এস আলম সুমন, কুলাউড়া (মৌলভীবাজার)
কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চলছে চিকিৎসাসেবা। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরোনো এই দ্বিতল ভবনের ছাদের বিভিন্ন স্থান থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা। এতে দুর্ঘটনার শঙ্কা করছেন কর্তৃপক্ষ ও রোগীরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানা যায়, ১৯৬৭ সালে দোতলা পাকা ভবনে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির যাত্রা শুরু হয়। তখন সেটি ৩১ শয্যার হাসপাতাল ছিল। ২০০৬ সালে পুরোনো ভবনের এ হাসপাতালটিকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়।
এর পাশ ঘেঁষে আরেকটি দ্বিতল পাকা ভবন নির্মাণ করা হয় তখন। সেখানে অপারেশন থিয়েটার, বহিরাগত রোগীদের জন্য চিকিৎসকের চেম্বার স্থাপন করা হয়। তবে নতুন ভবনের আনুষঙ্গিক সুবিধা বাড়েনি।
এদিকে নতুন ভবনে শুধু বহিরাগত রোগীদের চিকিৎসাসেবা ও ইপিআই টিকা কার্যক্রম চলছে। এ জন্য পুরোনো ভবনে জরুরি বিভাগ, রোগীদের আবাসিক শয্যা, ল্যাব, অপারেশন থিয়েটারসহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাপ্তরিক কার্যালয়ে কার্যক্রম চলছে। পুরোনো ভবনের প্রথম ও দোতলায় মোট ৩০টি কক্ষ রয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক ওয়ার্ডে থাকা রোগীর স্বজন মো. ফিরোজ আহমদ বলেন, ‘৫০ বছর আগের জরাজীর্ণ ভবনের মধ্যেই পড়ে আছে আবাসিক ওয়ার্ড। নতুন ভবনটি হওয়ার পর থেকে শুধু চিকিৎসকদের চেম্বার ছাড়া আর কিছু দেখিনি। পুরোনো ভবনটির স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে থাকতে হয় ওয়ার্ডের রোগীদের।’
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, অফিস সহকারী ও পরিসংখ্যানবিদের কার্যালয়ে ছাদের একাধিক স্থানে পলেস্তারা খসে রড বেরিয়ে পড়েছে। জং ধরেছে রডে। একই অবস্থা ওই ভবনের আরও চার-পাঁচটি স্থানে।
জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা জাহিদ হোসেন বলেন, ৩০ থেকে শুধু ৫০ শয্যা হয়েছে। সেবার মান বাড়েনি। দ্রুত ভবনটি সংস্কার অথবা নতুন ভবনে জরুরি বিভাগ ও আবাসিক ওয়ার্ড স্থাপন করা উচিত। নয়তো যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে অসুস্থ শিশুর চিকিৎসা দেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা জাকির হোসেন।
তিনি বলেন, ‘বসার জায়গার ঠিক ওপরে ছাদের বেশ কিছু জায়গা থেকে পলেস্তারা খসে পড়েছে। এমন অবস্থায় আমরা দুর্ঘটনা শঙ্কায় রয়েছি। পুরোনো হয়ে যাওয়ায় ভবনটির এই অবস্থা।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক ফেরদৌস আক্তার জানান, প্রতিদিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের ভিড় লেগে থাকে। ভবনটি অনেক জরাজীর্ণ। দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন। ভবনটি সংস্কারের বিষয়ে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মৌলভীবাজার কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. মনিরুল হক বলেন, কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরোনো ভবনটির অবস্থা বেশ নাজুক। ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ভবনটি সংস্কারের প্রস্তাব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে অনুমোদন করেছে। চূড়ান্ত অনুমোদনের পর দরপত্র আহ্বান করে ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হবে। এরপর কাজ শুরু হবে।
মনিরুল হক আরও বলেন, প্রস্তাবকৃত ওই কাজের মধ্যে ছাদের ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে ঢালাই ভেঙে সংস্কারসহ পলেস্তারা, মেঝেতে টাইলস বসানো, বৈদ্যুতিক ও স্যানিটারির কাজ রয়েছে। এসব কাজ হয়ে গেলে অন্তত ১০-১৫ বছর ভবনের কোনো ক্ষতি হবে না।
কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চলছে চিকিৎসাসেবা। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরোনো এই দ্বিতল ভবনের ছাদের বিভিন্ন স্থান থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা। এতে দুর্ঘটনার শঙ্কা করছেন কর্তৃপক্ষ ও রোগীরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানা যায়, ১৯৬৭ সালে দোতলা পাকা ভবনে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির যাত্রা শুরু হয়। তখন সেটি ৩১ শয্যার হাসপাতাল ছিল। ২০০৬ সালে পুরোনো ভবনের এ হাসপাতালটিকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়।
এর পাশ ঘেঁষে আরেকটি দ্বিতল পাকা ভবন নির্মাণ করা হয় তখন। সেখানে অপারেশন থিয়েটার, বহিরাগত রোগীদের জন্য চিকিৎসকের চেম্বার স্থাপন করা হয়। তবে নতুন ভবনের আনুষঙ্গিক সুবিধা বাড়েনি।
এদিকে নতুন ভবনে শুধু বহিরাগত রোগীদের চিকিৎসাসেবা ও ইপিআই টিকা কার্যক্রম চলছে। এ জন্য পুরোনো ভবনে জরুরি বিভাগ, রোগীদের আবাসিক শয্যা, ল্যাব, অপারেশন থিয়েটারসহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাপ্তরিক কার্যালয়ে কার্যক্রম চলছে। পুরোনো ভবনের প্রথম ও দোতলায় মোট ৩০টি কক্ষ রয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক ওয়ার্ডে থাকা রোগীর স্বজন মো. ফিরোজ আহমদ বলেন, ‘৫০ বছর আগের জরাজীর্ণ ভবনের মধ্যেই পড়ে আছে আবাসিক ওয়ার্ড। নতুন ভবনটি হওয়ার পর থেকে শুধু চিকিৎসকদের চেম্বার ছাড়া আর কিছু দেখিনি। পুরোনো ভবনটির স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে থাকতে হয় ওয়ার্ডের রোগীদের।’
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, অফিস সহকারী ও পরিসংখ্যানবিদের কার্যালয়ে ছাদের একাধিক স্থানে পলেস্তারা খসে রড বেরিয়ে পড়েছে। জং ধরেছে রডে। একই অবস্থা ওই ভবনের আরও চার-পাঁচটি স্থানে।
জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা জাহিদ হোসেন বলেন, ৩০ থেকে শুধু ৫০ শয্যা হয়েছে। সেবার মান বাড়েনি। দ্রুত ভবনটি সংস্কার অথবা নতুন ভবনে জরুরি বিভাগ ও আবাসিক ওয়ার্ড স্থাপন করা উচিত। নয়তো যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে অসুস্থ শিশুর চিকিৎসা দেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা জাকির হোসেন।
তিনি বলেন, ‘বসার জায়গার ঠিক ওপরে ছাদের বেশ কিছু জায়গা থেকে পলেস্তারা খসে পড়েছে। এমন অবস্থায় আমরা দুর্ঘটনা শঙ্কায় রয়েছি। পুরোনো হয়ে যাওয়ায় ভবনটির এই অবস্থা।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক ফেরদৌস আক্তার জানান, প্রতিদিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের ভিড় লেগে থাকে। ভবনটি অনেক জরাজীর্ণ। দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন। ভবনটি সংস্কারের বিষয়ে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মৌলভীবাজার কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. মনিরুল হক বলেন, কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরোনো ভবনটির অবস্থা বেশ নাজুক। ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ভবনটি সংস্কারের প্রস্তাব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে অনুমোদন করেছে। চূড়ান্ত অনুমোদনের পর দরপত্র আহ্বান করে ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হবে। এরপর কাজ শুরু হবে।
মনিরুল হক আরও বলেন, প্রস্তাবকৃত ওই কাজের মধ্যে ছাদের ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে ঢালাই ভেঙে সংস্কারসহ পলেস্তারা, মেঝেতে টাইলস বসানো, বৈদ্যুতিক ও স্যানিটারির কাজ রয়েছে। এসব কাজ হয়ে গেলে অন্তত ১০-১৫ বছর ভবনের কোনো ক্ষতি হবে না।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে