ভোলা প্রতিনিধি
ভোলার বাজার থেকে আবারও উধাও সয়াবিন তেল। গত শনিবার থেকে জেলা সদরে দোকানগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে না সয়াবিন তেল। কোনো কোনো দোকানে পাওয়া গেলেও দাম বাড়তি। তবে ডিলাররা তেল সরবরাহ না করায় দাম বেড়েছে বলে দাবি করছেন দোকানিরা। রোজার শুরুতে বাড়তি দামে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।
আড়তদারদের দাবি ভোলায় নতুন করে সয়াবিন তেলের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ দাবি মানতে নারাজ স্থানীয় প্রশাসন। এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুজিত হাওলাদার গতকাল সোমবার সকালে বলেন, ‘সয়াবিন তেলের কোনো সংকট নেই। স্থানীয় কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী বাড়তি লাভের জন্য সংকট সৃস্টি করতে পারেন। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণে ভোলায় প্রতিদিনই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে।’
সরেজমিনে গতকাল সোমবার সকালে ভোলা সদর উপজেলা সদরে দেখা গেছে, সদর রোড, নতুন বাজার ও যুগীরঘোল এলাকায় অধিকাংশ দোকানে সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। তবে দোকানিরা বাড়িত দামে বিক্রি করছেন। ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ৭৬০ থেকে ৭৯৫ টাকায় বিক্রি করছেন।
এ বিষয়ে শহরের মা স্টোরের স্বত্বাধিকারী আব্দুল সাত্তার বলেন, ‘আমাদের দোকানের সয়াবিন তেল গত শনিবার শেষ হয়েছে। বাজারে কোথাও এখন সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না।’
ভোলা শহরের নাজিউর রহমান ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এম ফারুকুর রহমান সয়াবিন তেলের বাড়তি দামে ক্ষুব্ধ। তিনি বলেন, প্রথম রোজায় সদর রোডের বেশ কয়েকটি মুদিদোকানে সয়াবিন তেল পাওয়া যায়নি। যে দু-একটি দোকানে পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে বাড়তি দাম নিচ্ছে। ৫ লিটার বোতলের সয়াবিন তেল ৭৮০ টাকায় কিনতে হয়েছে। শুধু তেল নয়, গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকায়।
এদিকে সোমবার সকালে যুগীরঘোল এলাকা থেকে ৭৬০ টাকায় ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল কিনেছেন কালীকির্তী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনির সাজওয়াল। এ বিষয়ে মনির সাজওয়াল বলেন, ‘আমরা যারা সরকারি চাকরিজীবী, তাঁদের আয়ের সাথে ব্যয় যেন কোনোভাবেই মিলছে না। ৫ লিটারের সয়াবিন তেল কিনতে হয়েছে ৭৬০ টাকায়। নিত্যপণ্য কিনতে নাভিশ্বাস উঠেছে।’
এ বিষয়ে যুগীরঘোল এলাকার মুদিদোকানি নান্টু বিশ্বাস বলেন, ‘সয়াবিন তেলের দাম আবার বেড়েছে। আমরা অনেক দিন আগে ভোলার মোকাম থেকে সয়াবিন তেল কিনে এনেছিলাম। তবে এখন ভোলার অধিকাংশ বাজারে তেল পাওয়া যাচ্ছে না। পেলেও আমার চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করছেন অনেকে।’
মুদিদোকানি মো. হানিফ বলেন, ‘দাম বাড়ায় কোনো কোম্পানি সয়াবিন তেল দিচ্ছে না। ফলে আমরা বিক্রিও করতে পারছি না।’ শুধু যে তেলের দাম বাড়ছে তা নয়। মাংস ও ডিমসহ সব পণ্যের বাড়তি বলে জানান এ দোকানি।
এ বিষয়ে ভোলা কাঁচাবাজার ও আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিভিন্ন কোম্পানির সয়াবিন তেলের ডিলাররা ভোলায় তেল নিয়ে আসছেন না। তাই সাময়িক সংকট দেখা দিয়েছে। কিন্তু সয়াবিন তেল বাজার থেকে একেবারে উধাও হয়নি।’
এ বিষয়ে কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ভোলা জেলা শাখার সভাপতি মোবাশ্বির উল্যাহ চৌধুরী বলেন, ‘অতি মুনাফার আশায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী প্রতিবছর রমজানে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। এতে কৃত্রিম সংকট দেখা দেয়। আসলে বাজারে কোনো সংকট নেই।’
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আকিব ওসমান জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধে জেলা প্রশাসন, ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, জেলা কৃষি বিপণন অফিস ও পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। নিয়মিত বাজার তদারকি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে সয়াবিন তেল অতিরিক্ত দামে বিক্রির অপরাধে ব্যবসায়ীদের জরিমানা ও কারাদণ্ড দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া দাম নিয়ন্ত্রণে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এর আগেও একবার ভোলার বাজার থেকে ভোজ্য সয়াবিন তেল উধাও হয়ে যায়। পরে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালান। এ সময় ব্যবসায়ীদের গুদাম থেকে বিপুল পরিমাণ সয়াবিন তেল জব্দ করে তা সিলগালা করা হয়।
ভোলার বাজার থেকে আবারও উধাও সয়াবিন তেল। গত শনিবার থেকে জেলা সদরে দোকানগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে না সয়াবিন তেল। কোনো কোনো দোকানে পাওয়া গেলেও দাম বাড়তি। তবে ডিলাররা তেল সরবরাহ না করায় দাম বেড়েছে বলে দাবি করছেন দোকানিরা। রোজার শুরুতে বাড়তি দামে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।
আড়তদারদের দাবি ভোলায় নতুন করে সয়াবিন তেলের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ দাবি মানতে নারাজ স্থানীয় প্রশাসন। এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুজিত হাওলাদার গতকাল সোমবার সকালে বলেন, ‘সয়াবিন তেলের কোনো সংকট নেই। স্থানীয় কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী বাড়তি লাভের জন্য সংকট সৃস্টি করতে পারেন। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণে ভোলায় প্রতিদিনই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে।’
সরেজমিনে গতকাল সোমবার সকালে ভোলা সদর উপজেলা সদরে দেখা গেছে, সদর রোড, নতুন বাজার ও যুগীরঘোল এলাকায় অধিকাংশ দোকানে সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। তবে দোকানিরা বাড়িত দামে বিক্রি করছেন। ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ৭৬০ থেকে ৭৯৫ টাকায় বিক্রি করছেন।
এ বিষয়ে শহরের মা স্টোরের স্বত্বাধিকারী আব্দুল সাত্তার বলেন, ‘আমাদের দোকানের সয়াবিন তেল গত শনিবার শেষ হয়েছে। বাজারে কোথাও এখন সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না।’
ভোলা শহরের নাজিউর রহমান ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এম ফারুকুর রহমান সয়াবিন তেলের বাড়তি দামে ক্ষুব্ধ। তিনি বলেন, প্রথম রোজায় সদর রোডের বেশ কয়েকটি মুদিদোকানে সয়াবিন তেল পাওয়া যায়নি। যে দু-একটি দোকানে পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে বাড়তি দাম নিচ্ছে। ৫ লিটার বোতলের সয়াবিন তেল ৭৮০ টাকায় কিনতে হয়েছে। শুধু তেল নয়, গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকায়।
এদিকে সোমবার সকালে যুগীরঘোল এলাকা থেকে ৭৬০ টাকায় ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল কিনেছেন কালীকির্তী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনির সাজওয়াল। এ বিষয়ে মনির সাজওয়াল বলেন, ‘আমরা যারা সরকারি চাকরিজীবী, তাঁদের আয়ের সাথে ব্যয় যেন কোনোভাবেই মিলছে না। ৫ লিটারের সয়াবিন তেল কিনতে হয়েছে ৭৬০ টাকায়। নিত্যপণ্য কিনতে নাভিশ্বাস উঠেছে।’
এ বিষয়ে যুগীরঘোল এলাকার মুদিদোকানি নান্টু বিশ্বাস বলেন, ‘সয়াবিন তেলের দাম আবার বেড়েছে। আমরা অনেক দিন আগে ভোলার মোকাম থেকে সয়াবিন তেল কিনে এনেছিলাম। তবে এখন ভোলার অধিকাংশ বাজারে তেল পাওয়া যাচ্ছে না। পেলেও আমার চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করছেন অনেকে।’
মুদিদোকানি মো. হানিফ বলেন, ‘দাম বাড়ায় কোনো কোম্পানি সয়াবিন তেল দিচ্ছে না। ফলে আমরা বিক্রিও করতে পারছি না।’ শুধু যে তেলের দাম বাড়ছে তা নয়। মাংস ও ডিমসহ সব পণ্যের বাড়তি বলে জানান এ দোকানি।
এ বিষয়ে ভোলা কাঁচাবাজার ও আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিভিন্ন কোম্পানির সয়াবিন তেলের ডিলাররা ভোলায় তেল নিয়ে আসছেন না। তাই সাময়িক সংকট দেখা দিয়েছে। কিন্তু সয়াবিন তেল বাজার থেকে একেবারে উধাও হয়নি।’
এ বিষয়ে কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ভোলা জেলা শাখার সভাপতি মোবাশ্বির উল্যাহ চৌধুরী বলেন, ‘অতি মুনাফার আশায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী প্রতিবছর রমজানে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। এতে কৃত্রিম সংকট দেখা দেয়। আসলে বাজারে কোনো সংকট নেই।’
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আকিব ওসমান জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধে জেলা প্রশাসন, ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, জেলা কৃষি বিপণন অফিস ও পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। নিয়মিত বাজার তদারকি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে সয়াবিন তেল অতিরিক্ত দামে বিক্রির অপরাধে ব্যবসায়ীদের জরিমানা ও কারাদণ্ড দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া দাম নিয়ন্ত্রণে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এর আগেও একবার ভোলার বাজার থেকে ভোজ্য সয়াবিন তেল উধাও হয়ে যায়। পরে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালান। এ সময় ব্যবসায়ীদের গুদাম থেকে বিপুল পরিমাণ সয়াবিন তেল জব্দ করে তা সিলগালা করা হয়।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে