সাইফুল আলম তুহিন, ত্রিশাল
দীর্ঘ তিন বছর ধরে শিকলবন্দী ছিলেন রিফাত। অবশেষে সেই শিকল খুলে দেওয়া হয়েছে রিফাতের। সাংবাদিকেরা খোঁজ নিতে রিফাতের বাড়ি গেলে কথাবার্তায় তাঁকে কিছুটা স্বাভাবিক মনে হয়। সেখানে সুস্থ ছেলেকে বেঁধে রেখেছেন কেন? এমন প্রশ্নের যুক্তিসংগত উত্তর দিতে না পেরে শিকল খুলে দেন তাঁর বাবা। ত্রিশালের হরিরামপুর ইউনিয়নের হরিরামপুর গ্রামে বাড়ি রিফাতের।
সরেজমিনে দেখা যায়, রিফাত যে গোয়াল ঘরে শিকলবন্দী ছিলেন তাঁর সামনে ও পেছনে গরু বাঁধা। গরুকে মশার কামড় থেকে রক্ষা করতে মশারি টানানো থাকলেও রিফাতের জন্য তা ছিল না। বিছানার পাশেই খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগের জন্য একটি টয়লেট। অথচ রিফাতের বাবা, সৎমা ও সৎ ভাই-বোন যেখানে থাকেন, সেখানে রয়েছে পাকা টয়লেট, গোসলখানা ও সেমিপাকা ঘর। ঘরে রয়েছে সোফাসেটসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর বয়সে একা হয়ে পড়েন রিফাত। প্রবাসে থাকা অবস্থায় বাবা ইদ্রিস আলী নানা অভিযোগে ত্যাগ করেন প্রেম করে বিয়ে করা প্রথম স্ত্রী ও রিফাতের মা বেদেনা খাতুনকে। পরে অন্যত্র বিয়ে করে তাঁর মা নতুন সংসার বাঁধেন। বছর পাঁচেক পর দেশে ফিরে বাবা বিয়ে করেন দ্বিতীয় স্ত্রী মর্জিনা খাতুনকে। তবে তাঁদের নজর ছিল না রিফাতের প্রতি।
এদিকে এ অবস্থায় দাদির আশ্রয়ে অনেক কষ্টে এইচএসসি পাস করেন রিফাত। এক সময় স্বজনদের চাপে রিফাতকে বিদেশ নিতে প্রবাসী বাবা তাঁর পাসপোর্ট করান। তবে পরে রহস্যজনকভাবে তাঁকে ‘পাগল বানিয়ে’ শিকলে বন্দী করা হয়।
রিফাতের এক নিকটাত্মীয় ও প্রতিবেশী কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার কিছুদিন পর সৎ মা রিফাতকে নিয়ে যান তাঁর বাবার বাড়ি। এরপর আবার সেখান থেকে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়। পরে ধীরে ধীরে মানসিক ভারসাম্য হারাতে থাকেন রিফাত। বার্ধক্যের কারণে একপর্যায়ে দাদিও ঠিকমতো দেখাশোনা করতে পারেননি তাঁর। পরে শুরু হয় তাঁর শিকলবন্দী জীবন। বৃদ্ধ দাদি সবশেষ সম্বল গয়না বিক্রির টাকা দিয়ে চিকিৎসা করান।
তাঁরা আরও জানান, চিকিৎসা পেয়ে অনেকটা সুস্থও হয়ে ওঠে সে। তবে দাদি মারা যাওয়ার পর বন্ধ হয় চিকিৎসা। পরে নানা চাপে আবারও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন রিফাত। পরে ফের শিকলবন্দী হন তিনি।
রিফাতের মামা শামছুদ্দিন বলেন, ‘আমি রিফাতকে নিজ দায়িত্বে কয়েক দিন চিকিৎসা করিয়েছি। নিয়মিত চিকিৎসা ও যত্ন পেলে সে হয়তো পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠত।’
এ বিষয়ে রিফাতের বাবা ইদ্রিস আলী বলেন, ‘সে উত্তেজিত হলে গালিগালাজ করে, অনেক সময় মারধরও করে।’ এ সময় নিজের স্ত্রীর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সৎমা কখনো আপন হয় না, এটা আপনারাও জানেন। তাকে কিছু বললে আমাকে বলে, তুমি রিফাতকে নিয়েই থাকো। আমি আমার সন্তানদের নিয়ে চলে যাচ্ছি।’
তবে রিফাতের সৎমা মর্জিনা খাতুন বলেন, ‘আমাকে সহ্য করতে পারে না সে। আমাকে দেখলেই গালিগালাজ করে।’
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘আমরা শিশু ও ভবঘুরেদের নিয়ে কাজ করি। রিফাতের বিষয়টি সমাজসেবার আওতায় না পড়লেও আমি জেনেছি, তাঁর সৎমার অবহেলা ও নির্যাতনের শিকার সে।’
ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘এ বিষয়টি আমার জানা ছিল না। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
দীর্ঘ তিন বছর ধরে শিকলবন্দী ছিলেন রিফাত। অবশেষে সেই শিকল খুলে দেওয়া হয়েছে রিফাতের। সাংবাদিকেরা খোঁজ নিতে রিফাতের বাড়ি গেলে কথাবার্তায় তাঁকে কিছুটা স্বাভাবিক মনে হয়। সেখানে সুস্থ ছেলেকে বেঁধে রেখেছেন কেন? এমন প্রশ্নের যুক্তিসংগত উত্তর দিতে না পেরে শিকল খুলে দেন তাঁর বাবা। ত্রিশালের হরিরামপুর ইউনিয়নের হরিরামপুর গ্রামে বাড়ি রিফাতের।
সরেজমিনে দেখা যায়, রিফাত যে গোয়াল ঘরে শিকলবন্দী ছিলেন তাঁর সামনে ও পেছনে গরু বাঁধা। গরুকে মশার কামড় থেকে রক্ষা করতে মশারি টানানো থাকলেও রিফাতের জন্য তা ছিল না। বিছানার পাশেই খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগের জন্য একটি টয়লেট। অথচ রিফাতের বাবা, সৎমা ও সৎ ভাই-বোন যেখানে থাকেন, সেখানে রয়েছে পাকা টয়লেট, গোসলখানা ও সেমিপাকা ঘর। ঘরে রয়েছে সোফাসেটসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর বয়সে একা হয়ে পড়েন রিফাত। প্রবাসে থাকা অবস্থায় বাবা ইদ্রিস আলী নানা অভিযোগে ত্যাগ করেন প্রেম করে বিয়ে করা প্রথম স্ত্রী ও রিফাতের মা বেদেনা খাতুনকে। পরে অন্যত্র বিয়ে করে তাঁর মা নতুন সংসার বাঁধেন। বছর পাঁচেক পর দেশে ফিরে বাবা বিয়ে করেন দ্বিতীয় স্ত্রী মর্জিনা খাতুনকে। তবে তাঁদের নজর ছিল না রিফাতের প্রতি।
এদিকে এ অবস্থায় দাদির আশ্রয়ে অনেক কষ্টে এইচএসসি পাস করেন রিফাত। এক সময় স্বজনদের চাপে রিফাতকে বিদেশ নিতে প্রবাসী বাবা তাঁর পাসপোর্ট করান। তবে পরে রহস্যজনকভাবে তাঁকে ‘পাগল বানিয়ে’ শিকলে বন্দী করা হয়।
রিফাতের এক নিকটাত্মীয় ও প্রতিবেশী কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার কিছুদিন পর সৎ মা রিফাতকে নিয়ে যান তাঁর বাবার বাড়ি। এরপর আবার সেখান থেকে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়। পরে ধীরে ধীরে মানসিক ভারসাম্য হারাতে থাকেন রিফাত। বার্ধক্যের কারণে একপর্যায়ে দাদিও ঠিকমতো দেখাশোনা করতে পারেননি তাঁর। পরে শুরু হয় তাঁর শিকলবন্দী জীবন। বৃদ্ধ দাদি সবশেষ সম্বল গয়না বিক্রির টাকা দিয়ে চিকিৎসা করান।
তাঁরা আরও জানান, চিকিৎসা পেয়ে অনেকটা সুস্থও হয়ে ওঠে সে। তবে দাদি মারা যাওয়ার পর বন্ধ হয় চিকিৎসা। পরে নানা চাপে আবারও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন রিফাত। পরে ফের শিকলবন্দী হন তিনি।
রিফাতের মামা শামছুদ্দিন বলেন, ‘আমি রিফাতকে নিজ দায়িত্বে কয়েক দিন চিকিৎসা করিয়েছি। নিয়মিত চিকিৎসা ও যত্ন পেলে সে হয়তো পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠত।’
এ বিষয়ে রিফাতের বাবা ইদ্রিস আলী বলেন, ‘সে উত্তেজিত হলে গালিগালাজ করে, অনেক সময় মারধরও করে।’ এ সময় নিজের স্ত্রীর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সৎমা কখনো আপন হয় না, এটা আপনারাও জানেন। তাকে কিছু বললে আমাকে বলে, তুমি রিফাতকে নিয়েই থাকো। আমি আমার সন্তানদের নিয়ে চলে যাচ্ছি।’
তবে রিফাতের সৎমা মর্জিনা খাতুন বলেন, ‘আমাকে সহ্য করতে পারে না সে। আমাকে দেখলেই গালিগালাজ করে।’
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘আমরা শিশু ও ভবঘুরেদের নিয়ে কাজ করি। রিফাতের বিষয়টি সমাজসেবার আওতায় না পড়লেও আমি জেনেছি, তাঁর সৎমার অবহেলা ও নির্যাতনের শিকার সে।’
ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘এ বিষয়টি আমার জানা ছিল না। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে