রাহুল শর্মা, ঢাকা
চলতি বছর থেকে শুরু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন। এ শিক্ষাক্রমে পরীক্ষা ও মুখস্থনির্ভরতার পরিবর্তে অভিজ্ঞতানির্ভর পড়াশোনায় জোর দেওয়া হয়েছে। এতে বদলে গেছে চিরাচরিত পড়াশোনার পদ্ধতি। তবে শিক্ষাক্রমের এমন আমূল পরিবর্তন নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। এক পক্ষ বলছে, নতুন শিক্ষাক্রম যুগোপযোগী। একজন শিক্ষার্থীকে দক্ষ, যোগ্য ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়ক। অন্য একটি পক্ষ শিক্ষাক্রমের কড়া সমালোচনা করে অনলাইনে ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছে। নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগে কয়েকটি সংগঠন এই শিক্ষাক্রম বাতিলেরও দাবি করছে।
তবে অধিকাংশ শিক্ষাবিদ বলছেন, নতুন শিক্ষাক্রম যুগোপযোগী, তবে বর্তমান বাস্তবতায় তা বাস্তবায়নে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে আছে যথাযথ প্রস্তুতির অভাব, শিক্ষার্থীর চাপ, দক্ষ শিক্ষক ও শিক্ষা-সহায়ক উপকরণের সংকট, মানসম্মত প্রশিক্ষণ ও প্রথাগত মনোভাব।
জানতে চাইলে জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ প্রণয়ন কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক শেখ ইকরামুল কবীর বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে যথাযথ প্রস্তুতির অভাব রয়েছে। এর বাইরেও আরও কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এগুলো হলো–শিক্ষার্থীর চাপ, প্রশিক্ষিত শিক্ষকের অভাব, সঠিক তথ্য মাঠপর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া ইত্যাদি। তিনি আরও বলেন, গ্রাম ও শহরের মধ্যে শিখনদক্ষতার যেন পার্থক্য না হয়, তা-ও বিবেচনায় রাখতে হবে। না হলে বড় ধরনের বৈষম্য তৈরি হবে।
নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে যথাযথ প্রস্তুতির অভাব রয়েছে। এর বাইরেও আরও কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এগুলো হলো—শিক্ষার্থীর চাপ, প্রশিক্ষিত শিক্ষকের অভাব ইত্যাদি।
অধ্যাপক শেখ ইকরামুল কবীর, সদস্যসচিব, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ প্রণয়ন কমিটি
নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ থাকার কথা স্বীকার করেছেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান ফরহাদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘কোভিডের পর সারা বিশ্বেই জীবন-জীবিকার ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। এই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে এবং শিক্ষার্থীদের বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষাক্রমের পরিমার্জন প্রয়োজন ছিল। এ জন্যই আমরা নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করছি। তবে এ শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে এবং এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত।’
চলতি বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আগামী বছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে তা শুরু হবে। এরপর ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে।
নতুন শিক্ষাক্রমের চাহিদা নিরূপণ ও বিশ্লেষণের কাজটি শুরু হয় ২০১৭ সালে। এরপর একাধিক গবেষণা ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে ২০২১ সালে ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১’ তৈরি করা হয়।
শিক্ষার্থীরা খুশি, অভিভাবকেরা উদ্বিগ্ন
রাজধানীর মগবাজারে ইস্পাহানি বালিকা বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরমাণুর মডেল বাস্তবধর্মী অভিজ্ঞতার আলোকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন শিক্ষকেরা। এতে মুখস্থ করতে হবে না বলে খুশি শিক্ষার্থীরা। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী তামান্না তাবাসসুম বলে, ‘শিক্ষকেরা সব বিষয়ই হাতে-কলমে শেখাচ্ছেন। এতে আমাদের মুখস্থ করতে হচ্ছে না। বলা যায়, সব পড়া ক্লাসে শেষ হয়ে যাচ্ছে।’
এখন সবকিছু ‘প্র্যাকটিক্যালি’ শেখা যাচ্ছে বলে খুশি শেরেবাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান। তার ভাষ্য, ‘এখন আমরা সবকিছু প্র্যাকটিক্যালি শিখি। কয়েকজন মিলে গ্রুপ স্টাডি করি, পোস্টার বা প্রজেক্টের মাধ্যমে তা ফুটিয়ে তুলি।’
শিক্ষার্থীদের দলগত শিখনপদ্ধতি এবং অভিজ্ঞতাভিত্তিক ক্লাসে প্রয়োজন নানা শিক্ষা উপকরণের। এতে স্বাভাবিকভাবেই বাড়ছে শিক্ষা ব্যয়। বিষয়টিকে বাড়তি বোঝা হিসেবে দেখছেন অভিভাবকেরা। আর নবম শ্রেণিতে বিভাগ বিভাজন না থাকা, মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে উদ্বিগ্ন তাঁরা। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী মিতা বণিকের বাবা অমল বণিক বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম চালুর পর অনেক শিক্ষা উপকরণ কিনতে হয়েছে। এটা বাড়তি বোঝা হয়ে যাচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষাক্রমের পরিমার্জন প্রয়োজন ছিল। এ জন্যই আমরা নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করছি।
ফরহাদুল ইসলাম, চেয়ারম্যান, এনসিটিবি
আবার অনেক অভিভাবক নবম শ্রেণিতে আগের মতো বিভাগ নির্বাচনের সুযোগ চান। একই সঙ্গে মূল্যায়নে ত্রিভুজ, বৃত্ত, চতুর্ভুজ ইত্যাদি নির্দেশক বা ইন্ডিকেটর বাতিলের দাবিও তাঁদের। প্রভাতী উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সিয়াম আহমেদের বাবা তৌফিক আহমেদ বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে, আগের মতো নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের পছন্দ অনুযায়ী বিভাগ নির্বাচনের সুযোগ থাকা উচিত। একই সঙ্গে মূল্যায়নে ত্রিভুজ, বৃত্ত, চতুর্ভুজ ইত্যাদি নির্দেশক বাতিল করা উচিত।’
চলছে বিতর্ক
নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর বাকি এক মাসের কম। এর আগে নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। কয়েকটি সংগঠন নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলেরও দাবি করছে। আবার কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে নানামুখী ট্রল করছে। নতুন পাঠ প্রক্রিয়ায় শিক্ষকদের ব্যাঙের লাফ, হাঁসের ডাকের মতো ভিডিও ছড়িয়ে নতুন শিক্ষাক্রমের সমালোচনা করা হচ্ছে।
এ ধরনের তৎপরতাকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ বলছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। ছড়িয়ে পড়া বেশ কিছু ভিডিও ফ্যাক্টচেক করেও এনসিটিবির দাবির সত্যতা পাওয়া গেছে।
জানতে চাইলে এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, ‘শিক্ষাক্রমের সমালোচনা করার মতো কিছু না পেয়ে মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে, যা খুবই দুঃখজনক। কেউ যদি কোনো ভুলত্রুটি ধরিয়ে দেয়, তাহলে আমরা তা সংশোধন করব।’
চলতি বছর থেকে শুরু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন। এ শিক্ষাক্রমে পরীক্ষা ও মুখস্থনির্ভরতার পরিবর্তে অভিজ্ঞতানির্ভর পড়াশোনায় জোর দেওয়া হয়েছে। এতে বদলে গেছে চিরাচরিত পড়াশোনার পদ্ধতি। তবে শিক্ষাক্রমের এমন আমূল পরিবর্তন নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। এক পক্ষ বলছে, নতুন শিক্ষাক্রম যুগোপযোগী। একজন শিক্ষার্থীকে দক্ষ, যোগ্য ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়ক। অন্য একটি পক্ষ শিক্ষাক্রমের কড়া সমালোচনা করে অনলাইনে ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছে। নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগে কয়েকটি সংগঠন এই শিক্ষাক্রম বাতিলেরও দাবি করছে।
তবে অধিকাংশ শিক্ষাবিদ বলছেন, নতুন শিক্ষাক্রম যুগোপযোগী, তবে বর্তমান বাস্তবতায় তা বাস্তবায়নে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে আছে যথাযথ প্রস্তুতির অভাব, শিক্ষার্থীর চাপ, দক্ষ শিক্ষক ও শিক্ষা-সহায়ক উপকরণের সংকট, মানসম্মত প্রশিক্ষণ ও প্রথাগত মনোভাব।
জানতে চাইলে জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ প্রণয়ন কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক শেখ ইকরামুল কবীর বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে যথাযথ প্রস্তুতির অভাব রয়েছে। এর বাইরেও আরও কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এগুলো হলো–শিক্ষার্থীর চাপ, প্রশিক্ষিত শিক্ষকের অভাব, সঠিক তথ্য মাঠপর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া ইত্যাদি। তিনি আরও বলেন, গ্রাম ও শহরের মধ্যে শিখনদক্ষতার যেন পার্থক্য না হয়, তা-ও বিবেচনায় রাখতে হবে। না হলে বড় ধরনের বৈষম্য তৈরি হবে।
নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে যথাযথ প্রস্তুতির অভাব রয়েছে। এর বাইরেও আরও কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এগুলো হলো—শিক্ষার্থীর চাপ, প্রশিক্ষিত শিক্ষকের অভাব ইত্যাদি।
অধ্যাপক শেখ ইকরামুল কবীর, সদস্যসচিব, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ প্রণয়ন কমিটি
নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ থাকার কথা স্বীকার করেছেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান ফরহাদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘কোভিডের পর সারা বিশ্বেই জীবন-জীবিকার ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। এই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে এবং শিক্ষার্থীদের বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষাক্রমের পরিমার্জন প্রয়োজন ছিল। এ জন্যই আমরা নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করছি। তবে এ শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে এবং এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত।’
চলতি বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আগামী বছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে তা শুরু হবে। এরপর ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে।
নতুন শিক্ষাক্রমের চাহিদা নিরূপণ ও বিশ্লেষণের কাজটি শুরু হয় ২০১৭ সালে। এরপর একাধিক গবেষণা ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে ২০২১ সালে ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১’ তৈরি করা হয়।
শিক্ষার্থীরা খুশি, অভিভাবকেরা উদ্বিগ্ন
রাজধানীর মগবাজারে ইস্পাহানি বালিকা বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরমাণুর মডেল বাস্তবধর্মী অভিজ্ঞতার আলোকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন শিক্ষকেরা। এতে মুখস্থ করতে হবে না বলে খুশি শিক্ষার্থীরা। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী তামান্না তাবাসসুম বলে, ‘শিক্ষকেরা সব বিষয়ই হাতে-কলমে শেখাচ্ছেন। এতে আমাদের মুখস্থ করতে হচ্ছে না। বলা যায়, সব পড়া ক্লাসে শেষ হয়ে যাচ্ছে।’
এখন সবকিছু ‘প্র্যাকটিক্যালি’ শেখা যাচ্ছে বলে খুশি শেরেবাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান। তার ভাষ্য, ‘এখন আমরা সবকিছু প্র্যাকটিক্যালি শিখি। কয়েকজন মিলে গ্রুপ স্টাডি করি, পোস্টার বা প্রজেক্টের মাধ্যমে তা ফুটিয়ে তুলি।’
শিক্ষার্থীদের দলগত শিখনপদ্ধতি এবং অভিজ্ঞতাভিত্তিক ক্লাসে প্রয়োজন নানা শিক্ষা উপকরণের। এতে স্বাভাবিকভাবেই বাড়ছে শিক্ষা ব্যয়। বিষয়টিকে বাড়তি বোঝা হিসেবে দেখছেন অভিভাবকেরা। আর নবম শ্রেণিতে বিভাগ বিভাজন না থাকা, মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে উদ্বিগ্ন তাঁরা। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী মিতা বণিকের বাবা অমল বণিক বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম চালুর পর অনেক শিক্ষা উপকরণ কিনতে হয়েছে। এটা বাড়তি বোঝা হয়ে যাচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষাক্রমের পরিমার্জন প্রয়োজন ছিল। এ জন্যই আমরা নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করছি।
ফরহাদুল ইসলাম, চেয়ারম্যান, এনসিটিবি
আবার অনেক অভিভাবক নবম শ্রেণিতে আগের মতো বিভাগ নির্বাচনের সুযোগ চান। একই সঙ্গে মূল্যায়নে ত্রিভুজ, বৃত্ত, চতুর্ভুজ ইত্যাদি নির্দেশক বা ইন্ডিকেটর বাতিলের দাবিও তাঁদের। প্রভাতী উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সিয়াম আহমেদের বাবা তৌফিক আহমেদ বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে, আগের মতো নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের পছন্দ অনুযায়ী বিভাগ নির্বাচনের সুযোগ থাকা উচিত। একই সঙ্গে মূল্যায়নে ত্রিভুজ, বৃত্ত, চতুর্ভুজ ইত্যাদি নির্দেশক বাতিল করা উচিত।’
চলছে বিতর্ক
নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর বাকি এক মাসের কম। এর আগে নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। কয়েকটি সংগঠন নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলেরও দাবি করছে। আবার কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে নানামুখী ট্রল করছে। নতুন পাঠ প্রক্রিয়ায় শিক্ষকদের ব্যাঙের লাফ, হাঁসের ডাকের মতো ভিডিও ছড়িয়ে নতুন শিক্ষাক্রমের সমালোচনা করা হচ্ছে।
এ ধরনের তৎপরতাকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ বলছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। ছড়িয়ে পড়া বেশ কিছু ভিডিও ফ্যাক্টচেক করেও এনসিটিবির দাবির সত্যতা পাওয়া গেছে।
জানতে চাইলে এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, ‘শিক্ষাক্রমের সমালোচনা করার মতো কিছু না পেয়ে মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে, যা খুবই দুঃখজনক। কেউ যদি কোনো ভুলত্রুটি ধরিয়ে দেয়, তাহলে আমরা তা সংশোধন করব।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে