ে তাঁকে প্রায়ই সাপের মুখোমুখি হতে হয়। বছর তিনেক আগে নিজ গ্রামের হাবিবুর রহমান মুসার বাড়িতে সাপের উৎপাতের কথা শুনে প্রথমবারের মতো সেখানে সাপ ধরতে যান।
এ খবর রটে গেলে আশপাশের মানুষ তার কাছে সাপ ধরার জন্য আসতে থাকেন। সেখান থেকেই এক অদ্ভুত শখ তাঁর মাথায় চেপে বসে। এই শখের বসেই ইদ্রিছ আলী ধীরে ধীরে সাপ ধরার নেশায় পড়ে যান। এখন সাপ ধরেই তাঁর সংসার চলে।
ইদ্রিস বলেন, পাহাড় এবং সমতলের কাছে আমার গ্রাম। ফলে এখানে সাপের উৎপাত খুব বেশি। সাপ ধরার কোনো তন্ত্রমন্ত্র নেই। সাহস ও কৌশল করেই সাপ ধরি। সাপ ধরে বিচিত্র মজা পাই।
মোবাইলে ফোনে সাপের খবর দিলেই সাপ ধরতে বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হন ইদ্রিছ। নিজ উপজেলা ও জেলার বাইরেও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকেও সাপ ধরার ডাক আসে তাঁর। তবে নিজ জেলার বাইরে কম যান। গত ১৫ দিনে বিভিন্ন স্থান থেকে তিনি ১০০ টির বেশি সাপ ধরেছেন বলে জানান তিনি।
ইদ্রিছ আলীর ছেলে মাসুদ জানান, সাপ ধরতে গিয়ে তার বাবা বিভিন্ন সময় দংশনের শিকার হয়েছেন। এ কাজ ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিলেও তিনি শোনেন না।
স্ত্রী, দুই ছেলে ও একজন মেয়ে ইদ্রিছের। দুই ছেলে মাসুদ ও মাহফিজ গাড়ি চালান। তাঁরা দুজনেই বিবাহিত। একমাত্র মেয়ে তাসলিমাকেও বিয়ে দিয়েছেন।
সাপ ধরার জন্য ইদ্রিসের নির্দিষ্ট কোনো ফি নেই। খুশি হয়ে যে যা দেয় তাই তিনি নেন। এখন পর্যন্ত ২০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বকশিশ পেয়েছেন। এ নিয়ে তিনি কোনো দরদাম করেন না।
ইদ্রিস দুঃখ করে বলেন, ‘সাপতো আমাদের শত্রু না। আমি সাপ ধরে দিলে বাড়ির মালিকেরা সেগুলো মেরে ফেলে। তখন আমার খুব খারাপ লাগে। আমি গরিব মানুষ। সুযোগ থাকলে এসব সাপ আমি সংরক্ষণ করতাম।’
প্রতিবেশী আব্দুল আজিজ বলেন, ‘আমরা ইদ্রিসের এই পেশাকে ভয় পাই। তারপরেও তাঁর কারণে এলাকাবাসীর অনেক উপকার হচ্ছে।’
সরকারি জিবিজি কলেজের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক যুলফিকার ই হায়দার বলেন, ‘সাপ ধরাকে পেশা হিসেবে নেওয়া সত্যি অদ্ভুত ব্যাপার। তবে সাপ পরিবেশের বন্ধু। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সাপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অধিকাংশ সাপই নির্বিষ। তাই সাপকে মেরে ফেলা উচিত না।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২১ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে