রাশেদুজ্জামান, মেহেরপুর
বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা—এ কথা ছেলেবেলাতেই জেনে এসেছে সবাই। গ্রামের ছেলেমেয়েরা নদী, খাল, বিল, ডোবা কিংবা নালাতে জাতীয় ফুলের দেখা পায়। অনেকেই জলাশয় থেকে তুলে আনে শাপলার আঁটি। কিন্তু শহরের ছেলেমেয়েদের সে সুযোগ হয় না। কেবল বইয়ের পাতায় শাপলা ফুলের ছবি দেখে তারা।
তবে এবার শহুরে ছেলেমেয়েদের শাপলা ছুঁতে না পারার আক্ষেপ ঘুচতে যাচ্ছে। ছাদবাগানেই শাপলা ফুটবে। শুধু শাপলা নয়, ফুটবে পদ্মফুলও। এমনকি কেউ চাইলে বাণিজ্যিকভাবেও এসব ফুলের চাষ করতে পারবেন। সেই পথ দেখিয়ে দিয়েছেন মেহেরপুর সদর উপজেলার ষোলমারী গ্রামের সাইফুজ্জামান রিজন। প্রথমে বাড়ির ছাদে শখের বশে এসব ফুলের চাষ করেছিলেন তিনি। এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষ করছেন। অনলাইনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি করে অর্থও উপার্জন করছেন।
কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের অনার্সের ছাত্র রিজনের এই উদ্যোগের শুরুটা হয় গত বছর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানভির আহম্মেদের কাছ থেকে মাত্র ২৫০ টাকা দিয়ে চারা সংগ্রহ করে শাপলা ও পদ্মের চাষ শুরু করেন রিজন।
মানিকগঞ্জের ছেলে তানভিরের সঙ্গে রিজনের পরিচয় ফেসবুকে। আলাপের একপর্যায়ে জানতে পারেন তানভির ইংরেজিতে অনার্স শেষ করে চাকরির পেছনে না ছুটে নিজ এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে দেশি-বিদেশি পদ্ম ও শাপলার চাষ শুরু করেছেন। এতে তিনি অনেকটাই সফল। এ কথা শুনে তানভিরের কাছ থেকে শাপলা ও পদ্মের চারা সংগ্রহ করেন রিজন। সেই চারা দিয়ে বাড়ির ছাদ ও আঙিনাতেও প্লাস্টিকের গামলা, সিমেন্টের তৈরি বড় বড় ড্রামে পদ্ম ও শাপলা চাষ শুরু করেন তিনি।
প্রথমে ড্রাম ও গামলায় পানি রেখে পদ্মের বীজ ছেড়ে দেন রিজন। গাছ হওয়ার পর ফুটতে থাকে ফুল। এখন তাঁর বাগানে ৩১ প্রকারের শাপলা ও ৩৫ প্রকারের পদ্ম রয়েছে।
লাল, সাদা, হলদে, বেগুনি, গোলাপি বর্ণের এসব পদ্ম ও শাপলা দেখতে প্রতিদিনই রিজনের বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন অনেকে। কেউ কেউ আবার অনলাইনে চারার অর্ডারও দিচ্ছেন। ইতিমধ্যে ৩৫ হাজার টাকার পদ্ম ও শাপলার চারা বিক্রি করেছেন রিজন। সব ঠিক থাকলে আগামী বছর লাখ টাকার ওপর পদ্ম ও শাপলা বিক্রি করত পারবেন বলে জানান তিনি।
রিজন বলেন, ‘প্রথম দিকে আমার কাজ দেখে পাড়া-প্রতিবেশী অনেকেই হাসাহাসি করেছেন। সবাই প্রশ্ন করতেন, শিক্ষিত ছেলে হয়ে এসব আমি কী করে বেড়াচ্ছি। কিন্তু এসব বিষয়ে আমি পাত্তাই দিইনি। ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা মানুষেরাই এখন আমার বাড়িতে এসব ফুল দেখতে আসেন।’
শাপলা-পদ্ম চাষ করে সফল এই যুবক জানান, তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চাকরির পেছনে ছুটবেন না। ফুলের বীজ সংগ্রহের জন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মোবাইল ফোনে তাঁর সঙ্গে অনেকেই যোগাযোগ করছেন।
বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা—এ কথা ছেলেবেলাতেই জেনে এসেছে সবাই। গ্রামের ছেলেমেয়েরা নদী, খাল, বিল, ডোবা কিংবা নালাতে জাতীয় ফুলের দেখা পায়। অনেকেই জলাশয় থেকে তুলে আনে শাপলার আঁটি। কিন্তু শহরের ছেলেমেয়েদের সে সুযোগ হয় না। কেবল বইয়ের পাতায় শাপলা ফুলের ছবি দেখে তারা।
তবে এবার শহুরে ছেলেমেয়েদের শাপলা ছুঁতে না পারার আক্ষেপ ঘুচতে যাচ্ছে। ছাদবাগানেই শাপলা ফুটবে। শুধু শাপলা নয়, ফুটবে পদ্মফুলও। এমনকি কেউ চাইলে বাণিজ্যিকভাবেও এসব ফুলের চাষ করতে পারবেন। সেই পথ দেখিয়ে দিয়েছেন মেহেরপুর সদর উপজেলার ষোলমারী গ্রামের সাইফুজ্জামান রিজন। প্রথমে বাড়ির ছাদে শখের বশে এসব ফুলের চাষ করেছিলেন তিনি। এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষ করছেন। অনলাইনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি করে অর্থও উপার্জন করছেন।
কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের অনার্সের ছাত্র রিজনের এই উদ্যোগের শুরুটা হয় গত বছর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানভির আহম্মেদের কাছ থেকে মাত্র ২৫০ টাকা দিয়ে চারা সংগ্রহ করে শাপলা ও পদ্মের চাষ শুরু করেন রিজন।
মানিকগঞ্জের ছেলে তানভিরের সঙ্গে রিজনের পরিচয় ফেসবুকে। আলাপের একপর্যায়ে জানতে পারেন তানভির ইংরেজিতে অনার্স শেষ করে চাকরির পেছনে না ছুটে নিজ এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে দেশি-বিদেশি পদ্ম ও শাপলার চাষ শুরু করেছেন। এতে তিনি অনেকটাই সফল। এ কথা শুনে তানভিরের কাছ থেকে শাপলা ও পদ্মের চারা সংগ্রহ করেন রিজন। সেই চারা দিয়ে বাড়ির ছাদ ও আঙিনাতেও প্লাস্টিকের গামলা, সিমেন্টের তৈরি বড় বড় ড্রামে পদ্ম ও শাপলা চাষ শুরু করেন তিনি।
প্রথমে ড্রাম ও গামলায় পানি রেখে পদ্মের বীজ ছেড়ে দেন রিজন। গাছ হওয়ার পর ফুটতে থাকে ফুল। এখন তাঁর বাগানে ৩১ প্রকারের শাপলা ও ৩৫ প্রকারের পদ্ম রয়েছে।
লাল, সাদা, হলদে, বেগুনি, গোলাপি বর্ণের এসব পদ্ম ও শাপলা দেখতে প্রতিদিনই রিজনের বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন অনেকে। কেউ কেউ আবার অনলাইনে চারার অর্ডারও দিচ্ছেন। ইতিমধ্যে ৩৫ হাজার টাকার পদ্ম ও শাপলার চারা বিক্রি করেছেন রিজন। সব ঠিক থাকলে আগামী বছর লাখ টাকার ওপর পদ্ম ও শাপলা বিক্রি করত পারবেন বলে জানান তিনি।
রিজন বলেন, ‘প্রথম দিকে আমার কাজ দেখে পাড়া-প্রতিবেশী অনেকেই হাসাহাসি করেছেন। সবাই প্রশ্ন করতেন, শিক্ষিত ছেলে হয়ে এসব আমি কী করে বেড়াচ্ছি। কিন্তু এসব বিষয়ে আমি পাত্তাই দিইনি। ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা মানুষেরাই এখন আমার বাড়িতে এসব ফুল দেখতে আসেন।’
শাপলা-পদ্ম চাষ করে সফল এই যুবক জানান, তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চাকরির পেছনে ছুটবেন না। ফুলের বীজ সংগ্রহের জন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মোবাইল ফোনে তাঁর সঙ্গে অনেকেই যোগাযোগ করছেন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে