সম্পাদকীয়
যাঁদের হাতে আলোর মশাল, তাঁরাই যদি অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকেন, তখন আলোর আশা দুরাশা ছাড়া আর কী! বলছি সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নিয়োগ কেলেঙ্কারির কথা। যিনি নিজের আত্মীয়স্বজনকে চাকরি দিয়ে, সেগুলো হালাল করতে সাংবাদিকদেরও খুশি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে!
একটি নবীন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে কিছুই শুরু হয়নি, চেয়ার-টেবিল, বসার জায়গা কোনো কিছুই নেই; সে রকম একটি প্রতিষ্ঠানে উপাচার্য নিজে এবং প্রভাবশালীদের এভাবে ১৭৪টি পদ ভাগাভাগি করে দেওয়ার ঘটনা যদি সত্যি হয়, তাহলে এটি অবশ্যই লজ্জার, হতাশার এবং নজিরবিহীন অসততার খারাপ দৃষ্টান্ত।
গণমাধ্যমের খবর থেকে জানা যায়, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী বা অ্যাডহক ভিত্তিতে ১৭৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিয়োগে ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে উপাচার্য ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার নঈমুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এরই মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। আরও জানা যায়, নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের সুবিধা করে দিতে নেওয়া হয় বিশেষ কৌশল। বিভিন্ন পদের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে পদের বিপরীতে শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা এবং বয়সে ছাড় দেওয়া হয়। সব রীতি ভেঙে নিয়োগ দেওয়া হয় পছন্দের লোকদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ পাওয়া বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের ১৩ আত্মীয়কে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে সব অনিয়ম হালাল করার জন্য, স্থানীয় কিছু সাংবাদিক ও তাঁদের স্বজনদেরও চাকরি দেওয়া হয়েছে। এ তালিকায় সিলেটে কয়েকটি জাতীয় দৈনিক ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদক এবং তাঁদের আত্মীয়, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতির ভাই, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের ভাইয়ের মেয়েসহ আরও অনেকে রয়েছেন।
একজন উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রার কীভাবে নিজেরা একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে তাঁদের সততা, মেধা, অভিজ্ঞতা দিয়ে গড়ে তোলার বদলে এভাবে সুযোগ বুঝে নিজেরা বিভিন্ন পদে নিজেদের আত্মীয়স্বজনকে নিয়োগের মহোৎসব চালাবেন, এটা আসলে কোনোভাবেই মানা যায় না। সঙ্গে আবার হাত করেছেন কিছু সাংবাদিককে। এই কতিপয় সাংবাদিকও সুযোগ বুঝে হামলে পড়েছেন! নিজেরা সততার কথা বলে যদি নিজেরাই স্বার্থ আর লোভে পড়ে যান, তাহলে সাংবাদিকতার নীতি-আদর্শ বলে আর কী অবশিষ্ট থাকে!
নিয়ন্ত্রকেরাই যখন নিজেরা এসব অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়ান, তখন সত্যিকার অর্থে যাঁরা যোগ্য, অভিজ্ঞ তাঁদের যোগ্যতার আর মূল্য থাকে না। আমরা আশা করি ইউজিসি বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত করবে এবং অনিয়ম ধরা পড়লে নিয়োগ বাতিল করবে। সেই সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনবে।
যাঁদের হাতে আলোর মশাল, তাঁরাই যদি অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকেন, তখন আলোর আশা দুরাশা ছাড়া আর কী! বলছি সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নিয়োগ কেলেঙ্কারির কথা। যিনি নিজের আত্মীয়স্বজনকে চাকরি দিয়ে, সেগুলো হালাল করতে সাংবাদিকদেরও খুশি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে!
একটি নবীন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে কিছুই শুরু হয়নি, চেয়ার-টেবিল, বসার জায়গা কোনো কিছুই নেই; সে রকম একটি প্রতিষ্ঠানে উপাচার্য নিজে এবং প্রভাবশালীদের এভাবে ১৭৪টি পদ ভাগাভাগি করে দেওয়ার ঘটনা যদি সত্যি হয়, তাহলে এটি অবশ্যই লজ্জার, হতাশার এবং নজিরবিহীন অসততার খারাপ দৃষ্টান্ত।
গণমাধ্যমের খবর থেকে জানা যায়, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী বা অ্যাডহক ভিত্তিতে ১৭৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিয়োগে ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে উপাচার্য ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার নঈমুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এরই মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। আরও জানা যায়, নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের সুবিধা করে দিতে নেওয়া হয় বিশেষ কৌশল। বিভিন্ন পদের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে পদের বিপরীতে শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা এবং বয়সে ছাড় দেওয়া হয়। সব রীতি ভেঙে নিয়োগ দেওয়া হয় পছন্দের লোকদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ পাওয়া বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের ১৩ আত্মীয়কে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে সব অনিয়ম হালাল করার জন্য, স্থানীয় কিছু সাংবাদিক ও তাঁদের স্বজনদেরও চাকরি দেওয়া হয়েছে। এ তালিকায় সিলেটে কয়েকটি জাতীয় দৈনিক ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদক এবং তাঁদের আত্মীয়, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতির ভাই, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের ভাইয়ের মেয়েসহ আরও অনেকে রয়েছেন।
একজন উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রার কীভাবে নিজেরা একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে তাঁদের সততা, মেধা, অভিজ্ঞতা দিয়ে গড়ে তোলার বদলে এভাবে সুযোগ বুঝে নিজেরা বিভিন্ন পদে নিজেদের আত্মীয়স্বজনকে নিয়োগের মহোৎসব চালাবেন, এটা আসলে কোনোভাবেই মানা যায় না। সঙ্গে আবার হাত করেছেন কিছু সাংবাদিককে। এই কতিপয় সাংবাদিকও সুযোগ বুঝে হামলে পড়েছেন! নিজেরা সততার কথা বলে যদি নিজেরাই স্বার্থ আর লোভে পড়ে যান, তাহলে সাংবাদিকতার নীতি-আদর্শ বলে আর কী অবশিষ্ট থাকে!
নিয়ন্ত্রকেরাই যখন নিজেরা এসব অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়ান, তখন সত্যিকার অর্থে যাঁরা যোগ্য, অভিজ্ঞ তাঁদের যোগ্যতার আর মূল্য থাকে না। আমরা আশা করি ইউজিসি বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত করবে এবং অনিয়ম ধরা পড়লে নিয়োগ বাতিল করবে। সেই সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে