নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
অবাধ পানি উত্তোলনে বেড়ে চলেছে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নবাসীর দুর্ভোগ। প্রতিনিয়ত নিচে নেমে চলেছে পানির স্তর। গত এক দশকে ওই ইউনিয়নের চার গ্রামের ৪০ হাজার মানুষ সুপেয় পানির সংকটে ভুগছেন। এর জন্য শিল্পকারাখানাগুলোর বিপুল পানি উত্তোলনকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি শিল্পবর্জ্য খাল-নালার পানিতে ছড়িয়ে পড়ায় ভূ-উপরিস্থ পানিও ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
পানির সংকট সমাধানে গ্রামবাসীর জন্য অব্যাহতভাবে সুপেয় পানি সরবরাহ করতে কারখানা মালিকদের নির্দেশ দেন আদালত। এর দুই বছর পার হতে চললেও এখন হাবিলাসদ্বীপবাসীর পানির সংকট কাটেনি। উল্টো দিন দিন ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। আর ভূ-উপরিস্থ পানি দূষণের কারণে গোসল, খাবার ও চাষের পানির চরম সংকটে ভুগছে তারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারে আয়োজিত গণশুনানিতে এসব তথ্য তুলে ধরেন ভুক্তভোগীরা। হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নে শিল্পকারখানা কর্তৃক ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলন ও পরিবেশ দূষণ বন্ধে উচ্চ আদালতের রায় দ্রুত বাস্তবায়ন ও সুপেয় পানির সরবরাহ নিশ্চিতকরণের দাবিতে এর আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)।
গণশুনানিতে হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের বাসিন্দা তপন চৌধুরী বলেন, ‘কারখানাগুলো ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলন করায় এখন ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ ফুট নিচে চলে গেছে পানির স্তর। এতে আমরা পানি পাচ্ছি না। যে কারণে খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে কারখানার অপরিশোধিত বর্জ্য খালের পানি দূষণ করায় চাষাবাদের পানিরও সংকট তৈরি হয়েছে। আমরা খাবার-চাষাবাদের পানি চাই।’
আশরাফ উদ্দিন নামের স্থানীয় এক স্কুলশিক্ষক বলেন, ‘আগে এলাকায় মানুষ প্রচুর জমি চাষাবাদ করতেন। আমাদের এলাকা কৃষিনির্ভর ছিল। কিন্তু কারখানার অব্যাহত দূষণের ফলে চাষাবাদে আগ্রহ কমছে। আগে একটি জমিতে যে পরিমাণ ফসল পাওয়া যেতো, কারখানার বর্জ্যের কারণে সেই পরিমাণ ফসল ফলে না।’
আমেনা বেগম নামের এক গৃহবধূ বলেন, খাবারের পানির সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে। নলকূপে পানি না ওঠায় অনেক দূর থেকে কলসিতে করে পানি আনতে হয়।
চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে ও পটিয়া উপজেলা সদরের ১০ কিলোমিটার উত্তর-দক্ষিণে অবস্থান হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে এই এলাকায় শিল্পায়ন শুরু হয়। গত দুই যুগে ওই এলাকায় গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের কারখানা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা ১৯৯৭ অনুযায়ী প্রতিটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বর্জ্য শোধনাগার বা ইটিপি স্থাপন করা বাধ্যতামূলক। তবে ওই এলাকায় গড়ে কারখানাগুলোর বেশির ভাগেই নেই ইটিপি। এতে ওইসব প্রতিষ্ঠানের অপরিশোধিত বর্জ্য পাশের সার্জেন্ট মহী আলম খাল, বোয়ালখালী খাল, গরুলোটা খালে পড়ছে। ফলে হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের হুলাইন, হাবিলাসদ্বীপ, চরকানাই ও পাঁচরিয়া গ্রামের কৃষিজমি নষ্ট হচ্ছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে কৃষিনির্ভর জনগোষ্ঠীর জীবন, জীবিকা ও জনস্বাস্থ্যের ওপর। অন্যদিকে এসব কারখানা গভীর নলকূপ বসিয়ে পানি উত্তোলন করায় ওই ইউনিয়নে সরকারি-বেসরকারিভাবে স্থাপিত প্রায় ৩০০ হস্তচালিত নলকূপে পানি উঠছে না। দেখা দিয়েছে সুপেয় ও নিত্য ব্যবহার্য পানির সংকট।
এলাকার বাসিন্দাদের এই সংকট নিয়ে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) হাইকোর্টে আটটি প্রতিষ্ঠানকে বিবাদী করে জনস্বার্থে মামলা করে। এর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিবাদীগণকে ১৩টি সুনির্দিষ্ট নির্দেশনাসহ রায় প্রদান করেন আদালত। এতে বিবাদী প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাংলাদেশ পানি আইন ২০১৩ এর ধারা ১৭ অনুযায়ী পানি সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে নির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলন থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। লাল শ্রেণিভুক্ত কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ইটিপি ছাড়া পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রদান বা নবায়ন না করারও নির্দেশনা দেন আদালত। যে সব শিল্পপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই বা ছাড়পত্র নবায়ন করা হয়নি, সেগুলো সরাসরি বন্ধেরও নির্দেশ দেন। কিন্তু গত দুই বছরেও আদালতের এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হয়নি।
এ সম্পর্কে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপপরিচালক সেলিনা আক্তার বলেন, ‘আটটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ইতিমধ্যে ৫টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি তিনটি প্রতিষ্ঠানের এখনো পরিবেশগত ছাড়পত্রের মেয়াদ আছে। এরপরও আমরা অভিযোগ পেলে ওইসব কারখানায় অভিযান পরিচালনা করি। কিন্তু অভিযানে গেলে দেখা যায়, তাদের ইটিপি চালু আছে।’
অবাধ পানি উত্তোলনে বেড়ে চলেছে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নবাসীর দুর্ভোগ। প্রতিনিয়ত নিচে নেমে চলেছে পানির স্তর। গত এক দশকে ওই ইউনিয়নের চার গ্রামের ৪০ হাজার মানুষ সুপেয় পানির সংকটে ভুগছেন। এর জন্য শিল্পকারাখানাগুলোর বিপুল পানি উত্তোলনকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি শিল্পবর্জ্য খাল-নালার পানিতে ছড়িয়ে পড়ায় ভূ-উপরিস্থ পানিও ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
পানির সংকট সমাধানে গ্রামবাসীর জন্য অব্যাহতভাবে সুপেয় পানি সরবরাহ করতে কারখানা মালিকদের নির্দেশ দেন আদালত। এর দুই বছর পার হতে চললেও এখন হাবিলাসদ্বীপবাসীর পানির সংকট কাটেনি। উল্টো দিন দিন ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। আর ভূ-উপরিস্থ পানি দূষণের কারণে গোসল, খাবার ও চাষের পানির চরম সংকটে ভুগছে তারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারে আয়োজিত গণশুনানিতে এসব তথ্য তুলে ধরেন ভুক্তভোগীরা। হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নে শিল্পকারখানা কর্তৃক ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলন ও পরিবেশ দূষণ বন্ধে উচ্চ আদালতের রায় দ্রুত বাস্তবায়ন ও সুপেয় পানির সরবরাহ নিশ্চিতকরণের দাবিতে এর আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)।
গণশুনানিতে হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের বাসিন্দা তপন চৌধুরী বলেন, ‘কারখানাগুলো ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলন করায় এখন ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ ফুট নিচে চলে গেছে পানির স্তর। এতে আমরা পানি পাচ্ছি না। যে কারণে খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে কারখানার অপরিশোধিত বর্জ্য খালের পানি দূষণ করায় চাষাবাদের পানিরও সংকট তৈরি হয়েছে। আমরা খাবার-চাষাবাদের পানি চাই।’
আশরাফ উদ্দিন নামের স্থানীয় এক স্কুলশিক্ষক বলেন, ‘আগে এলাকায় মানুষ প্রচুর জমি চাষাবাদ করতেন। আমাদের এলাকা কৃষিনির্ভর ছিল। কিন্তু কারখানার অব্যাহত দূষণের ফলে চাষাবাদে আগ্রহ কমছে। আগে একটি জমিতে যে পরিমাণ ফসল পাওয়া যেতো, কারখানার বর্জ্যের কারণে সেই পরিমাণ ফসল ফলে না।’
আমেনা বেগম নামের এক গৃহবধূ বলেন, খাবারের পানির সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে। নলকূপে পানি না ওঠায় অনেক দূর থেকে কলসিতে করে পানি আনতে হয়।
চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে ও পটিয়া উপজেলা সদরের ১০ কিলোমিটার উত্তর-দক্ষিণে অবস্থান হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে এই এলাকায় শিল্পায়ন শুরু হয়। গত দুই যুগে ওই এলাকায় গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের কারখানা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা ১৯৯৭ অনুযায়ী প্রতিটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বর্জ্য শোধনাগার বা ইটিপি স্থাপন করা বাধ্যতামূলক। তবে ওই এলাকায় গড়ে কারখানাগুলোর বেশির ভাগেই নেই ইটিপি। এতে ওইসব প্রতিষ্ঠানের অপরিশোধিত বর্জ্য পাশের সার্জেন্ট মহী আলম খাল, বোয়ালখালী খাল, গরুলোটা খালে পড়ছে। ফলে হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের হুলাইন, হাবিলাসদ্বীপ, চরকানাই ও পাঁচরিয়া গ্রামের কৃষিজমি নষ্ট হচ্ছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে কৃষিনির্ভর জনগোষ্ঠীর জীবন, জীবিকা ও জনস্বাস্থ্যের ওপর। অন্যদিকে এসব কারখানা গভীর নলকূপ বসিয়ে পানি উত্তোলন করায় ওই ইউনিয়নে সরকারি-বেসরকারিভাবে স্থাপিত প্রায় ৩০০ হস্তচালিত নলকূপে পানি উঠছে না। দেখা দিয়েছে সুপেয় ও নিত্য ব্যবহার্য পানির সংকট।
এলাকার বাসিন্দাদের এই সংকট নিয়ে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) হাইকোর্টে আটটি প্রতিষ্ঠানকে বিবাদী করে জনস্বার্থে মামলা করে। এর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিবাদীগণকে ১৩টি সুনির্দিষ্ট নির্দেশনাসহ রায় প্রদান করেন আদালত। এতে বিবাদী প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাংলাদেশ পানি আইন ২০১৩ এর ধারা ১৭ অনুযায়ী পানি সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে নির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলন থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। লাল শ্রেণিভুক্ত কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ইটিপি ছাড়া পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রদান বা নবায়ন না করারও নির্দেশনা দেন আদালত। যে সব শিল্পপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই বা ছাড়পত্র নবায়ন করা হয়নি, সেগুলো সরাসরি বন্ধেরও নির্দেশ দেন। কিন্তু গত দুই বছরেও আদালতের এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হয়নি।
এ সম্পর্কে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপপরিচালক সেলিনা আক্তার বলেন, ‘আটটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ইতিমধ্যে ৫টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি তিনটি প্রতিষ্ঠানের এখনো পরিবেশগত ছাড়পত্রের মেয়াদ আছে। এরপরও আমরা অভিযোগ পেলে ওইসব কারখানায় অভিযান পরিচালনা করি। কিন্তু অভিযানে গেলে দেখা যায়, তাদের ইটিপি চালু আছে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ ঘণ্টা আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ ঘণ্টা আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ ঘণ্টা আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ ঘণ্টা আগে