ডা. আমিরা আবু এল-ফেতুহ
ফিলিস্তিনের হামাস নেতা ইয়াহইয়া সিনওয়ার গত সপ্তাহে দখলদার শাসকদের হাতে নিহত হয়েছেন। তিনি ইতিমধ্যে সব প্রজন্মের কাছে একজন নায়ক ও কিংবদন্তি। তাঁর উদাহরণ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বর্ণবাদী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বৈধ প্রতিরোধের পথ অনুসরণ করতে আরও অনেককে অনুপ্রাণিত করবে।
জায়নবাদী দখলদারদের সঙ্গে আহত অবস্থায় শেষনিশ্বাস পর্যন্ত লড়াই করে যুদ্ধক্ষেত্রে সিনওয়ার শহীদ হন। তিনি যুদ্ধ করতে দ্বিধা করেননি এবং আত্মসমর্পণও করেননি। তিনি তাঁর অনুগত যোদ্ধাদের সঙ্গে সামনের সারিতে থাকাকেই বেছে নিয়েছিলেন। শত্রুদের দেখে কাছ থেকে পালিয়ে যাননি। জায়নবাদীরা যেমন দাবি করেছিল, তাঁকে খুঁজে পাওয়ার সময় তিনি সুড়ঙ্গে লুকিয়ে ছিলেন—এটা একেবারেই মিথ্যা। অথবা বিদেশের বিলাসবহুল হোটেলে শুয়ে-বসে তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে তাঁর যোদ্ধাদের পরিচালনা করেন বা তিনি বেসামরিক নাগরিক বা ইসরায়েলি জিম্মিদের আড়ালে লুকিয়ে আছেন—ইসরায়েলিদের এসব দাবি কতটা অসার ছিল, তা জীবন দিয়ে প্রমাণ করেছেন সিনওয়ার।
সিনওয়ারের শেষ মুহূর্তের একটি ছবি ইহুদিবাদীদের অপপ্রচার ফাঁস করে দেয়। গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যার পুরো এক বছর তাদের সংবাদমাধ্যমে যে মিথ্যা আখ্যান ছড়িয়েছিল, তা ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের ইহুদিবাদী সমর্থক এবং ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের বিরোধী আরব শাসকদের মিডিয়ায় বিষয়টি তোতাপাখির মতো আওড়ানো হয়েছে। এ ক্ষেত্রে তাদের মতাদর্শ কী, সেটা কোনো ব্যাপার নয়।
গত বছরের ৭ অক্টোবর যা ঘটেছিল, তার জন্য তারা সিনওয়ারকে দায়ী করে এবং তাঁকে বন্দী করার মাধ্যমে অপমান করতে চেয়েছিল। এখন তথাকথিত ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) সিনওয়ারকে হত্যা করে এতটাই গর্বিত যে সেই ছবি প্রচারের জন্য তারা ছুটে গিয়েছিল। এতে একটা কাজ হয়েছে, তারা সিনওয়ারের মৃত্যুর মিথ্যা চিত্র তৈরি করার সুযোগ থেকে সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বকে বঞ্চিত করেছে।
তদুপরি, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানে হামাস নেতাকে হত্যা করা হয়নি। তাঁকে একজন ড্রোন অপারেটর দুর্ঘটনাক্রমে খুঁজে বের করেছিল। শুধু এই কারণে তিনি সামনের সারিতে লড়াই করেছিলেন। ইসরায়েলি সেনারা তিনজন ফিলিস্তিনি যোদ্ধাকে একটি বাড়িতে ঢুকতে দেখে তাঁদের লক্ষ্য করে ট্যাংকের শেল ছোড়ে। সেনারা বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করলে সিনওয়ার তাদের দিকে দুটি গ্রেনেড নিক্ষেপ করেন এবং তাদের সঙ্গে লড়াই করেন। সেনারা ট্যাংকের শেল ও ড্রোন নিয়ে ঘুরছিল। এরই মধ্যে সিনওয়ার নিজের ডান হাত আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার পরেও একটি লাঠি দিয়ে লড়াই করেছিলেন। দখলদারেরাই বলছে, ১৬ অক্টোবর বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলে। পরের দিন, ইসরায়েলি সেনারা ওই এলাকায় চিরুনি তল্লাশি করতে আসে এবং সিনওয়ার বলে সন্দেহ করা লোকটির ছবি শেয়ার করতে ছুটে যায়।
যদিও সিনওয়ারকে হত্যা করাকে দখলদার শাসকদের জন্য একটি কৃতিত্ব হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। আবার অন্যদিক থেকে দেখলে, এটি একটি ব্যর্থতা। তবে তা শুধু এই কারণে না যে তাঁর শাহাদাতবরণ ইসরায়েলিদের সব ধরনের মিথ্যা বর্ণনাকে চুরমার করে দিয়েছে; এই ঘটনায় ফিলিস্তিনি ও আরবদের মনে সিনওয়ারের উপস্থিতিকে নায়ক হিসেবে আরও শক্তিশালী করেছে। তারা উপলব্ধি করছে, গত একটা বছর গাজা চষে ফেললেও ইসরায়েলি সেনা ও গোয়েন্দারা সিনওয়ারের অবস্থান খুঁজে বের করতে পারেনি।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যেভাবে সিনওয়ারের মৃত্যু উদ্যাপন করেছিলেন, তা অনুমিতই ছিল। নেতানিয়াহু সেই একই কথার পুনরাবৃত্তি করলেন যে সিনওয়ার এমন একজন ব্যক্তি, যিনি তাঁর জনগণের ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিলেন এবং পরে আত্মগোপন করেছিলেন। ইসরায়েলি নেতা এক দশকের পুরোনো অবৈধ দখলদারত্বের বিরুদ্ধে বৈধ প্রতিরোধের প্রেক্ষাপট এবং ইসরায়েলের নিজস্ব সেনাদের দ্বারা ভাগ করা ভিডিও ফুটেজ—উভয়কেই উপেক্ষা করেছেন, যা তাঁকে মিথ্যাবাদী বলে প্রমাণ করেছে।
সুতরাং নেতানিয়াহু এবং তাঁর সহযোগী ফ্যাসিস্টরা একটু আনন্দ করুক এবং অনেক কান্নাকাটিও করলে করুক, যখন তারা বুঝতেই পেরেছে যে সিনওয়ারকে হত্যা করতে তারা সক্ষম হয়েছে। কিন্তু তারা তাদের অত্যাচারী সামরিক দখলের বিরুদ্ধে বৈধ প্রতিরোধকে হত্যা করতে পারেনি।
প্রকৃতপক্ষে, সিনওয়ার প্রথম ফিলিস্তিনি নেতা নন, যিনি যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন বা ইহুদিবাদী বাহিনীর বিশ্বাসঘাতকতার জন্য নিহত হয়েছেন। শেখ ইজ্জেদিন আল-কাসাম ত্রিশের দশকে নিহত হন, তিনিই হামাসকে প্রতিরোধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেন; তাঁর নামানুসারে এই আন্দোলন সামরিক শাখার নামকরণ করা হয়। হামাসের প্রতিষ্ঠাতা ও নেতা শেখ আহমেদ ইয়াসিনকে স্থানীয় মসজিদে ফজরের নামাজ থেকে বের হওয়ার সময় হুইলচেয়ারে থাকা অবস্থায় চরম কাপুরুষতার সঙ্গে হত্যা করা হয়েছিল। তারপর, কয়েক সপ্তাহ পরে, দখলদার বাহিনী শেখ ইয়াসিনের উত্তরসূরি ড. আব্দুল আজিজ আল-রান্তিসিকে হত্যা করে। গত জুলাই মাসে হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে তেহরানে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগদানের সময় হত্যা করা হয়।
এসব রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের কোনোটিই হামাস বা প্রতিরোধের সাধারণ চেতনাকে দুর্বল করেনি এবং করবেও না। ফিলিস্তিন মুক্ত ও ইহুদিবাদ মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
আমি বিশ্বাস করি, সিনওয়ারকে হত্যা করাটা জায়নবাদী রাষ্ট্রের বিজয় ছিল না; এটা ছিল প্রতিরোধের চেতনার বিজয়, যা তাঁর কাছ থেকে শক্তি জোগাবে। এমনকি ইসরায়েলি কর্মকর্তারা যেমন বলেছেন, আপনি একটি আদর্শকে ধ্বংস করতে পারবেন না এবং জনগণের স্বাধীনতা, আঞ্চলিক অখণ্ডতা, জাতীয় ঐক্য এবং ঔপনিবেশিক আধিপত্য, বর্ণবাদ ও বিদেশি দখলদারত্ব থেকে মুক্তির জন্য সংগ্রামকে ধ্বংস করতে পারবেন না। এটি জেনেভা কনভেনশনের ১৯৭৭ সংশোধিত প্রটোকলের অংশ। ১৯৮৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এটা আবার অনুমোদন করা হয়।
ফিলিস্তিনিদের সংগ্রামের বৈধতা স্পষ্ট। যারা ইহুদিবাদীদের প্রতি মুগ্ধ, তারাই তা দেখতে পায় না।
লেখক: ডা. আমিরা আবু এল-ফেতুহ
ফিলিস্তিনি চিকিৎসক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
(মিডল ইস্ট মনিটরে প্রকাশিত লেখাটি ইংরেজি থেকে অনূদিত ও ঈষৎ সংক্ষেপিত)
ফিলিস্তিনের হামাস নেতা ইয়াহইয়া সিনওয়ার গত সপ্তাহে দখলদার শাসকদের হাতে নিহত হয়েছেন। তিনি ইতিমধ্যে সব প্রজন্মের কাছে একজন নায়ক ও কিংবদন্তি। তাঁর উদাহরণ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বর্ণবাদী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বৈধ প্রতিরোধের পথ অনুসরণ করতে আরও অনেককে অনুপ্রাণিত করবে।
জায়নবাদী দখলদারদের সঙ্গে আহত অবস্থায় শেষনিশ্বাস পর্যন্ত লড়াই করে যুদ্ধক্ষেত্রে সিনওয়ার শহীদ হন। তিনি যুদ্ধ করতে দ্বিধা করেননি এবং আত্মসমর্পণও করেননি। তিনি তাঁর অনুগত যোদ্ধাদের সঙ্গে সামনের সারিতে থাকাকেই বেছে নিয়েছিলেন। শত্রুদের দেখে কাছ থেকে পালিয়ে যাননি। জায়নবাদীরা যেমন দাবি করেছিল, তাঁকে খুঁজে পাওয়ার সময় তিনি সুড়ঙ্গে লুকিয়ে ছিলেন—এটা একেবারেই মিথ্যা। অথবা বিদেশের বিলাসবহুল হোটেলে শুয়ে-বসে তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে তাঁর যোদ্ধাদের পরিচালনা করেন বা তিনি বেসামরিক নাগরিক বা ইসরায়েলি জিম্মিদের আড়ালে লুকিয়ে আছেন—ইসরায়েলিদের এসব দাবি কতটা অসার ছিল, তা জীবন দিয়ে প্রমাণ করেছেন সিনওয়ার।
সিনওয়ারের শেষ মুহূর্তের একটি ছবি ইহুদিবাদীদের অপপ্রচার ফাঁস করে দেয়। গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যার পুরো এক বছর তাদের সংবাদমাধ্যমে যে মিথ্যা আখ্যান ছড়িয়েছিল, তা ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের ইহুদিবাদী সমর্থক এবং ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের বিরোধী আরব শাসকদের মিডিয়ায় বিষয়টি তোতাপাখির মতো আওড়ানো হয়েছে। এ ক্ষেত্রে তাদের মতাদর্শ কী, সেটা কোনো ব্যাপার নয়।
গত বছরের ৭ অক্টোবর যা ঘটেছিল, তার জন্য তারা সিনওয়ারকে দায়ী করে এবং তাঁকে বন্দী করার মাধ্যমে অপমান করতে চেয়েছিল। এখন তথাকথিত ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) সিনওয়ারকে হত্যা করে এতটাই গর্বিত যে সেই ছবি প্রচারের জন্য তারা ছুটে গিয়েছিল। এতে একটা কাজ হয়েছে, তারা সিনওয়ারের মৃত্যুর মিথ্যা চিত্র তৈরি করার সুযোগ থেকে সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বকে বঞ্চিত করেছে।
তদুপরি, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানে হামাস নেতাকে হত্যা করা হয়নি। তাঁকে একজন ড্রোন অপারেটর দুর্ঘটনাক্রমে খুঁজে বের করেছিল। শুধু এই কারণে তিনি সামনের সারিতে লড়াই করেছিলেন। ইসরায়েলি সেনারা তিনজন ফিলিস্তিনি যোদ্ধাকে একটি বাড়িতে ঢুকতে দেখে তাঁদের লক্ষ্য করে ট্যাংকের শেল ছোড়ে। সেনারা বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করলে সিনওয়ার তাদের দিকে দুটি গ্রেনেড নিক্ষেপ করেন এবং তাদের সঙ্গে লড়াই করেন। সেনারা ট্যাংকের শেল ও ড্রোন নিয়ে ঘুরছিল। এরই মধ্যে সিনওয়ার নিজের ডান হাত আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার পরেও একটি লাঠি দিয়ে লড়াই করেছিলেন। দখলদারেরাই বলছে, ১৬ অক্টোবর বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলে। পরের দিন, ইসরায়েলি সেনারা ওই এলাকায় চিরুনি তল্লাশি করতে আসে এবং সিনওয়ার বলে সন্দেহ করা লোকটির ছবি শেয়ার করতে ছুটে যায়।
যদিও সিনওয়ারকে হত্যা করাকে দখলদার শাসকদের জন্য একটি কৃতিত্ব হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। আবার অন্যদিক থেকে দেখলে, এটি একটি ব্যর্থতা। তবে তা শুধু এই কারণে না যে তাঁর শাহাদাতবরণ ইসরায়েলিদের সব ধরনের মিথ্যা বর্ণনাকে চুরমার করে দিয়েছে; এই ঘটনায় ফিলিস্তিনি ও আরবদের মনে সিনওয়ারের উপস্থিতিকে নায়ক হিসেবে আরও শক্তিশালী করেছে। তারা উপলব্ধি করছে, গত একটা বছর গাজা চষে ফেললেও ইসরায়েলি সেনা ও গোয়েন্দারা সিনওয়ারের অবস্থান খুঁজে বের করতে পারেনি।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যেভাবে সিনওয়ারের মৃত্যু উদ্যাপন করেছিলেন, তা অনুমিতই ছিল। নেতানিয়াহু সেই একই কথার পুনরাবৃত্তি করলেন যে সিনওয়ার এমন একজন ব্যক্তি, যিনি তাঁর জনগণের ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিলেন এবং পরে আত্মগোপন করেছিলেন। ইসরায়েলি নেতা এক দশকের পুরোনো অবৈধ দখলদারত্বের বিরুদ্ধে বৈধ প্রতিরোধের প্রেক্ষাপট এবং ইসরায়েলের নিজস্ব সেনাদের দ্বারা ভাগ করা ভিডিও ফুটেজ—উভয়কেই উপেক্ষা করেছেন, যা তাঁকে মিথ্যাবাদী বলে প্রমাণ করেছে।
সুতরাং নেতানিয়াহু এবং তাঁর সহযোগী ফ্যাসিস্টরা একটু আনন্দ করুক এবং অনেক কান্নাকাটিও করলে করুক, যখন তারা বুঝতেই পেরেছে যে সিনওয়ারকে হত্যা করতে তারা সক্ষম হয়েছে। কিন্তু তারা তাদের অত্যাচারী সামরিক দখলের বিরুদ্ধে বৈধ প্রতিরোধকে হত্যা করতে পারেনি।
প্রকৃতপক্ষে, সিনওয়ার প্রথম ফিলিস্তিনি নেতা নন, যিনি যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন বা ইহুদিবাদী বাহিনীর বিশ্বাসঘাতকতার জন্য নিহত হয়েছেন। শেখ ইজ্জেদিন আল-কাসাম ত্রিশের দশকে নিহত হন, তিনিই হামাসকে প্রতিরোধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেন; তাঁর নামানুসারে এই আন্দোলন সামরিক শাখার নামকরণ করা হয়। হামাসের প্রতিষ্ঠাতা ও নেতা শেখ আহমেদ ইয়াসিনকে স্থানীয় মসজিদে ফজরের নামাজ থেকে বের হওয়ার সময় হুইলচেয়ারে থাকা অবস্থায় চরম কাপুরুষতার সঙ্গে হত্যা করা হয়েছিল। তারপর, কয়েক সপ্তাহ পরে, দখলদার বাহিনী শেখ ইয়াসিনের উত্তরসূরি ড. আব্দুল আজিজ আল-রান্তিসিকে হত্যা করে। গত জুলাই মাসে হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে তেহরানে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগদানের সময় হত্যা করা হয়।
এসব রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের কোনোটিই হামাস বা প্রতিরোধের সাধারণ চেতনাকে দুর্বল করেনি এবং করবেও না। ফিলিস্তিন মুক্ত ও ইহুদিবাদ মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
আমি বিশ্বাস করি, সিনওয়ারকে হত্যা করাটা জায়নবাদী রাষ্ট্রের বিজয় ছিল না; এটা ছিল প্রতিরোধের চেতনার বিজয়, যা তাঁর কাছ থেকে শক্তি জোগাবে। এমনকি ইসরায়েলি কর্মকর্তারা যেমন বলেছেন, আপনি একটি আদর্শকে ধ্বংস করতে পারবেন না এবং জনগণের স্বাধীনতা, আঞ্চলিক অখণ্ডতা, জাতীয় ঐক্য এবং ঔপনিবেশিক আধিপত্য, বর্ণবাদ ও বিদেশি দখলদারত্ব থেকে মুক্তির জন্য সংগ্রামকে ধ্বংস করতে পারবেন না। এটি জেনেভা কনভেনশনের ১৯৭৭ সংশোধিত প্রটোকলের অংশ। ১৯৮৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এটা আবার অনুমোদন করা হয়।
ফিলিস্তিনিদের সংগ্রামের বৈধতা স্পষ্ট। যারা ইহুদিবাদীদের প্রতি মুগ্ধ, তারাই তা দেখতে পায় না।
লেখক: ডা. আমিরা আবু এল-ফেতুহ
ফিলিস্তিনি চিকিৎসক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
(মিডল ইস্ট মনিটরে প্রকাশিত লেখাটি ইংরেজি থেকে অনূদিত ও ঈষৎ সংক্ষেপিত)
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২১ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে