আনিসুল ইসলাম, কাপাসিয়া (গাজীপুর)
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১৭৯টি। এগুলোর মধ্যে ৩২টি বিদ্যালয়ে নেই পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ। এতে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। এ ছাড়া বেশ কিছু বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যেকোনো সময় ধসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তালিকা অনুযায়ী, উপজেলার পরিত্যক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধানদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে দরদরিয়া, আনজাব পেওরাইট, হরিমঞ্জুরী, দক্ষিণগাঁও, আমরাইদ, কোটবাজালিয়া, পাঁচুয়া বর্জাপুর, নবীপুর, পাঁচুয়া পূর্বপাড়া ও তরুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন। এ ছাড়া দিঘীরকান্দা ম্যানেজড, ডাওরা জেবি, চর আলিনগর, আড়ালিয়া দক্ষিণপাড়া, চন্ডাল হাতা, বিষ্ণুপুর, কড়িহাতা, রাউৎকোনা, রাণীগঞ্জ, চাকৈল, বেগুনহাটি, চাঁদপুর, খিরাটী, চেংনা বালিকা, ধরপাড়া, রায়েদ পূর্বপাড়া, ছাটারব, তেঁতুলেশ্বর, ভিটিপাড়া কাজলদিঘী, ঘাগটিয়া চালা এবং কান্দানিয়া মো. সাহাজ উদ্দিন মোড়ল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলা সদরের হরিমঞ্জুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি সেমিপাকা টিনশেড ঘর করা হয়েছিল ১৯৮২ সালে। বর্তমানে সেটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ২০০০ সালে ছয় কক্ষের একটি দোতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। এই ভবনের চারটি কক্ষে বর্তমানে পাঠদান চলে। একটি কক্ষ অফিস, অপরটি কম্পিউটার ল্যাব হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সন্মানিয়া ইউনিয়নের ধানদিয়া মামুরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০১০ সালে একটি পাকা ভবন নির্মাণ করা হয়। সেই ভবনটি তিন বছর আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে পাশে টিনশেড ঘর মেরামত করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে।
হরিমঞ্জুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লাভলী ইয়াসমিন জানান, বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ৪১৬ জন। শ্রেণিকক্ষ-সংকটে দুই শিফটে ভাগ করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হচ্ছে। এতে এক কক্ষে গাদাগাদি করে ক্লাস করতে হয় শিক্ষার্থীদের। এভাবে ২২ বছর ধরে চলছে। নতুন ভবনের বিষয়ে আশ্বাস মিললেও বাস্তবায়িত হয়নি।
ধানদিয়া মামুরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মো. তৌমুরুজ্জামান বলেন, ‘ভবনের অভাবে খুব কষ্ট করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান দেওয়া হচ্ছে। বহুদিন ধরে এই অবস্থায় চলছে। জায়গা সংকুলান না হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী অন্য প্রতিষ্ঠানে চলে গেছে।’
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আনসার উদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট সংখ্যা ১৭৯। এগুলোর মধ্যে ২৫টি বিদ্যালয় অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন ভবন নির্মাণ করা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। আর জরুরি ভিত্তিতে ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ প্রয়োজন সাতটি বিদ্যালয়ে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সমস্যার কথা তুলে ধরে চিঠি ও তথ্য পাঠিয়েছি। আশ্বাস পেয়েছি, খুব শিগগির নতুন ভবন নির্মাণকাজ শুরু করা হবে।’
আনসার উদ্দীন আরও জানান, উপজেলার হরিমঞ্জুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হরিমঞ্জুরী পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় একই চত্বরে অবস্থিত। জমি নিয়ে সমস্যা থাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনটি নির্মাণে দেরি হয়েছে। তবে বর্তমানে জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব সমাধান হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১৭৯টি। এগুলোর মধ্যে ৩২টি বিদ্যালয়ে নেই পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ। এতে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। এ ছাড়া বেশ কিছু বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যেকোনো সময় ধসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তালিকা অনুযায়ী, উপজেলার পরিত্যক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধানদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে দরদরিয়া, আনজাব পেওরাইট, হরিমঞ্জুরী, দক্ষিণগাঁও, আমরাইদ, কোটবাজালিয়া, পাঁচুয়া বর্জাপুর, নবীপুর, পাঁচুয়া পূর্বপাড়া ও তরুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন। এ ছাড়া দিঘীরকান্দা ম্যানেজড, ডাওরা জেবি, চর আলিনগর, আড়ালিয়া দক্ষিণপাড়া, চন্ডাল হাতা, বিষ্ণুপুর, কড়িহাতা, রাউৎকোনা, রাণীগঞ্জ, চাকৈল, বেগুনহাটি, চাঁদপুর, খিরাটী, চেংনা বালিকা, ধরপাড়া, রায়েদ পূর্বপাড়া, ছাটারব, তেঁতুলেশ্বর, ভিটিপাড়া কাজলদিঘী, ঘাগটিয়া চালা এবং কান্দানিয়া মো. সাহাজ উদ্দিন মোড়ল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলা সদরের হরিমঞ্জুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি সেমিপাকা টিনশেড ঘর করা হয়েছিল ১৯৮২ সালে। বর্তমানে সেটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ২০০০ সালে ছয় কক্ষের একটি দোতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। এই ভবনের চারটি কক্ষে বর্তমানে পাঠদান চলে। একটি কক্ষ অফিস, অপরটি কম্পিউটার ল্যাব হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সন্মানিয়া ইউনিয়নের ধানদিয়া মামুরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০১০ সালে একটি পাকা ভবন নির্মাণ করা হয়। সেই ভবনটি তিন বছর আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে পাশে টিনশেড ঘর মেরামত করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে।
হরিমঞ্জুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লাভলী ইয়াসমিন জানান, বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ৪১৬ জন। শ্রেণিকক্ষ-সংকটে দুই শিফটে ভাগ করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হচ্ছে। এতে এক কক্ষে গাদাগাদি করে ক্লাস করতে হয় শিক্ষার্থীদের। এভাবে ২২ বছর ধরে চলছে। নতুন ভবনের বিষয়ে আশ্বাস মিললেও বাস্তবায়িত হয়নি।
ধানদিয়া মামুরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মো. তৌমুরুজ্জামান বলেন, ‘ভবনের অভাবে খুব কষ্ট করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান দেওয়া হচ্ছে। বহুদিন ধরে এই অবস্থায় চলছে। জায়গা সংকুলান না হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী অন্য প্রতিষ্ঠানে চলে গেছে।’
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আনসার উদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট সংখ্যা ১৭৯। এগুলোর মধ্যে ২৫টি বিদ্যালয় অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন ভবন নির্মাণ করা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। আর জরুরি ভিত্তিতে ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ প্রয়োজন সাতটি বিদ্যালয়ে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সমস্যার কথা তুলে ধরে চিঠি ও তথ্য পাঠিয়েছি। আশ্বাস পেয়েছি, খুব শিগগির নতুন ভবন নির্মাণকাজ শুরু করা হবে।’
আনসার উদ্দীন আরও জানান, উপজেলার হরিমঞ্জুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হরিমঞ্জুরী পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় একই চত্বরে অবস্থিত। জমি নিয়ে সমস্যা থাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনটি নির্মাণে দেরি হয়েছে। তবে বর্তমানে জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব সমাধান হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে