শাহীন রহমান, পাবনা
কৃষি প্রণোদনার আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের নামে বিনা মূল্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল সার-বীজ। কিন্তু সেগুলো নামমাত্র দিয়ে বেশির ভাগ সার-বীজ লুটের অভিযোগ উঠেছে।
পাবনার সুজানগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা নিজেদের ও আত্মীয়স্বজনের নাম ব্যবহার করে এগুলো লুট করেছেন বলে অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।
এতে একদিকে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকেরা সুবিধাবঞ্চিত হচ্ছেন, অন্যদিকে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে রবি মৌসুমে ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকারের নেওয়া পরিকল্পনা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সুজানগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের জন্য পেঁয়াজ, গম, ধান, ভুট্টা, সরিষা, মুগ, খেসারি—এই সাতটি ফসলের উন্নত মানের বীজ ও সার বিনা মূল্যে বিতরণের জন্য বাছাই করা হয়। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গের পেঁয়াজের রাজধানী হিসেবে খ্যাত এই উপজেলার জন্য উল্লেখ্যযোগ্য শীতকালীন পেঁয়াজের বীজ। কিন্তু আড়াই শতাধিক কৃষকের তালিকায় দেখা গেছে, অধিকাংশই চেয়ারম্যান ও তাঁদের আত্মীয়স্বজন এবং ইউপি সদস্যদের নাম, মোবাইল নম্বর। অন্য কৃষকের নাম থাকলেও তাঁরা জানেনই না এই বীজ ও সার বিতরণের খবর।
সুজানগর উপজেলা কৃষি অফিসের দেওয়া পেঁয়াজবীজের তালিকা অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, উপজেলার হাটখালি ইউনিয়নে খোদ চেয়ারম্যানেরই দুটি মোবাইল ফোনের নম্বর রয়েছে ওই তালিকায়। রয়েছেন চেয়ারম্যানের দুই ভাইসহ ৫-৭ জন আত্মীয়, বাকিরা ইউপি সদস্য। ভায়না ইউনিয়নের তালিকায় সবাই ইউপি সদস্য। মানিকহাট ইউনিয়নের ২৫টি প্রণোদনার মধ্যে ৪টি চেয়ারম্যান, একটি ইউপি সচিব ও বাকিগুলো সদস্যরা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নিয়েছেন। এভাবে উপজেলার সব ইউনিয়নের প্রণোদনাই ভাগ-বাঁটোয়ারা হয়েছে। দু-চারজন কৃষকের নাম থাকলেও তাঁরা এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। এসব বীজ ১ থেকে ২০ কেজি এবং সার দেওয়া হয়েছে ২০-৩০ কেজি পর্যন্ত। এই সব বীজ ও সারের মধ্যে পেঁয়াজের প্রায় ৮ লাখ টাকা, গম ১৭ লাখ, সরিষা ১১ লাখসহ প্রায় অর্ধকোটি টাকার প্রণোদনা রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটির মাধ্যমে এটি বাস্তবায়ন করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এই কমিটির সভাপতি, উপজেলা কৃষি অফিসার সদস্যসচিব এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এই কমিটির উপদেষ্টা। তালিকা প্রণয়ন করে ইউপি চেয়ারম্যান ও দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার নেতৃত্বাধীন কমিটি। কিন্তু কীভাবে তালিকাভুক্ত হয়ে এভাবে লুট করা হলো, সে বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ সংশ্লিষ্ট সবাই।
এ বিষয়ে কথা হয় হাটখালি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ খানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘তালিকা আমরাই করেছি। সে (কৃষক) হয়তো বীজ তুলে নিয়ে এসে আরেকজনকে দিয়েছেন, কিন্তু কোনো অনিয়ম করা হয়নি। এখানে আমার নম্বরটা কীভাবে গেল জানি না। আর আমার ভাইয়েরা যদি কৃষক হন, তাহলে তো দোষের কিছু না।’
তালিকা ধরে অনুসন্ধান করে কথা হয় মানিকহাট ইউনিয়নের উলাট গ্রামের কৃষক সাইদুল শেখের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সার-বীজ দেওয়ার কথা বলে মেম্বার তো আমার ভোটার আইডি কার্ড নিছিল। কিন্তু আমি সার-বীজ কিছু পাইনি। কবে দিছে, তা-ও জানি না।’
হাটখালী ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের কৃষক তৈয়ব আলী বলেন, ‘আমার আড়াই বিঘা পেঁয়াজের এবং দুই বিঘা ধানের জমি। মেম্বার ভোটার আইডি কার্ড নিছিল সার-বীজ দেওয়া হবে বলে। কিন্তু আমি কোনো বীজ পাইনি। শুধু ছয় কেজি লাল সার ও আট কেজি মাইটে সার পাইছি।’
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে নারাজ অধিকাংশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন চেয়ারম্যান দাবি করেছেন, ইউপি সদস্যসহ অনেকের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তাঁরা এইভাবে তালিকা করেছেন। এসব প্রণোদনা উপজেলা পরিষদ থেকে দেওয়া হয়, সেখান থেকেও একাধিকজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে বাধ্য করা হয় এবং প্রণোদনা দেওয়ার সময় সেখান থেকেই রেখে দেওয়া হয়।
সুজানগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাফিউল ইসলাম বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তালিকাটি তৈরি করা হয়। এরপর উপজেলা কমিটি সেটির অনুমোদনের পর সার ও বীজ বিতরণ করা হয়। অনিয়মের বিষয়ে কোনো অভিযোগ এখনো পাওয়া যায়নি। যদি কোনো অভিযোগ আসে, সেটি খতিয়ে দেখা হবে।’
সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘সার-বীজ বিতরণের বিষয়ে যদি কেউ সুনির্দিষ্টভাবে আমাদের কাছে অভিযোগ করে অথবা তথ্য দিতে পারে, তাহলে সেটি অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।’
সুজানগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীনের সঙ্গে কথা বলার জন্য একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি ধরেননি।
কৃষি প্রণোদনার আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের নামে বিনা মূল্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল সার-বীজ। কিন্তু সেগুলো নামমাত্র দিয়ে বেশির ভাগ সার-বীজ লুটের অভিযোগ উঠেছে।
পাবনার সুজানগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা নিজেদের ও আত্মীয়স্বজনের নাম ব্যবহার করে এগুলো লুট করেছেন বলে অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।
এতে একদিকে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকেরা সুবিধাবঞ্চিত হচ্ছেন, অন্যদিকে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে রবি মৌসুমে ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকারের নেওয়া পরিকল্পনা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সুজানগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের জন্য পেঁয়াজ, গম, ধান, ভুট্টা, সরিষা, মুগ, খেসারি—এই সাতটি ফসলের উন্নত মানের বীজ ও সার বিনা মূল্যে বিতরণের জন্য বাছাই করা হয়। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গের পেঁয়াজের রাজধানী হিসেবে খ্যাত এই উপজেলার জন্য উল্লেখ্যযোগ্য শীতকালীন পেঁয়াজের বীজ। কিন্তু আড়াই শতাধিক কৃষকের তালিকায় দেখা গেছে, অধিকাংশই চেয়ারম্যান ও তাঁদের আত্মীয়স্বজন এবং ইউপি সদস্যদের নাম, মোবাইল নম্বর। অন্য কৃষকের নাম থাকলেও তাঁরা জানেনই না এই বীজ ও সার বিতরণের খবর।
সুজানগর উপজেলা কৃষি অফিসের দেওয়া পেঁয়াজবীজের তালিকা অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, উপজেলার হাটখালি ইউনিয়নে খোদ চেয়ারম্যানেরই দুটি মোবাইল ফোনের নম্বর রয়েছে ওই তালিকায়। রয়েছেন চেয়ারম্যানের দুই ভাইসহ ৫-৭ জন আত্মীয়, বাকিরা ইউপি সদস্য। ভায়না ইউনিয়নের তালিকায় সবাই ইউপি সদস্য। মানিকহাট ইউনিয়নের ২৫টি প্রণোদনার মধ্যে ৪টি চেয়ারম্যান, একটি ইউপি সচিব ও বাকিগুলো সদস্যরা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নিয়েছেন। এভাবে উপজেলার সব ইউনিয়নের প্রণোদনাই ভাগ-বাঁটোয়ারা হয়েছে। দু-চারজন কৃষকের নাম থাকলেও তাঁরা এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। এসব বীজ ১ থেকে ২০ কেজি এবং সার দেওয়া হয়েছে ২০-৩০ কেজি পর্যন্ত। এই সব বীজ ও সারের মধ্যে পেঁয়াজের প্রায় ৮ লাখ টাকা, গম ১৭ লাখ, সরিষা ১১ লাখসহ প্রায় অর্ধকোটি টাকার প্রণোদনা রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটির মাধ্যমে এটি বাস্তবায়ন করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এই কমিটির সভাপতি, উপজেলা কৃষি অফিসার সদস্যসচিব এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এই কমিটির উপদেষ্টা। তালিকা প্রণয়ন করে ইউপি চেয়ারম্যান ও দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার নেতৃত্বাধীন কমিটি। কিন্তু কীভাবে তালিকাভুক্ত হয়ে এভাবে লুট করা হলো, সে বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ সংশ্লিষ্ট সবাই।
এ বিষয়ে কথা হয় হাটখালি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ খানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘তালিকা আমরাই করেছি। সে (কৃষক) হয়তো বীজ তুলে নিয়ে এসে আরেকজনকে দিয়েছেন, কিন্তু কোনো অনিয়ম করা হয়নি। এখানে আমার নম্বরটা কীভাবে গেল জানি না। আর আমার ভাইয়েরা যদি কৃষক হন, তাহলে তো দোষের কিছু না।’
তালিকা ধরে অনুসন্ধান করে কথা হয় মানিকহাট ইউনিয়নের উলাট গ্রামের কৃষক সাইদুল শেখের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সার-বীজ দেওয়ার কথা বলে মেম্বার তো আমার ভোটার আইডি কার্ড নিছিল। কিন্তু আমি সার-বীজ কিছু পাইনি। কবে দিছে, তা-ও জানি না।’
হাটখালী ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের কৃষক তৈয়ব আলী বলেন, ‘আমার আড়াই বিঘা পেঁয়াজের এবং দুই বিঘা ধানের জমি। মেম্বার ভোটার আইডি কার্ড নিছিল সার-বীজ দেওয়া হবে বলে। কিন্তু আমি কোনো বীজ পাইনি। শুধু ছয় কেজি লাল সার ও আট কেজি মাইটে সার পাইছি।’
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে নারাজ অধিকাংশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন চেয়ারম্যান দাবি করেছেন, ইউপি সদস্যসহ অনেকের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তাঁরা এইভাবে তালিকা করেছেন। এসব প্রণোদনা উপজেলা পরিষদ থেকে দেওয়া হয়, সেখান থেকেও একাধিকজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে বাধ্য করা হয় এবং প্রণোদনা দেওয়ার সময় সেখান থেকেই রেখে দেওয়া হয়।
সুজানগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাফিউল ইসলাম বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তালিকাটি তৈরি করা হয়। এরপর উপজেলা কমিটি সেটির অনুমোদনের পর সার ও বীজ বিতরণ করা হয়। অনিয়মের বিষয়ে কোনো অভিযোগ এখনো পাওয়া যায়নি। যদি কোনো অভিযোগ আসে, সেটি খতিয়ে দেখা হবে।’
সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘সার-বীজ বিতরণের বিষয়ে যদি কেউ সুনির্দিষ্টভাবে আমাদের কাছে অভিযোগ করে অথবা তথ্য দিতে পারে, তাহলে সেটি অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।’
সুজানগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীনের সঙ্গে কথা বলার জন্য একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি ধরেননি।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে