ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আট ইউপি সদস্য জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়ন উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে অভিযোগের বিস্তারিত জানাতে সংবাদ সম্মেলন করেন ওই আট ইউপি সদস্য।

শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ইউপি সদস্য ইকবাল হোসেন ভুঁইয়া, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সোহেল রানা, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আহসান হাবিব, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ বশির মিয়া, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইকবাল ইসলাম, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মাসুদ মিয়া, ৭, ৮ ও ৯ নম্বর সংরক্ষিত আসনের রোকসানা পারভিন, ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আছমা আক্তার এ অভিযোগ দেন।

সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান এম আর মুজিব দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই একক স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করছেন। তিনি ক্ষমতা গ্রহণের পর ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা মোস্তাক উদ্দিনকে অপসারণ না করেই তাঁর অফিসে আসা বন্ধ করে দেন। চেয়ারম্যান তাঁর পছন্দের লোককে অফিসে বসিয়ে জন্মনিবন্ধন বাবদ জনপ্রতি ৫০০ টাকা করে আদায় করছেন। এর সিংহভাগ টাকা নিজে আত্মসাৎ করছেন।

শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের হোল্ডিং ট্যাক্স গত তিন বছরের আদায় ও পাশাপাশি হোল্ডিং নম্বর প্লেট স্থাপন করে অন্তত ৩১ লাখ টাকা উঠিয়েছেন। এই ট্যাক্স পরিষদের নিজস্ব ব্যাংক হিসাবে জমা না দিয়ে নিজেই হস্তগত করে রেখেছেন। অথচ তিনি ইউপি সদস্যদের জানান, ৬ লাখ টাকা তুলেছেন।

এ ছাড়া টিআর কর্মসূচির ১ লাখ ৭০ হাজার টাকার অর্ধেক আত্মসাৎ করেছেন। শিবপুর ইউপির সংস্কার ও মেরামতের জন্য ৭ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৫ টাকা বরাদ্দ পেয়ে কোনো কাজ না করে সব টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন।

৫ সেপ্টেম্বর ইউপি সদস্য স্বাক্ষরিত শিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান মুজিব বলেন, ‘একটি দল পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছে। তারা বিভিন্ন মহলে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ খতিয়ে দেখার অনুরোধ রইল।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বুধবার অভিযোগটি পেয়েছি। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’