আব্দুর রাজ্জাক প্রকৌশলী
মানুষ সব সময়ই কোনো না কোনো চিন্তা করে। সে চিন্তা হতে পারে গঠনমূলক বা ধ্বংসাত্মক। মানুষের চিন্তাশক্তির বিস্তৃতি হওয়ার দরুন এই পৃথিবীতে যা কিছু ভালো তা সৃষ্টি হয়েছে। চিন্তার বিকাশ ঘটেছে যুগ যুগ ধরে, হাজার হাজার বছরের সুস্থ ও সৎ চিন্তা আজকের এই পৃথিবীকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। আমাদের পূর্বপুরুষেরা নিশ্চয়ই পৃথিবীকে প্রগতির দিকে, আলোর দিকে নিয়ে আসার জন্য পথ দেখিয়ে গিয়েছেন। এভাবেই হাঁটি হাঁটি পা পা করে আজকের এই পরিপূর্ণ পৃথিবী।
আমাদের এই পথচলা একটি রিলে রেসের মতো; রিলে রেসে যেমন একজনে দৌড় শেষ করে পতাকাটি আরেকজনের হাতে সমর্পণ করে, এ রকম কয়েকবার পরিবর্তনের পরেই রিলে রেস শেষ হয়। সে রকমভাবেই আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে এই পরিপূর্ণ ধরিত্রী গ্রহণ করেছি। আমাদের উচিত হবে নিজের অবস্থান থেকে এই পৃথিবীকে আরও একটু অগ্রসর করে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের হাতে সমর্পণ করা। এ রকম যদি আমরা সুস্থ ধারার চিন্তা করি, তাহলেই আমাদের উত্তরসূরিরা একটি পরিপূর্ণ, শান্তিপূর্ণ আবাসস্থল পাবে এই ধরণিতে।
জাপানি ভাষায় একটি কথা আছে, ‘খাইজেন’ অর্থাৎ বর্তমান অবস্থা থেকে কিছুটা উন্নতি করা। যত কিছুর বিকাশ ঘটেছে—বিজ্ঞান কিংবা সামাজিকবিজ্ঞান, অর্থনীতি কিংবা শিল্প-সংস্কৃতিচর্চা—ধীরে ধীরে বর্তমান অবস্থা থেকে সুচিন্তা, গঠনমূলক চিন্তার মাধ্যমেই সেটা ঘটেছে, শত শত হাজার হাজার বছর ধরে।
ভূমিকা একটু বেশি দেওয়া হয়ে গেল, এখন আসি মূল কথায়। সাড়ে ১৫ বছরের বিগত সরকারের শাসন আমলের পরিসমাপ্তি ঘটেছে গত ৫ আগস্ট। এই ৫ আগস্টের পরে যে ধ্বংসলীলা হয় তাতে আমাদের জাতীয় সম্পদ বিনষ্ট হয়েছে। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে আক্রোশের বশবর্তী হয়ে ধ্বংস করা হয়েছে বহু সম্পদ। এইরকমভাবে কোনো সরকারের, কোনো সংস্থার বা কোনো ব্যক্তির ওপরে আমরা ক্রোধান্বিত হয়ে সম্পদ ধ্বংস করি।
যে কথাটি বলতে চাই—আমাদের এই হতদরিদ্র দেশে সীমিত সম্পদ নিয়ে আমরা বসবাস করি। এই ছোট্ট একটি দেশে ১৮ কোটি মানুষের বসবাস। আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যে শুধু কিছু জ্বালানির ব্যবহারযোগ্য গ্যাস, সামান্য খড়িমাটি, সামান্য কয়লা ও কিছু পাথর আছে। আমাদের যত ফসল হয়, এগুলোর মধ্যে হয়তো প্রধান খাদ্য চাল আমাদের খুব বেশি আমদানি করতে হয় না, কিন্তু এই চাল ছাড়া গম, চিনি, তেলসহ মসলার প্রায় বেশির ভাগই আমদানি করতে হয়। যত রকম প্রযুক্তি আছে—গাড়ি, কম্পিউটার, বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ—সবই আমদানি করতে হয়। বহির্বিশ্ব থেকে সবকিছু আমদানি করতে হলে আমাদের দরকার হয় বৈদেশিক মুদ্রা। এই বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান খাত এক কোটির বেশি প্রবাসীর কষ্টার্জিত শ্রমের ফসল। আরেকটা খাত হলো তৈরি পোশাকশিল্পের রপ্তানি।
পোশাকশিল্প থেকে আমরা যে রেমিট্যান্স পাই তার বেশির ভাগ সমমূল্যের অর্থ কিন্তু আমাদের না। এখানে কাঁচামালের মূল্য বাদ দিয়ে যে অঙ্কের অর্থ, বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ভ্যালু এডিশন হয়, সেটাই আমাদের প্রাপ্য। অর্থ প্রাপ্তির জন্য সবচেয়ে যাঁদের বড় অবদান তা হলো, আমাদের এই শিল্পে কর্মরত প্রায় ৫০ লাখ হতদরিদ্র নারী শ্রমিকের শ্রম।
এই ১৮ কোটি মানুষের দেশে সচ্ছল মানুষের সংখ্যা দুই কোটির বেশি হবে না হয়তো। বাকি ১৬ কোটি মানুষ দিন আনে দিন খায়। এখানে দিন এনে দিন খাওয়া বলতে বোঝাচ্ছি কেউ প্রতিদিন আয় করে প্রতিদিনের সংসার চালায়। কেউবা প্রতি সপ্তাহে কেউবা প্রতি মাসে আয় করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। আবার ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় তিন কোটি মানুষ আছে অতিদরিদ্র। এই দরিদ্র মানুষদের ক্ষোভ থাকতেই পারে সচ্ছল মানুষদের ওপর। এই সুবিধাবঞ্চিত মানুষেরা সব সময়ই নিজেকে অবহেলিত ভাবে, ঈর্ষাকাতর হয়। যুগের পর যুগ এরা বঞ্চিত-অবহেলিত থাকার দরুন প্রবলভাবে পরশ্রীকাতর হয়। তাই একটু সুযোগ পেলেই এরা অন্যের সম্পদ ভেবে সমাজের সম্পদ ধ্বংস করতে চায়।
৫ আগস্টের পর থেকে আমাদের দেশে প্রচুর সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থায়ীভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। বেকার হয়ে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ। সরকারি যানবাহনের প্রচুর ক্ষতিসাধন করা হয়েছে। সরকারি বাহনসহ ব্যক্তি পর্যায়ের প্রচুর যানবাহন ধ্বংস করা হয়েছে। আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে এইসব যানবাহনের অবশ্যই দরকার আছে। এগুলো এখন আবার নতুন করে কিনতে হবে, অবশ্যই বৈদেশিক মুদ্রায়। যেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়েছে, সেগুলোর মেশিনপত্রসহ অন্যান্য জিনিসপত্র আমদানি করতে হলে কোটি কোটি ডলার আবার বিনিয়োগ করতে হবে। আমাদের এই দেশে আমরা কি এত সামর্থ্যবান যে চাইলেই মুহূর্তের মধ্যে কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে পারব? এক কথায় উত্তর—না।
আমাদের সমাজে কোনো ব্যক্তি অন্যায় করতেই পারে, দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে সম্পদ করতেই পারে। কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো দ্বিমত নেই, যে ব্যক্তি দুর্নীতি করবে বা দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদ অর্জন করবে, তাকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ব্যক্তিকে শাস্তির আওতায় এনে, তার সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করে, তার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এই সম্পদ ব্যবহারের মাধ্যমে অবহেলিত-বঞ্চিত জনগণের অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটবে। এভাবেই ধীরে ধীরে সম্পদ কাজে লাগিয়ে আমাদের দারিদ্র্য দূর করতে হবে, বৈষম্য দূর করতে হবে।
কিন্তু আমরা দেখছি সম্পদ ধ্বংস হতে। এইসব ধ্বংসের ফলে হয়তো কোনো ব্যক্তি সাময়িক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে, তবে একটু সুদূরপ্রসারী দৃষ্টি নিয়ে তাকালে দেখতে পাব, এই সম্পদ ধ্বংসের ফলে আমাদের সমাজ একটু হলেও দারিদ্র্যের নিচের দিকে চলে যায়।
সুস্থ, সৎ ও মুক্তচিন্তার মানুষেরা কখনো সমাজের কোনো সম্পদ ধ্বংস করতে পারে না, নেতিবাচক চিন্তা করতে পারে না। আমাদের এই সময়ে গঠনমূলক চিন্তা করতে হবে, আমাদের এই দেশকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হলে উদার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সমাজকে প্রগতির পথে, আলোর পথে, দারিদ্র্যবিমোচনের পথে নিয়ে যেতে হবে। এখানে রাষ্ট্র যাঁরা পরিচালনা করেন, সেই কর্তাব্যক্তিরা, সমাজসচেতন ব্যক্তিরা, গণমাধ্যমসহ সকলকেই একযোগে সম্পদ ধ্বংসের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। যদি রাষ্ট্র মনে করে, কঠোর আইন প্রয়োগ করে সম্পদ ধ্বংসকারীদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা দরকার, তা-ই করতে হবে। রক্ষা করতে হবে আমাদের এই রাষ্ট্র, আমাদের এই সাজানো-গোছানো সুন্দর সমাজ। যত দিন পর্যন্ত সুস্থ ধারার চিন্তার বিকাশ না ঘটবে, তত দিন পর্যন্ত আমরা কিন্তু এই বিপদ মাথার ওপর রেখেই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতে থাকব।
মানুষ সব সময়ই কোনো না কোনো চিন্তা করে। সে চিন্তা হতে পারে গঠনমূলক বা ধ্বংসাত্মক। মানুষের চিন্তাশক্তির বিস্তৃতি হওয়ার দরুন এই পৃথিবীতে যা কিছু ভালো তা সৃষ্টি হয়েছে। চিন্তার বিকাশ ঘটেছে যুগ যুগ ধরে, হাজার হাজার বছরের সুস্থ ও সৎ চিন্তা আজকের এই পৃথিবীকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। আমাদের পূর্বপুরুষেরা নিশ্চয়ই পৃথিবীকে প্রগতির দিকে, আলোর দিকে নিয়ে আসার জন্য পথ দেখিয়ে গিয়েছেন। এভাবেই হাঁটি হাঁটি পা পা করে আজকের এই পরিপূর্ণ পৃথিবী।
আমাদের এই পথচলা একটি রিলে রেসের মতো; রিলে রেসে যেমন একজনে দৌড় শেষ করে পতাকাটি আরেকজনের হাতে সমর্পণ করে, এ রকম কয়েকবার পরিবর্তনের পরেই রিলে রেস শেষ হয়। সে রকমভাবেই আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে এই পরিপূর্ণ ধরিত্রী গ্রহণ করেছি। আমাদের উচিত হবে নিজের অবস্থান থেকে এই পৃথিবীকে আরও একটু অগ্রসর করে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের হাতে সমর্পণ করা। এ রকম যদি আমরা সুস্থ ধারার চিন্তা করি, তাহলেই আমাদের উত্তরসূরিরা একটি পরিপূর্ণ, শান্তিপূর্ণ আবাসস্থল পাবে এই ধরণিতে।
জাপানি ভাষায় একটি কথা আছে, ‘খাইজেন’ অর্থাৎ বর্তমান অবস্থা থেকে কিছুটা উন্নতি করা। যত কিছুর বিকাশ ঘটেছে—বিজ্ঞান কিংবা সামাজিকবিজ্ঞান, অর্থনীতি কিংবা শিল্প-সংস্কৃতিচর্চা—ধীরে ধীরে বর্তমান অবস্থা থেকে সুচিন্তা, গঠনমূলক চিন্তার মাধ্যমেই সেটা ঘটেছে, শত শত হাজার হাজার বছর ধরে।
ভূমিকা একটু বেশি দেওয়া হয়ে গেল, এখন আসি মূল কথায়। সাড়ে ১৫ বছরের বিগত সরকারের শাসন আমলের পরিসমাপ্তি ঘটেছে গত ৫ আগস্ট। এই ৫ আগস্টের পরে যে ধ্বংসলীলা হয় তাতে আমাদের জাতীয় সম্পদ বিনষ্ট হয়েছে। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে আক্রোশের বশবর্তী হয়ে ধ্বংস করা হয়েছে বহু সম্পদ। এইরকমভাবে কোনো সরকারের, কোনো সংস্থার বা কোনো ব্যক্তির ওপরে আমরা ক্রোধান্বিত হয়ে সম্পদ ধ্বংস করি।
যে কথাটি বলতে চাই—আমাদের এই হতদরিদ্র দেশে সীমিত সম্পদ নিয়ে আমরা বসবাস করি। এই ছোট্ট একটি দেশে ১৮ কোটি মানুষের বসবাস। আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যে শুধু কিছু জ্বালানির ব্যবহারযোগ্য গ্যাস, সামান্য খড়িমাটি, সামান্য কয়লা ও কিছু পাথর আছে। আমাদের যত ফসল হয়, এগুলোর মধ্যে হয়তো প্রধান খাদ্য চাল আমাদের খুব বেশি আমদানি করতে হয় না, কিন্তু এই চাল ছাড়া গম, চিনি, তেলসহ মসলার প্রায় বেশির ভাগই আমদানি করতে হয়। যত রকম প্রযুক্তি আছে—গাড়ি, কম্পিউটার, বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ—সবই আমদানি করতে হয়। বহির্বিশ্ব থেকে সবকিছু আমদানি করতে হলে আমাদের দরকার হয় বৈদেশিক মুদ্রা। এই বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান খাত এক কোটির বেশি প্রবাসীর কষ্টার্জিত শ্রমের ফসল। আরেকটা খাত হলো তৈরি পোশাকশিল্পের রপ্তানি।
পোশাকশিল্প থেকে আমরা যে রেমিট্যান্স পাই তার বেশির ভাগ সমমূল্যের অর্থ কিন্তু আমাদের না। এখানে কাঁচামালের মূল্য বাদ দিয়ে যে অঙ্কের অর্থ, বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ভ্যালু এডিশন হয়, সেটাই আমাদের প্রাপ্য। অর্থ প্রাপ্তির জন্য সবচেয়ে যাঁদের বড় অবদান তা হলো, আমাদের এই শিল্পে কর্মরত প্রায় ৫০ লাখ হতদরিদ্র নারী শ্রমিকের শ্রম।
এই ১৮ কোটি মানুষের দেশে সচ্ছল মানুষের সংখ্যা দুই কোটির বেশি হবে না হয়তো। বাকি ১৬ কোটি মানুষ দিন আনে দিন খায়। এখানে দিন এনে দিন খাওয়া বলতে বোঝাচ্ছি কেউ প্রতিদিন আয় করে প্রতিদিনের সংসার চালায়। কেউবা প্রতি সপ্তাহে কেউবা প্রতি মাসে আয় করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। আবার ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় তিন কোটি মানুষ আছে অতিদরিদ্র। এই দরিদ্র মানুষদের ক্ষোভ থাকতেই পারে সচ্ছল মানুষদের ওপর। এই সুবিধাবঞ্চিত মানুষেরা সব সময়ই নিজেকে অবহেলিত ভাবে, ঈর্ষাকাতর হয়। যুগের পর যুগ এরা বঞ্চিত-অবহেলিত থাকার দরুন প্রবলভাবে পরশ্রীকাতর হয়। তাই একটু সুযোগ পেলেই এরা অন্যের সম্পদ ভেবে সমাজের সম্পদ ধ্বংস করতে চায়।
৫ আগস্টের পর থেকে আমাদের দেশে প্রচুর সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থায়ীভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। বেকার হয়ে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ। সরকারি যানবাহনের প্রচুর ক্ষতিসাধন করা হয়েছে। সরকারি বাহনসহ ব্যক্তি পর্যায়ের প্রচুর যানবাহন ধ্বংস করা হয়েছে। আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে এইসব যানবাহনের অবশ্যই দরকার আছে। এগুলো এখন আবার নতুন করে কিনতে হবে, অবশ্যই বৈদেশিক মুদ্রায়। যেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়েছে, সেগুলোর মেশিনপত্রসহ অন্যান্য জিনিসপত্র আমদানি করতে হলে কোটি কোটি ডলার আবার বিনিয়োগ করতে হবে। আমাদের এই দেশে আমরা কি এত সামর্থ্যবান যে চাইলেই মুহূর্তের মধ্যে কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে পারব? এক কথায় উত্তর—না।
আমাদের সমাজে কোনো ব্যক্তি অন্যায় করতেই পারে, দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে সম্পদ করতেই পারে। কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো দ্বিমত নেই, যে ব্যক্তি দুর্নীতি করবে বা দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদ অর্জন করবে, তাকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ব্যক্তিকে শাস্তির আওতায় এনে, তার সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করে, তার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এই সম্পদ ব্যবহারের মাধ্যমে অবহেলিত-বঞ্চিত জনগণের অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটবে। এভাবেই ধীরে ধীরে সম্পদ কাজে লাগিয়ে আমাদের দারিদ্র্য দূর করতে হবে, বৈষম্য দূর করতে হবে।
কিন্তু আমরা দেখছি সম্পদ ধ্বংস হতে। এইসব ধ্বংসের ফলে হয়তো কোনো ব্যক্তি সাময়িক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে, তবে একটু সুদূরপ্রসারী দৃষ্টি নিয়ে তাকালে দেখতে পাব, এই সম্পদ ধ্বংসের ফলে আমাদের সমাজ একটু হলেও দারিদ্র্যের নিচের দিকে চলে যায়।
সুস্থ, সৎ ও মুক্তচিন্তার মানুষেরা কখনো সমাজের কোনো সম্পদ ধ্বংস করতে পারে না, নেতিবাচক চিন্তা করতে পারে না। আমাদের এই সময়ে গঠনমূলক চিন্তা করতে হবে, আমাদের এই দেশকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হলে উদার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সমাজকে প্রগতির পথে, আলোর পথে, দারিদ্র্যবিমোচনের পথে নিয়ে যেতে হবে। এখানে রাষ্ট্র যাঁরা পরিচালনা করেন, সেই কর্তাব্যক্তিরা, সমাজসচেতন ব্যক্তিরা, গণমাধ্যমসহ সকলকেই একযোগে সম্পদ ধ্বংসের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। যদি রাষ্ট্র মনে করে, কঠোর আইন প্রয়োগ করে সম্পদ ধ্বংসকারীদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা দরকার, তা-ই করতে হবে। রক্ষা করতে হবে আমাদের এই রাষ্ট্র, আমাদের এই সাজানো-গোছানো সুন্দর সমাজ। যত দিন পর্যন্ত সুস্থ ধারার চিন্তার বিকাশ না ঘটবে, তত দিন পর্যন্ত আমরা কিন্তু এই বিপদ মাথার ওপর রেখেই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতে থাকব।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে