নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে একটি বক্স কালভার্ট। ২৭ ফুট দৈর্ঘ্যের কালভার্টটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩৫ লাখ টাকা। এর উত্তর পাশের মুখে রয়েছে তিনটি বাড়ি। এসব বাড়ির উঠানে মাটি ফেলে একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কালভার্টটির মুখ। সেখান দিয়ে এক ফোঁটা পানি গড়ানোর উপায়ও নেই। দেখে মনে হয় বাড়ির উঠানে দেওয়া হয়েছে কালভার্টটি। নির্মাণের সময় এলাকাবাসী এবং বাড়ির মালিক কালভার্টটি সরিয়ে অন্যত্র নির্মাণ করতে অনুরোধ করলেও বিষয়টি ভেবে দেখেনি প্রশাসন।
উপজেলার কচাকাটা-মুড়িয়ারহাটগামী রাস্তার বামনডাঙা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের লুছনি গ্রামে অবস্থিত এ কালভার্টটি জনগণের কোনো কাজে আসছে না।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের উদ্যোগে ২০১৯ সালের প্রথম দিকে কালভার্টটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০২১ সালের জুনে কাজ শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নির্মাণকাজ শুরু আগেই ওই কালভার্টের উত্তর দিকের জমিতে মাটি ভরাট করে বাড়ি করেন ফজর আলী, নাসির উদ্দিন ও লালচান মিয়া। এতে কাজ শুরুর আগেই কালভার্ট দিয়ে পানি নিষ্কাশনের প্রধান পথ বন্ধ হয়ে যায়। অপর দিকে পানি বের হওয়ার জন্য পাশের জমি দিয়ে সরু একটি নালা কালভার্টটির মুখে সংযোগ দেওয়া হয়। জমির মালিক আব্দুল খালেক বাড়ি তৈরির জন্য সেই নালা বন্ধ করে জমিতে মাটি ফেলে ইতিমধ্যে ভরাট করেছেন।
কালভার্টের মুখে অবস্থিত বাড়ির মালিকদের একজন ফজর আলী বলেন, ‘২০১৭ সালে বন্যার পর মূল বাড়ি দুধকুমার নদের ভাঙনে বিলীন হয়। ওই বছর এই জমিতে মাটি ভরাট করে বাড়ি নির্মাণের প্রস্তুতি নেই। পরের বছর বাড়ি নির্মাণ শেষ হয়। কিন্তু হঠাৎ একদিন কালভার্টের কাজ শুরু হয়। কালভার্টটি অন্যত্র সরিয়ে নিতে বললেও কাজ হয়নি।’
সাবেক ইউপি সদস্য আলমাস উদ্দিন বলেন, ‘এই কালভার্ট কোনো কাজে লাগবে না। সঠিক পরিকল্পনার অভাবে সরকারের টাকা নষ্ট হয়েছে।’
বামনডাঙা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন জানান, ২০১৭ সালে বক্স কালভার্টটি নির্মাণে নকশা প্রস্তুত করা হয়। ২০১৮ সালে সেটির টেন্ডার হয়। নকশা করার সময় ওই জায়গায় কোনো বাড়ি ছিল না।
কালভার্টটি নির্মাণকালে তদারকির দায়িত্বে ছিলেন উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী মফিজুল ইসলাম। তিনি জানান, ২০২০ সালে তিনি নাগেশ্বরীতে যোগদান করেছেন। তিনি যোগদানের আগেই কালভার্টটির ভিতের কাজ শেষ হয়েছে। তখন আর কিছু করার ছিল না। ফলে সেখানেই কাজ শেষ করতে হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে গত জুনে চূড়ান্ত বিল পরিশোধ করা হয়েছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
উপজেলা প্রকৌশলী ওয়াসিম আতাহার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খাল ভরাট করে কালভার্টটির পানি বের হওয়ার পথ বন্ধ করার বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরামর্শ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে একটি বক্স কালভার্ট। ২৭ ফুট দৈর্ঘ্যের কালভার্টটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩৫ লাখ টাকা। এর উত্তর পাশের মুখে রয়েছে তিনটি বাড়ি। এসব বাড়ির উঠানে মাটি ফেলে একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কালভার্টটির মুখ। সেখান দিয়ে এক ফোঁটা পানি গড়ানোর উপায়ও নেই। দেখে মনে হয় বাড়ির উঠানে দেওয়া হয়েছে কালভার্টটি। নির্মাণের সময় এলাকাবাসী এবং বাড়ির মালিক কালভার্টটি সরিয়ে অন্যত্র নির্মাণ করতে অনুরোধ করলেও বিষয়টি ভেবে দেখেনি প্রশাসন।
উপজেলার কচাকাটা-মুড়িয়ারহাটগামী রাস্তার বামনডাঙা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের লুছনি গ্রামে অবস্থিত এ কালভার্টটি জনগণের কোনো কাজে আসছে না।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের উদ্যোগে ২০১৯ সালের প্রথম দিকে কালভার্টটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০২১ সালের জুনে কাজ শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নির্মাণকাজ শুরু আগেই ওই কালভার্টের উত্তর দিকের জমিতে মাটি ভরাট করে বাড়ি করেন ফজর আলী, নাসির উদ্দিন ও লালচান মিয়া। এতে কাজ শুরুর আগেই কালভার্ট দিয়ে পানি নিষ্কাশনের প্রধান পথ বন্ধ হয়ে যায়। অপর দিকে পানি বের হওয়ার জন্য পাশের জমি দিয়ে সরু একটি নালা কালভার্টটির মুখে সংযোগ দেওয়া হয়। জমির মালিক আব্দুল খালেক বাড়ি তৈরির জন্য সেই নালা বন্ধ করে জমিতে মাটি ফেলে ইতিমধ্যে ভরাট করেছেন।
কালভার্টের মুখে অবস্থিত বাড়ির মালিকদের একজন ফজর আলী বলেন, ‘২০১৭ সালে বন্যার পর মূল বাড়ি দুধকুমার নদের ভাঙনে বিলীন হয়। ওই বছর এই জমিতে মাটি ভরাট করে বাড়ি নির্মাণের প্রস্তুতি নেই। পরের বছর বাড়ি নির্মাণ শেষ হয়। কিন্তু হঠাৎ একদিন কালভার্টের কাজ শুরু হয়। কালভার্টটি অন্যত্র সরিয়ে নিতে বললেও কাজ হয়নি।’
সাবেক ইউপি সদস্য আলমাস উদ্দিন বলেন, ‘এই কালভার্ট কোনো কাজে লাগবে না। সঠিক পরিকল্পনার অভাবে সরকারের টাকা নষ্ট হয়েছে।’
বামনডাঙা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন জানান, ২০১৭ সালে বক্স কালভার্টটি নির্মাণে নকশা প্রস্তুত করা হয়। ২০১৮ সালে সেটির টেন্ডার হয়। নকশা করার সময় ওই জায়গায় কোনো বাড়ি ছিল না।
কালভার্টটি নির্মাণকালে তদারকির দায়িত্বে ছিলেন উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী মফিজুল ইসলাম। তিনি জানান, ২০২০ সালে তিনি নাগেশ্বরীতে যোগদান করেছেন। তিনি যোগদানের আগেই কালভার্টটির ভিতের কাজ শেষ হয়েছে। তখন আর কিছু করার ছিল না। ফলে সেখানেই কাজ শেষ করতে হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে গত জুনে চূড়ান্ত বিল পরিশোধ করা হয়েছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
উপজেলা প্রকৌশলী ওয়াসিম আতাহার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খাল ভরাট করে কালভার্টটির পানি বের হওয়ার পথ বন্ধ করার বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরামর্শ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে