উবায়দুল্লাহ বাদল, ঢাকা
মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১ হাজার ৬০৬ জন রোহিঙ্গা চলতি বছর হজে যেতে চান। কক্সবাজারে ক্যাম্পে থাকা এসব রোহিঙ্গা পবিত্র হজ পালনের অনুমতি চেয়ে ক্যাম্প ইন-চার্জদের কাছে আবেদন করেছেন। আবেদন করা ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করেছে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) কার্যালয়। এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা চেয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন তাঁরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে মতামত চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিতে যাচ্ছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। আরআরআরসি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (যুগ্ম সচিব) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অন্তত দেড় হাজার মিয়ানমারের নাগরিক এ বছর হজে যেতে আবেদন করেছেন। হজে যেতে হলে পাসপোর্ট-ভিসার ব্যাপার রয়েছে। তাঁরা যেহেতু আমাদের দেশের নাগরিক নন, স্বাভাবিক নিয়মে তাঁরা যেতে পারেন না। তারপরও হজ পালন যেহেতু ধর্মীয় বিষয়, তাই এ বিষয়ে আমাদের মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়েছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কূটনৈতিক চ্যানেলে সৌদি সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে কোনো ব্যবস্থা করতে পারে কি না। নাহলে দুর্যোগ মন্ত্রণালয় যে সিদ্ধান্ত দেবে সে অনুযায়ী আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি যেহেতু স্পর্শকাতর ও ধর্মীয়, তাই সিদ্ধান্ত হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতামতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সামরিক নিপীড়ন শুরু হওয়ায় আশির দশক থেকেই হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পাড়ি জমাতে থাকে। ২০১৭ সালের আগে অন্তত সাড়ে ৩ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট নতুন করে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ভয়াবহ নিপীড়ন শুরু হলে মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দিতে রাজি হয় বাংলাদেশ। তখন এক বছরে চলে আসে সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা। আরআরআরসির তথ্যমতে, উখিয়া-টেকনাফের ৩৪ আশ্রয়শিবিরে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছে। ইউএনএইচসিআরের পরিসংখ্যান মতে, এ সংখ্যা ৯ লাখ ৫৭ হাজার ৯৭১। অন্যদিকে, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের নিবন্ধন অনুসারে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা ১১ লাখ ১৮ হাজার ৫৮৬ জন।
সৌদি আরবে বসবাসরত ৩ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে গেছে কি না সে প্রশ্ন ওঠে সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে। জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আমাদের দেশ থেকে তারা গেছে, এটা সঠিক। ৩ লাখ লোক যারা গেছে, আমাদের পাসপোর্ট নিয়ে যায়নি তারা। তাদের নিজস্ব কৌশলে গেছে।’
মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১ হাজার ৬০৬ জন রোহিঙ্গা চলতি বছর হজে যেতে চান। কক্সবাজারে ক্যাম্পে থাকা এসব রোহিঙ্গা পবিত্র হজ পালনের অনুমতি চেয়ে ক্যাম্প ইন-চার্জদের কাছে আবেদন করেছেন। আবেদন করা ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করেছে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) কার্যালয়। এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা চেয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন তাঁরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে মতামত চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিতে যাচ্ছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। আরআরআরসি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (যুগ্ম সচিব) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অন্তত দেড় হাজার মিয়ানমারের নাগরিক এ বছর হজে যেতে আবেদন করেছেন। হজে যেতে হলে পাসপোর্ট-ভিসার ব্যাপার রয়েছে। তাঁরা যেহেতু আমাদের দেশের নাগরিক নন, স্বাভাবিক নিয়মে তাঁরা যেতে পারেন না। তারপরও হজ পালন যেহেতু ধর্মীয় বিষয়, তাই এ বিষয়ে আমাদের মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়েছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কূটনৈতিক চ্যানেলে সৌদি সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে কোনো ব্যবস্থা করতে পারে কি না। নাহলে দুর্যোগ মন্ত্রণালয় যে সিদ্ধান্ত দেবে সে অনুযায়ী আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি যেহেতু স্পর্শকাতর ও ধর্মীয়, তাই সিদ্ধান্ত হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতামতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সামরিক নিপীড়ন শুরু হওয়ায় আশির দশক থেকেই হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পাড়ি জমাতে থাকে। ২০১৭ সালের আগে অন্তত সাড়ে ৩ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট নতুন করে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ভয়াবহ নিপীড়ন শুরু হলে মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দিতে রাজি হয় বাংলাদেশ। তখন এক বছরে চলে আসে সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা। আরআরআরসির তথ্যমতে, উখিয়া-টেকনাফের ৩৪ আশ্রয়শিবিরে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছে। ইউএনএইচসিআরের পরিসংখ্যান মতে, এ সংখ্যা ৯ লাখ ৫৭ হাজার ৯৭১। অন্যদিকে, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের নিবন্ধন অনুসারে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা ১১ লাখ ১৮ হাজার ৫৮৬ জন।
সৌদি আরবে বসবাসরত ৩ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে গেছে কি না সে প্রশ্ন ওঠে সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে। জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আমাদের দেশ থেকে তারা গেছে, এটা সঠিক। ৩ লাখ লোক যারা গেছে, আমাদের পাসপোর্ট নিয়ে যায়নি তারা। তাদের নিজস্ব কৌশলে গেছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে