বিশ্বকাপ এলেই যারা জ্বলে ওঠে, সেই জার্মানরা এখন খাদের কিনারায়। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচের আগে কখনো এমন করুণ পরিস্থিতিতে তারা পড়েছিল কি না, ঘাঁটতে হচ্ছে বিশাল পরিসংখ্যান।

কিন্তু পরিসংখ্যানে কি আর সব সময় শক্তি-সামর্থ্যের কথা বলে? যেখানে শক্তি ও সামর্থ্যের প্রশ্ন, জার্মানরা যে সেখানেই নায়ক হয়ে ওঠেন। এবারও সেটাই করে দেখানোর পালা তাঁদের।

গ্রুপ পর্বের দুই রাউন্ড শেষে ‘ই’ গ্রুপে জার্মানদের অবস্থান সবার নিচে। প্রথম ম্যাচে জাপানের কাছে অপ্রত্যাশিত পরাজয়ের পর স্পেনের বিপক্ষে কোনোভাবে ড্র নিয়ে জার্মানদের পয়েন্ট মাত্র ১। তবে আজ প্রথম রাউন্ডের শেষ চক্রের আগে গ্রুপের সবারই যে সুযোগ আছে শেষ ষোলোতে যাওয়ার।

কঠিন সমীকরণের আগে জার্মান ফুটবল ভক্তদের সমর্থন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় টমাস মুলার। জাপানের বিপক্ষে পরাজয়ের পর থেকেই সতর্ক তিনি। বললেন, ‘কোস্টারিকা যখন জাপানের বিপক্ষে জেতে, সেটা আমাদের অনুপ্রাণিত করে। সে ম্যাচের ফল আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণও ছিল।’ তবে এ নিয়ে উচ্ছ্বসিত নন মুলার। ৩৩ বছর বয়সী বায়ার্ন ফরোয়ার্ড বলেছেন, ‘স্পেনের বিপক্ষে ম্যাচের পরও আমরা ভেবেছি, একটা জয় পরিস্থিতি পালটে দিতে পারে। সে লক্ষ্যে আমরা খেলব।’ বিশ্বকাপ খেলে যাচ্ছেন—এমন খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১০ গোল করা মুলারকে এবারের বিশ্বকাপে যেন অচেনাই মনে হচ্ছে। নিজের ফর্ম ফিরে পেতে সতীর্থদের সহায়তা চাইছেন মুলার, ‘অনুশীলনে আমি প্রচুর গোল করছি। কিন্তু ম্যাচে সেটা ঠিকঠাক হচ্ছে না। সেটা করতে আমাকে গোলের সুযোগটা আগে পেতে হবে!’ মুলারকে গোল করতে সহযোগিতা সবচেয়ে বেশি করতে পারেন দলের তরুণ তুর্কি জামাল মুসায়েলা। এ বয়সে এত ভালো নিজেও ছিলেন না বলে জানালেন তিনি। মুলারের এ স্তুতির জন্যই শুধু নয়, তাঁর অমিত প্রতিভার জন্যও জামালের দিকে বড় আশা নিয়ে তাকিয়ে থাকবে জার্মান সমর্থকেরাও।

জার্মানদের আক্রমণভাগে অবশ্য শুরুর একাদশে দলে ফিরতে পারেন স্পেনের বিপক্ষে ম্যাচ বাঁচানো নিকোলাস ফুলক্রুগ। ৩০ বছর বয়সে জার্মান দলে প্রথমবারের মতো সুযোগ পেয়ে তিন ম্যাচে এরই মধ্যে ২ গোল করে ফেলেছেন ব্রেমেনের এ স্ট্রাইকার।

উত্তর আমেরিকার দল কোস্টারিকার বিপক্ষে মুখোমুখি লড়াইয়ে জার্মানরাই এগিয়ে। এবার নিজেদের সেই শক্তি ও সামর্থ্যের প্রমাণ দেখাতে চান জার্মানরা।