নরসিংদী ও মনোহরদী প্রতিনিধি
চতুর্থ ধাপে গতকাল রোববার নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ২ টি ও মনোহরদী উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ১১টি ইউপির মধ্যে ৪টিতে স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) ও ৭টিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।
বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন- পলাশ উপজেলার জিনারদীতে কামরুল ইসলাম গাজী (আ.লীগ) ও চরসিন্দুর ইউনিয়নে মোফাজ্জল হোসেন রতন (আ.লীগ) এবং মনোহরদী উপজেলার চন্দনবাড়িতে আব্দুর রউফ হিরন (আ.লীগ), শুকুন্দিতে সাদিকুর রহমান শামীম (আ.লীগ), কাচিকাটায় মোবারক হোসেন খান কনক (স্বতন্ত্র), বড়চাপায় এম সুলতান উদ্দিন (আ.লীগ), লেবুতলায় জাকির হোসেন আকন্দ (আ.লীগ), গোতাশিয়ায় আবুল বরকত রবিন (স্বতন্ত্র), দৌলতপুরে শরীফ মাহমুদ খান বাহালুল (স্বতন্ত্র), চালাকচরে ফখরুল মান্নান মুক্তু (নৌকা) এবং একদুয়ারিয়ায় মোল্লা রফিকুল ইসলাম ফারুক (স্বতন্ত্র)।
এর আগে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া অনেকটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে নরসিংদীর দুই উপজেলা পলাশ ও মনোহরদীর ১১টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভোটগ্রহণ। পলাশের দুটি ইউপিতে কোনো রকম সহিংসতার ঘটনা না ঘটলেও ১টি ইউপিতে অনিয়মের অভিযোগে ভোট বর্জন করেছেন তিন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী। অপরদিকে মনোহরদী উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ককটেল বিস্ফোরণ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া মোটামুটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তবে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিন দুই উপজেলার বিভিন্ন ইউপির ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকেই ভোটকেন্দ্রগুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে আসেন ভোটাররা। সকাল ৮টা থেকে টানা ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ চলে। পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বেশির ভাগ ভোট কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। অভিযোগ অনুযায়ী পারুলিয়া উচ্চবিদ্যালয়, চরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সানেরবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পলাশ থানা উচ্চ বিদ্যালয়, বরাব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এজেন্ট পাওয়া যায়নি।
এজেন্ট না থাকার সুযোগে নৌকার প্রার্থী কামরুল ইসলাম গাজীর সমর্থক ও বহিরাগত লোকজনকে প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে সিল মারতে দেখা যায়। সকালের দিকে কোথাও কোথাও ভোটাররা কেন্দ্রে গেলেও নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রতীকে প্রকাশ্যে সিল দিয়ে মেম্বার পদে অন্য প্রতীকে ইচ্ছেমতো সিল মারতে বলা হয়। এমন অবস্থায় চলতে থাকায় বেলা সোয়া ১১টা থেকে দুপুর পৌনে ১টার মধ্যে তিন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। অপরদিকে চরসিন্দুর ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হয়।
অপরদিকে মনোহরদী উপজেলায় ৯টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে কয়েকটি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণে অনিয়ম, সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ভোটের শুরুতে বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রকাশ্যে ব্যালটে সিল মারা ও এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
দুপুরে শুকুন্দী ইউনিয়নের বালিয়াকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জোর করে ভোট দেন মোরগ প্রতীকের সদস্য প্রার্থী নূরুল হকের কর্মীরা। এ নিয়ে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী বাছেদ প্রধানের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। জোর করে জাল ভোট দেওয়ায় বিষয়টি প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাছে বারবার অভিযোগ করেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ দিকে কাচিকাটা ইউনিয়নের মাধুশাল উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। গতকাল রোববার দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তীব্র শীতের কারণে শুরুতে কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের ভিড় বাড়তে থাকে। পুরুষের তুলনায় নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিল বেশি লক্ষণীয়।
নরসিংদী জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মেছবাহ উদ্দিন বলেন, অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুই উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। কোনো প্রার্থীর পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাইনি, ভোট কেন্দ্র বন্ধ হয়নি। ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়েছেন। কোথাও কোনো সহিংসতা বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
চতুর্থ ধাপে গতকাল রোববার নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ২ টি ও মনোহরদী উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ১১টি ইউপির মধ্যে ৪টিতে স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) ও ৭টিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।
বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন- পলাশ উপজেলার জিনারদীতে কামরুল ইসলাম গাজী (আ.লীগ) ও চরসিন্দুর ইউনিয়নে মোফাজ্জল হোসেন রতন (আ.লীগ) এবং মনোহরদী উপজেলার চন্দনবাড়িতে আব্দুর রউফ হিরন (আ.লীগ), শুকুন্দিতে সাদিকুর রহমান শামীম (আ.লীগ), কাচিকাটায় মোবারক হোসেন খান কনক (স্বতন্ত্র), বড়চাপায় এম সুলতান উদ্দিন (আ.লীগ), লেবুতলায় জাকির হোসেন আকন্দ (আ.লীগ), গোতাশিয়ায় আবুল বরকত রবিন (স্বতন্ত্র), দৌলতপুরে শরীফ মাহমুদ খান বাহালুল (স্বতন্ত্র), চালাকচরে ফখরুল মান্নান মুক্তু (নৌকা) এবং একদুয়ারিয়ায় মোল্লা রফিকুল ইসলাম ফারুক (স্বতন্ত্র)।
এর আগে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া অনেকটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে নরসিংদীর দুই উপজেলা পলাশ ও মনোহরদীর ১১টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভোটগ্রহণ। পলাশের দুটি ইউপিতে কোনো রকম সহিংসতার ঘটনা না ঘটলেও ১টি ইউপিতে অনিয়মের অভিযোগে ভোট বর্জন করেছেন তিন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী। অপরদিকে মনোহরদী উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ককটেল বিস্ফোরণ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া মোটামুটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তবে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিন দুই উপজেলার বিভিন্ন ইউপির ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকেই ভোটকেন্দ্রগুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে আসেন ভোটাররা। সকাল ৮টা থেকে টানা ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ চলে। পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বেশির ভাগ ভোট কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। অভিযোগ অনুযায়ী পারুলিয়া উচ্চবিদ্যালয়, চরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সানেরবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পলাশ থানা উচ্চ বিদ্যালয়, বরাব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এজেন্ট পাওয়া যায়নি।
এজেন্ট না থাকার সুযোগে নৌকার প্রার্থী কামরুল ইসলাম গাজীর সমর্থক ও বহিরাগত লোকজনকে প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে সিল মারতে দেখা যায়। সকালের দিকে কোথাও কোথাও ভোটাররা কেন্দ্রে গেলেও নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রতীকে প্রকাশ্যে সিল দিয়ে মেম্বার পদে অন্য প্রতীকে ইচ্ছেমতো সিল মারতে বলা হয়। এমন অবস্থায় চলতে থাকায় বেলা সোয়া ১১টা থেকে দুপুর পৌনে ১টার মধ্যে তিন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। অপরদিকে চরসিন্দুর ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হয়।
অপরদিকে মনোহরদী উপজেলায় ৯টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে কয়েকটি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণে অনিয়ম, সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ভোটের শুরুতে বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রকাশ্যে ব্যালটে সিল মারা ও এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
দুপুরে শুকুন্দী ইউনিয়নের বালিয়াকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জোর করে ভোট দেন মোরগ প্রতীকের সদস্য প্রার্থী নূরুল হকের কর্মীরা। এ নিয়ে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী বাছেদ প্রধানের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। জোর করে জাল ভোট দেওয়ায় বিষয়টি প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাছে বারবার অভিযোগ করেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ দিকে কাচিকাটা ইউনিয়নের মাধুশাল উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। গতকাল রোববার দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তীব্র শীতের কারণে শুরুতে কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের ভিড় বাড়তে থাকে। পুরুষের তুলনায় নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিল বেশি লক্ষণীয়।
নরসিংদী জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মেছবাহ উদ্দিন বলেন, অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুই উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। কোনো প্রার্থীর পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাইনি, ভোট কেন্দ্র বন্ধ হয়নি। ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়েছেন। কোথাও কোনো সহিংসতা বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে