জসিম উদ্দিন, নীলফামারী
আর মাত্র তিন দিন পরই পয়লা বৈশাখ। করোনার ধকল কাটিয়ে ওঠার চেষ্টায় নীলফামারীর প্রায় ৪০০ মৃৎশিল্পীর পরিবার এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এসব পরিবারের সদস্যরা হাতের কারুকার্যে কাদামাটি দিয়ে তৈরি করছেন বাহারি পণ্য। এসব পণ্য রোদে শুকানো, আগুনে পোড়ানো, রং করা ও প্যাকেট করে নির্ধারিত স্থানের বৈশাখী মেলায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতির চিত্র এখন গোটা পালপাড়ায়।
সূত্রমতে, নীলফামারীর মৃৎশিল্পীদের হাতের ছোঁয়ায় মাটির তৈরি শৈল্পিকতার ব্যাপক চাহিদা ও সুনাম রয়েছে উত্তরাঞ্চলে। তাই বৈশাখ ঘিরে উত্তরের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার মেলার আয়োজক কমিটি থেকে তাগিদ আছে তাঁদের জিনিসপত্র নিয়ে মেলায় যাওয়ার জন্য। বৈশাখী মেলার চাহিদা মেটাতে এ বছর মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততা বেড়েছে। তবে মৃৎশিল্পীরা এবার পণ্যের ডিজাইনে পরিবর্তন এনেছেন।
এ বছর ডিনার সেটে থাকছে প্লেট, গ্লাস, মগ, কারিবল, জগ, লবণ বাটি, সানকি (বাসন), কাপ-পিরিচ ও তরকারির বাটি। অন্যান্য পণ্যের মধ্যে হাতি, ঘোড়া, গরু, হরিণ, সিংহ, বাঘ, ভালুক, জেব্রা, হাঁস, মুরগি। ছোট শিশুদের খেলার হাঁড়িপাতিল ও বিভিন্ন ধরনের চুলা। নতুন ডিজাইনে কয়েলদানি, মোমদানি, ফুলদানি, ঘটি-বাটি, আম, কাঁঠাল, আনারস, পেঁপে, কামরাঙা, আতাফল, কলস, বাঙ্গি তৈরি করা হচ্ছে। যা মেলার ক্রেতাদের আলাদাভাবে আকৃষ্ট করবে। কোনো রাসায়নিক পদার্থের ছোঁয়া ছাড়াই তৈরি করা হয়েছে মাটির এসব পণ্য। রং করা হয়েছে প্রাকৃতিক উপায়ে।
নীলফামারী সদরের সোনারায় ইউনিয়নের পালপাড়ার মৃৎশিল্পী কার্তিক চন্দ্র পাল জানান, গত দুই বছর করোনার কারণে কোনো বৈশাখী মেলা না হওয়ায় খেলনা বা শো-পিচ জাতীয় পণ্য বিক্রি হয়নি। এতে দুবছর পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন কাটাতে হয়েছে। এ সময় এনজিও থেকে নেওয়া ঋণের টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে দেনা আরও বেড়েছে। তবে এ বছর কোনো বিধিনিষেধ না থাকায় বিভিন্ন এলাকার পাইকারেরা আসছেন পালপাড়ায়, এতে এ পাড়ার শতাধিক মৃৎশিল্পী খুব খুশি।
সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া পালপাড়ায় ৩০০ মৃৎশিল্প পরিবারের বসবাস। এ পাড়ার স্বপন কুমার পাল জানান, শেষ সময়ে মৃৎশিল্পীরা বেশ ব্যস্ততায় দিন পার করছেন। মেলা ঘনিয়ে আসছে, তাই কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য পরিবারের সব সদস্যসহ বাড়তি শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছে। মৃৎশিল্পী দিপ্তী রানি পাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৈশাখীসহ বিভিন্ন মেলায় তাঁদের পণ্য বিক্রি করে উপার্জিত অর্থ দিয়ে সন্তানেরা স্কুল-কলেজে পড়াশোনা করে। করোনায় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবং সিরামিক ও প্লাস্টিক পণ্যকে চ্যালেঞ্জ করে এখনো পালপাড়ার প্রতিটি ঘরে মাটির শিল্পকে বাঁচিয়ে রেখেছি আমরা। মাটি, রঙের দাম ও মজুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকে বাপ-দাদার এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গেছেন।’
নীলফামারীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, করোনাকালীন সময়ে বিভিন্ন পেশাজীবীদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রণোদনার আওতায় ছিলেন মৃৎশিল্পীরা।
আর মাত্র তিন দিন পরই পয়লা বৈশাখ। করোনার ধকল কাটিয়ে ওঠার চেষ্টায় নীলফামারীর প্রায় ৪০০ মৃৎশিল্পীর পরিবার এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এসব পরিবারের সদস্যরা হাতের কারুকার্যে কাদামাটি দিয়ে তৈরি করছেন বাহারি পণ্য। এসব পণ্য রোদে শুকানো, আগুনে পোড়ানো, রং করা ও প্যাকেট করে নির্ধারিত স্থানের বৈশাখী মেলায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতির চিত্র এখন গোটা পালপাড়ায়।
সূত্রমতে, নীলফামারীর মৃৎশিল্পীদের হাতের ছোঁয়ায় মাটির তৈরি শৈল্পিকতার ব্যাপক চাহিদা ও সুনাম রয়েছে উত্তরাঞ্চলে। তাই বৈশাখ ঘিরে উত্তরের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার মেলার আয়োজক কমিটি থেকে তাগিদ আছে তাঁদের জিনিসপত্র নিয়ে মেলায় যাওয়ার জন্য। বৈশাখী মেলার চাহিদা মেটাতে এ বছর মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততা বেড়েছে। তবে মৃৎশিল্পীরা এবার পণ্যের ডিজাইনে পরিবর্তন এনেছেন।
এ বছর ডিনার সেটে থাকছে প্লেট, গ্লাস, মগ, কারিবল, জগ, লবণ বাটি, সানকি (বাসন), কাপ-পিরিচ ও তরকারির বাটি। অন্যান্য পণ্যের মধ্যে হাতি, ঘোড়া, গরু, হরিণ, সিংহ, বাঘ, ভালুক, জেব্রা, হাঁস, মুরগি। ছোট শিশুদের খেলার হাঁড়িপাতিল ও বিভিন্ন ধরনের চুলা। নতুন ডিজাইনে কয়েলদানি, মোমদানি, ফুলদানি, ঘটি-বাটি, আম, কাঁঠাল, আনারস, পেঁপে, কামরাঙা, আতাফল, কলস, বাঙ্গি তৈরি করা হচ্ছে। যা মেলার ক্রেতাদের আলাদাভাবে আকৃষ্ট করবে। কোনো রাসায়নিক পদার্থের ছোঁয়া ছাড়াই তৈরি করা হয়েছে মাটির এসব পণ্য। রং করা হয়েছে প্রাকৃতিক উপায়ে।
নীলফামারী সদরের সোনারায় ইউনিয়নের পালপাড়ার মৃৎশিল্পী কার্তিক চন্দ্র পাল জানান, গত দুই বছর করোনার কারণে কোনো বৈশাখী মেলা না হওয়ায় খেলনা বা শো-পিচ জাতীয় পণ্য বিক্রি হয়নি। এতে দুবছর পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন কাটাতে হয়েছে। এ সময় এনজিও থেকে নেওয়া ঋণের টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে দেনা আরও বেড়েছে। তবে এ বছর কোনো বিধিনিষেধ না থাকায় বিভিন্ন এলাকার পাইকারেরা আসছেন পালপাড়ায়, এতে এ পাড়ার শতাধিক মৃৎশিল্পী খুব খুশি।
সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া পালপাড়ায় ৩০০ মৃৎশিল্প পরিবারের বসবাস। এ পাড়ার স্বপন কুমার পাল জানান, শেষ সময়ে মৃৎশিল্পীরা বেশ ব্যস্ততায় দিন পার করছেন। মেলা ঘনিয়ে আসছে, তাই কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য পরিবারের সব সদস্যসহ বাড়তি শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছে। মৃৎশিল্পী দিপ্তী রানি পাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৈশাখীসহ বিভিন্ন মেলায় তাঁদের পণ্য বিক্রি করে উপার্জিত অর্থ দিয়ে সন্তানেরা স্কুল-কলেজে পড়াশোনা করে। করোনায় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবং সিরামিক ও প্লাস্টিক পণ্যকে চ্যালেঞ্জ করে এখনো পালপাড়ার প্রতিটি ঘরে মাটির শিল্পকে বাঁচিয়ে রেখেছি আমরা। মাটি, রঙের দাম ও মজুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকে বাপ-দাদার এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গেছেন।’
নীলফামারীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, করোনাকালীন সময়ে বিভিন্ন পেশাজীবীদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রণোদনার আওতায় ছিলেন মৃৎশিল্পীরা।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে