রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকেল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে চিকিৎসা দেওয়ার সময় ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। তাঁরা নিয়মনীতি না মেনে যখন-তখন ঢুকে পড়ছেন বহির্বিভাগে। চিকিৎসকদের দিচ্ছেন উপঢৌকন। এ ছাড়া রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্রের ছবি তুলছেন। এতে বিরক্ত হচ্ছেন সেবা নিতে আসা লোকজন।
অনেক রোগী বলেন, ‘ব্যক্তিগত চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্রের ছবি আরেকজনকে দেওয়া ঠিক নয়। হাসপাতালে থাকা অবস্থায় চিকিৎসকেরাও কেন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন? এতে আমাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ক্ষুণ্ন হচ্ছে।’
গতকাল শনিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে গিয়ে দেখা গেছে, চিকিৎসক নাইম রহমান ও ফিরোজ আহম্মেদ চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। বেশ কয়েকজন নিয়মানুযায়ী ৩ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে তাঁদের কাছে চিকিৎসা নিতে যান। এ সময় ওষুধ কোম্পানির লোকদের ভিড় ঠেলে চিকিৎসকের কক্ষে প্রবেশ করেন রোগীরা।
রোগীর আশপাশে কোম্পানির লোকেরা ওষুধের বিভিন্ন নামসংবলিত প্যাড ও উপঢৌকন নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকছেন। চিকিৎসকও এর ফাঁকেই রোগীদের সমস্যার কথা জানতে চাচ্ছেন। পুরুষ রোগীরা অনায়াসে বলতে পারলেও নারী রোগীরা বেশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছেন।
চিকিৎসা নিতে আসা রোগী আকলিমা জানান, তাঁর একটু ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে তিনি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। কিন্তু চিকিৎসকের কক্ষে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির লোকদের উপস্থিতির কারণে তিনি তাঁর সমস্যার কথা সেভাবে বলতে পারেননি। স্বাভাবিক সমস্যার কথা বলেই ব্যবস্থাপত্র নিয়ে বাইরে বের হতেই কোম্পানির লোকেরা হুমড়ি খেয়ে তাঁর ব্যবস্থাপত্রের ছবি তোলা শুরু করেন।
চিকিৎসা নিতে আসা খাইরুল, আলেসা, পারুলসহ অনেকে বলেন, কোম্পানির লোকদের চিকিৎসকেরা আশকারা দেন, তাই তাঁরা এভাবে চিকিৎসাসেবার কক্ষে থাকতে পারেন। চিকিৎসা নিতে এসে যদি আবার তা ব্যবসায় পরিণত হয়, এটা বেশ কষ্টের। চিকিৎসকেরাও ওষুধ লিখছেন কোম্পানির লোকদের মুখ দেখে দেখে।
বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি জানান, হাসপাতালে আসার কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। তাই তাঁরা সুযোগ পেলেই চিকিৎসকদের কক্ষ ভিজিট করেন। এখানে কারও ভোগান্তি হওয়ার কথা নয়।
বহির্বিভাগে চিকিৎসক ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, ‘কোম্পানির লোকেরা এসে ভিজিট করে চলে যান। তাঁরা তো সেখানে থাকেন না।’ কোম্পানির লোকদের ভিজিটে আসার নির্দিষ্ট সময় রয়েছে, তাহলে আপনি নিয়ম অমান্য করলেন কি না, এমন প্রশ্ন করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ফিরোজ আলম বলেন, অবশ্যই সরকারি দায়িত্ব পালনের সময় কোম্পানির প্রতিনিধিরা হাসপাতালে ভিজিট করতে পারবেন না। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হবে।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ চৌধুরী বলেন, কোম্পানির লোকেরা এভাবে তো বহির্বিভাগে থাকতে পারেন না। বিষয়টি জেনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকেল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে চিকিৎসা দেওয়ার সময় ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। তাঁরা নিয়মনীতি না মেনে যখন-তখন ঢুকে পড়ছেন বহির্বিভাগে। চিকিৎসকদের দিচ্ছেন উপঢৌকন। এ ছাড়া রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্রের ছবি তুলছেন। এতে বিরক্ত হচ্ছেন সেবা নিতে আসা লোকজন।
অনেক রোগী বলেন, ‘ব্যক্তিগত চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্রের ছবি আরেকজনকে দেওয়া ঠিক নয়। হাসপাতালে থাকা অবস্থায় চিকিৎসকেরাও কেন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন? এতে আমাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ক্ষুণ্ন হচ্ছে।’
গতকাল শনিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে গিয়ে দেখা গেছে, চিকিৎসক নাইম রহমান ও ফিরোজ আহম্মেদ চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। বেশ কয়েকজন নিয়মানুযায়ী ৩ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে তাঁদের কাছে চিকিৎসা নিতে যান। এ সময় ওষুধ কোম্পানির লোকদের ভিড় ঠেলে চিকিৎসকের কক্ষে প্রবেশ করেন রোগীরা।
রোগীর আশপাশে কোম্পানির লোকেরা ওষুধের বিভিন্ন নামসংবলিত প্যাড ও উপঢৌকন নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকছেন। চিকিৎসকও এর ফাঁকেই রোগীদের সমস্যার কথা জানতে চাচ্ছেন। পুরুষ রোগীরা অনায়াসে বলতে পারলেও নারী রোগীরা বেশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছেন।
চিকিৎসা নিতে আসা রোগী আকলিমা জানান, তাঁর একটু ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে তিনি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। কিন্তু চিকিৎসকের কক্ষে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির লোকদের উপস্থিতির কারণে তিনি তাঁর সমস্যার কথা সেভাবে বলতে পারেননি। স্বাভাবিক সমস্যার কথা বলেই ব্যবস্থাপত্র নিয়ে বাইরে বের হতেই কোম্পানির লোকেরা হুমড়ি খেয়ে তাঁর ব্যবস্থাপত্রের ছবি তোলা শুরু করেন।
চিকিৎসা নিতে আসা খাইরুল, আলেসা, পারুলসহ অনেকে বলেন, কোম্পানির লোকদের চিকিৎসকেরা আশকারা দেন, তাই তাঁরা এভাবে চিকিৎসাসেবার কক্ষে থাকতে পারেন। চিকিৎসা নিতে এসে যদি আবার তা ব্যবসায় পরিণত হয়, এটা বেশ কষ্টের। চিকিৎসকেরাও ওষুধ লিখছেন কোম্পানির লোকদের মুখ দেখে দেখে।
বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি জানান, হাসপাতালে আসার কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। তাই তাঁরা সুযোগ পেলেই চিকিৎসকদের কক্ষ ভিজিট করেন। এখানে কারও ভোগান্তি হওয়ার কথা নয়।
বহির্বিভাগে চিকিৎসক ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, ‘কোম্পানির লোকেরা এসে ভিজিট করে চলে যান। তাঁরা তো সেখানে থাকেন না।’ কোম্পানির লোকদের ভিজিটে আসার নির্দিষ্ট সময় রয়েছে, তাহলে আপনি নিয়ম অমান্য করলেন কি না, এমন প্রশ্ন করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ফিরোজ আলম বলেন, অবশ্যই সরকারি দায়িত্ব পালনের সময় কোম্পানির প্রতিনিধিরা হাসপাতালে ভিজিট করতে পারবেন না। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হবে।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ চৌধুরী বলেন, কোম্পানির লোকেরা এভাবে তো বহির্বিভাগে থাকতে পারেন না। বিষয়টি জেনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে