আজকের পত্রিকা ডেস্ক
দেশের পূর্বাঞ্চলে বন্যার পানি কমে আসার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতি ও ক্ষতের চিত্র সামনে আসতে শুরু করেছে। বন্যার পানি কমে যাওয়ার পর ফেনীর অনেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। তবে বসতবাড়িতে ফিরে দেখছে কিছুই নেই। নোয়াখালীতে দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। এখনো পানিবন্দী প্রায় ২০ লাখ মানুষ। এ ছাড়া এ পর্যন্ত ৫৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
গতকাল শুক্রবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বন্যা পরিস্থিতিসম্পর্কিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বন্যায় পুরুষ ৪১, নারী ৬ ও ৭ শিশু মারা গেছে। তাদের মধ্যে কুমিল্লায় ১৪, ফেনীতে ১৯, চট্টগ্রামে ৬, খাগড়াছড়িতে ১, নোয়াখালীতে ৮, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১, লক্ষ্মীপুরে ১, কক্সবাজারে ৩ এবং মৌলভীবাজারে ১ জন মারা গেছে। বন্যায় প্লাবিত এবং ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন বা পৌরসভা ৪৮৬টি। ১১টি জেলায় মোট ১০ লাখ ৯ হাজার ৫২২ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৫৪ লাখ ৬৪ হাজার ১৬৭ জন।
ফেনীতে নতুন চ্যালেঞ্জ
বন্যার পানি কমে যাওয়ার পর নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি ফেনীর প্রায় ১০ লাখ মানুষ। অধিকাংশ এলাকায় বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে বাড়িঘরে ফিরে কেবল চোখের পানি ফেলছে অনেকে। এ নিয়ে গতকাল কথা হয় ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার জগৎপুর গ্রামের বাসিন্দা আসমা আক্তার ও মোবারক হোসেন দম্পতির সঙ্গে। আসমা আক্তার বলেন, ‘পানির তীব্র স্রোতের সঙ্গে বাচ্চাদের নিয়ে ঘর থেকে বের হই। সবকিছু রেখে এক কাপড়ে একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলাম। সবগুলো মোরগ মারা গেছে। ঘরটি ভেঙে পড়ায় সব শেষ হয়ে গেছে আমাদের।’
ফেনী পৌরসভার সুলতানপুর এলাকার বাসিন্দা মো. কাদের বলেন, ‘কোনো কিছুই বাঁচাতে পারিনি। এক কাপড়ে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে ঠাঁই নিয়েছিলাম। নতুন করে ঘর নির্মাণের দুশ্চিন্তায় দুই চোখের পাতা এক করতে পারি না।’
ফেনী রেলগেট এলাকার ব্যবসায়ী শাহজালাল বলেন, ‘বন্যায় আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ডুবে সব মালপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। বন্যায় আমার প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি কী করে কাটিয়ে উঠব, তা ভেবে কূল পাই না।’
নোয়াখালীর ৮টি উপজেলা ও ৭টি পৌরসভার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। জেলায় দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। এখনো পানিবন্দী প্রায় ২০ লাখ মানুষ। যেসব এলাকায় পানি নামতে শুরু করেছে, সেসব এলাকায় ফুটে উঠছে বন্যার ক্ষতের চিহ্ন। বেশির ভাগ সড়কে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের, কোথাও কোথাও সড়কের কোনো অস্তিত্ব নেই বললেই চলে, মাটি সরে যাওয়ায় এমন অবস্থা হয়েছে। বেশির ভাগ কাঁচা ঘরের নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে সেগুলো।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্যার্তদের জন্য সরকারিভাবে ৫৯৩ টন চাল মজুত থাকলেও নগদ অর্থ, শুকনো খাবার, শিশু খাবার ও গোখাদ্যের কোনো মজুত নেই।
এদিকে নোয়াখালীতে বেড়েছে ডায়রিয়া ও সাপে কাটা রোগীর সংখ্যা। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালসহ বন্যাকবলিত ৮টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছেন প্রায় ৩০০ জন।
লক্ষ্মীপুরে এখনো পানিবন্দী ১০ লাখ মানুষ। সুপেয় পানি ও খাদ্যসংকটে রয়েছেন বানভাসিরা। জেলা প্রশাসন ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জেলার দু শ কিলোমিটার কাঁচা-পাকা রাস্তার বেহাল দশার কারণে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন রয়েছে। গবাদিপশু উৎপাদন খাতের ক্ষতি ২০ কোটি টাকা। এ ছাড়া কৃষি খাতে এ পর্যন্ত ৫০০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, ৫৪ হাজার পুকুর বা ঘেরের মধ্যে প্রায় ৫০ হাজার পুকুর বা ঘেরের মাছ পানিতে ভেসে গিয়ে দু শ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এর পরিমাণ আরও বাড়বে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
কুমিল্লায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও এখন পর্যন্ত ১০ লাখ ৭৮ হাজার মানুষ পানিবন্দী। গোমতী, ডাকাতিয়া, ঘুংঘুর নদীসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। গোমতী নদীর বুরবুড়িয়ায় বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢোকার গতি আরও কমেছে।
দেশের পূর্বাঞ্চলে বন্যার পানি কমে আসার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতি ও ক্ষতের চিত্র সামনে আসতে শুরু করেছে। বন্যার পানি কমে যাওয়ার পর ফেনীর অনেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। তবে বসতবাড়িতে ফিরে দেখছে কিছুই নেই। নোয়াখালীতে দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। এখনো পানিবন্দী প্রায় ২০ লাখ মানুষ। এ ছাড়া এ পর্যন্ত ৫৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
গতকাল শুক্রবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বন্যা পরিস্থিতিসম্পর্কিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বন্যায় পুরুষ ৪১, নারী ৬ ও ৭ শিশু মারা গেছে। তাদের মধ্যে কুমিল্লায় ১৪, ফেনীতে ১৯, চট্টগ্রামে ৬, খাগড়াছড়িতে ১, নোয়াখালীতে ৮, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১, লক্ষ্মীপুরে ১, কক্সবাজারে ৩ এবং মৌলভীবাজারে ১ জন মারা গেছে। বন্যায় প্লাবিত এবং ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন বা পৌরসভা ৪৮৬টি। ১১টি জেলায় মোট ১০ লাখ ৯ হাজার ৫২২ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৫৪ লাখ ৬৪ হাজার ১৬৭ জন।
ফেনীতে নতুন চ্যালেঞ্জ
বন্যার পানি কমে যাওয়ার পর নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি ফেনীর প্রায় ১০ লাখ মানুষ। অধিকাংশ এলাকায় বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে বাড়িঘরে ফিরে কেবল চোখের পানি ফেলছে অনেকে। এ নিয়ে গতকাল কথা হয় ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার জগৎপুর গ্রামের বাসিন্দা আসমা আক্তার ও মোবারক হোসেন দম্পতির সঙ্গে। আসমা আক্তার বলেন, ‘পানির তীব্র স্রোতের সঙ্গে বাচ্চাদের নিয়ে ঘর থেকে বের হই। সবকিছু রেখে এক কাপড়ে একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলাম। সবগুলো মোরগ মারা গেছে। ঘরটি ভেঙে পড়ায় সব শেষ হয়ে গেছে আমাদের।’
ফেনী পৌরসভার সুলতানপুর এলাকার বাসিন্দা মো. কাদের বলেন, ‘কোনো কিছুই বাঁচাতে পারিনি। এক কাপড়ে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে ঠাঁই নিয়েছিলাম। নতুন করে ঘর নির্মাণের দুশ্চিন্তায় দুই চোখের পাতা এক করতে পারি না।’
ফেনী রেলগেট এলাকার ব্যবসায়ী শাহজালাল বলেন, ‘বন্যায় আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ডুবে সব মালপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। বন্যায় আমার প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি কী করে কাটিয়ে উঠব, তা ভেবে কূল পাই না।’
নোয়াখালীর ৮টি উপজেলা ও ৭টি পৌরসভার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। জেলায় দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। এখনো পানিবন্দী প্রায় ২০ লাখ মানুষ। যেসব এলাকায় পানি নামতে শুরু করেছে, সেসব এলাকায় ফুটে উঠছে বন্যার ক্ষতের চিহ্ন। বেশির ভাগ সড়কে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের, কোথাও কোথাও সড়কের কোনো অস্তিত্ব নেই বললেই চলে, মাটি সরে যাওয়ায় এমন অবস্থা হয়েছে। বেশির ভাগ কাঁচা ঘরের নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে সেগুলো।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্যার্তদের জন্য সরকারিভাবে ৫৯৩ টন চাল মজুত থাকলেও নগদ অর্থ, শুকনো খাবার, শিশু খাবার ও গোখাদ্যের কোনো মজুত নেই।
এদিকে নোয়াখালীতে বেড়েছে ডায়রিয়া ও সাপে কাটা রোগীর সংখ্যা। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালসহ বন্যাকবলিত ৮টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছেন প্রায় ৩০০ জন।
লক্ষ্মীপুরে এখনো পানিবন্দী ১০ লাখ মানুষ। সুপেয় পানি ও খাদ্যসংকটে রয়েছেন বানভাসিরা। জেলা প্রশাসন ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জেলার দু শ কিলোমিটার কাঁচা-পাকা রাস্তার বেহাল দশার কারণে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন রয়েছে। গবাদিপশু উৎপাদন খাতের ক্ষতি ২০ কোটি টাকা। এ ছাড়া কৃষি খাতে এ পর্যন্ত ৫০০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, ৫৪ হাজার পুকুর বা ঘেরের মধ্যে প্রায় ৫০ হাজার পুকুর বা ঘেরের মাছ পানিতে ভেসে গিয়ে দু শ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এর পরিমাণ আরও বাড়বে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
কুমিল্লায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও এখন পর্যন্ত ১০ লাখ ৭৮ হাজার মানুষ পানিবন্দী। গোমতী, ডাকাতিয়া, ঘুংঘুর নদীসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। গোমতী নদীর বুরবুড়িয়ায় বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢোকার গতি আরও কমেছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে