হিমেল চাকমা, রাঙামাটি
রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার সাবেক্ষ্যং ইউনিয়নের একটি গ্রাম নাম ‘বাঘছড়ি’। এই এলাকায় বাঘের উপস্থিতি ছিল বলে এ নামে পরিচিতি পায়। এ ছাড়া বাঘমারা কিজিং, বাঘমারা ঘোনা নামেও এলাকা আছে পার্বত্য চট্টগ্রামে।
এসব এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের একসময় বাঘ ছিল, অনেকে স্বচক্ষে বাঘ দেখেছেন। তাঁদের ধারণা, পার্বত্য চট্টগ্রামে এখনো বাঘ থাকতে পারে। বর্তমান রাঙামাটি শহর একসময় জঙ্গল ছিল।
রাঙামাটি শহরের বাসিন্দা শ্যামল চাকমা (৬৬) বলেন, ‘জীবনে পার্বত্য চট্টগ্রামে তিনবার বাঘে দেখেছি। প্রথমবার দেখি রাঙামাটি শহরের ট্রাইবেল আদাম এলাকায়। সেই দিন বিকেলে ১০-১২ বন্ধু ফুটবল খেলছিলাম। সেই সময় ডোরাকাটা একটি মা বাঘ তিনটি বাচ্চা নিয়ে রাস্তা পার হতে দেখি। বর্তমানে আলফেসানী উচ্চবিদ্যালয় ওই এলাকায় অবস্থিত।’ পরবর্তীকালে তিনি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার ধুপশীল এলাকায় একটি ছড়ায় চিতা বাঘ দেখেন। সর্বশেষ ২০১৮ সালে খাগড়াছড়ির পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের ঠিক পাশে একটি চিতা বাঘ দেখেছেন বলে শ্যামল চাকমা জানান।
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা বিজয় চাকমা (৬০) বলেন, ‘কাপ্তাই বাঁধ হওয়ার আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম গহিন অরণ্য ছিল। তখন মাঘের তীব্র শীতে বাঘের গর্জন শোনা যেত। বিভিন্ন সময় বাঘ গৃহপালিত পশু—গরু, কুকুর শিকার করতে আসত। এগুলো কারও মুখ থেকে শোনা কথা নয়, এগুলো আমাদের চোখে দেখা।’
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি আরেক কর্মকর্তা অমিত রায় (৬৪) বলেন, ‘আমি তখন দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ি। রিজার্ভ বাজারে বর্তমান গ্রিন ক্যাসেলের বিপরীত পাশে রাঙামাটি সরকারি মডেল প্রাইমারি স্কুলটি ছিল। ১৯৬৬ সালের দিকে রাঙামাটির বালুখালী কিল্যামুড়া এলাকায় একটি বেঙ্গল টাইগার শিকার করেন এক মুসলিম শিকারি। বাঘটি যখন আমাদের স্কুল দিয়ে আনা হয়, তখন আমি দেখেছিলাম, বাঘটি বেশ বড় ছিল।’
পার্বত্য অঞ্চলের উত্তর বন বিভাগের বন সংরক্ষক অজিত কুমার রুদ্র বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে একসময় বাঘ ছিল, এটা শতভাগ সত্য। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে মিজোরামের বাঘের অভয়াশ্রম ডাম্পা টাইগার রিজার্ভ ফরেস্ট আছে। মিজোরামের পাশ ঘেঁষা আমাদের বাঘাইছড়ির সাজেক, কাচালং রিজার্ভ ফরেস্ট। সেখানে এখনো বাঘের আবাসস্থল রয়েছে, বাঘ থাকার উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে। সীমান্তে বেড়া দেওয়ার কারণে এখন বাঘের চলাফেরার বাধা তৈরি হয়েছে। বর্তমানে বাঘের বিচরণ দেখা না গেলেও হাতি, হরিণ, ভালুকসহ বিভিন্ন বন্য প্রাণীর বিচরণ দেখা যায়। এ ছাড়া বাঘাইছড়ি-লংগদু এলাকায় একটি হাতির পাল আছে। এখানে ১১টি এশীয় হাতি রয়েছে।’
রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার সাবেক্ষ্যং ইউনিয়নের একটি গ্রাম নাম ‘বাঘছড়ি’। এই এলাকায় বাঘের উপস্থিতি ছিল বলে এ নামে পরিচিতি পায়। এ ছাড়া বাঘমারা কিজিং, বাঘমারা ঘোনা নামেও এলাকা আছে পার্বত্য চট্টগ্রামে।
এসব এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের একসময় বাঘ ছিল, অনেকে স্বচক্ষে বাঘ দেখেছেন। তাঁদের ধারণা, পার্বত্য চট্টগ্রামে এখনো বাঘ থাকতে পারে। বর্তমান রাঙামাটি শহর একসময় জঙ্গল ছিল।
রাঙামাটি শহরের বাসিন্দা শ্যামল চাকমা (৬৬) বলেন, ‘জীবনে পার্বত্য চট্টগ্রামে তিনবার বাঘে দেখেছি। প্রথমবার দেখি রাঙামাটি শহরের ট্রাইবেল আদাম এলাকায়। সেই দিন বিকেলে ১০-১২ বন্ধু ফুটবল খেলছিলাম। সেই সময় ডোরাকাটা একটি মা বাঘ তিনটি বাচ্চা নিয়ে রাস্তা পার হতে দেখি। বর্তমানে আলফেসানী উচ্চবিদ্যালয় ওই এলাকায় অবস্থিত।’ পরবর্তীকালে তিনি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার ধুপশীল এলাকায় একটি ছড়ায় চিতা বাঘ দেখেন। সর্বশেষ ২০১৮ সালে খাগড়াছড়ির পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের ঠিক পাশে একটি চিতা বাঘ দেখেছেন বলে শ্যামল চাকমা জানান।
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা বিজয় চাকমা (৬০) বলেন, ‘কাপ্তাই বাঁধ হওয়ার আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম গহিন অরণ্য ছিল। তখন মাঘের তীব্র শীতে বাঘের গর্জন শোনা যেত। বিভিন্ন সময় বাঘ গৃহপালিত পশু—গরু, কুকুর শিকার করতে আসত। এগুলো কারও মুখ থেকে শোনা কথা নয়, এগুলো আমাদের চোখে দেখা।’
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি আরেক কর্মকর্তা অমিত রায় (৬৪) বলেন, ‘আমি তখন দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ি। রিজার্ভ বাজারে বর্তমান গ্রিন ক্যাসেলের বিপরীত পাশে রাঙামাটি সরকারি মডেল প্রাইমারি স্কুলটি ছিল। ১৯৬৬ সালের দিকে রাঙামাটির বালুখালী কিল্যামুড়া এলাকায় একটি বেঙ্গল টাইগার শিকার করেন এক মুসলিম শিকারি। বাঘটি যখন আমাদের স্কুল দিয়ে আনা হয়, তখন আমি দেখেছিলাম, বাঘটি বেশ বড় ছিল।’
পার্বত্য অঞ্চলের উত্তর বন বিভাগের বন সংরক্ষক অজিত কুমার রুদ্র বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে একসময় বাঘ ছিল, এটা শতভাগ সত্য। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে মিজোরামের বাঘের অভয়াশ্রম ডাম্পা টাইগার রিজার্ভ ফরেস্ট আছে। মিজোরামের পাশ ঘেঁষা আমাদের বাঘাইছড়ির সাজেক, কাচালং রিজার্ভ ফরেস্ট। সেখানে এখনো বাঘের আবাসস্থল রয়েছে, বাঘ থাকার উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে। সীমান্তে বেড়া দেওয়ার কারণে এখন বাঘের চলাফেরার বাধা তৈরি হয়েছে। বর্তমানে বাঘের বিচরণ দেখা না গেলেও হাতি, হরিণ, ভালুকসহ বিভিন্ন বন্য প্রাণীর বিচরণ দেখা যায়। এ ছাড়া বাঘাইছড়ি-লংগদু এলাকায় একটি হাতির পাল আছে। এখানে ১১টি এশীয় হাতি রয়েছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে