ফেনী প্রতিনিধি
ফেনীতে শিশুদের মৌসুমি জ্বর-সর্দি, শ্বাসকষ্ট ও খিঁচুনিজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। গতকাল শুক্রবার ২৫০ শয্যার ফেনী জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালটির শিশু ওয়ার্ডের কোনো শয্যাই খালি নেই। অতিরিক্ত রোগীর চাপে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বারান্দা ও করিডরে।
হাসপাতালের শিশু বিভাগের নার্সিং ইনচার্জ নিলুফা সুলতানার জানান, প্রতিদিন আউটডোরে প্রচুর শিশু রোগী হাসপাতালে সেবা নিতে আসছেন। গতকাল সকাল পর্যন্ত ৭৬ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৭০ জন রোগী ভর্তি হয়েছিল। আগের দিন বুধবার ছিল ৮৫ জন, মঙ্গলবার ছিল ৮৩ জন।
হাসপাতালের চিকিৎসকেরা প্রতি মুহূর্তে বাচ্চাদের চেকআপ করছেন। সিনিয়র শিশু কনসালট্যান্ট আজিজুর রহমান ও মর্জিনা আক্তার সকালে রোগীদের দেখেছেন।
হাসপাতালটির আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. ইকবাল হোসেন জানান, ২৬ জনের শিশু ওয়ার্ডে প্রতিদিনই ৫০ জনের ওপরে রোগী ভর্তি থাকে। ফলে বরাদ্দ ২৬ রোগীর বাইরে অন্যদের ওষুধসহ প্রয়োজনীয় সেবা দিতে সাময়িক অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। আর মৌসুমি জ্বর-কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে শিশুরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।
হাসপাতালের ফ্লু-কর্নারের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. সৈয়দ শাহরিয়ার জানান, সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তিনি বহির্বিভাগে ৬০ জন রোগী দেখেছেন। এর মধ্যেই অধিকাংশ শিশু এবং অধিকাংশই জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত।
হাসপাতালটিতে সরেজমিনে দেখা যায়, জ্বর-সর্দির রোগীর কারণে কোথাও ঠাঁই নেই। রোগীর চাপে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। বহির্বিভাগে আসা রোগীর অর্ধেকই ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত। অসুস্থ সন্তানকে নিয়ে জরুরি বিভাগের সামনে অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে অভিভাবকদের। এর মধ্যে বেশির ভাগই জ্বর, ঠান্ডা ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত।
সালমা বেগম নামের এক শিশুর মা বলেন, তাঁর ছেলে আদিলের বয়স ১৯ মাস। দুই দিন ধরে জ্বর থাকায় হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
এদিকে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা ফরিদা পারভিন নামের এক নারী জানান, হাসপাতালে শয্যা খালি না থাকায় ছোট বাচ্চাটিকে নিয়ে করিডরের মেঝেতে থাকতে হচ্ছে তাঁকে।
উম্মে কুলসুম নামের এক মা জানান, তাঁর মেয়ে উম্মে হাবিবা (৪) গত ১৫ দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত। উপায়ান্তর না দেখে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। ওহিদুল আলম নামের এক ব্যক্তি তাঁর মেয়ে মরিয়মকে (৫) নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আজ ২ দিন। তাঁর মেয়েও জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছে। চিকিৎসার পর এখন একটু ভালো আছে।
এসব বিষয়ে ফেনী সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. সেলিম চিশতীয়া জানান, ফ্লু ভাইরাসের কারণে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। অতিরিক্ত গরম, একটু একটু ঠান্ডা সব মিলিয়ে মৌসুম পরিবর্তনের কারণে বাচ্চারা জ্বর, সর্দি, কাশিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। স্বাভাবিক চিকিৎসাতেই তারা সেরে উঠছে।
ফেনীতে শিশুদের মৌসুমি জ্বর-সর্দি, শ্বাসকষ্ট ও খিঁচুনিজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। গতকাল শুক্রবার ২৫০ শয্যার ফেনী জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালটির শিশু ওয়ার্ডের কোনো শয্যাই খালি নেই। অতিরিক্ত রোগীর চাপে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বারান্দা ও করিডরে।
হাসপাতালের শিশু বিভাগের নার্সিং ইনচার্জ নিলুফা সুলতানার জানান, প্রতিদিন আউটডোরে প্রচুর শিশু রোগী হাসপাতালে সেবা নিতে আসছেন। গতকাল সকাল পর্যন্ত ৭৬ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৭০ জন রোগী ভর্তি হয়েছিল। আগের দিন বুধবার ছিল ৮৫ জন, মঙ্গলবার ছিল ৮৩ জন।
হাসপাতালের চিকিৎসকেরা প্রতি মুহূর্তে বাচ্চাদের চেকআপ করছেন। সিনিয়র শিশু কনসালট্যান্ট আজিজুর রহমান ও মর্জিনা আক্তার সকালে রোগীদের দেখেছেন।
হাসপাতালটির আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. ইকবাল হোসেন জানান, ২৬ জনের শিশু ওয়ার্ডে প্রতিদিনই ৫০ জনের ওপরে রোগী ভর্তি থাকে। ফলে বরাদ্দ ২৬ রোগীর বাইরে অন্যদের ওষুধসহ প্রয়োজনীয় সেবা দিতে সাময়িক অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। আর মৌসুমি জ্বর-কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে শিশুরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।
হাসপাতালের ফ্লু-কর্নারের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. সৈয়দ শাহরিয়ার জানান, সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তিনি বহির্বিভাগে ৬০ জন রোগী দেখেছেন। এর মধ্যেই অধিকাংশ শিশু এবং অধিকাংশই জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত।
হাসপাতালটিতে সরেজমিনে দেখা যায়, জ্বর-সর্দির রোগীর কারণে কোথাও ঠাঁই নেই। রোগীর চাপে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। বহির্বিভাগে আসা রোগীর অর্ধেকই ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত। অসুস্থ সন্তানকে নিয়ে জরুরি বিভাগের সামনে অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে অভিভাবকদের। এর মধ্যে বেশির ভাগই জ্বর, ঠান্ডা ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত।
সালমা বেগম নামের এক শিশুর মা বলেন, তাঁর ছেলে আদিলের বয়স ১৯ মাস। দুই দিন ধরে জ্বর থাকায় হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
এদিকে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা ফরিদা পারভিন নামের এক নারী জানান, হাসপাতালে শয্যা খালি না থাকায় ছোট বাচ্চাটিকে নিয়ে করিডরের মেঝেতে থাকতে হচ্ছে তাঁকে।
উম্মে কুলসুম নামের এক মা জানান, তাঁর মেয়ে উম্মে হাবিবা (৪) গত ১৫ দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত। উপায়ান্তর না দেখে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। ওহিদুল আলম নামের এক ব্যক্তি তাঁর মেয়ে মরিয়মকে (৫) নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আজ ২ দিন। তাঁর মেয়েও জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছে। চিকিৎসার পর এখন একটু ভালো আছে।
এসব বিষয়ে ফেনী সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. সেলিম চিশতীয়া জানান, ফ্লু ভাইরাসের কারণে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। অতিরিক্ত গরম, একটু একটু ঠান্ডা সব মিলিয়ে মৌসুম পরিবর্তনের কারণে বাচ্চারা জ্বর, সর্দি, কাশিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। স্বাভাবিক চিকিৎসাতেই তারা সেরে উঠছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ ঘণ্টা আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ ঘণ্টা আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ ঘণ্টা আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৫ ঘণ্টা আগে