অভিষেক তরফদার অঞ্জন
পাকিস্তানি জেনারেলরা বাঙালিদের ঘৃণা করত। বলত, বাঙালি মুসলমানদের মাথা নাকি নষ্ট করে দিয়েছে হিন্দু শিক্ষকেরা। তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানি আমলাতন্ত্র আর সেনাবাহিনী মিলে যে ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তৃত করেছিল, তারই ফল ছিল নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ক্ষমতা না দেওয়া। আর সে জন্যই তারা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে গুঁড়িয়ে দিতে চেয়েছিল এই দেশ।
এই ইতিহাস আমরা সবাই জানি। এবং এও জানি, পাকিস্তানি পাঠ্যপুস্তকেও বাংলাদেশের জন্ম-ইতিহাস লেখা হয়েছিল ভুলভাবে, মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে। তাই পাকিস্তানি নাগরিকেরা কীভাবে ১৯৭১ সালের যুদ্ধকে দেখে, সে প্রশ্নেরও উত্তর মেলে না।
তবে ২৫ বছর বয়সী পাকিস্তানি যুবক তাহির ঢাকায় এসে যখন জানালেন, বাংলা ভাষার প্রেমেই তিনি এখানে এসেছেন, তখন তাঁর প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয়। শুধু বাংলা শিখবেন বলেই তাঁর বাংলাদেশে আসা।
ছোটবেলায় পাঠ্যবই থেকে তাহির জানতে পারেন, পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানের আলাদা হওয়ার শুরু ভাষা আন্দোলন থেকেই। তাঁর শিশু মনে প্রশ্ন জেগেছিল, ‘বাংলা ভাষার মধ্যে কী এমন ছিল যে বাঙালিরা আমাদের থেকে আলাদা হয়ে গেল?’
তাহিরের প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। তাই আগ্রহ থেকেই করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কেউ কি নিষেধ করেছিল বাংলা শিখতে? না। সেভাবে কেউ নিষেধ করেনি। তবে নিজের পরিবার ও নিজের সমাজ তাহিরকে নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা করেছে। তাহির বললেন, ‘বন্ধুরা আমাকে বলেছে, তুমি কি পাগল হয়ে গেছ? এই যুগে সবাই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে, মেডিকেলে পড়ে, না হলে কেউ ব্যাংকার কিংবা আইনজীবী হতে চায়। সেখানে তুমি এটা কী করছো?
তবে এসব প্রশ্ন হতাশ করতে পারেনি ২৫ বছর বয়সী এই তরুণকে। করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় স্নাতক শেষ করলেও তিনি বুঝতে পারলেন, আরও শিখতে হবে। বিশেষ করে বাংলা বিভাগের যে বইগুলো সেখানে রয়েছে, সেগুলো অনেক পুরোনো, বাড়িতে এনে পড়ার সুযোগ নেই। পাকিস্তানে স্থানীয় বাঙালিদের কাছে শিখতে চেয়েছেন, কিন্তু তারা কেউ তাঁকে সময় দিতে চায়নি।
তাহির কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা বিখ্যাত পঙ্ক্তিগুলো আউড়ে যান, যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চল রে। এই গানটিই তাঁকে বাংলা শেখার ইচ্ছাকে বহন করার জন্য প্রেরণা জুগিয়েছে। সেই ইচ্ছাকে বাস্তবে পরিণত করার জন্য তিনি উড়াল দিয়ে চলে এসেছেন বাংলাদেশে। তাঁর মনে আশা, বাংলাদেশে বাংলা বিভাগের ছাত্রদের সঙ্গে মিলেমিশে ভালোভাবে বাংলা ভাষা শিখতে পারবেন তিনি।’
এ দেশের মানুষ একজন পাকিস্তানির সঙ্গে কেমন আচরণ করবে—এ প্রশ্নও তাড়িত করেছে তাহিরকে। কিন্তু তিনি দেখলেন বন্ধুবৎসল বাঙালিরা তাঁকে আপন করে নিয়েছে। এই ভালোবাসায় মুগ্ধ তিনি।
এখন তিনি ছুটছেন বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। উদ্দেশ্য—বাংলায় উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়া।
পাকিস্তানি তরুণ তাহির দ্বিধাহীন কণ্ঠে বলেন, ‘আমি গর্বিত যে আমি বাংলা ভাষা শিখছি। বাংলা ভাষার সঙ্গে আমার যে প্রেম বা ভালোবাসা তৈরি হয়েছে, তা দিয়েই আমি পাকিস্তানের মানুষকে এই ভাষার সঙ্গে পরিচিত করাতে চাই।’
পাকিস্তানি জেনারেলরা বাঙালিদের ঘৃণা করত। বলত, বাঙালি মুসলমানদের মাথা নাকি নষ্ট করে দিয়েছে হিন্দু শিক্ষকেরা। তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানি আমলাতন্ত্র আর সেনাবাহিনী মিলে যে ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তৃত করেছিল, তারই ফল ছিল নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ক্ষমতা না দেওয়া। আর সে জন্যই তারা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে গুঁড়িয়ে দিতে চেয়েছিল এই দেশ।
এই ইতিহাস আমরা সবাই জানি। এবং এও জানি, পাকিস্তানি পাঠ্যপুস্তকেও বাংলাদেশের জন্ম-ইতিহাস লেখা হয়েছিল ভুলভাবে, মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে। তাই পাকিস্তানি নাগরিকেরা কীভাবে ১৯৭১ সালের যুদ্ধকে দেখে, সে প্রশ্নেরও উত্তর মেলে না।
তবে ২৫ বছর বয়সী পাকিস্তানি যুবক তাহির ঢাকায় এসে যখন জানালেন, বাংলা ভাষার প্রেমেই তিনি এখানে এসেছেন, তখন তাঁর প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয়। শুধু বাংলা শিখবেন বলেই তাঁর বাংলাদেশে আসা।
ছোটবেলায় পাঠ্যবই থেকে তাহির জানতে পারেন, পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানের আলাদা হওয়ার শুরু ভাষা আন্দোলন থেকেই। তাঁর শিশু মনে প্রশ্ন জেগেছিল, ‘বাংলা ভাষার মধ্যে কী এমন ছিল যে বাঙালিরা আমাদের থেকে আলাদা হয়ে গেল?’
তাহিরের প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। তাই আগ্রহ থেকেই করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কেউ কি নিষেধ করেছিল বাংলা শিখতে? না। সেভাবে কেউ নিষেধ করেনি। তবে নিজের পরিবার ও নিজের সমাজ তাহিরকে নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা করেছে। তাহির বললেন, ‘বন্ধুরা আমাকে বলেছে, তুমি কি পাগল হয়ে গেছ? এই যুগে সবাই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে, মেডিকেলে পড়ে, না হলে কেউ ব্যাংকার কিংবা আইনজীবী হতে চায়। সেখানে তুমি এটা কী করছো?
তবে এসব প্রশ্ন হতাশ করতে পারেনি ২৫ বছর বয়সী এই তরুণকে। করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় স্নাতক শেষ করলেও তিনি বুঝতে পারলেন, আরও শিখতে হবে। বিশেষ করে বাংলা বিভাগের যে বইগুলো সেখানে রয়েছে, সেগুলো অনেক পুরোনো, বাড়িতে এনে পড়ার সুযোগ নেই। পাকিস্তানে স্থানীয় বাঙালিদের কাছে শিখতে চেয়েছেন, কিন্তু তারা কেউ তাঁকে সময় দিতে চায়নি।
তাহির কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা বিখ্যাত পঙ্ক্তিগুলো আউড়ে যান, যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চল রে। এই গানটিই তাঁকে বাংলা শেখার ইচ্ছাকে বহন করার জন্য প্রেরণা জুগিয়েছে। সেই ইচ্ছাকে বাস্তবে পরিণত করার জন্য তিনি উড়াল দিয়ে চলে এসেছেন বাংলাদেশে। তাঁর মনে আশা, বাংলাদেশে বাংলা বিভাগের ছাত্রদের সঙ্গে মিলেমিশে ভালোভাবে বাংলা ভাষা শিখতে পারবেন তিনি।’
এ দেশের মানুষ একজন পাকিস্তানির সঙ্গে কেমন আচরণ করবে—এ প্রশ্নও তাড়িত করেছে তাহিরকে। কিন্তু তিনি দেখলেন বন্ধুবৎসল বাঙালিরা তাঁকে আপন করে নিয়েছে। এই ভালোবাসায় মুগ্ধ তিনি।
এখন তিনি ছুটছেন বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। উদ্দেশ্য—বাংলায় উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়া।
পাকিস্তানি তরুণ তাহির দ্বিধাহীন কণ্ঠে বলেন, ‘আমি গর্বিত যে আমি বাংলা ভাষা শিখছি। বাংলা ভাষার সঙ্গে আমার যে প্রেম বা ভালোবাসা তৈরি হয়েছে, তা দিয়েই আমি পাকিস্তানের মানুষকে এই ভাষার সঙ্গে পরিচিত করাতে চাই।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে