সাইফুল মাসুম, ঢাকা
সাশ্রয়ী খরচে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) তৈরি করা একটি বিশেষ অ্যাপের সুফল চার বছরেও কৃষকদের কাছে পৌঁছায়নি। চলতি মাসে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করার কথা আগে বলা হয়ে থাকলেও সরকার পরিবর্তনসহ বিভিন্ন কারণে তা কার্যত সম্ভব নয়। বিএআরসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এবার অবশিষ্ট কাজ শেষ করে কৃষকের হাতে অ্যাপটি পৌঁছানোর জন্য নতুন প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে। কর্মকর্তাদের কেউ কেউ সরকার বদলের কারণে অ্যাপটির ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কাও প্রকাশ করেছিলেন।
বিএআরসির তথ্য অনুসারে, ‘ডেভেলপমেন্ট অব উপজেলা ল্যান্ড স্যুটেবিলিটি অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড ক্রপ জোনিং সিস্টেম অব বাংলাদেশ’ নামের প্রকল্পের আওতায় ‘খামারি’ নামের অ্যাপটি তৈরি করা হয়েছে। পুরো প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৭ থেকে ২০২৫ সাল। ভূমির বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে এলাকাভিত্তিক শস্য চাষ এর মূল বিষয়। কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় ২০১৭ থেকে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।
খামারি অ্যাপ তৈরি করছে ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং। এটি তৈরি হচ্ছে সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায়। ২০২০ সালের নভেম্বরে পরীক্ষামূলকভাবে এটি গুগল প্লে স্টোরে ছাড়াও হয়।
খামারি অ্যাপে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে সরবরাহ করা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মাটির গুণাগুণের তথ্য সন্নিবেশিত করা হয়েছে। এতে আধুনিক ক্রপ জোনিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ক্রপ জোনিংয়ে মূলত এলাকাভিত্তিক মাটির বৈশিষ্ট্য, আবহাওয়া-জলবায়ু ও ফসলের অর্থনৈতিক দিক সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এসব তথ্য দিয়ে কোন জমি কোন মৌসুমে কোন ফসলের জন্য উপযোগী এবং এলাকাভিত্তিক কোন ফসল অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক, তা চিহ্নিত করা যায়। অ্যাপটিতে প্রবেশ করলেই এলাকাভেদে ফসলের উপযোগিতা, সার সুপারিশ, ফসল জোন, শস্যবিন্যাস, সংরক্ষিত তথ্য ও মাটির গুণাগুণ নামের বিভিন্ন মেনুবার পাওয়া যায়। প্রতিটি মেনুতে রয়েছে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশদ তথ্য।
বিএআরসির সদস্য পরিচালক ড. মো. আবদুছ ছালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪২০টি উপজেলায় মাটির গুণাগুণ পরীক্ষা ও প্রায় ৮০টি ফসলের ক্রপ জোনিং করতে পেরেছি। বাকি উপজেলার কাজ চলমান রয়েছে। এসব তথ্য খামারি অ্যাপে আপডেট করা হয়েছে। এতে সব মিলিয়ে ২৭ কোটি টাকার মতো খরচ হয়েছে। অ্যাপটি কৃষক পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য নতুন প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে।’
মো. আবদুছ ছালাম বলেন, এখন অ্যাপসে তথ্য দিয়ে তা নিয়মিত হালনাগাদ করতে হবে। নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে বাকি কাজ করা ও পুরোনো তথ্যের হালনাগাদের কাজ চলবে। অ্যাপটি কার্যকর করার জন্য কৃষকদের হাতেকলমে এটি ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
বিএআরসির তথ্য অনুসারে, গত ৩১ জুলাই পর্যন্ত খামারি অ্যাপ ১ লাখ ২৬ হাজারের বেশিবার ডাউনলোড করা হয়েছে। অ্যাপটি ব্যবহারের জন্য ১২৩ উপজেলার ৫ হাজারের বেশি মানুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সারের ডিলার, কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষক রয়েছেন। তবে ঠিক কতজন কৃষক প্রশিক্ষণের আওতায় এসেছেন, তা সংস্থাটি জানাতে পারেনি।
বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. নাজমুন নাহার করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অ্যাপটি মাঠপর্যায়ে পরীক্ষা করে সুফল পাওয়া গেছে। এর আরও কিছু কাজ বাকি রয়েছে। ফলে আগের পরিকল্পনামতো আর উদ্বোধন হবে না। তবে প্রকল্প সম্প্রসারণের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ে ৪৫ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তাব জমা দিয়েছি। এটি অনুমোদিত হলে কাজটা পরিপূর্ণভাবে হবে।’
নতুন প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয়ের অঙ্ক নিয়ে নাজমুন নাহার বলেন, এখনো অনেক উপজেলায় ফসলের ক্রপ জোনিংয়ের কাজ বাকি আছে। এই জন্য আরও কাজ করতে হবে। তা ছাড়া প্রকল্প প্রস্তাব শুধু জমা দেওয়া হয়েছে, এখনো তা চূড়ান্ত হয়নি। কৃষি মন্ত্রণালয় পর্যালোচনা করে প্রকল্পের চূড়ান্ত ব্যয় নির্ধারণ করবে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার ঘোষণা দিয়ে দেড় দশকে বিপুল অঙ্কের অর্থ ব্যয় করেছে। এর মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের অনেক প্রকল্প নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তাদের তৈরি করা বহু অ্যাপ কার্যত কোনো কাজেই আসেনি।
সাশ্রয়ী খরচে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) তৈরি করা একটি বিশেষ অ্যাপের সুফল চার বছরেও কৃষকদের কাছে পৌঁছায়নি। চলতি মাসে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করার কথা আগে বলা হয়ে থাকলেও সরকার পরিবর্তনসহ বিভিন্ন কারণে তা কার্যত সম্ভব নয়। বিএআরসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এবার অবশিষ্ট কাজ শেষ করে কৃষকের হাতে অ্যাপটি পৌঁছানোর জন্য নতুন প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে। কর্মকর্তাদের কেউ কেউ সরকার বদলের কারণে অ্যাপটির ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কাও প্রকাশ করেছিলেন।
বিএআরসির তথ্য অনুসারে, ‘ডেভেলপমেন্ট অব উপজেলা ল্যান্ড স্যুটেবিলিটি অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড ক্রপ জোনিং সিস্টেম অব বাংলাদেশ’ নামের প্রকল্পের আওতায় ‘খামারি’ নামের অ্যাপটি তৈরি করা হয়েছে। পুরো প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৭ থেকে ২০২৫ সাল। ভূমির বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে এলাকাভিত্তিক শস্য চাষ এর মূল বিষয়। কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় ২০১৭ থেকে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।
খামারি অ্যাপ তৈরি করছে ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং। এটি তৈরি হচ্ছে সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায়। ২০২০ সালের নভেম্বরে পরীক্ষামূলকভাবে এটি গুগল প্লে স্টোরে ছাড়াও হয়।
খামারি অ্যাপে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে সরবরাহ করা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মাটির গুণাগুণের তথ্য সন্নিবেশিত করা হয়েছে। এতে আধুনিক ক্রপ জোনিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ক্রপ জোনিংয়ে মূলত এলাকাভিত্তিক মাটির বৈশিষ্ট্য, আবহাওয়া-জলবায়ু ও ফসলের অর্থনৈতিক দিক সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এসব তথ্য দিয়ে কোন জমি কোন মৌসুমে কোন ফসলের জন্য উপযোগী এবং এলাকাভিত্তিক কোন ফসল অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক, তা চিহ্নিত করা যায়। অ্যাপটিতে প্রবেশ করলেই এলাকাভেদে ফসলের উপযোগিতা, সার সুপারিশ, ফসল জোন, শস্যবিন্যাস, সংরক্ষিত তথ্য ও মাটির গুণাগুণ নামের বিভিন্ন মেনুবার পাওয়া যায়। প্রতিটি মেনুতে রয়েছে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশদ তথ্য।
বিএআরসির সদস্য পরিচালক ড. মো. আবদুছ ছালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪২০টি উপজেলায় মাটির গুণাগুণ পরীক্ষা ও প্রায় ৮০টি ফসলের ক্রপ জোনিং করতে পেরেছি। বাকি উপজেলার কাজ চলমান রয়েছে। এসব তথ্য খামারি অ্যাপে আপডেট করা হয়েছে। এতে সব মিলিয়ে ২৭ কোটি টাকার মতো খরচ হয়েছে। অ্যাপটি কৃষক পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য নতুন প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে।’
মো. আবদুছ ছালাম বলেন, এখন অ্যাপসে তথ্য দিয়ে তা নিয়মিত হালনাগাদ করতে হবে। নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে বাকি কাজ করা ও পুরোনো তথ্যের হালনাগাদের কাজ চলবে। অ্যাপটি কার্যকর করার জন্য কৃষকদের হাতেকলমে এটি ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
বিএআরসির তথ্য অনুসারে, গত ৩১ জুলাই পর্যন্ত খামারি অ্যাপ ১ লাখ ২৬ হাজারের বেশিবার ডাউনলোড করা হয়েছে। অ্যাপটি ব্যবহারের জন্য ১২৩ উপজেলার ৫ হাজারের বেশি মানুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সারের ডিলার, কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষক রয়েছেন। তবে ঠিক কতজন কৃষক প্রশিক্ষণের আওতায় এসেছেন, তা সংস্থাটি জানাতে পারেনি।
বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. নাজমুন নাহার করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অ্যাপটি মাঠপর্যায়ে পরীক্ষা করে সুফল পাওয়া গেছে। এর আরও কিছু কাজ বাকি রয়েছে। ফলে আগের পরিকল্পনামতো আর উদ্বোধন হবে না। তবে প্রকল্প সম্প্রসারণের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ে ৪৫ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তাব জমা দিয়েছি। এটি অনুমোদিত হলে কাজটা পরিপূর্ণভাবে হবে।’
নতুন প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয়ের অঙ্ক নিয়ে নাজমুন নাহার বলেন, এখনো অনেক উপজেলায় ফসলের ক্রপ জোনিংয়ের কাজ বাকি আছে। এই জন্য আরও কাজ করতে হবে। তা ছাড়া প্রকল্প প্রস্তাব শুধু জমা দেওয়া হয়েছে, এখনো তা চূড়ান্ত হয়নি। কৃষি মন্ত্রণালয় পর্যালোচনা করে প্রকল্পের চূড়ান্ত ব্যয় নির্ধারণ করবে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার ঘোষণা দিয়ে দেড় দশকে বিপুল অঙ্কের অর্থ ব্যয় করেছে। এর মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের অনেক প্রকল্প নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তাদের তৈরি করা বহু অ্যাপ কার্যত কোনো কাজেই আসেনি।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে