কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে প্রসূতি অস্ত্রোপচার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। নষ্ট হয়ে গেছে যন্ত্রপাতি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ বলছে, দীর্ঘ দিন শূন্য রয়েছে অবেদনবিদ, স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ও প্রসূতি শল্যচিকিৎসকের পদ। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই ব্লাড ব্যাংক। এ কারণে উপজেলার প্রসূতিরা কম খরচে সরকারি চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সরকারি হাসপাতালে প্রসূতি মায়েদের চিকিৎসার সুযোগ না থাকায়, বেসরকারি ক্লিনিকে অনেক টাকায় নিতে হচ্ছে সেবা। তাঁদের দাবি দ্রুত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রয়োজনীয় জনবল ও যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা করে, চালু করা হোক প্রসূতির নারীদের চিকিৎসাসেবা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবনটি চালু হয় ২০০৮ সালে। ওই বছর ১০ আগস্ট থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত ৫টি প্রসূতির অস্ত্রোপচার করা হয়। এর পর একই বছরের ডিসেম্বর মাসে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবেদনবিদ ডা. মোজাম্মেল হোসেন, স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ও প্রসূতি শল্যচিকিৎসক ডা. সেলিনা হক বদলি হন। এর পর থেকেই এই দুই পদ শূন্য। তখন থেকেই সেখানে প্রসূতিদের অস্ত্রোপচার বন্ধ। এদিকে, দীর্ঘ দিন অব্যবহৃত ও অযত্নে থাকায় নষ্ট হয়ে গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের লাখ লাখ টাকার বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম।
উপজেলার কারপাশা ইউনিয়নের শহরমুল গ্রামের ইন্নছ মিয়া বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমার স্ত্রীকে অস্ত্রোপচারের জন্য নিকলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসি। ডাক্তার না থাকায় অস্ত্রোপচার করাতে পারি নাই। পরে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের একটি ক্লিনিকে প্রায় ২০ হাজার টাকায় খরচ করে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। আমার টাকা ও সময় দুইটায় অপচয় হয়েছে। আসা যাওয়ার ঝুঁকি এবং দুর্ভোগ তো ছিলই।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন, প্রসূতিদের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকায়, প্রতি বছর উপজেলা থেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক রোগীকে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়। অস্ত্রোপচারের জন্য।
নিকলী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কারার শাহরিয়ার আহমেদ তুলিপ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রায় ১৩ বছর ধরে এখানে ডাক্তারের অভাবে প্রসূতিদের চিকিৎসা হয় না। এটা খুবই দুঃখজনক। নিকলীর প্রত্যন্ত এলাকা থেকে একজন প্রসূতিকে সংকটাপন্ন অবস্থা জেলা সদরে নিয়ে যাওয়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাই। আশা করি তাঁরা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে আমলে নেবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সালেহ উদ্দিন আকবর আজকের পত্রিকাকে বলেন, অবেদনবিদ এবং প্রসূতি সার্জন সংকট ও যন্ত্রপাতি নষ্ট থাকায় এখানে প্রসূতিদের অস্ত্রোপচার করা হয় না। শূন্য পদে চিকিৎসকের চাহিদা প্রকাশ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কয়েক বার লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। এ দুই পদে চিকিৎসক ও যন্ত্রপাতি সচল হলেই অস্ত্রোপচার শুরু হবে। এ ছাড়া হাসপাতালে একটি ব্লাড ব্যাংকও থাকা দরকার।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুনরায় প্রসূতি মায়েদের স্বাস্থ্যসেবার জন্য অবেদনবিদ ইতিমধ্যে যোগদান করেছেন। স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ও শল্যচিকিৎসকের জন্য প্রস্তাব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। খুব শিগগিরই এসব পদে চিকিৎসক যোগদান করবেন। এ ছাড়া, সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি মেরামতের কাজ চলছে। আশা করি এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খুব শিগগিরই প্রসূতি মায়েদের চিকিৎসাসেবা শুরু হবে।’
কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে প্রসূতি অস্ত্রোপচার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। নষ্ট হয়ে গেছে যন্ত্রপাতি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ বলছে, দীর্ঘ দিন শূন্য রয়েছে অবেদনবিদ, স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ও প্রসূতি শল্যচিকিৎসকের পদ। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই ব্লাড ব্যাংক। এ কারণে উপজেলার প্রসূতিরা কম খরচে সরকারি চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সরকারি হাসপাতালে প্রসূতি মায়েদের চিকিৎসার সুযোগ না থাকায়, বেসরকারি ক্লিনিকে অনেক টাকায় নিতে হচ্ছে সেবা। তাঁদের দাবি দ্রুত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রয়োজনীয় জনবল ও যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা করে, চালু করা হোক প্রসূতির নারীদের চিকিৎসাসেবা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবনটি চালু হয় ২০০৮ সালে। ওই বছর ১০ আগস্ট থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত ৫টি প্রসূতির অস্ত্রোপচার করা হয়। এর পর একই বছরের ডিসেম্বর মাসে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবেদনবিদ ডা. মোজাম্মেল হোসেন, স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ও প্রসূতি শল্যচিকিৎসক ডা. সেলিনা হক বদলি হন। এর পর থেকেই এই দুই পদ শূন্য। তখন থেকেই সেখানে প্রসূতিদের অস্ত্রোপচার বন্ধ। এদিকে, দীর্ঘ দিন অব্যবহৃত ও অযত্নে থাকায় নষ্ট হয়ে গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের লাখ লাখ টাকার বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম।
উপজেলার কারপাশা ইউনিয়নের শহরমুল গ্রামের ইন্নছ মিয়া বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমার স্ত্রীকে অস্ত্রোপচারের জন্য নিকলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসি। ডাক্তার না থাকায় অস্ত্রোপচার করাতে পারি নাই। পরে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের একটি ক্লিনিকে প্রায় ২০ হাজার টাকায় খরচ করে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। আমার টাকা ও সময় দুইটায় অপচয় হয়েছে। আসা যাওয়ার ঝুঁকি এবং দুর্ভোগ তো ছিলই।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন, প্রসূতিদের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকায়, প্রতি বছর উপজেলা থেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক রোগীকে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়। অস্ত্রোপচারের জন্য।
নিকলী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কারার শাহরিয়ার আহমেদ তুলিপ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রায় ১৩ বছর ধরে এখানে ডাক্তারের অভাবে প্রসূতিদের চিকিৎসা হয় না। এটা খুবই দুঃখজনক। নিকলীর প্রত্যন্ত এলাকা থেকে একজন প্রসূতিকে সংকটাপন্ন অবস্থা জেলা সদরে নিয়ে যাওয়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাই। আশা করি তাঁরা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে আমলে নেবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সালেহ উদ্দিন আকবর আজকের পত্রিকাকে বলেন, অবেদনবিদ এবং প্রসূতি সার্জন সংকট ও যন্ত্রপাতি নষ্ট থাকায় এখানে প্রসূতিদের অস্ত্রোপচার করা হয় না। শূন্য পদে চিকিৎসকের চাহিদা প্রকাশ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কয়েক বার লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। এ দুই পদে চিকিৎসক ও যন্ত্রপাতি সচল হলেই অস্ত্রোপচার শুরু হবে। এ ছাড়া হাসপাতালে একটি ব্লাড ব্যাংকও থাকা দরকার।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুনরায় প্রসূতি মায়েদের স্বাস্থ্যসেবার জন্য অবেদনবিদ ইতিমধ্যে যোগদান করেছেন। স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ও শল্যচিকিৎসকের জন্য প্রস্তাব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। খুব শিগগিরই এসব পদে চিকিৎসক যোগদান করবেন। এ ছাড়া, সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি মেরামতের কাজ চলছে। আশা করি এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খুব শিগগিরই প্রসূতি মায়েদের চিকিৎসাসেবা শুরু হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে