আজকের পত্রিকা ডেস্ক
চলতি আমন মৌসুমে ধানগাছের কচি শিষে দেখা দিয়েছে পোকার হানা। আক্রমণের মাত্র দুই-তিন দিনের ব্যবধানে শিষ ও পাতা শুকিয়ে গোটা খেত শুকনো খড়ে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। দিশেহারা চাষিরা পোকা দমনে বারবার কীটনাশক প্রয়োগ করলেও কাঙ্ক্ষিত ফল পাচ্ছেন না।
নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর): উপজেলার বিন্নাগাড়ী গ্রামে সম্প্রতি গিয়ে দেখা গেল আমনচাষি মো. আলমগীর হোসেন জমিতে কীটনাশক ছিটাচ্ছেন। তিনি জানান, পাশের জমিতে কারেন্ট পোকার (বাদামি গাছ ফড়িং) আক্রমণ দেখতে পেয়ে তিনি অগ্রিম সাবধানতা হিসেবে নিজের জমিতে কীটনাশক ছিটাচ্ছেন। এই নিয়ে খেতে চতুর্থবার কীটনাশক প্রয়োগ করলেন।
চেরাগপুর গ্রামের মো. আলতাফ হোসেন বলেন, কারেন্ট পোকার আক্রমণ কৃষকের জন্য চরম আতঙ্কের। যাঁর খেতে একবার আক্রমণ করে তাঁর জমির অর্ধেক ধান নাই হয়ে যায়। কারও কারও জমি থেকে খড় ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায় না। আক্রমণ এতই ভয়ংকর যে সেই খড় গরুও খায় না।
ওই এলাকার আরেক চাষি আমজাদ হোসেন বলেন, ‘শিষ আসার আগে একাধিকবার কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়েছে। এখন কারেন্ট পোকার আক্রমণ হওয়ায় আবার কীটনাশক লাগবে। এসব করতে গিয়ে দেনায় জর্জরিত হয়ে পড়ছি। এভাবে চলতে থাকলে চাষাবাদ করা বন্ধ হয়ে যাবে। তা ছাড়া উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কোনো প্রণোদনা বা পরামর্শ কিছুই পাওয়া যায় না।’
তবে উপজেলার আফতাবগঞ্জ ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুমন কুমার রায় বলেন, পোকা দমনে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এবার নবাবগঞ্জে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ২১ হাজার ৭২০ হেক্টর নির্ধারণ করা হলেও ৫ হেক্টর জমিতে বেশি চাষ হয়েছে। অল্প কিছু এলাকায় কারেন্ট পোকা আক্রমণ করতে দেখা গেছে। তবে এতে খুব বেশি ক্ষতি হবে না বলে জানান তিনি।
বিরল: পোকার আক্রমণসহ বিভিন্ন রোগে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সবুজ আমনখেত বিবর্ণ হয়ে পড়ছে। এ অবস্থায় বাড়তি খরচ দিয়ে চাষ করা আমনের ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে।
কৃষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আর কয়েক দিন পর ধান কাটা হবে। এ সময়ে শিষ শুকিয়ে গিয়ে গাছ হেলে যাচ্ছে। বিভিন্ন কীটনাশক ও ওষুধ প্রয়োগ করেও কাজ হচ্ছে না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তফা হাসান ইমাম জানান, বিরলে কয়েক দিন ধরে দিনে বেশি এবং রাতে কম তাপমাত্রা থাকছে। তাপমাত্রার তারতম্য হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ আবহাওয়া ব্লাস্ট রোগের উপযোগী। এ জন্য মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন। এতে আমনখেতের তেমন ক্ষতি হবে না এবং ফলন ভালো হবে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে ২৯ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদ করা হয়েছে। গতবারের চেয়ে তা ১৭ হেক্টর বেশি।
সাঘাটা (গাইবান্ধা): উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এখানে ১৩ হাজার ৭৬৯ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপণ করা হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৩০০ হেক্টর বেশি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষি বিভাগ ফলন বেশি হওয়ার কথা বললেও ধানখেতে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র।
মথরপাড়া গ্রামের আহম্মদ হোসেন, ভগবানপুরের আইয়ুব হোসেন ও গোরের পাড়ার শাহিন জানান, পোকার আক্রমণে ধানখেত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ প্রয়োগ করেও কোনো কাজ হচ্ছে না।
কৃষকদের অভিযোগ, বিভিন্ন হাটবাজারের ব্যবসায়ীরা নিম্নমানের কীটনাশক কৃষকদের হাতে ধরিয়ে দিচ্ছেন। না জেনে না বুঝে সেই কীটনাশক প্রয়োগ করে কোনো কাজ হচ্ছে না বরং আর্থিকভাবে ক্ষতি হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুজ্জামান বলেন, ধানগাছের পাতা হলুদ হওয়া কোনো রোগ নয়, ছত্রাকনাশক ওষুধ প্রয়োগ করলেই ঠিক হয়ে যাবে। এবার আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। কৃষক ধানের ফলন ভালো পাবে।
চলতি আমন মৌসুমে ধানগাছের কচি শিষে দেখা দিয়েছে পোকার হানা। আক্রমণের মাত্র দুই-তিন দিনের ব্যবধানে শিষ ও পাতা শুকিয়ে গোটা খেত শুকনো খড়ে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। দিশেহারা চাষিরা পোকা দমনে বারবার কীটনাশক প্রয়োগ করলেও কাঙ্ক্ষিত ফল পাচ্ছেন না।
নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর): উপজেলার বিন্নাগাড়ী গ্রামে সম্প্রতি গিয়ে দেখা গেল আমনচাষি মো. আলমগীর হোসেন জমিতে কীটনাশক ছিটাচ্ছেন। তিনি জানান, পাশের জমিতে কারেন্ট পোকার (বাদামি গাছ ফড়িং) আক্রমণ দেখতে পেয়ে তিনি অগ্রিম সাবধানতা হিসেবে নিজের জমিতে কীটনাশক ছিটাচ্ছেন। এই নিয়ে খেতে চতুর্থবার কীটনাশক প্রয়োগ করলেন।
চেরাগপুর গ্রামের মো. আলতাফ হোসেন বলেন, কারেন্ট পোকার আক্রমণ কৃষকের জন্য চরম আতঙ্কের। যাঁর খেতে একবার আক্রমণ করে তাঁর জমির অর্ধেক ধান নাই হয়ে যায়। কারও কারও জমি থেকে খড় ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায় না। আক্রমণ এতই ভয়ংকর যে সেই খড় গরুও খায় না।
ওই এলাকার আরেক চাষি আমজাদ হোসেন বলেন, ‘শিষ আসার আগে একাধিকবার কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়েছে। এখন কারেন্ট পোকার আক্রমণ হওয়ায় আবার কীটনাশক লাগবে। এসব করতে গিয়ে দেনায় জর্জরিত হয়ে পড়ছি। এভাবে চলতে থাকলে চাষাবাদ করা বন্ধ হয়ে যাবে। তা ছাড়া উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কোনো প্রণোদনা বা পরামর্শ কিছুই পাওয়া যায় না।’
তবে উপজেলার আফতাবগঞ্জ ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুমন কুমার রায় বলেন, পোকা দমনে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এবার নবাবগঞ্জে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ২১ হাজার ৭২০ হেক্টর নির্ধারণ করা হলেও ৫ হেক্টর জমিতে বেশি চাষ হয়েছে। অল্প কিছু এলাকায় কারেন্ট পোকা আক্রমণ করতে দেখা গেছে। তবে এতে খুব বেশি ক্ষতি হবে না বলে জানান তিনি।
বিরল: পোকার আক্রমণসহ বিভিন্ন রোগে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সবুজ আমনখেত বিবর্ণ হয়ে পড়ছে। এ অবস্থায় বাড়তি খরচ দিয়ে চাষ করা আমনের ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে।
কৃষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আর কয়েক দিন পর ধান কাটা হবে। এ সময়ে শিষ শুকিয়ে গিয়ে গাছ হেলে যাচ্ছে। বিভিন্ন কীটনাশক ও ওষুধ প্রয়োগ করেও কাজ হচ্ছে না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তফা হাসান ইমাম জানান, বিরলে কয়েক দিন ধরে দিনে বেশি এবং রাতে কম তাপমাত্রা থাকছে। তাপমাত্রার তারতম্য হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ আবহাওয়া ব্লাস্ট রোগের উপযোগী। এ জন্য মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন। এতে আমনখেতের তেমন ক্ষতি হবে না এবং ফলন ভালো হবে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে ২৯ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদ করা হয়েছে। গতবারের চেয়ে তা ১৭ হেক্টর বেশি।
সাঘাটা (গাইবান্ধা): উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এখানে ১৩ হাজার ৭৬৯ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপণ করা হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৩০০ হেক্টর বেশি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষি বিভাগ ফলন বেশি হওয়ার কথা বললেও ধানখেতে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র।
মথরপাড়া গ্রামের আহম্মদ হোসেন, ভগবানপুরের আইয়ুব হোসেন ও গোরের পাড়ার শাহিন জানান, পোকার আক্রমণে ধানখেত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ প্রয়োগ করেও কোনো কাজ হচ্ছে না।
কৃষকদের অভিযোগ, বিভিন্ন হাটবাজারের ব্যবসায়ীরা নিম্নমানের কীটনাশক কৃষকদের হাতে ধরিয়ে দিচ্ছেন। না জেনে না বুঝে সেই কীটনাশক প্রয়োগ করে কোনো কাজ হচ্ছে না বরং আর্থিকভাবে ক্ষতি হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুজ্জামান বলেন, ধানগাছের পাতা হলুদ হওয়া কোনো রোগ নয়, ছত্রাকনাশক ওষুধ প্রয়োগ করলেই ঠিক হয়ে যাবে। এবার আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। কৃষক ধানের ফলন ভালো পাবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে